আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৩৪- কলহ- বিবাদ ও নিরসন অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ২২৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৪১৬ - ২৪১৭
- কলহ- বিবাদ ও নিরসন অধ্যায়
১৫০৫. বিবাদমানদের পরস্পরের কথাবর্তা
২২৫৬। মুহাম্মাদ (রাহঃ) ....আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি কোন মুসলিমের অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা শপথ করে, তা হলে সে আল্লাহর সমীপে এমন অবস্থায় হাযির হবে যে, আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত থাকবেন। আশআস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম। এটা আমার সম্পর্কেই ছিল, আমার ও এক ইয়াহুদী ব্যক্তির সাথে যৌথ মালিকানায় এক খণ্ড জমি ছিল। সে আমার মালিকানার অংশ অস্বীকার করে বসল। আমি তাকে নবী (ﷺ) এর কাছে নিয়ে গেলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, তোমার কোন সাক্ষী আছে কি? আমি বললাম, না। তখন তিনি (নবী ﷺ) ইয়াহুদীকে বললেন, তুমি কসম কর। আমি তখন বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! সে তো কসম করবে এবং আমার সম্পত্তি নিয়ে নেবে। তখন আল্লাহ তাআলা (এ আয়াত) নাযিল করেনঃ যারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছমূল্যে বিক্রি করে ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ঃ ৭৭)।
كتاب الخصومات
باب كَلاَمِ الْخُصُومِ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ وَهْوَ فِيهَا فَاجِرٌ لِيَقْتَطِعَ بِهَا مَالَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَقِيَ اللَّهَ وَهْوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ ". قَالَ فَقَالَ الأَشْعَثُ فِيَّ وَاللَّهِ كَانَ ذَلِكَ، كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ رَجُلٍ مِنَ الْيَهُودِ أَرْضٌ فَجَحَدَنِي، فَقَدَّمْتُهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلَكَ بَيِّنَةٌ ". قُلْتُ لاَ. قَالَ فَقَالَ لِلْيَهُودِيِّ " احْلِفْ ". قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذًا يَحْلِفَ، وَيَذْهَبَ بِمَالِي، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى (إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلاً) إِلَى آخِرِ الآيَةِ.
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪১৮
- কলহ- বিবাদ ও নিরসন অধ্যায়
১৫০৫. বিবাদমানদের পরস্পরের কথাবর্তা
২১৫৭। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ....কা‘ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি মসজিদের মধ্যে ইবনে আবু হাদরাদের কাছে তার প্রাপ্য কর্জের তাগাদা করেন। তাদের আওয়াজ বুলন্দ হয়ে গিয়েছিল, এমন কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার ঘর থেকে তা শুনতে পেলেন। তিনি (নবী ﷺ) হুজরার পর্দা তুলে বাইরে এলেন এবং হে কা‘ব বলে ডাকলেন। কা‘ব (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি হাযির। তিনি ইশারায় তাকে কর্জের অর্ধেক মাফ করে দিতে বললেন। কা‘ব (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি মাফ করে দিলাম, তিনি (নবী ﷺ) ইবনে আবু হাদরাদকে বললেন, উঠ, কর্জ পরিশোধ করে দাও।
كتاب الخصومات
باب كَلاَمِ الْخُصُومِ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ
2418 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ كَعْبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّهُ تَقَاضَى ابْنَ أَبِي حَدْرَدٍ دَيْنًا كَانَ لَهُ عَلَيْهِ فِي المَسْجِدِ، فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا حَتَّى سَمِعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي بَيْتِهِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمَا حَتَّى كَشَفَ سِجْفَ حُجْرَتِهِ، فَنَادَى: «يَا كَعْبُ» ، قَالَ: لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «ضَعْ مِنْ دَيْنِكَ هَذَا» ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ - أَيِ الشَّطْرَ - قَالَ: لَقَدْ فَعَلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «قُمْ فَاقْضِهِ»
হাদীস নং: ২২৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৪১৯
- কলহ- বিবাদ ও নিরসন অধ্যায়
১৫০৫. বিবাদমানদের পরস্পরের কথাবর্তা
২২৫৮। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ....উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হিশাম ইবনে হাকীম ইবনে হিযামকে সূরা ফুরকান আমি যেভাবে পড়ি তা থেকে ভিন্ন পড়তে শুনলাম। আর যেভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে এ সূরা পড়িয়েছেন। আমি তাড়াতাড়ি তাকে বাধা দিতে চাচ্ছিলাম। কিন্তা তার নামায শেষ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। এরপর তার গলায় চাঁদর পেঁচিয়ে তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে নিয়ে এলাম এবং বললাম, আপনি আমাকে যা পড়তে শিখিয়েছেন, আমি তাকে তা থেকে ভিন্ন পড়তে শুনেছি।
নবী (ﷺ) তাকে ছেড়ে দিতে আমাকে বললেন। তারপর তাকে পড়তে বললেন, সে পড়ল। তিনি (নবী ﷺ) বললেন, এরূপ নাযিল হয়েছে। এরপর আমাকে পড়তে বললেন, আমিও তখন পড়লাম। আর তিনি (নবী ﷺ) বললেন, এরূপই নাযিল হয়েছে। কুরআন সাত হরফে নাযিল হয়েছে। তাই যেরূপ সহজ হয় তোমরা সেরূপেই তা পড়।
নবী (ﷺ) তাকে ছেড়ে দিতে আমাকে বললেন। তারপর তাকে পড়তে বললেন, সে পড়ল। তিনি (নবী ﷺ) বললেন, এরূপ নাযিল হয়েছে। এরপর আমাকে পড়তে বললেন, আমিও তখন পড়লাম। আর তিনি (নবী ﷺ) বললেন, এরূপই নাযিল হয়েছে। কুরআন সাত হরফে নাযিল হয়েছে। তাই যেরূপ সহজ হয় তোমরা সেরূপেই তা পড়।
كتاب الخصومات
باب كَلاَمِ الْخُصُومِ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ
2419 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ القَارِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، يَقْرَأُ سُورَةَ الفُرْقَانِ عَلَى غَيْرِ مَا أَقْرَؤُهَا، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْرَأَنِيهَا، وَكِدْتُ أَنْ أَعْجَلَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَمْهَلْتُهُ حَتَّى انْصَرَفَ، ثُمَّ لَبَّبْتُهُ بِرِدَائِهِ، فَجِئْتُ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: إِنِّي سَمِعْتُ هَذَا يَقْرَأُ عَلَى غَيْرِ مَا أَقْرَأْتَنِيهَا، فَقَالَ لِي: «أَرْسِلْهُ» ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: «اقْرَأْ» ، فَقَرَأَ، قَالَ: «هَكَذَا أُنْزِلَتْ» ، ثُمَّ قَالَ لِي: «اقْرَأْ» ، فَقَرَأْتُ، فَقَالَ: «هَكَذَا أُنْزِلَتْ إِنَّ القُرْآنَ أُنْزِلَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ، فَاقْرَءُوا مِنْهُ مَا تَيَسَّرَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৪২০
- কলহ- বিবাদ ও নিরসন অধ্যায়
১৫০৬, পরিচ্ছেদঃ গুনাহ্ ও বিবাদে লিপ্ত লোকদের অবস্থা জানার পর ঘর থেকে বের করে দেওয়া। আবূ বকর (রা.)-এর বোন যখন বিলাপ করছিলেন তখন উমর (রা.) তাকে (ঘর থেকে) বের কর দিয়েছিলেন
২২৫৯। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমি ইচ্ছা করেছিলাম যে, নামায আদায় করার আদেশ করব। নামায দাঁড়িয়ে গেলে এর পর যে সম্প্রদায় নামাযে উপস্থিত হয় না, আমি তাদের বাড়ী গিয়ে তা জ্বালিয়ে দেই।
كتاب الخصومات
بَابُ إِخْرَاجِ أَهْلِ المَعَاصِي وَالخُصُومِ مِنَ البُيُوتِ بَعْدَ المَعْرِفَةِ وَقَدْ أَخْرَجَ عُمَرُ أُخْتَ أَبِي بَكْرٍ حِينَ نَاحَتْ
2420 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِالصَّلاَةِ فَتُقَامَ، ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى مَنَازِلِ قَوْمٍ لاَ يَشْهَدُونَ الصَّلاَةَ، فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ»
তাহকীক: