আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

২৪- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৭৭০
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯১
- রোযার অধ্যায়
১১৮৩. রোযার অধ্যায়ঃ রমযানের রোযা ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে।
মহান আল্লাহর বাণীঃ "হে মু’মিনগণ! তোমাদের জন্য রোযা ফরয করা হল, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হও" (২:১৮৩)।
১৭৭০। কুতায়বা ইবনে সা’ইদ (রাহঃ) ......... তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এলোমেলো চুলসহ একজন গ্রাম্য আরব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এলেন। তারপর বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে বলুন, আল্লাহ তাআলা আমার উপর কত নামায ফরজ করেছেন? তিনি বলেনঃ পাঁচ (ওয়াক্ত) নামায; তবে তুমি যদি কিছু নফল আদায় কর তা স্বতন্ত্র কথা। এরপর তিনি বললেন, বলুন, আমার উপর কত রোযা আল্লাহ তাআলা ফরয করেছেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ রমযান মাসের রোযা; তবে তুমি যদি কিছু নফল রোযা আদায় কর তবে তা স্বতন্ত্র কথা। এরপর তিনি বললেন, বলুন, আল্লাহ আমার উপর কী পরিমাণ যাকাত ফরয করেছেন? রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে ইসলামের বিধান জানিয়ে দিলেন। এরপর তিনি বললেন, ঐ সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য দিয়ে সম্মানিত করেছেন, আল্লাহ আমার উপর যা ফরয করেছেন, আমি এর মাঝে কিছু বাড়াব না এবং কমাবও না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ সে সত্য বলে থাকলে সফলতা লাভ করল কিংবা বলেছেন, সে সত্য বলে থাকলে জান্নাত লাভ করল।
كتاب الصوم
كِتَابُ الصَّوْمِ بَابُ وُجُوبِ صَوْمِ رَمَضَانَ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ} [البقرة: 183]
1891 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَائِرَ الرَّأْسِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي مَاذَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ مِنَ الصَّلاَةِ؟ فَقَالَ: «الصَّلَوَاتِ الخَمْسَ إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ شَيْئًا» ، فَقَالَ: أَخْبِرْنِي مَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ مِنَ الصِّيَامِ؟ فَقَالَ: «شَهْرَ رَمَضَانَ إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ شَيْئًا» ، فَقَالَ: أَخْبِرْنِي بِمَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ مِنَ الزَّكَاةِ؟ فَقَالَ: فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَرَائِعَ الإِسْلاَمِ، قَالَ: وَالَّذِي أَكْرَمَكَ، لاَ أَتَطَوَّعُ شَيْئًا، وَلاَ أَنْقُصُ مِمَّا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ شَيْئًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ، أَوْ دَخَلَ الجَنَّةَ إِنْ صَدَقَ»
হাদীস নং: ১৭৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯২
- রোযার অধ্যায়
১১৮৩. রোযার অধ্যায়ঃ রমযানের রোযা ফরয হওয়া প্রসঙ্গে।
১৭৭১। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আশূরার দিন রোযা পালন করেছেন এবং এ রোযার জন্য আদেশও করেছেন। পরে যখন রমযানের রোযা ফরয হল তখন তা ছেড়ে দেওয়া হয়। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এ রোযা পালন করতেন না, তবে মাসের যে দিনগুলোতে সাধারণত রোযা পালন করতেন, তাঁর সাথে মিল হলে করতেন।
كتاب الصوم
كِتَابُ الصَّوْمِ بَابُ وُجُوبِ صَوْمِ رَمَضَانَ
1892 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «صَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَاشُورَاءَ، وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ فَلَمَّا فُرِضَ رَمَضَانُ تُرِكَ» ، وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ لاَ يَصُومُهُ إِلَّا أَنْ يُوَافِقَ صَوْمَهُ
হাদীস নং: ১৭৭২
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯৩
- রোযার অধ্যায়
১১৮৩. রোযার অধ্যায়ঃ রমযানের রোযা ফরয হওয়া প্রসঙ্গে।
১৭৭২। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, জাহিলী যুগে কুরাইশগণ আশূরার দিন রোযা পালন করত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও পরে এ রোযা পালনের নির্দেশ দেন। অবশেষে রমযানের রোযা ফরয হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যার ইচ্ছা আশূরার রোযা পালন করবে এবং যার ইচ্ছা সে রোযা পালন করবে না।
كتاب الصوم
كِتَابُ الصَّوْمِ بَابُ وُجُوبِ صَوْمِ رَمَضَانَ
1893 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، أَنَّ عِرَاكَ بْنَ مَالِكٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ عُرْوَةَ أَخْبَرَهُ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا،: أَنَّ قُرَيْشًا كَانَتْ تَصُومُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فِي الجَاهِلِيَّةِ، ثُمَّ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِصِيَامِهِ حَتَّى فُرِضَ رَمَضَانُ، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ شَاءَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ»