আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৭- সৃষ্টি জগতের সূচনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

হাদীস নং: ৩০৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৫৮
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা সৃষ্টবস্তু। غَسّاقًا প্রবাহিত পুঁজ যেমন কেউ বলে, তার চোখ প্রবাহিত হয়েছে ও ঘা প্রবাহিত হচ্ছে। غَسّاقً আর غسيق একই অর্থ। غِسْلِينَ যে কোন বস্তুকে ধৌত করার পর তা থেকে যা কিছু বের হয়, তাকে غِسْلِينَ বলা হয়, এটা غَسْلٍ শব্দ থেকে فِعْلِينَ এর ওজনে হয়ে থাকে। ইকরিমা (রাহঃ) বলেছেন, حَصَبُ جَهَنَّمَ এর অর্থ জাহান্নামের জ্বালানী। এটা হাবশীদের ভাষা। আর অন্যরা বলেছেন, حَاصِبًا অর্থ দমকা হাওয়া। আর الْحَاصِبُ অর্থ বায়ু যা ছুড়ে ফেলে। এ থেকে হয়েছে حَصَبُ جَهَنَّمَ যার অর্থ হচ্ছে যা কিছু জাহান্নামে ছুড়ে ফেলা হয় আর এগুলোই এর জ্বালানী। আর الْحَصَبُ শব্দটি حَصْبَاءِ শব্দ হতে উৎপত্তি। যার অর্থ কংকরসমূহ। صَدِيدٌ পুঁজ ও রক্ত। خَبَتْ- নিভে গেছে। تُورُونَ তোমরা আগুন বের করছ। أَوْرَيْتُ অর্থ আমি আগুন জালিয়েছি। لِلْمُقْوِينَ মুসাফিরগণের উপকারার্থে। আর الْقِيُّ তরুলতা বিহীন মাঠ। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, صِرَاطُ الْجَحِيمِ অর্থ জাহান্নামের দিক ও তার মধ্যস্থল। لَشَوْبًا তাদের খাদ্য অতি গরম পানির সাথে মিশানো হবে। زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ কঠোর চিৎকার ও আর্তনাদ। وِرْدًا পিপাসার্ত। غَيًّا ক্ষতিগ্রস্ত। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেছেন, يُسْجَرُونَ তাদের দ্বারা আগুন জালানো হবে। আর نُحَاسٌ অর্থ শীশা যা গলিয়ে তাদের মাথায় ঢেলে দেওয়া হবে। বলা হয়েছে, ذُوقُوا এর অর্থ স্বাদ গ্রহণ কর এবং অভিজ্ঞতা হাসিল কর। এটা কিন্তু মুখের দ্বারা স্বাদ গ্রহণ করা নয়। مَارِجٌ নির্ভেজাল অগ্নি। مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ আমীর তার প্রজাকে ছেড়ে দিয়েছে, কথাটি এ সময় বলা হয় যখন সে তাদেরকে ছেড়ে দেয় আর তারা একে অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে থাকে। مَرِيجٍ মিশ্রিত। مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ যখন মানুষ কোন বিষয় তালগোল পাকিয়ে যায়। আর مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ অর্থ তিনি দু’টি নদী প্রবাহিত করেছেন। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এ কথাটি সে সময় বলা হয়, যখন তুমি তোমার চতুষ্পদ জন্তুকে ছেড়ে দাও।
৩০৩০। আবুল ওয়ালীদ (রাহঃ) .... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, নবী (ﷺ) এক সফরে ছিলেন, তখন (যোহরের নামাযের ওয়াক্ত হল) তিনি বললেন, ‘ঠাণ্ডা হতে দাও।’ পুনরায় বললেন, ‘টিলাগুলোর ছায়া নীচে নেমে আসা পর্যন্ত ঠাণ্ডা হতে দাও।’ আবার বললেন, ‘(যোহরের) নামায ঠাণ্ডা হলে পরে আদায় করবে। কেননা, গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে হয়ে থাকে।’
كتاب بدء الخلق
باب صِفَةِ النَّارِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ {غَسَاقًا} يُقَالُ غَسَقَتْ عَيْنُهُ وَيَغْسِقُ الْجُرْحُ، وَكَأَنَّ الْغَسَاقَ وَالْغَسْقَ وَاحِدٌ. {غِسْلِينَ} كُلُّ شَيْءٍ غَسَلْتَهُ فَخَرَجَ مِنْهُ شَيْءٌ فَهُوَ غِسْلِينَ، فِعْلِينَ مِنَ الْغَسْلِ مِنَ الْجُرْحِ وَالدَّبَرِ. وَقَالَ عِكْرِمَةُ: {حَصَبُ جَهَنَّمَ} حَطَبُ بِالْحَبَشِيَّةِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: {حَاصِبًا} الرِّيحُ الْعَاصِفُ، وَالْحَاصِبُ مَا تَرْمِي بِهِ الرِّيحُ، وَمِنْهُ حَصَبُ جَهَنَّمَ، يُرْمَى بِهِ فِي جَهَنَّمَ هُمْ حَصَبُهَا، وَيُقَالُ حَصَبَ فِي الأَرْضِ ذَهَبَ، وَالْحَصَبُ مُشْتَقٌّ مِنْ حَصْبَاءِ الْحِجَارَةِ. {صَدِيدٌ} قَيْحٌ وَدَمٌ. {خَبَتْ} طَفِئَتْ. {تُورُونَ} تَسْتَخْرِجُونَ، أَوْرَيْتُ أَوْقَدْتُ. {لِلْمُقْوِينَ} لِلْمُسَافِرِينَ، وَالْقِيُّ الْقَفْرُ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ صِرَاطُ الْجَحِيمِ سَوَاءُ الْجَحِيمِ وَوَسَطُ الْجَحِيمِ {لَشَوْبًا مِنْ حَمِيمٍ} يُخْلَطُ طَعَامُهُمْ وَيُسَاطُ بِالْحَمِيمِ. {زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ} صَوْتٌ شَدِيدٌ، وَصَوْتٌ ضَعِيفٌ. {وِرْدًا} عِطَاشًا. {غَيًّا} خُسْرَانًا، وَقَالَ مُجَاهِدٌ: {يُسْجَرُونَ} تُوقَدُ بِهِمُ النَّارُ {وَنُحَاسٌ} الصُّفْرُ، يُصَبُّ عَلَى رُءُوسِهِمْ، يُقَالُ: {ذُوقُوا} بَاشِرُوا وَجَرِّبُوا، وَلَيْسَ هَذَا مِنْ ذَوْقِ الْفَمِ. مَارِجٌ خَالِصٌ مِنَ النَّارِ، مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ إِذَا خَلاَّهُمْ يَعْدُو بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ. {مَرِيجٍ} مُلْتَبِسٌ، مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ اخْتَلَطَ، {مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ} مَرَجْتَ دَابَّتَكَ تَرَكْتَهَا
3258 - حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُهَاجِرٍ أَبِي الحَسَنِ، قَالَ: سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ وَهْبٍ، يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ فَقَالَ: «أَبْرِدْ» ثُمَّ قَالَ: «أَبْرِدْ» حَتَّى فَاءَ الفَيْءُ، يَعْنِي لِلتُّلُولِ ثُمَّ قَالَ: «أَبْرِدُوا بِالصَّلاَةِ، فَإِنَّ شِدَّةَ الحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ»
হাদীস নং: ৩০৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৫৯
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা সৃষ্টবস্তু।
৩০৩১। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন যে, (যোহরের) নামায (রৌদ্রের উত্তাপ) ঠাণ্ডা হলে পরে আদায় করবে। কেননা গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে বের হয়ে থাকে।’
كتاب بدء الخلق
باب صِفَةِ النَّارِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ
3259 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «أَبْرِدُوا بِالصَّلاَةِ فَإِنَّ شِدَّةَ الحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ»
হাদীস নং: ৩০৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৬০
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা সৃষ্টবস্তু।
৩০৩২। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘জাহান্নাম তাঁর রবের নিকট অভিযোগ করে বলেছে, হে রব! আমার এক অংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলেছে। তখন তিনি তাঁকে দু’টি নিঃশ্বাস ছাড়ার অনুমতি প্রদান করেন। একটি নিঃশ্বাস শীতকালে আর একটি নিঃশ্বাস গ্রীষ্মকালে। অতএব এই কারণেই তোমরা গ্রীষ্মে তাপের আধিক্য অনুভব কর এবং শীতে ঠাণ্ডার আধিক্য অনুভব কর।
كتاب بدء الخلق
باب صِفَةِ النَّارِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ
3260 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " اشْتَكَتِ النَّارُ إِلَى رَبِّهَا فَقَالَتْ: رَبِّ أَكَلَ بَعْضِي بَعْضًا، فَأَذِنَ لَهَا بِنَفَسَيْنِ: نَفَسٍ فِي الشِّتَاءِ وَنَفَسٍ فِي الصَّيْفِ، فَأَشَدُّ مَا تَجِدُونَ مِنَ الحَرِّ، وَأَشَدُّ مَا تَجِدُونَ مِنَ الزَّمْهَرِيرِ "
হাদীস নং: ৩০৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৬১
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা সৃষ্টবস্তু।
৩০৩৩। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আবু জামরা যুবায়ী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মক্কায় ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)- এর কাছে বসতাম। একবার আমি জ্বরে আক্রন্ত হই। তখন তিনি আমাকে বললেন, ‘তুমি তোমার গায়ের জ্বর যমযমের পানি দ্বারা শীতল কর।’ কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, এটা দোযখের উত্তাপ থেকেই হয়ে থাকে। অতএব তোমরা তা পানি দ্বারা ঠাণ্ডা কর অথবা বলেছেন, যমযমের পানি দ্বারা ঠাণ্ডা কর। (এর কোনটা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন) এ বিষয়ে বর্ণনাকারী হাম্মাম সন্দেহ পোষণ করেছেন।
كتاب بدء الخلق
باب صِفَةِ النَّارِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ
3261 - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ هُوَ العَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ الضُّبَعِيِّ، قَالَ: كُنْتُ أُجَالِسُ [ص:121] ابْنَ عَبَّاسٍ بِمَكَّةَ فَأَخَذَتْنِي الحُمَّى، فَقَالَ أَبْرِدْهَا عَنْكَ بِمَاءِ زَمْزَمَ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ «الحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَأَبْرِدُوهَا بِالْمَاءِ أَوْ قَالَ بِمَاءِ زَمْزَمَ - شَكَّ هَمَّامٌ -»
হাদীস নং: ৩০৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৬২
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা সৃষ্টবস্তু।
৩০৩৪। আমর ইবনে আব্বাস (রাহঃ) .... রাফি ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি যে, ‘জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের প্রচন্ড উত্তাপ থেকে। অতএব তোমাদের গায়ের সে তাপ পানি দ্বারা ঠাণ্ডা কর।’
كتاب بدء الخلق
باب صِفَةِ النَّارِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ
3262 - حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَبَّاسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ، قَالَ أَخْبَرَنِي رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «الحُمَّى مِنْ فَوْرِ جَهَنَّمَ فَأَبْرِدُوهَا عَنْكُمْ بِالْمَاءِ»
হাদীস নং: ৩০৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৬৩
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা সৃষ্টবস্তু।
৩০৩৫। মালিক ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের উত্তাপ থেকে। সুতরাং তোমরা তা পানি দ্বারা ঠাণ্ডা কর।’
كتاب بدء الخلق
باب صِفَةِ النَّارِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ
3263 - حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَأَبْرِدُوهَا بِالْمَاءِ»
হাদীস নং: ৩০৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৬৪
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা সৃষ্টবস্তু।
৩০৩৬। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের উত্তাপ থেকে। অতএব তোমরা পানি দ্বারা তা ঠাণ্ডা কর।’
كتاب بدء الخلق
باب صِفَةِ النَّارِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ
3264 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَأَبْرِدُوهَا بِالْمَاءِ»
হাদীস নং: ৩০৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৬৫
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা সৃষ্টবস্তু।
৩০৩৭। ইসমাঈল (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের (ব্যবহৃত) আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ মাত্র। বলা হল, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! জাহান্নামীদের শাস্তির জন্য দুনিয়ার আগুনই তো যথেষ্ঠ ছিল।’ তিনি বললেন, ‘দুনিয়ার আগুনের উপর জাহান্নমের আগুনের তাপ আরো উনসত্তর গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেক অংশে তার সমপরিমাণ উত্তাপ রয়েছে।’
كتاب بدء الخلق
باب صِفَةِ النَّارِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ
3265 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «نَارُكُمْ جُزْءٌ مِنْ سَبْعِينَ جُزْءًا مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ» ، قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ كَانَتْ لَكَافِيَةً قَالَ: «فُضِّلَتْ عَلَيْهِنَّ بِتِسْعَةٍ وَسِتِّينَ جُزْءًا كُلُّهُنَّ مِثْلُ حَرِّهَا»
হাদীস নং: ৩০৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৬৬
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা সৃষ্টবস্তু।
৩০৩৮। কুতাইবা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... ইয়ালা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ)- কে মিম্বারে আরোহণ করে তিলাওয়াত করতে শুনেছেন, “আর তারা ডাকবে, হে মালিক।” (মালিক জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়কের নাম)।
كتاب بدء الخلق
باب صِفَةِ النَّارِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ
3266 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ عَطَاءً، يُخْبِرُ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ يَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ عَلَى المِنْبَرِ «وَنَادَوْا يَا مَالِكُ»
হাদীস নং: ৩০৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৬৭
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা সৃষ্টবস্তু।
৩০৩৯। আলী (রাহঃ) .... আবু ওয়াইল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উসামা (রাযিঃ)- কে বলা হল, কত ভাল হত! যদি আপনি ঐ ব্যক্তির (উসমান) (রাযিঃ)- এর কাছে যেতেন এবং তাঁর সঙ্গে (বিদ্রোহ দমনের বিষয়ে) আলোচনা করতেন। উত্তরে তিনি বললেন, আপনারা মনে করেছেন যে, আমি তার সঙ্গে (বিদ্রোহ দমনের ব্যাপারে) আপনাদেরকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলব। অথচ আমি তাঁর সঙ্গে (দাঙ্গা দমনের ব্যাপারে) গোপনে আলোচনা করছি, যেন আমি (বিদ্রোহের) একটি দ্বার খুলে না বসি। (এ বিদ্রোহের) আমি দ্বার উন্মুক্তকারীর প্রথম ব্যক্তি হতে চাই না। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে কিছু শুনেছি, যার পরে আমি কোন ব্যক্তিকে যিনি আমাদের আমীর নির্বাচিত হয়েছেন সে জন্য তিনি আমাদের সর্বোত্তম ব্যক্তি এ কথা বলতে পারি না।
লোকেরা তাঁকে বলল, আপনি তাঁকে কি বলতে শুনেছেন? উসামা (রাযিঃ) বললেন, আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনয়ন করা হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে ফেলা দেয়া হবে। তখন আগুনে পুঁড়ে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাবে। এ সময় সে এমন ভাবে ঘুরতে থাকবে যেমন গাধা তার চাকা নিয়ে তার চারপাশে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামবাসীরা তার কছে একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, হে অমুক ব্যক্তি! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না আমাদিগকে সৎকাজের আদেশ করতে আর অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতে? সে বলবে, আমি তোমাদেরকে সৎকাজে আদেশ করতাম বটে, কিন্তু আমি তা করতাম না, আর আমি তোমাদেরকে অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতাম, অথচ আমিই তা করতাম। এ হাদীসটি গুনদার (রাহঃ) শুবা (রাহঃ) সূত্রে আমাশ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
كتاب بدء الخلق
باب صِفَةِ النَّارِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ
3267 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ قِيلَ لِأُسَامَةَ لَوْ أَتَيْتَ فُلاَنًا فَكَلَّمْتَهُ، قَالَ: إِنَّكُمْ لَتُرَوْنَ أَنِّي لاَ أُكَلِّمُهُ إِلَّا أُسْمِعُكُمْ، إِنِّي أُكَلِّمُهُ فِي السِّرِّ دُونَ أَنْ أَفْتَحَ بَابًا لاَ أَكُونُ أَوَّلَ مَنْ فَتَحَهُ، وَلاَ أَقُولُ لِرَجُلٍ أَنْ كَانَ عَلَيَّ أَمِيرًا إِنَّهُ خَيْرُ النَّاسِ، بَعْدَ شَيْءٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالُوا: وَمَا سَمِعْتَهُ يَقُولُ: قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ: " يُجَاءُ بِالرَّجُلِ يَوْمَ القِيَامَةِ فَيُلْقَى فِي النَّارِ، فَتَنْدَلِقُ أَقْتَابُهُ فِي النَّارِ، فَيَدُورُ كَمَا يَدُورُ الحِمَارُ بِرَحَاهُ، فَيَجْتَمِعُ أَهْلُ النَّارِ عَلَيْهِ فَيَقُولُونَ: أَيْ فُلاَنُ مَا شَأْنُكَ؟ أَلَيْسَ كُنْتَ تَأْمُرُنَا بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَانَا عَنِ المُنْكَرِ؟ قَالَ: كُنْتُ آمُرُكُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَلاَ آتِيهِ، وَأَنْهَاكُمْ عَنِ المُنْكَرِ وَآتِيهِ " رَوَاهُ غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