আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৭- সৃষ্টি জগতের সূচনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৬ টি
হাদীস নং: ২৯৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২৪
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
২৯৯৭। মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)- এর জন্য প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি বালিশ তৈরী করেছিলাম। যেন তা একটি ছোট গদী। এরপর তিনি আমার ঘরে এসে দু’দরজার মাঝখানে দাঁড়ালেন এবং তাঁর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তখন আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার কি অপরাধ হয়েছে? তিনি বললেন, এ বালিশটি কেন? আমি বললাম, এ বালিশটি আপনি এর উপর ঠেস দিয়ে বসতে পারেন আমি সে জন্য তৈরী করেছি। নবী (ﷺ) বললেন, (হে আয়িশা রাযিঃ) তুমি কি জান না? যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না? আর যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি আকে তাকে কিয়ামতের দিন শাস্তি দেওয়া হবে? তাকে (আল্লাহ) বলবেন, ‘তুমি যে প্রাণীর ছবি বানিয়েছ, এখন তাকে প্রাণ দান কর।’
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3224 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، أَخْبَرَنَا مَخْلَدٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، أَنَّ نَافِعًا، حَدَّثَهُ أَنَّ القَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَهُ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: حَشَوْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وِسَادَةً فِيهَا تَمَاثِيلُ كَأَنَّهَا نُمْرُقَةٌ، فَجَاءَ فَقَامَ بَيْنَ البَابَيْنِ وَجَعَلَ يَتَغَيَّرُ وَجْهُهُ، فَقُلْتُ: مَا لَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «مَا بَالُ هَذِهِ الوِسَادَةِ؟» ، قَالَتْ: وِسَادَةٌ جَعَلْتُهَا لَكَ لِتَضْطَجِعَ عَلَيْهَا، قَالَ: " أَمَا عَلِمْتِ أَنَّ المَلاَئِكَةَ لاَ تَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ، وَأَنَّ مَنْ صَنَعَ الصُّورَةَ يُعَذَّبُ يَوْمَ القِيَامَةِ يَقُولُ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২৫
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
২৯৯৮। ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) .... আবু তালহা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি, যে ঘরে কুকুর থাকে আর প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না।
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3225 - حَدَّثَنَا ابْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا طَلْحَةَ، يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لاَ تَدْخُلُ المَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ، وَلاَ صُورَةُ تَمَاثِيلَ»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৯৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২৬
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
২৯৯৯। আহমদ (রাহঃ) .... আবু তালহা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না।’ বুসর (রাহঃ) বলেন, এরপর যায়দ ইবনে খালিদ (রাযিঃ) অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তাঁর শুশ্রুষার জন্য গেলাম। তখন আমরা তাঁর ঘরে একটি পর্দায় কিছু ছবি দেখতে পেলাম। তখন আমি (বুসর) ওবায়দুল্লাহ খাওলানী (রাযিঃ)- কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইনি কি আমাদের নিকট ছবি সম্পর্কীয় হাদীস বর্ণনা করেননি? তখন তিনি বললেন, তিনি (যায়দ ইবনে খালিদ রাহঃ) বলেছেন, প্রাণীর (ছবি নিষিদ্ধ) তবে কাপড়ের মধ্যে কিছু অঙ্কন করা নিষিদ্ধ নয়, তুমি কি তা শুননি? আমি (বুসর) বললাম, না। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি তা বর্ণনা করেছেন।
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3226 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرٌو، أَنَّ بُكَيْرَ بْنَ الأَشَجِّ حَدَّثَهُ، أَنَّ بُسْرَ بْنَ سَعِيدٍ حَدَّثَهُ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الجُهَنِيَّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ حَدَّثَهُ، وَمَعَ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ عُبَيْدُ اللَّهِ الخَوْلاَنِيُّ الَّذِي كَانَ فِي حِجْرِ مَيْمُونَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَدَّثَهُمَا زَيْدُ بْنُ خَالِدٍ، أَنَّ أَبَا طَلْحَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لاَ تَدْخُلُ المَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ» قَالَ بُسْرٌ: فَمَرِضَ زَيْدُ بْنُ خَالِدٍ فَعُدْنَاهُ، فَإِذَا نَحْنُ فِي بَيْتِهِ بِسِتْرٍ فِيهِ تَصَاوِيرُ، فَقُلْتُ لِعُبَيْدِ اللَّهِ الخَوْلاَنِيِّ: أَلَمْ يُحَدِّثْنَا فِي التَّصَاوِيرِ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ قَالَ: إِلَّا رَقْمٌ فِي ثَوْبٍ أَلاَ سَمِعْتَهُ قُلْتُ لاَ، قَالَ: بَلَى قَدْ ذَكَرَهُ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩০০০
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২৭
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০০। ইয়াহয়া ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) .... সালিম (রাযিঃ) তাঁর পিতার নিকট হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, জিবরাঈল (আলাইহি সালাম) নবী (ﷺ)- কে (সাক্ষাতের) ওয়াদা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি (সময় মত) আসেন নি। নবী (ﷺ)- এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, আমরা ঐ ঘরে প্রবেশ করি না, যে ঘরে ছবি এবং কুকুর থাকে।
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3227 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: وَعَدَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جِبْرِيلُ فَقَالَ: «إِنَّا لاَ نَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ وَلاَ كَلْبٌ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০০১
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২৮
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০১। ইসমাঈল (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, (নামাযে) ইমাম যখন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলেন, তখন তোমরা বলবে اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ (হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক। আপনার জন্য সকল প্রশংসা) কেননা যার এ উক্তি ফিরিশতাগণের উক্তির অনুরূপ হবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3228 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ سُمَيٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " إِذَا قَالَ الإِمَامُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الحَمْدُ فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ المَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ "
হাদীস নং: ৩০০২
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২৯
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০২। ইবরাহীম ইবনে মুনযির (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যতক্ষণ পর্যন্ত নামাযে রত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ফিরিশতাগণ এ বলে দু‘আ করতে থাকে, হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন; হে আল্লাহ! তার প্রতি রহম করুন (এ দু‘আ চলতে থাকবে) যতক্ষণ পর্যন্ত লোকটি নামায ছেড়ে না দাঁড়াবে অথবা তার উযু ভঙ্গ না হবে।’
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3229 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ المُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُلَيْحٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ هِلاَلِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " إِنَّ أَحَدَكُمْ فِي صَلاَةٍ مَا دَامَتِ الصَّلاَةُ تَحْبِسُهُ، وَالمَلاَئِكَةُ تَقُولُ [ص:115]: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ مَا لَمْ يَقُمْ مِنْ صَلاَتِهِ أَوْ يُحْدِثْ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৩০
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৩। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... সাফওয়ান ইবনে ইয়া‘লা (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)- কে মিম্বারে উঠে এ আয়াত তিলাওয়াত করতে শুনেছি; نَادَوْا يَا مَالِكُ (আর তারা ডাকল, হে মালিক) (মালিক জাহান্নামের তত্ত্ববধায়ক ফিরিশতার নাম)। সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-এর ক্বিরাআতে نَادَوْا يَا مَالِكُ স্থলেنَادَوْا يَا مَالِ রয়েছে।
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3230 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ يَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ عَلَى المِنْبَرِ {وَنَادَوْا يَا مَالِكُ} [الزخرف: 77] قَالَ: سُفْيَانُ: فِي قِرَاءَةِ عَبْدِ اللَّهِ وَنَادَوْا يَا مَالِ "
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩০০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৩১
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৪। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... নবী (ﷺ)- এর সহধর্মিণী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার তিনি নবী (ﷺ)- কে জিজ্ঞাসা করলেন, উহুদের দিনের চাইতে কঠিন কোন দিন কি আপনার উপর এসেছিল? তিনি বললেন, আমি তোমার কওম থেকে যে বিপদের সম্মুখীন হয়েছি, তা তো হয়েছি। তাদের থেকে সবচেয়ে বেশী কঠিন বিপদের সম্মুখীন হয়েছি, আকাবার দিন যখন আমি নিজেকে ইবনে আব্দে ইয়ালীল ইবনে আব্দে কুলালের নিকট পেশ করেছিলাম। আমি যা চেয়েছিলাম, সে তাঁর জবাব দেয়নি। তখন আমি এমন ভাবে বিষন্ন চেহারা নিয়ে ফিরে এলাম যে, কারনুস সাআলিবে পৌঁছা পর্যন্ত আমার চিন্তা লাঘব হয়নি। তখন আমি মাথা উপরে উঠালাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম এক টুকরা মেঘ আমাকে ছায়া দিচ্ছে। আমি সে দিকে দৃষ্টি দিলাম। তার মধ্যে ছিলেন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)।
তিনি আমাকে ডেকে বললেন, আপনার কওম আপনাকে যা বলেছে এবং তারা প্রতি উত্তরে যা বলেছে তা সবই আল্লাহ শুনেছেন। তিনি আপনার কাছে পাহাড়ের (দায়িত্বে নিয়োজিত) ফিরিশতাকে পাঠিয়েছেন। এদের সম্পর্কে আপনার যা ইচ্ছা আপনি তাঁকে হুকুম দিতে পারেন। তখন পাহাড়ের ফিরিশতা আমাকে ডাকলেন এবং আমাকে সালাম দিলেন। তারপর বললেন, হে মুহাম্মাদ! এসব ব্যাপার আপনার ইচ্ছাধীন। আপনি যদি চান, তাহলে আমি তাদের উপর আখশাবাইন* কে চাপিয়ে দিব। উত্তরে নবী (ﷺ) বললেন, (না, তা হতে পারে না) বরং আমি আশা করি মহান আল্লাহ তাদের বংশ থেকে এমন সন্তান জন্ম দেবেন যে, যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে আর তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না।
*আখশাবাইনঃ দু'টি কঠিন শিলার পাহাড়।
তিনি আমাকে ডেকে বললেন, আপনার কওম আপনাকে যা বলেছে এবং তারা প্রতি উত্তরে যা বলেছে তা সবই আল্লাহ শুনেছেন। তিনি আপনার কাছে পাহাড়ের (দায়িত্বে নিয়োজিত) ফিরিশতাকে পাঠিয়েছেন। এদের সম্পর্কে আপনার যা ইচ্ছা আপনি তাঁকে হুকুম দিতে পারেন। তখন পাহাড়ের ফিরিশতা আমাকে ডাকলেন এবং আমাকে সালাম দিলেন। তারপর বললেন, হে মুহাম্মাদ! এসব ব্যাপার আপনার ইচ্ছাধীন। আপনি যদি চান, তাহলে আমি তাদের উপর আখশাবাইন* কে চাপিয়ে দিব। উত্তরে নবী (ﷺ) বললেন, (না, তা হতে পারে না) বরং আমি আশা করি মহান আল্লাহ তাদের বংশ থেকে এমন সন্তান জন্ম দেবেন যে, যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে আর তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না।
*আখশাবাইনঃ দু'টি কঠিন শিলার পাহাড়।
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3231 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا قَالَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَلْ أَتَى عَلَيْكَ يَوْمٌ كَانَ أَشَدَّ مِنْ يَوْمِ أُحُدٍ، قَالَ: " لَقَدْ لَقِيتُ مِنْ قَوْمِكِ مَا لَقِيتُ، وَكَانَ أَشَدَّ مَا لَقِيتُ مِنْهُمْ يَوْمَ العَقَبَةِ، إِذْ عَرَضْتُ نَفْسِي عَلَى ابْنِ عَبْدِ يَالِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلاَلٍ، فَلَمْ يُجِبْنِي إِلَى مَا أَرَدْتُ، فَانْطَلَقْتُ وَأَنَا مَهْمُومٌ عَلَى وَجْهِي، فَلَمْ أَسْتَفِقْ إِلَّا وَأَنَا بِقَرْنِ الثَّعَالِبِ فَرَفَعْتُ رَأْسِي، فَإِذَا أَنَا بِسَحَابَةٍ قَدْ أَظَلَّتْنِي، فَنَظَرْتُ فَإِذَا فِيهَا جِبْرِيلُ، فَنَادَانِي فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ، وَمَا رَدُّوا عَلَيْكَ، وَقَدْ بَعَثَ إِلَيْكَ مَلَكَ الجِبَالِ لِتَأْمُرَهُ بِمَا شِئْتَ فِيهِمْ، فَنَادَانِي مَلَكُ الجِبَالِ فَسَلَّمَ عَلَيَّ، ثُمَّ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، فَقَالَ، ذَلِكَ فِيمَا شِئْتَ، إِنْ شِئْتَ أَنْ أُطْبِقَ عَلَيْهِمُ الأَخْشَبَيْنِ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَلْ أَرْجُو أَنْ يُخْرِجَ اللَّهُ مِنْ أَصْلاَبِهِمْ مَنْ يَعْبُدُ اللَّهَ وَحْدَهُ، لاَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا "
হাদীস নং: ৩০০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৩২
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৫। কুতাইবা (রাহঃ) .... আবু ইসহাক শায়বানী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যির ইবনে হুবাইস (রাযিঃ)- কে মহান আল্লাহর এ বাণীঃ “ফলে তাদের মধ্যে দু’ ধনুকের পরিমাণ বা তার চেয়েও কম ব্যবধান রইল। তখন আল্লাহ তার বান্দার প্রতি যা ওহী করার তা ওহী করলেন″ (৫৩ঃ ৯-১০) এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (ﷺ) জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)- কে দেখেছেন তাঁর ছয়শ’টি ডানা দছিল।
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3232 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ: سَأَلْتُ زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى. فَأَوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى} [النجم: 10] قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ مَسْعُودٍ: أَنَّهُ «رَأَى جِبْرِيلَ، لَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৩৩
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৬। হাফস ইবনে ইবনে উমর (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি এ আয়াতঃ “নিশ্চয়ই তিনি তাঁর রবের মহান নিদর্শনাবলী দেখেছেন” (৫৩ঃ ১৮)-এর মর্মার্থে বলেন, তিনি (নবী ﷺ) সবুজ বর্ণের রফরফ* দেখেছেন, যা আকাশের দিগন্তকে ঢেকে রেখেছিল।
* রফরফ অর্থ সবুজ কাপড়ের বিছানা।
* রফরফ অর্থ সবুজ কাপড়ের বিছানা।
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3233 - حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، {لَقَدْ رَأَى مِنْ آيَاتِ رَبِّهِ الكُبْرَى} [النجم: 18] ، قَالَ: «رَأَى رَفْرَفًا أَخْضَرَ سَدَّ أُفُقَ السَّمَاءِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৩৪
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৭। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মনে করবে যে, মুহাম্মাদ তাঁর রবকে দেখেছেন, সে ব্যক্তি বিরাট ভুল করবে। বরং তিনি জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)- কে তাঁর আসল আকৃতি এবং অবয়বে দেখেছেন। তিনি আকাশের দিগন্ত জুড়ে অবস্থান করছিলেন।
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3234 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، أَنْبَأَنَا القَاسِمُ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «مَنْ زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ أَعْظَمَ، وَلَكِنْ قَدْ رَأَى جِبْرِيلَ فِي صُورَتِهِ وَخَلْقُهُ سَادٌّ مَا بَيْنَ الأُفُقِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৩৫
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৮। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... মাসরূক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ)- কে আল্লাহর বাণীঃ “এরপর তিনি তাঁর নিকটবর্তী হলেন, অতি নিকটবর্তী। ফলে তাদের মধ্যে দু’ ধনুকের ব্যবধান অথবা তার চেয়েও কম। (৫৩ঃ ৮, ৯)-এর মর্মার্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তিনি জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) ছিলেন। তিনি স্বভাবত মানুষের আকৃতিতে তাঁর কাছে আসতেন। কিন্তু এবার তিনি কাছে এসেছিলেন তাঁর মূল আকৃতি ধারণ করে। তখন তিনি আকাশের সম্পূর্ণ দিগন্ত ঢেকেছিলেন।
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3235 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ ابْنِ الأَشْوَعِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: فَأَيْنَ قَوْلُهُ {ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّى فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى} [النجم: 9] قَالَتْ: «ذَاكَ جِبْرِيلُ كَانَ يَأْتِيهِ فِي صُورَةِ [ص:116] الرَّجُلِ، وَإِنَّهُ أَتَاهُ هَذِهِ المَرَّةَ فِي صُورَتِهِ الَّتِي هِيَ صُورَتُهُ فَسَدَّ الأُفُقَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৩৬
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৯। মুসা (রাহঃ) .... সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, আজ রাতে আমি দেখেছি, দু’ব্যক্তি আমার কাছে এসেছে। তারা বলল, যে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করছিল সে হল, দোযখের দারোগা মালিক আর আমি হলাম জিবরাঈল এবং ইনি হলেন মীকাঈল।
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3236 - حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ، عَنْ سَمُرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَأَيْتُ اللَّيْلَةَ رَجُلَيْنِ أَتَيَانِي قَالاَ الَّذِي يُوقِدُ النَّارَ مَالِكٌ خَازِنُ النَّارِ، وَأَنَا جِبْرِيلُ وَهَذَا مِيكَائِيلُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০১০
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৩৭
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০১০। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি যদি স্বীয় স্ত্রীকে নিজ বিছানায় আসতে ডাকেন আর সে অস্বীকার করে এবং সে ব্যক্তি স্ত্রীর উপর ক্ষোভ নিয়ে রাত যাপন করে, তবে ফিরিশতাগণ এমন স্ত্রীর উপর ভোর পর্যন্ত লানত দিতে থাকে। শুবা, আবু হামযা, ইবনে দাউদ ও আবু মুআযিয়া (রাহঃ) আ‘মাশ (রাহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় আবু আওয়ানা (রাহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3237 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا لَعَنَتْهَا المَلاَئِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ» تَابَعَهُ شُعْبَةُ، وَأَبُو حَمْزَةَ، وَابْنُ دَاوُدَ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ
হাদীস নং: ৩০১১
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৩৮
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০১১। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি। (হেরা গুহায় ওহী নাযিলের পর) আমার থেকে কিছু দিনের জন্য ওহী বন্ধ হয়ে গেল। (একদিন) আমি পথ চলতেছিলাম। এরই মধ্যে আকাশ থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পেলাম। তখন আমি আকাশের প্রতি দৃষ্টি উঠালাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম, হেরা পর্বতের গুহায় আমার কাছে যে ফিরিশতা এসেছিলেন, তিনি আকাশ ও যমীনের মাঝখানে একটি কুরসীর উপর বসে আছেন। আমি তাতে ভয় পেয়ে গেলাম, এমনকি মাটিতে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলাম। তারপর আমি পরিবার-পরিজনের কাছে আসলাম এবং বললাম, আমাকে কম্বল দ্বারা আবৃত কর, আমাকে কম্বল দ্বারা আবৃত কর। তখন মহান আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ হে বস্ত্রাচ্ছাদিত। উঠ, সতর্কবাণী প্রচার কর .... অপবিত্রতা থেকে দুরে থাক। (৭৪ঃ ১-৫) আবু সালামা (রাযিঃ) বলেন, অত্র আয়াতেالرِّجْزُ দ্বারা প্রতিমা বুঝানো হয়েছে।
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3238 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " ثُمَّ فَتَرَ عَنِّي الوَحْيُ فَتْرَةً، فَبَيْنَا أَنَا أَمْشِي، سَمِعْتُ صَوْتًا مِنَ السَّمَاءِ، فَرَفَعْتُ بَصَرِي قِبَلَ السَّمَاءِ، فَإِذَا المَلَكُ الَّذِي جَاءَنِي بِحِرَاءٍ، قَاعِدٌ عَلَى كُرْسِيٍّ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ، فَجُئِثْتُ مِنْهُ، حَتَّى هَوَيْتُ إِلَى الأَرْضِ، فَجِئْتُ أَهْلِي فَقُلْتُ: زَمِّلُونِي زَمِّلُونِي، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى {يَا أَيُّهَا المُدَّثِّرُ قُمْ فَأَنْذِرْ} [المدثر: 2] إِلَى قَوْلِهِ {وَالرُّجْزَ} [المدثر: 5] فَاهْجُرْ "، قَالَ أَبُو سَلَمَةَ: وَالرِّجْزُ: الأَوْثَانُ
হাদীস নং: ৩০১২
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৩৯
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০১২। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার ও খালীফা (রাহঃ) .... নবী (ﷺ)- এর চাচাতো ভাই ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, মিরাজের রাত্রিতে আমি মুসা (আলাইহিস সালাম)- কে দেখেছি। তিনি গোধুম বর্ণের পুরুষ ছিলেন; দেহের গঠন ছিল লম্বা। মাথার চুল ছিল কুঞ্চিত। যেন তিনি শানুআ গোত্রের একজন লোক। আমি ঈসা (আলাইহিস সালাম)- কে দেখতে পাই। তিনি ছিলেন মধ্যম গঠনের লোক। তাঁর দেহবর্ণ ছিল সাদা লালে মিশ্রিত। তিনি ছিলেন মধ্যম অবয়ব বিশিষ্ট। মাথার চুল ছিল অকুঞ্চিত। জাহান্নামের খাজাঞ্চি মালিক এবং দাজ্জালকেও আমি দেখেছি। (সে রাতে) আল্লাহ তাআলা নবী (ﷺ)- কে বিশেষ করে যে সকল নিদর্শনাবলী দেখিয়েছেন তন্মধ্যে এগুলোও ছিল। সুতরাং তাঁর সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে তুমি সন্দেহ পোষণ করবে না। আনাস এবং আবু বাকরা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন, ফিরিশতাগণ মদীনাকে দাজ্জাল থেকে পাহারা দিয়ে রাখবেন।
كتاب بدء الخلق
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
3239 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، ح وقَالَ لِي خَلِيفَةُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي العَالِيَةِ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَمِّ نَبِيِّكُمْ يَعْنِي ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " رَأَيْتُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي مُوسَى رَجُلًا آدَمَ طُوَالًا جَعْدًا، كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ، وَرَأَيْتُ عِيسَى رَجُلًا مَرْبُوعًا، مَرْبُوعَ الخَلْقِ إِلَى الحُمْرَةِ وَالبَيَاضِ، سَبِطَ الرَّأْسِ، وَرَأَيْتُ مَالِكًا خَازِنَ النَّارِ، وَالدَّجَّالَ فِي آيَاتٍ أَرَاهُنَّ اللَّهُ إِيَّاهُ: {فَلاَ تَكُنْ فِي مِرْيَةٍ مِنْ لِقَائِهِ} [السجدة: 23] ، قَالَ أَنَسٌ، وَأَبُو بَكْرَةَ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَحْرُسُ المَلاَئِكَةُ المَدِينَةَ مِنَ الدَّجَّالِ»
তাহকীক: