আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ২৭৫২
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫৮
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
১৮৫১. যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন না করার উপর বায়আত করা। আর কেউ বলেছেন মৃত্যুর উপর বায়আত করা। যেহেতু আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মু’মিনদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন যখন তারা আপনার নিকট বৃক্ষতলে বায়আত গ্রহণ করেছিলেন (৪৮ঃ ১৮)
২৭৫২। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা যখন হুদায়বিয়া সন্ধির পরবর্তী বছর প্রত্যাবর্তন করলাম, তখন আমাদের মধ্য হতে দু’জন লোকও যে বৃক্ষের নীচে আমরা বায়আত করেছিলাম সেটি চিহ্নিত করার ব্যাপারে একমত হতে সক্ষম হয় নি। তা ছিল আল্লাহ্ তাআলার পক্ষ থেকে রহমত স্বরূপ’। বর্ণনাকারী বলেন, ‘আমি নাফি (রাহঃ)- কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, তাঁদের নিকট হতে কিসের বায়আত গ্রহণ করা হয়েছিল? তা কি মৃত্যুর উপর?’ তিনি বললেন, ‘না, বরং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদের নিকট হতে অটল থাকার উপর বায়আত গ্রহণ করেছিলেন।’
كتاب الجهاد والسير
باب الْبَيْعَةِ فِي الْحَرْبِ أَنْ لاَ يَفِرُّوا وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَلَى الْمَوْتِ لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ}
2958 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: قَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «رَجَعْنَا مِنَ العَامِ المُقْبِلِ فَمَا اجْتَمَعَ مِنَّا اثْنَانِ عَلَى الشَّجَرَةِ الَّتِي بَايَعْنَا تَحْتَهَا، كَانَتْ رَحْمَةً مِنَ اللَّهِ» ، فَسَأَلْتُ نَافِعًا: عَلَى أَيِّ شَيْءٍ بَايَعَهُمْ، عَلَى المَوْتِ؟ قَالَ: «لاَ، بَلْ بَايَعَهُمْ عَلَى الصَّبْرِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫৯
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
১৮৫১. যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন না করার উপর বায়আত করা। আর কেউ বলেছেন মৃত্যুর উপর বায়আত করা।
২৭৫৩। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাররা নামক যুদ্ধের সময়ে তাঁর নিকট জনৈক ব্যক্তি এসে বললো, ‘ইবনে হানযালা (রাযিঃ) মানুষের নিকট থেকে মৃত্যুর উপর বায়আত গ্রহণ করছেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর পর আমি তো কারো নিকট এরূপ বায়আত করব না।
كتاب الجهاد والسير
باب الْبَيْعَةِ فِي الْحَرْبِ أَنْ لاَ يَفِرُّوا وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَلَى الْمَوْتِ
2959 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: " لَمَّا كَانَ زَمَنُ الحَرَّةِ أَتَاهُ آتٍ فَقَالَ لَهُ: إِنَّ ابْنَ حَنْظَلَةَ يُبَايِعُ النَّاسَ عَلَى المَوْتِ، فَقَالَ: لاَ أُبَايِعُ عَلَى هَذَا أَحَدًا بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬০
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
১৮৫১. যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন না করার উপর বায়আত করা। আর কেউ বলেছেন মৃত্যুর উপর বায়আত করা।
২৭৫৪। মক্কী ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি নবী (ﷺ)- এর নিকট বায়আত করলাম। তারপর আমি একটি বৃক্ষের ছায়াতলে গেলাম। মানুষের ভীড় কমে গেলে, (তাঁর নিকট উপস্থিত হলে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, ‘ইবনে আকওয়া! তুমি কি বায়আত করবে না?’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো বায়আত করেছি’। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আরেকবার হোক না’। তখন আমি দ্বিতীয়বার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট বায়আত করলাম। (বর্ণনাকারী) বলেন, আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘হে আবু মুসিলম! সেদিন তোমরা কোন্ বিষয়ের উপর বায়আত করেছিলে?’ তিনি বললেন, ‘মৃত্যুর উপর’।
كتاب الجهاد والسير
