আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৮- নবীগণের আঃ আলোচনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
হাদীস নং: ৩১৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৩৬
- নবীগণের আঃ আলোচনা
২০৪৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর এ কিতাবে মারইয়ামের কথা। যখন সে তার পরিজন থেকে পৃথক হল। (১৯ঃ ১৬) شَرْقِيًّا শব্দটি شرْقَ শব্দ থেকে, যার অর্থ পূর্বদিকে। فَأَجَاءَهَا শব্দটি جِئْتُ হতে افعل এর রূপে হয়েছে। -أَجَأَهَا এর স্থলে أَلْجَأَهَا ও বলা হয়েছে যার অর্থ হবে তাকে অস্থির করে তুললো। تَسَّاقَطْ শব্দটি تَسْقُطْ এর অর্থ দিবে। قَصِيًّا শব্দটি قَاصِيًا এর অর্থে ব্যবহৃত। فَرِيًّا অর্থ বিরাট। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন نِسْيًا অর্থ আমি যেন কিছুই না থাকি। অন্যেরা বলেছেন, النِّسْيُ অর্থ তুচ্ছ, ঘৃণিত। আবু ওয়ায়েল (রাহঃ) বলেছেন, মারইয়ামের উক্তি إِنْ كُنْتَ تَقِيًّا এর অর্থ যদি তুমি জ্ঞানবান হও। ওকী (রাহঃ) .... বলেন, বারা’ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, سَرِيًّا শব্দটির অর্থ সুরইয়ানী ভাষায় ছোট নদী।
৩১৯৪। মুসলিম ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, তিন জন শিশু ব্যতীত আর কেউ দোলনায় থেকে কথা বলেনি। বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি যাকে ‘জুরাইজ’ বলে ডাকা হতো। একদা ইবাদতে রত থাকা অবস্থায় তার মা এসে তাকে ডাকল। সে ভাবল আমি কি তার ডাকে সাড়া দেব, না নামায আদায় করতে থাকব। (জবাব না পেয়ে) তার মা বলল, ইয়া আল্লাহ! ব্যভিচারিণীর চেহারা না দেখা পর্যন্ত তুমি তাকে মৃত্যু দিও না। জুরাইজ তার ইবাদত খানায় থাকত। একবার তার কাছে একটি মহিলা আসল। সে (অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য) তার সাথে কথা বলল। কিন্তু জুরাইজ তা অস্বীকার করল। তারপর মহিলাটি একজন রাখালের নিকট গেল এবং তাকে দিয়ে মনোবাসনা পূরণ করল। পরে সে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করল। তাকে জিজ্ঞাসা করা হল। এটি কার থেকে? স্ত্রী লোকটি বলল, জুরাইজ থেকে। লোকেরা তার কাছে আসল এবং তার ইবাদত খানা ভেঙ্গে দিল। আর তাকে নীচে নামিয়ে আনল ও তাকে গালি গালাজ করল।
তখন জুরাইজ উযু সেরে ইবাদত করল। এরপর নবজাত শিশুটির নিকট এসে তাকে জিজ্ঞাসা করল। হে শিশু! তোমার পিতা কে? সে জবাব দিল সেই রাখাল। তারা (বনী ইসরাঈলেরা) বলল, আমরা আপনার ইবাদতখানাটি সোনা দিয়ে তৈরী করে দিচ্ছি। সে বলল, না। তবে মাটি দিয়ে (করতে পার)।
বনী ইসরাঈলের একজন মহিলা তার শিশুকে দুধ পান করাচ্ছিল। তার কাছ দিয়ে একজন সুদর্শন পুরুষ আরোহী চলে গেল। মহিলাটি দুআ করল, ইয়া আল্লাহ! আমার ছেলেটিকে তার মত বানাও। শিশুটি তখনই তার মায়ের স্তন ছেড়ে দিল। এবং আরোহীটির দিকে মুখ ফিরালো। আর বলল, ইয়া আল্লাহ! আমাকে তার মত করনা। এরপর মুখ ফিরিয়ে দুধ পান করতে লাগল। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, নবী (ﷺ)- কে দেখতে পাচ্ছি তিনি আঙ্গুল চুষছেন। এরপর সেই মহিলাটির পাশ দিয়ে একটি দাসী চলে গেল। মহিলাটি বলল, ইয়া আল্লাহ! আমার শিশুকে এর মত করো না। শিশুটি তৎক্ষণাৎ তার মায়ের দুধ ছেড়ে দিল। আর বলল, ইয়া আল্লাহ! আমাকে তার মত কর। তার মা জিজ্ঞাসা করল, তা কেন? শিশুটি জবাব দিল, সেই আরোহীটি ছিল যালিমদের একজন। আর এ দাসীটিকে লোকে বলছে তুমি চুরি করেছ, যিনা করেছ। অথচ সে কিছুই করেনি।
