প্রবন্ধ
কবরস্থানে কিছু সময় কাটিয়েছেন কখনো ?
মুমিন সবসময় নিজেকে তিরস্কার করতে থাকে “আমার ঐ কথার কী উদ্দেশ্য ছিল? আমার ঐ খাওয়ার কী উদ্দেশ্য ছিল? আমার ঐ ভাবনার কী উদ্দেশ্য ছিল?”
তারা সারাক্ষণ নিজেকে দুষতে থাকে। অন্যদিকে পাপী নিশ্চিন্তে জীবন কাটাতে থাকে। নিজেকে কোনো প্রকার তিরস্কার এরা করে না। কিতাবুয যুহুদে কথাটি এসেছে।
অন্যকে না দুষে নিজেকে তিরষ্কার করলে নিজেকে সংশোধন করা যায়,গুনাহ থেকে সরে আসার চেষ্টা করা যায়। এই হল উদ্দেশ্য।
কবরস্থানে কিছু সময় কাটিয়েছেন কখনো? বনানী কবরস্থানে আগে সময় পেলেই একা একা ঘন্টাখানেক কাটিয়ে আসতাম। বসে বসে ভাবতাম বাউন্ডারী ওয়ালের ওপাশেই ছুটছে গাড়ি, ব্যস্ত জীবন।অথচ ঠিক এপাশের পরিবেশ নিথর নিশ্চুপ। পাখির ডাকও তেমন নাই। সময় যেন থমকে আছে। বহু বছর আগের সারি সারি কবরের ভেতরের এই মানুষগুলো এক সময় বেঁচে ছিল।
কবরের নাম ফলক দেখলে বোঝা যায় দেয়ালের ওপাশের দুনিয়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী জজ,ব্যারিস্টার,ডাক্তার,পুলিশ,নেতা ছিল তারা। হয়ত একসময় মানুষ তাদের ভয়ে থরথর করে কাঁপত।
আজ তারা কোথায়? কে তাদের মনে রেখেছে? কজনকে আপনি আমি চিনি? চিনলেই বা কি এল গেল তাদের? কে তাদের সাথে চলে গেছে মায়া করে? দুনিয়াবী এই পরিচিতি প্রটোকল কবরে তাদের কোন কাজে আসছে?
কিছুই কাজে আসে নাই। এক্সেপ্ট আমলনামা। মানুষের দুয়া মানুষের দীর্ঘশ্বাস, দুনিয়াতে করে যাওয়া তাদের নেক আমল বা বদ আমলের শাস্তি অথবা শান্তি তারা ঠিক ভোগ করে চলেছে যত লম্বা সময় ধরে ততটা সময় তারা দুনিয়াতেও হয়ত কাটায়নি। দেখতে একই রকম সব কবর অথচ প্রতিটা কবরবাসীর ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা।
আজ তারা যেখানে কিছু বছর বা কয়েক মাস বা হতে পারে কয়েক ঘন্টা পর আমরাও কবরবাসীই হয়ে যাব। সে সময়টা যখনই আসুক, আসবেই এতে সন্দেহ নাই।
আহ মরার আগেই যদি মরে যেতে পারতাম! নিজের মুহাসাবা নিজেই নেবার মত বিচক্ষন যদি হতে পারতাম।কবরে ঢোকার আগেই যদি সেই ঘরের ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারতাম..
যারা একদিন ধৃষ্টতার সাথে বলেছিল "মরে গেলে মিশে যাব"...ওয়াল্লাহি মরে গেলে কারও রুহ মিশে যায় না! দেহটিই যে কেবল মাটি হয়, নিশ্চই তারাও আজ তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে..আমরা কেউ কবরবাসীর আর্তনাদ শুনতে পাইনা..
"হায় আমিও যদি গাছ হতাম আর তা খেয়ে ফেলা হত বা কেটে ফেলা হত.."
#Tanzina_Rahman
তারা সারাক্ষণ নিজেকে দুষতে থাকে। অন্যদিকে পাপী নিশ্চিন্তে জীবন কাটাতে থাকে। নিজেকে কোনো প্রকার তিরস্কার এরা করে না। কিতাবুয যুহুদে কথাটি এসেছে।
অন্যকে না দুষে নিজেকে তিরষ্কার করলে নিজেকে সংশোধন করা যায়,গুনাহ থেকে সরে আসার চেষ্টা করা যায়। এই হল উদ্দেশ্য।
কবরস্থানে কিছু সময় কাটিয়েছেন কখনো? বনানী কবরস্থানে আগে সময় পেলেই একা একা ঘন্টাখানেক কাটিয়ে আসতাম। বসে বসে ভাবতাম বাউন্ডারী ওয়ালের ওপাশেই ছুটছে গাড়ি, ব্যস্ত জীবন।অথচ ঠিক এপাশের পরিবেশ নিথর নিশ্চুপ। পাখির ডাকও তেমন নাই। সময় যেন থমকে আছে। বহু বছর আগের সারি সারি কবরের ভেতরের এই মানুষগুলো এক সময় বেঁচে ছিল।
কবরের নাম ফলক দেখলে বোঝা যায় দেয়ালের ওপাশের দুনিয়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী জজ,ব্যারিস্টার,ডাক্তার,পুলিশ,নেতা ছিল তারা। হয়ত একসময় মানুষ তাদের ভয়ে থরথর করে কাঁপত।
আজ তারা কোথায়? কে তাদের মনে রেখেছে? কজনকে আপনি আমি চিনি? চিনলেই বা কি এল গেল তাদের? কে তাদের সাথে চলে গেছে মায়া করে? দুনিয়াবী এই পরিচিতি প্রটোকল কবরে তাদের কোন কাজে আসছে?
কিছুই কাজে আসে নাই। এক্সেপ্ট আমলনামা। মানুষের দুয়া মানুষের দীর্ঘশ্বাস, দুনিয়াতে করে যাওয়া তাদের নেক আমল বা বদ আমলের শাস্তি অথবা শান্তি তারা ঠিক ভোগ করে চলেছে যত লম্বা সময় ধরে ততটা সময় তারা দুনিয়াতেও হয়ত কাটায়নি। দেখতে একই রকম সব কবর অথচ প্রতিটা কবরবাসীর ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা।
আজ তারা যেখানে কিছু বছর বা কয়েক মাস বা হতে পারে কয়েক ঘন্টা পর আমরাও কবরবাসীই হয়ে যাব। সে সময়টা যখনই আসুক, আসবেই এতে সন্দেহ নাই।
আহ মরার আগেই যদি মরে যেতে পারতাম! নিজের মুহাসাবা নিজেই নেবার মত বিচক্ষন যদি হতে পারতাম।কবরে ঢোকার আগেই যদি সেই ঘরের ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারতাম..
যারা একদিন ধৃষ্টতার সাথে বলেছিল "মরে গেলে মিশে যাব"...ওয়াল্লাহি মরে গেলে কারও রুহ মিশে যায় না! দেহটিই যে কেবল মাটি হয়, নিশ্চই তারাও আজ তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে..আমরা কেউ কবরবাসীর আর্তনাদ শুনতে পাইনা..
"হায় আমিও যদি গাছ হতাম আর তা খেয়ে ফেলা হত বা কেটে ফেলা হত.."
#Tanzina_Rahman
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
ইস্তেগফার : সকল সমস্যার সমাধান
নিজের জীবনেও বহুবার আমি দেখেছি। কোনো বিপদে পড়লে বেশি করে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়েছি, আল্লাহ তাআলা এমনভাবে...
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী
২৩ জুন, ২০২৫
৫৩৮০৯ বার দেখা হয়েছে
বিপদ-আপদ-মুসীবতে অনুযোগ নয়; প্রত্যাবর্তন ও অনুতাপই শেষ কথা
যেকোনো মানুষের জীবনে বিপদ - আপদ , দুভোর্গ হঠাৎ নেমে এলে কিংবা চলতে থাকলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ছন্...
মাসিক আলকাউসার
১০ নভেম্বর, ২০২৪
৫৬৩৩ বার দেখা হয়েছে
ধৈর্যশীল হওয়ার পথ ও পদ্ধতি
ধৈর্য সৌভাগ্যের প্রতীক। ধৈর্যহীন ব্যক্তি আলোহীন মশালের মতো। ধৈর্য জন্মগত কিংবা পৈতৃকসূত্রে পাওয়া কোন...
মুফতি জাওয়াদ তাহের
১১ নভেম্বর, ২০২৪
৬০৯২ বার দেখা হয়েছে
বালা ও মুসীবত : সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মপন্থা
দুনিয়াতে মানুষের জীবন এক অবস্থায় থাকে না। অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। আর এটা যেমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে সত্য ত...
শাঈখুল ইসলাম হযরত আব্দুল মালেক
১০ নভেম্বর, ২০২৪
৬০৯১ বার দেখা হয়েছে

মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন