আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
২৪- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ১৮১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩৮
- রোযার অধ্যায়
১২১৫. রোযা পালনকারীর শিঙ্গা লাগানো বা বমি করা।
ইমাম বুখারী রহঃ বলেন, ইয়াহয়া ইবনে সালিহ রহঃ আমাকে বলেছেন ...... আব হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বমি করলে রোযা ভঙ্গ হয় না। কেননা এতে কিছু বের হয়, ভিতরে প্রবেশ করে না। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে এও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। প্রথম উক্তিটি বেশী সহীহ।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এবং ইকরিমা (রাহঃ) বলেন, কোন কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা নষ্ট হয়; কিন্তু বের হওয়ার কারণে নয়।
ইবনে উমর (রাযিঃ) রোযাদার অবস্থায় শিঙ্গা লাগাতেন। অবশ্য পরবর্তী সময়ে তিনি দিনে শিঙ্গা লাগানো ছেড়ে দিয়ে রাতে লাগাতেন।
আবু মুসা (রাযিঃ) রাতে শিঙ্গা লাগাতেন।
সা’দ, যায়দ ইবনে আরকাম এবং উম্মে সালামা (রাযিঃ) সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তারা সকলেই রোযা পালনকারী অবস্থায় শিঙ্গা লাগাতেন।
বুকায়র (রাহঃ) উম্মে আলকামা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, আমরা আয়িশা (রাযিঃ) এর সামনে শিঙ্গা লাগাতাম, তিনি আমাদের নিষেধ করতেন না।
হাসান (রাহঃ) হতে একাধিক রাবী সূত্রে মারফু’ হাদীস আছে যে, শিঙ্গা প্রয়োগকারী এবং গ্রহণকারী উভয়ের রোযাই নষ্ট হয়ে যাবে। ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন, আইয়াশ (রাহঃ) হাসান (রাহঃ) হতে আমার নিকট অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এ কি নবী (ﷺ) হতে বর্ণিত? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।
ইমাম বুখারী রহঃ বলেন, ইয়াহয়া ইবনে সালিহ রহঃ আমাকে বলেছেন ...... আব হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বমি করলে রোযা ভঙ্গ হয় না। কেননা এতে কিছু বের হয়, ভিতরে প্রবেশ করে না। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে এও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। প্রথম উক্তিটি বেশী সহীহ।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এবং ইকরিমা (রাহঃ) বলেন, কোন কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা নষ্ট হয়; কিন্তু বের হওয়ার কারণে নয়।
ইবনে উমর (রাযিঃ) রোযাদার অবস্থায় শিঙ্গা লাগাতেন। অবশ্য পরবর্তী সময়ে তিনি দিনে শিঙ্গা লাগানো ছেড়ে দিয়ে রাতে লাগাতেন।
আবু মুসা (রাযিঃ) রাতে শিঙ্গা লাগাতেন।
সা’দ, যায়দ ইবনে আরকাম এবং উম্মে সালামা (রাযিঃ) সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তারা সকলেই রোযা পালনকারী অবস্থায় শিঙ্গা লাগাতেন।
বুকায়র (রাহঃ) উম্মে আলকামা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, আমরা আয়িশা (রাযিঃ) এর সামনে শিঙ্গা লাগাতাম, তিনি আমাদের নিষেধ করতেন না।
হাসান (রাহঃ) হতে একাধিক রাবী সূত্রে মারফু’ হাদীস আছে যে, শিঙ্গা প্রয়োগকারী এবং গ্রহণকারী উভয়ের রোযাই নষ্ট হয়ে যাবে। ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন, আইয়াশ (রাহঃ) হাসান (রাহঃ) হতে আমার নিকট অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এ কি নবী (ﷺ) হতে বর্ণিত? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।
১৮১৪। মুআল্লা ইবনে আসাদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) মুহরিম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন এবং রোযাদার অবস্থায়ও শিঙ্গা লাগিয়েছেন।
كتاب الصوم
بَابُ الحِجَامَةِ وَالقَيْءِ لِلصَّائِمِ وَقَالَ لِي يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلَّامٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُمَرَ بْنِ الحَكَمِ بْنِ ثَوْبَانَ: سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «إِذَا قَاءَ فَلاَ يُفْطِرُ إِنَّمَا يُخْرِجُ وَلاَ يُولِجُ» ، وَيُذْكَرُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: «أَنَّهُ يُفْطِرُ» وَالأَوَّلُ أَصَحُّ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَعِكْرِمَةُ: «الصَّوْمُ مِمَّا دَخَلَ وَلَيْسَ مِمَّا خَرَجَ» وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، يَحْتَجِمُ وَهُوَ صَائِمٌ، ثُمَّ تَرَكَهُ، فَكَانَ يَحْتَجِمُ بِاللَّيْلِ وَاحْتَجَمَ أَبُو مُوسَى لَيْلًا وَيُذْكَرُ عَنْ سَعْدٍ، وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، وَأُمِّ سَلَمَةَ: احْتَجَمُوا صِيَامًا وَقَالَ بُكَيْرٌ، عَنْ أُمِّ عَلْقَمَةَ: كُنَّا نَحْتَجِمُ عِنْدَ عَائِشَةَ «فَلاَ تَنْهَى» وَيُرْوَى عَنِ الحَسَنِ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مَرْفُوعًا فَقَالَ: «أَفْطَرَ الحَاجِمُ وَالمَحْجُومُ» وَقَالَ لِي عَيَّاشٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ الحَسَنِ مِثْلَهُ، قِيلَ لَهُ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: نَعَمْ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُ أَعْلَمُ
1938 - حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجَمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ، وَاحْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮১৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩৯
- রোযার অধ্যায়
১২১৫. রোযা পালনকারীর শিঙ্গা লাগানো বা বমি করা।
১৮১৫। আবু মা’মার (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) রোযাদার অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন।
كتاب الصوم
باب الْحِجَامَةِ وَالْقَىْءِ لِلصَّائِمِ
1939 - حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «احْتَجَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ صَائِمٌ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮১৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৪০
- রোযার অধ্যায়
১২১৫. রোযা পালনকারীর শিঙ্গা লাগানো বা বমি করা।
১৮১৬। আদম ইবনে আবু ইয়াস (রাহঃ) ......... সাবিত বুনানী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) কে প্রশ্ন করা হল, আপনারা কি রোযাদারের শিঙ্গা লাগানো অপছন্দ করতেন? তিনি বললেন, না, তবে দূর্বল হয়ে যাবার কারণে অপছন্দ করতাম। শাবাবা (রাহঃ) শু’বা (রাহঃ) থেকে (عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم) 'নবী (ﷺ) এর যুগে' কথাটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।
كتاب الصوم
باب الْحِجَامَةِ وَالْقَىْءِ لِلصَّائِمِ
1940 - حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ ثَابِتًا البُنَانِيَّ، قَالَ: سُئِلَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَكُنْتُمْ تَكْرَهُونَ الحِجَامَةَ لِلصَّائِمِ؟ قَالَ: «لاَ، إِلَّا مِنْ أَجْلِ الضَّعْفِ» ، وَزَادَ شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
তাহকীক: