আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৯- আযান-ইকামতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৮ - ৬৪৯
- আযান-ইকামতের অধ্যায়
৪২৩। জামাআতে ফজরের নামায আদায়ের ফযীলত।
৬১৯। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, জামাআতের নামায তোমাদের কারো একাকী নামায থেকে পঁচিশ গুণ বেশী মর্তবা রাখে। আর ফজরের নামাযে রাতের ও দিনের ফিরিশতারা সম্মিলিত হয়। তারপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলতেন, তোমরা চাইলে (এর প্রমাণ স্বরূপ) إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا ফজরের নামায (ফিরিশতাগণের) উপস্থিতির সময় - এ আয়াত পাঠ কর।
শুআইব (রাহঃ) বলেন, আমাকে নাফি (রাহঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করে শুনিয়েছেন যে, জামাআতের নামায একাকী নামায থেকে সাতাশ গুণ বেশী মর্তবা রাখে।
كتاب الأذان
باب فَضْلِ صَلاَةِ الْفَجْرِ فِي جَمَاعَةٍ
648 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ المُسَيِّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «تَفْضُلُ صَلاَةُ الجَمِيعِ صَلاَةَ أَحَدِكُمْ وَحْدَهُ، بِخَمْسٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا، وَتَجْتَمِعُ مَلاَئِكَةُ اللَّيْلِ وَمَلاَئِكَةُ النَّهَارِ فِي صَلاَةِ الفَجْرِ» ثُمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ: {إِنَّ قُرْآنَ الفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا} [الإسراء: 78]
649 - قَالَ شُعَيْبٌ: وَحَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: «تَفْضُلُهَا بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً»
হাদীস নং: ৬২০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫০
- আযান-ইকামতের অধ্যায়
৪২৩। জামাআতে ফজরের নামায আদায়ের ফযীলত।
৬২০। উমর ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... উম্মে দারদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আবু দারদা (রাযিঃ) রাগান্বিত অবস্থায় আমার নিকট আসলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কিসে তোমাকে রাগান্বিত করেছে? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উম্মতের মধ্যে জামাআতে নামায আদায় করা ব্যতিত তাঁর তরীকার আর কিছুই দেখছি না। (এখন এতেও ত্রুটি দেখছি)
كتاب الأذان
باب فَضْلِ صَلاَةِ الْفَجْرِ فِي جَمَاعَةٍ
650 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ: سَمِعْتُ سَالِمًا، قَالَ: سَمِعْتُ أُمَّ الدَّرْدَاءِ، تَقُولُ: دَخَلَ عَلَيَّ أَبُو الدَّرْدَاءِ وَهُوَ مُغْضَبٌ، فَقُلْتُ: مَا أَغْضَبَكَ؟ فَقَالَ: «وَاللَّهِ مَا أَعْرِفُ مِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا إِلَّا أَنَّهُمْ يُصَلُّونَ جَمِيعًا»
হাদীস নং: ৬২১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫১
- আযান-ইকামতের অধ্যায়
৪২৩। জামাআতে ফজরের নামায আদায়ের ফযীলত।
৬২১। মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন (মসজিদ থেকে) যে যত বেশী দূরত্ব অতিক্রম করে নামাযে আসে, তার ততবেশী সাওয়াব হবে। আর যে ব্যক্তি ইমামের সাথে নামায আদায় করা পর্যন্ত অপেক্ষা করে, তার সাওয়াব সে ব্যক্তির চাইতে বেশী, যে একাকী নামায আদায় করে ঘুমিয়ে পড়ে।
كتاب الأذان
باب فَضْلِ صَلاَةِ الْفَجْرِ فِي جَمَاعَةٍ
651 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ العَلاَءِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي [ص:132] بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعْظَمُ النَّاسِ أَجْرًا فِي الصَّلاَةِ أَبْعَدُهُمْ، فَأَبْعَدُهُمْ مَمْشًى وَالَّذِي يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ حَتَّى يُصَلِّيَهَا مَعَ الإِمَامِ أَعْظَمُ أَجْرًا مِنَ الَّذِي يُصَلِّي، ثُمَّ يَنَامُ»