আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

২২- ওমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৭৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৬০ - ১৮৬১
- ওমরার অধ্যায়
১১৬৮. মহিলাদের হজ্জঃ
আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .........আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, যে বছর ‘উমর (রা) শেষবারের মত হজ্জ আদায় করেন সে বছর তিনি নবী করীম (ﷺ) এর সকল স্ত্রীকে হজ্জ আদায় করার অনুমতি দিয়েছিলেন এবং তাঁদের সাথে উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) এবং আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) কে পাঠিয়েছিলেন।
১৭৩৯। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি আপনাদের সঙ্গে যুদ্ধ ও জিহাদে অংশগ্রহণ করব না? তিনি বলেন, তোমাদের জন্য উত্তম জিহাদ হল মকবুল হজ্জ। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এ কথা শোনার পর আমি আর কখনো হজ্জ ছাড়ব না।
أبواب العمرة
باب حَجِّ النِّسَاءِ
1860 - وَقَالَ لِي أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ هُوَ الأَزْرَقِيُّ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، «أَذِنَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لِأَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آخِرِ حَجَّةٍ حَجَّهَا، فَبَعَثَ مَعَهُنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ»
1861 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ، حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ، قَالَ: حَدَّثَتْنَا عَائِشَةُ بِنْتُ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ المُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلاَ نَغْزُو وَنُجَاهِدُ مَعَكُمْ؟ فَقَالَ: «لَكِنَّ أَحْسَنَ الجِهَادِ وَأَجْمَلَهُ الحَجُّ، حَجٌّ مَبْرُورٌ» ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ «فَلاَ أَدَعُ الحَجَّ بَعْدَ إِذْ سَمِعْتُ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
হাদীস নং: ১৭৪০
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৬২
- ওমরার অধ্যায়
১১৬৮. মহিলাদের হজ্জ
১৭৪০। আবু নু’মান (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ মেয়েরা মাহরাম (যার সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ) ব্যতীত অন্য কারো সাথে সফর করবে না। মাহরাম কাছে নেই এমতাবস্থায় কোন পুরুষ কোন মহিলার নিকট গমন করতে পারবে না। এ সময় এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি অমুক অমুক সেনাদলের সাথে জিহাদ করার জন্য যেতে চাচ্ছি। কিন্তু আমার স্ত্রী হজ্জ করতে যেতে চাচ্ছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি তাঁর সাথেই যাও।
أبواب العمرة
باب حَجِّ النِّسَاءِ
1862 - حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تُسَافِرِ المَرْأَةُ إِلَّا مَعَ ذِي مَحْرَمٍ، وَلاَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا رَجُلٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ» ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَخْرُجَ فِي جَيْشِ كَذَا وَكَذَا، وَامْرَأَتِي تُرِيدُ الحَجَّ، فَقَالَ: «اخْرُجْ مَعَهَا»
হাদীস নং: ১৭৪১
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৬৩
- ওমরার অধ্যায়
১১৬৮. মহিলাদের হজ্জ
১৭৪১। আবদান (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) হজ্জ থেকে ফিরে এসে উম্মে সিনান (রাযিঃ) নামক এক আনসারী মহিলাকে বললেনঃ হজ্জ আদায় করাতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তিনি বলেন, অমুকের আব্বা অর্থাৎ তাঁর স্বামী, কারণ পানি টানার জন্য আমাদের মাত্র দু’টি উট আছে। একটিতে সওয়ার হয়ে তিনি হজ্জ আদায় করতে গিয়েছেন। আর অন্যটি আমাদের জমিতে পানি সিঞ্চনের কাজ করছে। নবী (ﷺ) বললেনঃ রমযান মাসে একটি উমরা আদায় করা একটি ফরয হজ্জ আদায় করার সমান অথবা বলেছেনঃ আমার সাথে একটি হজ্জ আদায় করার সমান।

হাদীসটি ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) ......... ’আতা (রাহঃ) ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন এবং উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) জাবির (রাযিঃ) এর সূত্রে এ হাদীসটি নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
أبواب العمرة
باب حَجِّ النِّسَاءِ
1863 - حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، أَخْبَرَنَا حَبِيبٌ المُعَلِّمُ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: لَمَّا رَجَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَجَّتِهِ قَالَ لِأُمِّ سِنَانٍ الأَنْصَارِيَّةِ: «مَا مَنَعَكِ مِنَ الحَجِّ؟» ، قَالَتْ: أَبُو فُلاَنٍ، تَعْنِي زَوْجَهَا، كَانَ لَهُ نَاضِحَانِ حَجَّ عَلَى أَحَدِهِمَا، وَالآخَرُ يَسْقِي أَرْضًا لَنَا، قَالَ: «فَإِنَّ عُمْرَةً فِي رَمَضَانَ تَقْضِي حَجَّةً أَوْ حَجَّةً مَعِي» رَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الكَرِيمِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ১৭৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৬৪
- ওমরার অধ্যায়
১১৬৮. মহিলাদের হজ্জ
১৭৪২। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ......... যিয়াদের আযাদকৃত গোলাম কাযা’আ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু সা’ইদ (রাযিঃ)-কে যিনি নবী (ﷺ) এর সাথে বারটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, বলতে শুনেছি, চারটি বিষয় যা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি (অথবা) তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করতেন। আবু সা’ইদ (রাযিঃ) বলেন, এ বিষয়গুলো আমাকে আশ্চর্যান্বিত করে দিয়েছে এবং চমৎকৃত করে ফেলেছে। (তা হল এই) স্বামী কিংবা মাহরাম ব্যতীত কোন মহিলা দুই দিনের পথ সফর করবে না। ‘ঈদুল ফিতর এবং ‘ঈদুল আযহা-- এ দুই দিন কেউ রোযা পালন করবে না। আসরের পর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত এবং ফজরের পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত কেউ নামায আদায় করবে না। মসজিদে হারাম, আমার মসজিদ এবং মসজিদে আকসা — এ তিন মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদের জন্য সফরের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে না।*

*আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবী (রাহঃ) বলেন, এখানে সফরের কথা বলা হয়েছে। সওয়াব লাভের আশায় এ তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোন মসজিদের দিকে সফরে বের হওয়া যাবে না। কারণ, এ তিনটি ছাড়া দুনিয়ার সকল মসজিদের মর্যাদা সমান। প্রয়োজনের খাতিরে বের হওয়া ভিন্ন কথা। কেউ কেউ মনে করেন, হাদীসটির অর্থ এ তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোন মসজিদের প্রতি সফর করার মান্নত করা যাবে না। আর করলে তা ওয়াজিব হবে না। মান্নতই যেখানে সহীহ হবে না সেখানে তা আদায় করার প্রশ্নই অবান্তর। এও হতে পারে যে, হাদীসটিতে এ তিনটি স্থানের প্রতি সফরে বের হওয়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
أبواب العمرة
باب حَجِّ النِّسَاءِ
1864 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ المَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ قَزَعَةَ، مَوْلَى زِيَادٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ، وَقَدْ غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ غَزْوَةً، قَالَ: أَرْبَعٌ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَوْ قَالَ: - يُحَدِّثُهُنَّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -، فَأَعْجَبْنَنِي وَآنَقْنَنِي: " أَنْ لاَ تُسَافِرَ امْرَأَةٌ مَسِيرَةَ يَوْمَيْنِ لَيْسَ مَعَهَا زَوْجُهَا، أَوْ ذُو مَحْرَمٍ، وَلاَ صَوْمَ يَوْمَيْنِ الفِطْرِ وَالأَضْحَى، وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَتَيْنِ بَعْدَ العَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ، وَبَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَلاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلَّا إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ: مَسْجِدِ الحَرَامِ، وَمَسْجِدِي، وَمَسْجِدِ الأَقْصَى "