আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৭১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৫৫
- আযান-ইকামতের অধ্যায়
৪৮৭. সব নামাযেই ইমাম ও মুক্তাদীর কিরাআত পড়া জরুরী।
মুকীম অবস্থায় হোক বা সফরে, সশব্দ কিরাআতের নামায হোক বা নিঃশব্দের, সব নামাযেই ইমাম ও মুক্তাদীর কিরাআত পড়া জরুরী।
[ উল্লেখ্য : এটি ইমাম বুখারী রাহ: এর অভিমত , হাদীস নয় ]
মুকীম অবস্থায় হোক বা সফরে, সশব্দ কিরাআতের নামায হোক বা নিঃশব্দের, সব নামাযেই ইমাম ও মুক্তাদীর কিরাআত পড়া জরুরী।
[ উল্লেখ্য : এটি ইমাম বুখারী রাহ: এর অভিমত , হাদীস নয় ]
৭১৯। মুসা (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুফাবাসীরা সা’দ (রাযিঃ) এর বিরুদ্ধে* উমর (রাযিঃ) এর নিকট অভিযোগ করলে তিনি তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেন এবং আম্মার (রাযিঃ) কে তাদের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। কূফার লোকেরা সা’দ (রাযিঃ) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গিয়ে এ-ও বলে যে, তিনি ভালরূপে নামায আদায় করতে পারেন না। উমর (রাযিঃ) তাঁকে ডেকে পাঠালেন এবং বললেন, হে আবু ইসহাক! তারা আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, আপনি নাকি ভালরূপে নামায আদায় করতে পারেন না। সা’দ (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামাযের অনুরূপই নামায আদায় করে থাকি। তাতে কোন ত্রুটি করি না।
আমি ইশার নামায আদায় করতে প্রথম দু’রাক'আতে একটু দীর্ঘ ও শেষের দু’রাক'আত সংক্ষেপ করতাম। উমর (রাযিঃ) বললেন, হে আবু ইসহাক! আপনার সম্পর্কে আমার এ-ই ধারণা। তারপর উমর (রাযিঃ) কুফার অধিবাসীদের এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক বা একাধিক ব্যক্তিকে সা’দ (রাযিঃ) এর সঙ্গে কূফায় পাঠান। সে ব্যক্তি প্র্রতিটি মসজিদে গিয়ে সা’দ (রাযিঃ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল এবং তাঁরা সকলেই তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করলেন। অবশেষে সে ব্যক্তি বনু আবস গোত্রের মসজিদে উপস্থিত হয়। এখানে উসামা ইবনে কাতাদাহ্ নামে এক ব্যক্তি যাকে আবু সা'দাহ বলে ডাকা হত- দাঁড়িয়ে বলল, যেহেতু তুমি আল্লাহর নামের শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করেছ, তাই বলছি, সা’দ (রাযিঃ) কখনো সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে যান না, গনিমতের মাল সমভাবে বন্টন করেন না এবং বিচারে ইনসাফ করেন না।
তখন সা’দ (রাযিঃ) বললেন, মনে রেখো, আল্লাহর কসম! আমি তিনটি দুআ করছিঃ ইয়া আল্লাহ্! যদি তোমার এ বান্দা মিথ্যাবাদী হয়, লোক দেখানো এবং আত্মপ্রচারের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে, তার হায়াত বাড়িয়ে দিন, তার অভাব বাড়িয়ে দিন এবং তাকে ফিতনার সম্মুখীন করুন।
পরবর্তীকালে লোকটিকে (তার অবস্থা সম্পর্কে) জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলত, আমি বয়সে বৃদ্ধ, ফিতনায় লিপ্ত। সা’দ (রাযিঃ)-এর অভিশাপ (বদদুআ) আমার উপর লেগে আছে।
বর্ণনাকারী আব্দুল মালিক (রাহঃ) বলেন, পরে আমি সে লোকটিকে দেখেছি, অতি বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তার উভয় ভ্রু চোখের উপর ঝুলে পড়েছে এবং সে পথে মেয়েদের উত্যক্ত করত এবং তাদের চিমটি কাটতো।
*তিনি তখন কূফার আমীর হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
আমি ইশার নামায আদায় করতে প্রথম দু’রাক'আতে একটু দীর্ঘ ও শেষের দু’রাক'আত সংক্ষেপ করতাম। উমর (রাযিঃ) বললেন, হে আবু ইসহাক! আপনার সম্পর্কে আমার এ-ই ধারণা। তারপর উমর (রাযিঃ) কুফার অধিবাসীদের এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক বা একাধিক ব্যক্তিকে সা’দ (রাযিঃ) এর সঙ্গে কূফায় পাঠান। সে ব্যক্তি প্র্রতিটি মসজিদে গিয়ে সা’দ (রাযিঃ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল এবং তাঁরা সকলেই তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করলেন। অবশেষে সে ব্যক্তি বনু আবস গোত্রের মসজিদে উপস্থিত হয়। এখানে উসামা ইবনে কাতাদাহ্ নামে এক ব্যক্তি যাকে আবু সা'দাহ বলে ডাকা হত- দাঁড়িয়ে বলল, যেহেতু তুমি আল্লাহর নামের শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করেছ, তাই বলছি, সা’দ (রাযিঃ) কখনো সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে যান না, গনিমতের মাল সমভাবে বন্টন করেন না এবং বিচারে ইনসাফ করেন না।
তখন সা’দ (রাযিঃ) বললেন, মনে রেখো, আল্লাহর কসম! আমি তিনটি দুআ করছিঃ ইয়া আল্লাহ্! যদি তোমার এ বান্দা মিথ্যাবাদী হয়, লোক দেখানো এবং আত্মপ্রচারের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে, তার হায়াত বাড়িয়ে দিন, তার অভাব বাড়িয়ে দিন এবং তাকে ফিতনার সম্মুখীন করুন।
পরবর্তীকালে লোকটিকে (তার অবস্থা সম্পর্কে) জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলত, আমি বয়সে বৃদ্ধ, ফিতনায় লিপ্ত। সা’দ (রাযিঃ)-এর অভিশাপ (বদদুআ) আমার উপর লেগে আছে।
বর্ণনাকারী আব্দুল মালিক (রাহঃ) বলেন, পরে আমি সে লোকটিকে দেখেছি, অতি বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তার উভয় ভ্রু চোখের উপর ঝুলে পড়েছে এবং সে পথে মেয়েদের উত্যক্ত করত এবং তাদের চিমটি কাটতো।
*তিনি তখন কূফার আমীর হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
كتاب الأذان
باب وُجُوبِ الْقِرَاءَةِ لِلإِمَامِ وَالْمَأْمُومِ فِي الصَّلَوَاتِ كُلِّهَا فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ وَمَا يُجْهَرُ فِيهَا وَمَا يُخَافَتُ
755 - حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ المَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ: شَكَا أَهْلُ الكُوفَةِ سَعْدًا إِلَى عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَعَزَلَهُ، وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ عَمَّارًا، فَشَكَوْا حَتَّى ذَكَرُوا أَنَّهُ لاَ يُحْسِنُ يُصَلِّي، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ، فَقَالَ: يَا أَبَا إِسْحَاقَ إِنَّ هَؤُلاَءِ يَزْعُمُونَ أَنَّكَ لاَ تُحْسِنُ تُصَلِّي، قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ: أَمَّا أَنَا وَاللَّهِ «فَإِنِّي كُنْتُ أُصَلِّي بِهِمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَخْرِمُ عَنْهَا، أُصَلِّي صَلاَةَ العِشَاءِ، فَأَرْكُدُ فِي الأُولَيَيْنِ وَأُخِفُّ فِي الأُخْرَيَيْنِ» ، قَالَ: ذَاكَ الظَّنُّ بِكَ يَا أَبَا إِسْحَاقَ، فَأَرْسَلَ مَعَهُ رَجُلًا أَوْ رِجَالًا إِلَى الكُوفَةِ، فَسَأَلَ عَنْهُ أَهْلَ الكُوفَةِ وَلَمْ يَدَعْ مَسْجِدًا إِلَّا سَأَلَ عَنْهُ، وَيُثْنُونَ مَعْرُوفًا، حَتَّى دَخَلَ مَسْجِدًا لِبَنِي عَبْسٍ، فَقَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ أُسَامَةُ بْنُ قَتَادَةَ يُكْنَى أَبَا سَعْدَةَ قَالَ: أَمَّا إِذْ نَشَدْتَنَا فَإِنَّ سَعْدًا كَانَ لاَ يَسِيرُ بِالسَّرِيَّةِ، وَلاَ يَقْسِمُ بِالسَّوِيَّةِ، وَلاَ يَعْدِلُ فِي القَضِيَّةِ، قَالَ سَعْدٌ: أَمَا وَاللَّهِ لَأَدْعُوَنَّ بِثَلاَثٍ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ عَبْدُكَ هَذَا كَاذِبًا، قَامَ رِيَاءً وَسُمْعَةً، فَأَطِلْ عُمْرَهُ، وَأَطِلْ فَقْرَهُ، وَعَرِّضْهُ بِالفِتَنِ، وَكَانَ بَعْدُ إِذَا سُئِلَ يَقُولُ: شَيْخٌ كَبِيرٌ مَفْتُونٌ، أَصَابَتْنِي دَعْوَةُ سَعْدٍ، قَالَ عَبْدُ المَلِكِ: فَأَنَا رَأَيْتُهُ بَعْدُ، قَدْ سَقَطَ حَاجِبَاهُ عَلَى عَيْنَيْهِ مِنَ الكِبَرِ، وَإِنَّهُ لَيَتَعَرَّضُ لِلْجَوَارِي فِي الطُّرُقِ يَغْمِزُهُنَّ
হাদীস নং: ৭২০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৫৬
- আযান-ইকামতের অধ্যায়
৪৮৭. সব নামাযেই ইমাম ও মুক্তাদীর কিরাআত পড়া জরুরী, মুকীম অবস্থায় হোক বা সফরে, সশব্দ কিরাআতের নামায হোক বা নিঃশব্দের...
৭২০। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযে সূরা ফাতিহা পড়ল না তার নামায হল না।*
*এ হাদীস দ্বারা বাহ্যত বুঝা যায়, সূরা ফাতিহা পড়া ছাড়া নামায় হয় না। সুতরাং যে কেউ নামায আদায় করবে, তাকে অবশ্যই সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। তবে কুরআনে কারীম ও অন্যান্য বহু সহীহ হাদীসের বিস্তারিত দলীল-প্রমাণ দ্বারা সাব্যস্ত হয় যে, জামা'আতের নামাযে ইমামের ফাতিহা পাঠ দ্বারা মুক্তাদীর পড়া হয়ে যায়। উদাহরণত- এক. কুরআন মজীদে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন : “যখন কুরআন পড়া হয়, তোমরা মনোযোগের সাথে তা শুনবে এবং নীরব থাকবে। এতে তোমাদের উপর রহমত বর্ষিত হবে” (সূরা আরাফঃ ২০৪) । এ আয়াতে ইমাম ও মুক্তাদীর দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ইমামের কাজ কুরআন পড়া আর মুক্তাদীর কাজ নীরবে তা শোনা। ইমামের সাথে মুক্তাদীও যদি পড়তে থাকে তবে তা এ নির্দেশের পরিপন্থি হবে। নিম্নোক্ত হাদীসে বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে । যেমন, নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন, "যার ইমাম থাকে তখন ইমামের কিরাআতই তার কিরাআত" হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত। (মুসনাদে আহমদ-১৪৬৪৩; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা- ৩৮২৩; মুয়াত্তা মুহাম্মাদ- ৯৮)।
*এ হাদীস দ্বারা বাহ্যত বুঝা যায়, সূরা ফাতিহা পড়া ছাড়া নামায় হয় না। সুতরাং যে কেউ নামায আদায় করবে, তাকে অবশ্যই সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। তবে কুরআনে কারীম ও অন্যান্য বহু সহীহ হাদীসের বিস্তারিত দলীল-প্রমাণ দ্বারা সাব্যস্ত হয় যে, জামা'আতের নামাযে ইমামের ফাতিহা পাঠ দ্বারা মুক্তাদীর পড়া হয়ে যায়। উদাহরণত- এক. কুরআন মজীদে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন : “যখন কুরআন পড়া হয়, তোমরা মনোযোগের সাথে তা শুনবে এবং নীরব থাকবে। এতে তোমাদের উপর রহমত বর্ষিত হবে” (সূরা আরাফঃ ২০৪) । এ আয়াতে ইমাম ও মুক্তাদীর দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ইমামের কাজ কুরআন পড়া আর মুক্তাদীর কাজ নীরবে তা শোনা। ইমামের সাথে মুক্তাদীও যদি পড়তে থাকে তবে তা এ নির্দেশের পরিপন্থি হবে। নিম্নোক্ত হাদীসে বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে । যেমন, নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন, "যার ইমাম থাকে তখন ইমামের কিরাআতই তার কিরাআত" হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত। (মুসনাদে আহমদ-১৪৬৪৩; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা- ৩৮২৩; মুয়াত্তা মুহাম্মাদ- ৯৮)।
كتاب الأذان
باب وُجُوبِ الْقِرَاءَةِ لِلإِمَامِ وَالْمَأْمُومِ فِي الصَّلَوَاتِ كُلِّهَا فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ وَمَا يُجْهَرُ فِيهَا وَمَا يُخَافَتُ
756 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:152] قَالَ: «لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الكِتَابِ»
হাদীস নং: ৭২১
আন্তর্জাতিক নং: ৭৫৭
- আযান-ইকামতের অধ্যায়
৪৮৭. সব নামাযেই ইমাম ও মুক্তাদীর কিরাআত পড়া জরুরী, মুকীম অবস্থায় হোক বা সফরে, সশব্দ কিরাআতের নামায হোক বা নিঃশব্দের...
৭২১। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে প্রবেশ করলেন, তখন একজন সাহাবী এসে নামায আদায় করলেন। তারপর তিনি নবী (ﷺ) কে সালাম করলেন। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, আবার গিয়ে নামায আদায় কর। কেননা, তুমি তো নামায আদায় করনি। তিনি ফিরে গিয়ে আগের মত নামায আদায় করলেন। তারপর এসে নবী (ﷺ)-কে সালাম করলেন। তিনি বললেনঃ ফিরে গিয়ে আবার নামায আদায় কর। কেননা, তুমি নামায আদায় করনি। এভাবে তিনবার বললেন। সাহাবী বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন- আমি তো এর চেয়ে সুন্দর করে নামায আদায় করতে জানিনা। কাজেই আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ যখন তুমি নামাযের জন্য দাঁড়াবে, তখন তাকবীর বলবে। তারপর কুরআন থেকে যা তোমার পক্ষে সহজ তা পড়বে।* তারপর রুকূ’তে যাবে এবং ধীরস্থিরভাবে রুকু আদায় করবে। তারপর সোজা হয়ে দাঁড়াবে। তারপর সিজদায় যাবে এবং ধীরস্থিরভাবে সিজদা আদায় করবে। তারপর সিজদা থেকে উঠে স্থির হয়ে বসবে। আর এভাবেই পূরো নামায আদায় করবে।
*প্রিয় পাঠক! লক্ষ্য করুন; খোদ মহানবী (ﷺ) লোকটিকে সরাসরি হাতে-কলমে নামায শিক্ষা দিচ্ছেন । অথচ তাতে মহানবী (ﷺ) সূরা ফাতিহা পাঠের কথা না বলে বরং বলেছেন, “কুরআন থেকে যা তোমার পক্ষে সম্ভব তা পড়বে।” আর এটাই হচ্ছে খোদ কুরআনেরও নির্দেশ (৭৩: ২০)। এজন্য হানাফীগণ সূরা ফাতিহা পড়া ফরয মনে করেন না।
*প্রিয় পাঠক! লক্ষ্য করুন; খোদ মহানবী (ﷺ) লোকটিকে সরাসরি হাতে-কলমে নামায শিক্ষা দিচ্ছেন । অথচ তাতে মহানবী (ﷺ) সূরা ফাতিহা পাঠের কথা না বলে বরং বলেছেন, “কুরআন থেকে যা তোমার পক্ষে সম্ভব তা পড়বে।” আর এটাই হচ্ছে খোদ কুরআনেরও নির্দেশ (৭৩: ২০)। এজন্য হানাফীগণ সূরা ফাতিহা পড়া ফরয মনে করেন না।
كتاب الأذان
باب وُجُوبِ الْقِرَاءَةِ لِلإِمَامِ وَالْمَأْمُومِ فِي الصَّلَوَاتِ كُلِّهَا فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ وَمَا يُجْهَرُ فِيهَا وَمَا يُخَافَتُ
757 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ المَسْجِدَ فَدَخَلَ رَجُلٌ، فَصَلَّى، فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَدَّ وَقَالَ: «ارْجِعْ فَصَلِّ، فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ» ، فَرَجَعَ يُصَلِّي كَمَا صَلَّى، ثُمَّ جَاءَ، فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «ارْجِعْ فَصَلِّ، فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ» ثَلاَثًا، فَقَالَ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالحَقِّ مَا أُحْسِنُ غَيْرَهُ، فَعَلِّمْنِي، فَقَالَ: «إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَكَبِّرْ، ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ القُرْآنِ، ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا، ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْدِلَ قَائِمًا، ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا، ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا، وَافْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلاَتِكَ كُلِّهَا»