আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৫০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৭৬
- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
২১১১. আনসারগণের মর্যাদা। (আল্লাহ তাআলা বলেনঃ) আর যারা মুহাজিরগণের আগমনের পূর্ব হতেই এ নগরীতে (মদীনাতে) বসবাস করেছে ও ঈমান এনেছে এবং মুহাজিরগণকে ভালবাসে আর মুহাজিরদেরকে যা দেওয়া হয়েছে তার জন্য তারা অন্তরে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে না। (৫৯ঃ ৯)
৩৫০৫। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... গায়লান ইবনে জারীর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ)- কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাদের আনসার নামকরণ সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কি? এ নাম কি আপনারা করেছেন না আল্লাহ্ আপনাদের এ নামকরণ করেছেন? আনাস (রাযিঃ) বললেন, রবং আল্লাহ্ তাআলা আমাদের এ নামকরণ করেছেন। (গায়লান (রাহঃ) বলেন) আমরা (বসরায়) যখন আনাস (রাযিঃ)- এর নিকট যেতাম, তখন তিনি আমাদেরকে আনসারদের গুণাবলী ও কীর্তিসমূহ বর্ণনা করে শোনাতেন। তিনি আমাকে অথবা আয্দ গোত্রের এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বলতেন, তোমার গোত্র অমুক দিন অমুক (কৃতিত্বপূর্ণ) কাজ করেছেন, অমুক দিন অমুক (সাহসীকতা পূর্ণ) কাজ করেছেন।
كتاب المناقب
باب مَنَاقِبُ الأَنْصَارِ {وَالَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالإِيمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ يُحِبُّونَ مَنْ هَاجَرَ إِلَيْهِمْ وَلاَ يَجِدُونَ فِي صُدُورِهِمْ حَاجَةً مِمَّا أُوتُوا
3776 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا غَيْلاَنُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: قُلْتُ لِأَنَسٍ: أَرَأَيْتَ اسْمَ الأَنْصَارِ، كُنْتُمْ تُسَمَّوْنَ بِهِ، أَمْ سَمَّاكُمُ اللَّهُ؟ قَالَ: «بَلْ سَمَّانَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ» ، كُنَّا نَدْخُلُ عَلَى أَنَسٍ، فَيُحَدِّثُنَا بِمَنَاقِبِ الأَنْصَارِ، وَمَشَاهِدِهِمْ، وَيُقْبِلُ عَلَيَّ، أَوْ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الأَزْدِ، فَيَقُولُ: «فَعَلَ قَوْمُكَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا كَذَا وَكَذَا»
হাদীস নং: ৩৫০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৭৭
- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
২১১১. আনসারগণের মর্যাদা।
৩৫০৬। উবাইদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বু‘আস যুদ্ধ (যা আউস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয়ের মধ্যে সংঘঠিত হয়ে দীর্ঘ একশ বিশ বছর স্থায়ী ছিল) এমন একটি যুদ্ধ ছিল, যা আল্লাহ তাআলা (মদীনার পরিবেশকে) তাঁর (রাসূল (ﷺ)- এর অনুকূল করার জন্য) মদীনা আগমনের পূর্বেই ঘটিয়ে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মদীনায় আগমন করলেন তখন সেখানকার সম্ভ্রান্ত ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ নানা দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। তাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ এ যুদ্ধে নিহত ও আহত হয়েছিল। তাদের ইসলাম গ্রহণকে আল্লাহ্ তাআলা তাঁর রাসূল (ﷺ)- এর জন্য অনুকূল করে দিয়েছিলেন।
كتاب المناقب
باب مَنَاقِبُ الأَنْصَارِ
3777 - حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «كَانَ يَوْمُ بُعَاثَ، يَوْمًا قَدَّمَهُ اللَّهُ لِرَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدِ افْتَرَقَ مَلَؤُهُمْ، وَقُتِلَتْ سَرَوَاتُهُمْ وَجُرِّحُوا، فَقَدَّمَهُ اللَّهُ لِرَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دُخُولِهِمْ فِي الإِسْلاَمِ»
হাদীস নং: ৩৫০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৭৮
- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
২১১১. আনসারগণের মর্যাদা।
৩৫০৭। আবুল ওয়ালীদ (রাহঃ) .... আবু তাইয়্যাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ)- কে বলতে শুনেছি, মক্বা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরাইশদেরকে মালে গনীমত দিলে কতিপয় আনসার বলেছিলেন যে, এ বড় আশ্চর্যের বিষয় যে, কুরাইশদের আমাদের গনীমতের মাল দিলেন অথচ আমাদের তরবারী থেকে তাদের রক্ত এখনও ঝরছে। নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট এ কথা পৌছলে তিনি আনসারদেরকে ডেকে বললেন, আমি তোমাদের থেকে যে কথাটি শুনতে পেলাম, সে কথাটি কি ছিল? যেহেতু তাঁরা মিথ্যা কথা বলতেন না, সেহেতু তাঁরা বললেন, আপনার নিকট যা পৌছেছে তা সত্যই। তখন নবী কারীম (ﷺ) বললেন, তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, লোকজন গনীমতের মাল নিয়ে তাদের ঘরে প্রত্যাবর্তন করবে আর তোমরা আল্লাহর রাসূলকে নিয়ে নিজ ঘরে প্রত্যাবর্তন করবে। যদি আনসারগণ উপত্যকা বা গিরিপথ দিয়ে চলে তবে আমি আনসারদের উত্যকা বা গিরিপথ দিয়েই চলব।
كتاب المناقب
باب مَنَاقِبُ الأَنْصَارِ
3778 - حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: قَالَتِ الأَنْصَارُ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ، وَأَعْطَى [ص:31] قُرَيْشًا: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا لَهُوَ العَجَبُ، إِنَّ سُيُوفَنَا تَقْطُرُ مِنْ دِمَاءِ قُرَيْشٍ، وَغَنَائِمُنَا تُرَدُّ عَلَيْهِمْ، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَعَا الأَنْصَارَ، قَالَ: فَقَالَ: «مَا الَّذِي بَلَغَنِي عَنْكُمْ» ، وَكَانُوا لاَ يَكْذِبُونَ، فَقَالُوا: هُوَ الَّذِي بَلَغَكَ، قَالَ: «أَوَلاَ تَرْضَوْنَ أَنْ يَرْجِعَ النَّاسُ بِالْغَنَائِمِ إِلَى بُيُوتِهِمْ، وَتَرْجِعُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بُيُوتِكُمْ؟ لَوْ سَلَكَتِ الأَنْصَارُ وَادِيًا، أَوْ شِعْبًا لَسَلَكْتُ وَادِيَ الأَنْصَارِ أَوْ شِعْبَهُمْ»