باب الْبَيْعَةِ فِي الْحَرْبِ أَنْ لاَ يَفِرُّوا وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَلَى الْمَوْتِ
2960 - حَدَّثَنَا المَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: بَايَعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ عَدَلْتُ إِلَى ظِلِّ الشَّجَرَةِ، فَلَمَّا خَفَّ النَّاسُ قَالَ: «يَا ابْنَ الأَكْوَعِ أَلاَ تُبَايِعُ؟» قَالَ: قُلْتُ: قَدْ بَايَعْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «وَأَيْضًا» فَبَايَعْتُهُ الثَّانِيَةَ، فَقُلْتُ لَهُ: يَا أَبَا مُسْلِمٍ عَلَى أَيِّ شَيْءٍ كُنْتُمْ تُبَايِعُونَ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: عَلَى المَوْتِ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৭৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬১
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
১৮৫১. যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন না করার উপর বায়আত করা। আর কেউ বলেছেন মৃত্যুর উপর বায়আত করা।
২৭৫৫। হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনসারগণ খন্দকের যুদ্ধের দিন আবৃত্তি করছিলেনঃ “আমরাই হচ্ছি সে সকল লোক, যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর হস্তে জিহাদ করার উপর বায়আত গ্রহণ করেছি, যতদিন আমরা বেঁচে থাকব”। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তদুত্তরে ইরশাদ করেনঃ হে আল্লাহ্! আখিরাতের সুখ-স্বাচ্ছন্দ হচ্ছে প্রকৃত সুখ; সুতরাং আপনি আনসার ও মুহাজিরদেরকে সম্মানিত করুন।
كتاب الجهاد والسير
باب الْبَيْعَةِ فِي الْحَرْبِ أَنْ لاَ يَفِرُّوا وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَلَى الْمَوْتِ
2961 - حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: كَانَتِ الأَنْصَارُ يَوْمَ الخَنْدَقِ تَقُولُ:
[البحر]
نَحْنُ الَّذِينَ بَايَعُوا مُحَمَّدَا ... عَلَى الجِهَادِ مَا حَيِينَا أَبَدَا
، فَأَجَابَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ:
«اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إِلَّا عَيْشُ الآخِرَهْ ... فَأَكْرِمِ الأَنْصَارَ، وَالمُهَاجِرَهْ»
[البحر]
نَحْنُ الَّذِينَ بَايَعُوا مُحَمَّدَا ... عَلَى الجِهَادِ مَا حَيِينَا أَبَدَا
، فَأَجَابَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ:
«اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إِلَّا عَيْشُ الآخِرَهْ ... فَأَكْرِمِ الأَنْصَارَ، وَالمُهَاجِرَهْ»
হাদীস নং: ২৭৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬২
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
১৮৫১. যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন না করার উপর বায়আত করা। আর কেউ বলেছেন মৃত্যুর উপর বায়আত করা।
২৭৫৬। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... মুজাশি‘ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভাতিজাকে নিয়ে নবী (ﷺ)- এর দরবারে উপস্থিত হলাম। তারপর আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল আমাদেরকে হিজরতের উপর বায়আত নিন।’ তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করলেন, ‘হিজরত তো হিজরতকারীগণের জন্য অতীত হয়ে গেছে।’ আমি বললাম, ‘তাহলে আপনি আমাদের কিসের উপর বায়আত নিবেন?’ তদুত্তরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করলেন, ‘ইসলাম ও জিহাদের উপর।’
كتاب الجهاد والسير
باب الْبَيْعَةِ فِي الْحَرْبِ أَنْ لاَ يَفِرُّوا وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَلَى الْمَوْتِ
2962 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ فُضَيْلٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ مُجَاشِعٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: أَتَيْتُ [ص:51] النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَأَخِي، فَقُلْتُ: بَايِعْنَا عَلَى الهِجْرَةِ، فَقَالَ: «مَضَتِ الهِجْرَةُ لِأَهْلِهَا» ، فَقُلْتُ: عَلاَمَ تُبَايِعُنَا؟ قَالَ: «عَلَى الإِسْلاَمِ وَالجِهَادِ»
তাহকীক: