আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

১৮- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১১৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১২০৯
- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায়
৭৬৬. নামাযে যে কাজ জায়েয।
১১৩৬। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর নামায আদায়কালে আমি তাঁর কিবলার দিকে পা ছড়িয়ে রাখতাম; তিনি সিজদা করার সময় আমাকে খোঁচা দিলে আমি পা সরিয়ে নিতাম; তিনি দাঁড়িয়ে গেলে আবার পা ছড়িয়ে দিতাম।
كتاب التهجّد
باب مَا يَجُوزُ مِنَ الْعَمَلِ فِي الصَّلاَةِ
1209 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «كُنْتُ أَمُدُّ رِجْلِي فِي قِبْلَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي، فَإِذَا سَجَدَ غَمَزَنِي، فَرَفَعْتُهَا، فَإِذَا قَامَ مَدَدْتُهَا»
হাদীস নং: ১১৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ১২১০
- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায়
৭৬৬. নামাযে যে কাজ জায়েয।
১১৩৭। মাহমুদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) একবার নামায আদায় করার পর বললেনঃ শয়তান আমার সামনে এসে আমার নামায বিনষ্ট করার জন্য আমার উপর আক্রমণ করল। তখন আল্লাহ পাক আমাকে তার উপর ক্ষমতা দান করলেন, আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরলাম। আমার ইচ্ছা হয়েছিল, তাকে কোন স্তম্ভের সাথে বেঁধে রাখি। যাতে তোমরা সকাল বেলা উঠে তাকে দেখতে পাও। তখন সুলাইমান (আলাইহিস সালাম) এর এ দুআ আমার মনে পড়ে গেল, ...رَبِّ هَبْ لِي مُلْكً ″ইয়া রব! আমাকে এমন এক রাজ্য দান করুন যার অধিকারী আমার পরে আর কেউ না হয় ″। তখন আল্লাহ তাকে (শয়তানকে) অপমানিত করে দূর করে দিলেন।
নযর ইবনে শুমা’ইল (রাহঃ) বলেন فَذَعَتُّهُ শব্দটি ذال সহ অর্থাৎ তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরলাম এবং فَدَعَّتُّهُ আল্লাহর কালাম يَوْمَ يُدَعُّونَ থেকে অর্থাৎ তাদেরকে ধাক্কা মেরে মেরে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সঠিক হল فَدَعَتُّهُ তবে ع ও ت অক্ষর দুটি তাশদীদ সহ পাঠ করেছেন।
كتاب التهجّد
باب مَا يَجُوزُ مِنَ الْعَمَلِ فِي الصَّلاَةِ
1210 - حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ صَلَّى صَلاَةً، قَالَ: " إِنَّ الشَّيْطَانَ عَرَضَ لِي فَشَدَّ عَلَيَّ لِيَقْطَعَ الصَّلاَةَ عَلَيَّ، فَأَمْكَنَنِي اللَّهُ مِنْهُ، فَذَعَتُّهُ وَلَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أُوثِقَهُ إِلَى سَارِيَةٍ حَتَّى تُصْبِحُوا، فَتَنْظُرُوا إِلَيْهِ، فَذَكَرْتُ قَوْلَ سُلَيْمَانَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ: رَبِّ {هَبْ لِي مُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي} [ص: 35] فَرَدَّهُ اللَّهُ خَاسِيًا " ثُمَّ قَالَ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ: " فَذَعَتُّهُ: بِالذَّالِ أَيْ خَنَقْتُهُ، وَفَدَعَّتُّهُ مِنْ قَوْلِ اللَّهِ: {يَوْمَ يُدَعُّونَ} [الطور: 13] : أَيْ يُدْفَعُونَ، وَالصَّوَابُ: فَدَعَتُّهُ، إِلَّا أَنَّهُ كَذَا قَالَ، بِتَشْدِيدِ العَيْنِ وَالتَّاءِ "