আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৩২- সেচকার্য সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২২১৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭৩
- সেচকার্য সম্পর্কিত অধ্যায়
১৪৭৮. শুকনো লাকড়ী ও ঘাস বিক্রি করা
২২১৭। মুয়াল্লা ইবনে আসাদ (রাহঃ) ....যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ রশি নিয়ে লাকড়ীর আটি বেঁধে তা বিক্রি করে, এতে আল্লাহ তা‘আলা তার সম্মান রক্ষা করেন, এটা তার জন্য মানুষের কাছে ভিক্ষা করার চাইতে উত্তম! লোকজনের নিকট এমন চাওয়ার চেয়ে, যে চাওয়ায় কিছু পাওয়া যেতে পরে বা নাও পারে।
كتاب المساقاة / الشرب
باب بَيْعِ الْحَطَبِ وَالْكَلإِ
2373 - حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ العَوَّامِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَأَنْ يَأْخُذَ أَحَدُكُمْ أَحْبُلًا، فَيَأْخُذَ حُزْمَةً مِنْ حَطَبٍ، فَيَبِيعَ، فَيَكُفَّ اللَّهُ بِهِ وَجْهَهُ، خَيْرٌ مِنْ أَنْ يَسْأَلَ النَّاسَ، أُعْطِيَ أَمْ مُنِعَ»
হাদীস নং: ২২১৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭৪
- সেচকার্য সম্পর্কিত অধ্যায়
১৪৭৮. শুকনো লাকড়ী ও ঘাস বিক্রি করা
২২১৮। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) ....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কারো নিকট সাওয়াল করা, যাতে সে তাকে কিছু দিতেও পারে আবার নাও দিতে পারে, এর চেয়ে পিঠে বোঝা বহন করা (তা বিক্রি করা) উত্তম।
كتاب المساقاة / الشرب
باب بَيْعِ الْحَطَبِ وَالْكَلإِ
2374 - حَدَّثَنَا يَحْيَى [ص:114] بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَأَنْ يَحْتَطِبَ أَحَدُكُمْ حُزْمَةً عَلَى ظَهْرِهِ، خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَسْأَلَ أَحَدًا فَيُعْطِيَهُ أَوْ يَمْنَعَهُ»
হাদীস নং: ২২১৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭৫
- সেচকার্য সম্পর্কিত অধ্যায়
১৪৭৮. শুকনো লাকড়ী ও ঘাস বিক্রি করা
২২১৯। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) ....আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বদরের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে আমি মালে গনীমত হিসাবে একটি উট লাভ করি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে আরো একটি উট দেন। একদিন আমি উট দু’টিকে একজন আনসারীর ঘরের দরজায় বসাই। আমার ইচ্ছা ছিলো এদের উপর ইযখির (এক ধরনের ঘাস) চাপিয়ে তা বিক্রি করতে নিয়ো যাবো। আমার সাথে বনু কায়নুকার একজন স্বর্ণকার ছিলো। আমি এর (ইযখির বিক্রি লব্ধ টাকা) দ্বারা ফাতিমা (রাযিঃ) এর ওলীমা করতে সমর্থ হব।
সে ঘরে হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) শরাব পান করছিলেন। আর তাঁর সাথে একজন গায়িকাও ছিল। সে বলল, হে হামযা! তৈরী হও, মোটা উটগুলোর উদ্দেশ্যে। এরপর হামযা (রাযিঃ) উট দু’টোর দিকে তরবারি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তাদের কুজ দু’টিও কেটে নিলেন এবং পেট ফেঁড়ে উভয়ের কলিজা বের করে নিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ইবনে শিহাব (রাহঃ)- কে জিজ্ঞাসা করি, কুজ কি করা হল? তিনি বলেন, সেটি কেটে নিয়ে গেলেন।
ইবনে শিহাব বলেন, আলী বলেছেন, এই দৃশ্য দেখলাম এবং তা আমাকে ঘাবড়িয়ে দিল। এরপর আমি নবী (ﷺ) এর নিকট আসলাম। তাঁর নিকট তখন যায়দ ইবনে হারিসা (রাযিঃ) উপস্থিত ছিলেন। আমি তাঁকে খবর বললাম। তিনি বের হলেন এবং তাঁর সঙ্গে ছিলেন যায়দ (রাযিঃ)। আমিও তাঁর সঙ্গে গেলাম। তিনি হামযা (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হলেন এবং তার প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করলেন। হামযা দৃষ্টি উঁচু করে তাঁদের দিকে তাকালেন। আর বললেন, তোমরা আমার বাপ-দাদার দাস বটে। হামযা (রাযিঃ)- এর এ অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পিছনে সরে তাদের নিকট থেকে চলে আসলেন। ঘটনাটি শরাব হারাম হওয়ার আগেকার।
كتاب المساقاة / الشرب
باب بَيْعِ الْحَطَبِ وَالْكَلإِ
2375 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ أَخْبَرَهُمْ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، أَنَّهُ قَالَ: أَصَبْتُ شَارِفًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَغْنَمٍ يَوْمَ بَدْرٍ، قَالَ: «وَأَعْطَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَارِفًا أُخْرَى» ، فَأَنَخْتُهُمَا يَوْمًا عِنْدَ بَابِ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ، وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أَحْمِلَ عَلَيْهِمَا إِذْخِرًا لِأَبِيعَهُ، وَمَعِي صَائِغٌ مِنْ بَنِي قَيْنُقَاعَ، فَأَسْتَعِينَ بِهِ عَلَى وَلِيمَةِ فَاطِمَةَ، وَحَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ المُطَّلِبِ يَشْرَبُ فِي ذَلِكَ البَيْتِ مَعَهُ قَيْنَةٌ، فَقَالَتْ:
[البحر الوافر]
أَلاَ يَا حَمْزُ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ
فَثَارَ إِلَيْهِمَا حَمْزَةُ بِالسَّيْفِ فَجَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا، وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا، ثُمَّ أَخَذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا، - قُلْتُ لِابْنِ شِهَابٍ وَمِنَ السَّنَامِ؟ قَالَ: قَدْ جَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا، فَذَهَبَ بِهَا، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: - قَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: فَنَظَرْتُ إِلَى مَنْظَرٍ أَفْظَعَنِي، فَأَتَيْتُ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، فَأَخْبَرْتُهُ الخَبَرَ، فَخَرَجَ وَمَعَهُ زَيْدٌ، فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ، فَدَخَلَ عَلَى حَمْزَةَ، فَتَغَيَّظَ عَلَيْهِ، فَرَفَعَ حَمْزَةُ بَصَرَهُ، وَقَالَ: هَلْ أَنْتُمْ إِلَّا عَبِيدٌ لِآبَائِي، فَرَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَهْقِرُ حَتَّى خَرَجَ عَنْهُمْ، وَذَلِكَ قَبْلَ تَحْرِيمِ الخَمْرِ