তখন জুরাইজ উযু সেরে ইবাদত করল। এরপর নবজাত শিশুটির নিকট এসে তাকে জিজ্ঞাসা করল। হে শিশু! তোমার পিতা কে? সে জবাব দিল সেই রাখাল। তারা (বনী ইসরাঈলেরা) বলল, আমরা আপনার ইবাদতখানাটি সোনা দিয়ে তৈরী করে দিচ্ছি। সে বলল, না। তবে মাটি দিয়ে (করতে পার)।
বনী ইসরাঈলের একজন মহিলা তার শিশুকে দুধ পান করাচ্ছিল। তার কাছ দিয়ে একজন সুদর্শন পুরুষ আরোহী চলে গেল। মহিলাটি দুআ করল, ইয়া আল্লাহ! আমার ছেলেটিকে তার মত বানাও। শিশুটি তখনই তার মায়ের স্তন ছেড়ে দিল। এবং আরোহীটির দিকে মুখ ফিরালো। আর বলল, ইয়া আল্লাহ! আমাকে তার মত করনা। এরপর মুখ ফিরিয়ে দুধ পান করতে লাগল। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, নবী (ﷺ)- কে দেখতে পাচ্ছি তিনি আঙ্গুল চুষছেন। এরপর সেই মহিলাটির পাশ দিয়ে একটি দাসী চলে গেল। মহিলাটি বলল, ইয়া আল্লাহ! আমার শিশুকে এর মত করো না। শিশুটি তৎক্ষণাৎ তার মায়ের দুধ ছেড়ে দিল। আর বলল, ইয়া আল্লাহ! আমাকে তার মত কর। তার মা জিজ্ঞাসা করল, তা কেন? শিশুটি জবাব দিল, সেই আরোহীটি ছিল যালিমদের একজন। আর এ দাসীটিকে লোকে বলছে তুমি চুরি করেছ, যিনা করেছ। অথচ সে কিছুই করেনি।
كتاب الأنبياء
بَابُ: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا} نَبَذْنَاهُ أَلْقَيْنَاهُ. اعْتَزَلَتْ {شَرْقِيًّا} مِمَّا يَلِي الشَّرْقَ {فَأَجَاءَهَا} أَفْعَلْتُ مِنْ جِئْتُ، وَيُقَالُ أَلْجَأَهَا اضْطَرَّهَا. {تَسَّاقَطْ} تَسْقُطْ {قَصِيًّا} قَاصِيًا {فَرِيًّا} عَظِيمًا. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {نِسْيًا} لَمْ أَكُنْ شَيْئًا. وَقَالَ غَيْرُهُ النِّسْيُ الْحَقِيرُ. وَقَالَ أَبُو وَائِلٍ عَلِمَتْ مَرْيَمُ أَنَّ التَّقِيَّ ذُو نُهْيَةٍ حِينَ قَالَتْ: {إِنْ كُنْتَ تَقِيًّا}. قَالَ وَكِيعٌ عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ: {سَرِيًّا} نَهَرٌ صَغِيرٌ بِالسُّرْيَانِيَّةِ
3436 - حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " لَمْ يَتَكَلَّمْ فِي المَهْدِ إِلَّا ثَلاَثَةٌ: عِيسَى، وَكَانَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ جُرَيْجٌ، كَانَ يُصَلِّي، جَاءَتْهُ أُمُّهُ فَدَعَتْهُ، فَقَالَ: أُجِيبُهَا أَوْ أُصَلِّي، فَقَالَتْ: اللَّهُمَّ لاَ تُمِتْهُ حَتَّى تُرِيَهُ وُجُوهَ المُومِسَاتِ، وَكَانَ جُرَيْجٌ فِي صَوْمَعَتِهِ، فَتَعَرَّضَتْ لَهُ امْرَأَةٌ وَكَلَّمَتْهُ فَأَبَى، فَأَتَتْ رَاعِيًا فَأَمْكَنَتْهُ مِنْ نَفْسِهَا، فَوَلَدَتْ غُلاَمًا، فَقَالَتْ: مِنْ جُرَيْجٍ فَأَتَوْهُ فَكَسَرُوا صَوْمَعَتَهُ وَأَنْزَلُوهُ وَسَبُّوهُ، فَتَوَضَّأَ وَصَلَّى ثُمَّ أَتَى الغُلاَمَ، فَقَالَ: مَنْ أَبُوكَ يَا غُلاَمُ؟ قَالَ [ص:166]: الرَّاعِي، قَالُوا: نَبْنِي صَوْمَعَتَكَ مِنْ ذَهَبٍ؟ قَالَ: لاَ، إِلَّا مِنْ طِينٍ. وَكَانَتِ امْرَأَةٌ تُرْضِعُ ابْنًا لَهَا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَمَرَّ بِهَا رَجُلٌ رَاكِبٌ ذُو شَارَةٍ فَقَالَتْ: اللَّهُمَّ اجْعَلِ ابْنِي مِثْلَهُ، فَتَرَكَ ثَدْيَهَا وَأَقْبَلَ عَلَى الرَّاكِبِ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ لاَ تَجْعَلْنِي مِثْلَهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى ثَدْيِهَا يَمَصُّهُ، - قَالَ: أَبُو هُرَيْرَةَ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمَصُّ إِصْبَعَهُ - ثُمَّ مُرَّ بِأَمَةٍ، فَقَالَتْ: اللَّهُمَّ لاَ تَجْعَلِ ابْنِي مِثْلَ هَذِهِ، فَتَرَكَ ثَدْيَهَا، فَقَالَ: اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِثْلَهَا، فَقَالَتْ: لِمَ ذَاكَ؟ فَقَالَ: الرَّاكِبُ جَبَّارٌ مِنَ الجَبَابِرَةِ، وَهَذِهِ الأَمَةُ يَقُولُونَ: سَرَقْتِ، زَنَيْتِ، وَلَمْ تَفْعَلْ "
হাদীস নং: ৩১৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৩৭
- নবীগণের আঃ আলোচনা
২০৪৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর এ কিতাবে মারইয়ামের কথা। যখন সে তার পরিজন থেকে পৃথক হল।
৩১৯৫। ইবরাহীম ইবনে মুসা ও মাহমুদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, মিরাজ রজনীতে আমি মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর দেখা পেয়েছি। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর আকৃতি বর্ণনা করেছেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) একজন দীর্ঘদেহী, মাথায় কোকড়ানো চুলবিশিষ্ট, যেন শানুআ গোত্রের একজন লোক। নবী (ﷺ) বলেন, আমি ঈসা (আলাইহিস সালাম)- এর দেখা পেয়েছি। এরপর তিনি তাঁর আকৃতি বর্ণনা করে বলেছেন, তিনি হলেন মাঝারি গড়নের গৌর বর্ণবিশিষ্ট, যেন তিনি এই মাত্র হাম্মামখানা হতে বেরিয়ে এসেছেন।
আর আমি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কেও দেখেছি। তাঁর সন্তানদের মধ্যে আকৃতিতে আমিই তার বেশী সাদৃশ্যপূর্ণ। নবী (ﷺ) বলেন, তারপর আমার সামনে দু’টি পেয়ালা আনা হল। একটিতে দুধ, অপরটিতে শরাব। আমাকে বলা হল, আপনি যেটি ইচ্ছা গ্রহণ করতে পারেন। আমি দুধের পেয়ালাটি গ্রহণ করলাম এবং তা পান করলাম। তখন আমাকে বলা হল, আপনি ফিতরাত বা স্বভাবকেই গ্রহণ করে নিয়েছেন। দেখুন! আপনি যদি শরাব গ্রহণ করতেন, তাহলে আপনার উম্মত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত।
আর আমি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কেও দেখেছি। তাঁর সন্তানদের মধ্যে আকৃতিতে আমিই তার বেশী সাদৃশ্যপূর্ণ। নবী (ﷺ) বলেন, তারপর আমার সামনে দু’টি পেয়ালা আনা হল। একটিতে দুধ, অপরটিতে শরাব। আমাকে বলা হল, আপনি যেটি ইচ্ছা গ্রহণ করতে পারেন। আমি দুধের পেয়ালাটি গ্রহণ করলাম এবং তা পান করলাম। তখন আমাকে বলা হল, আপনি ফিতরাত বা স্বভাবকেই গ্রহণ করে নিয়েছেন। দেখুন! আপনি যদি শরাব গ্রহণ করতেন, তাহলে আপনার উম্মত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত।
كتاب الأنبياء
بَابُ: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا}
3437 - حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، وَحَدَّثَنِي مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ المُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ: " لَقِيتُ مُوسَى، قَالَ: فَنَعَتَهُ، فَإِذَا رَجُلٌ - حَسِبْتُهُ قَالَ - مُضْطَرِبٌ رَجِلُ الرَّأْسِ، كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ، قَالَ: وَلَقِيتُ عِيسَى فَنَعَتَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: - رَبْعَةٌ أَحْمَرُ، كَأَنَّمَا خَرَجَ مِنْ دِيمَاسٍ - يَعْنِي الحَمَّامَ -، وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ وَأَنَا أَشْبَهُ وَلَدِهِ بِهِ، قَالَ: وَأُتِيتُ بِإِنَاءَيْنِ، أَحَدُهُمَا لَبَنٌ وَالآخَرُ فِيهِ خَمْرٌ، فَقِيلَ لِي: خُذْ أَيَّهُمَا شِئْتَ، فَأَخَذْتُ اللَّبَنَ فَشَرِبْتُهُ، فَقِيلَ لِي: هُدِيتَ الفِطْرَةَ، أَوْ أَصَبْتَ الفِطْرَةَ، أَمَا إِنَّكَ لَوْ أَخَذْتَ الخَمْرَ غَوَتْ أُمَّتُكَ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৩৮
- নবীগণের আঃ আলোচনা
২০৪৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর এ কিতাবে মারইয়ামের কথা। যখন সে তার পরিজন থেকে পৃথক হল।
৩১৯৬। মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, (মিরাজের রাতে) আমি ঈসা (আলাইহিস সালাম), মুসা (আলাইহিস সালাম) ও ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে দেখেছি। ঈসা (আলাইহিস সালাম) গৌর বর্ণ,সোজাচুল এবং প্রশস্ত বক্ষবিশিষ্ট লোক ছিলেন, মুসা (আলাইহিস সালাম) বাদামী রং বিশিষ্ট ছিলেন, তাঁর দেহ ছিল সুঠাম এবং মাথার চুল ছিল সোজা যেন ‘যুত’ গোত্রের একজন লোক।
كتاب الأنبياء
بَابُ: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا}
3438 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ المُغِيرَةِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَأَيْتُ عِيسَى ومُوسَى وَإِبْرَاهِيمَ، فَأَمَّا عِيسَى فَأَحْمَرُ جَعْدٌ عَرِيضُ الصَّدْرِ، وَأَمَّا مُوسَى، فَآدَمُ جَسِيمٌ سَبْطٌ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ الزُّطِّ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৩৯ - ৩৪৪০
- নবীগণের আঃ আলোচনা
২০৪৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর এ কিতাবে মারইয়ামের কথা। যখন সে তার পরিজন থেকে পৃথক হল।
৩১৯৭। ইবরাহীম ইবনে মুনযির (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা নবী (ﷺ) লোকজনের সামনে মাসীহ দাজ্জালের কথা উল্লেখ করলেন। তিনি বললেন, আল্লাহ্ ট্যারা নন। সাবধান! মাসীহ দাজ্জালের ডান চোখ ট্যারা। তার চোখ যেন ফুলে যাওয়া আঙ্গুরের মত। আমি এক রাতে স্বপ্নে নিজেকে কাবার কাছে দেখলাম। হঠাৎ সেখানে বাদামী রং এর এক ব্যক্তিকে দেখলাম। তোমরা যেমন সুন্দর বাদামী রঙ্গের লোক দেখে থাক তার থেকেও বেশী সুন্দর ছিলেন তিনি। তাঁর মাথায় সোজা চুল, তার দু’কাঁধ পর্যন্ত ঝূলছিল। তার মাথা থেকে পানি ফোটা ফোটা করে পড়ছিল। তিনি দু’জন লোকের কাঁধে হাত রেখে কাবা শরীফ তাওয়াফ করছিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম ইনি কে? তারা জবাব দিলেন, ইনি হলেন, মাসীহ ইবনে মারইয়াম। তারপর তাঁর পিছনে আর একজন লোককে দেখলাম। তাঁর মাথার চুল ছিল বেশ কোঁকড়ানো, ডান চোখ ট্যারা, আকৃতিতে সে আমার দেখা মত ইবনে কাতানের অধিক সা’দৃশ্যপূর্ণ। সে একজন লোকের দু’কাঁধে ভর করে কাবার চারদিকে ঘুরছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম , এ লোকটি কে? তারা বললেন, এ হল মাসীহ দাজ্জাল।
كتاب الأنبياء
بَابُ: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا}
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، حَدَّثَنَا مُوسَى، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ ذَكَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا بَيْنَ ظَهْرَىِ النَّاسِ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ، فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ، أَلاَ إِنَّ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ أَعْوَرُ الْعَيْنِ الْيُمْنَى، كَأَنَّ عَيْنَهُ عِنَبَةٌ طَافِيَةٌ ". " وَأَرَانِي اللَّيْلَةَ عِنْدَ الْكَعْبَةِ فِي الْمَنَامِ، فَإِذَا رَجُلٌ آدَمُ كَأَحْسَنِ مَا يُرَى مِنْ أُدْمِ الرِّجَالِ، تَضْرِبُ لِمَّتُهُ بَيْنَ مَنْكِبَيْهِ، رَجِلُ الشَّعَرِ، يَقْطُرُ رَأْسُهُ مَاءً، وَاضِعًا يَدَيْهِ عَلَى مَنْكِبَىْ رَجُلَيْنِ وَهْوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ. فَقُلْتُ مَنْ هَذَا فَقَالُوا هَذَا الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ. ثُمَّ رَأَيْتُ رَجُلاً وَرَاءَهُ جَعْدًا قَطَطًا أَعْوَرَ عَيْنِ الْيُمْنَى كَأَشْبَهِ مَنْ رَأَيْتُ بِابْنِ قَطَنٍ، وَاضِعًا يَدَيْهِ عَلَى مَنْكِبَىْ رَجُلٍ، يَطُوفُ بِالْبَيْتِ، فَقُلْتُ مَنْ هَذَا قَالُوا الْمَسِيحُ الدَّجَّالُ ". تَابَعَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ.
হাদীস নং: ৩১৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৪১
- নবীগণের আঃ আলোচনা
২০৪৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর এ কিতাবে মারইয়ামের কথা। যখন সে তার পরিজন থেকে পৃথক হল।
৩১৯৮। আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ মাককী (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! নবী (ﷺ) এ কথা বলেননি যে, ঈসা (আলাইহিস সালাম) রক্তিম বর্ণের ছিলেন। বরং বলেছেন, একদা আমি স্বপ্নে কা‘বা ঘর তাওয়াফ করছিলাম। হঠাৎ সোজা চুল ও বাদামী রং বিশিষ্ট একজন লোক দেখলাম। তিনি দু’জন লোকের মাঝখানে চলছেন। তাঁর মাথার পানি ঝরে পড়ছে অথবা বলেছেন, তার মাথা থেকে পানি বেয়ে পড়ছে। আমি বললাম, ইনি কে? তারা বললেন, ইনি মারইয়ামের পুত্র। তখন আমি এদিক সেদিক তাকালাম। হঠাৎ দেখলাম, এক ব্যক্তি তার গায়ের রং লালবর্ণ, খুব মোটা, মাথার চুল কোকড়ানো এবং তার ডান চোখ ট্যারা। তার চোখ যেন ফুলা আঙ্গুরের ন্যায়। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ লোকটি কে? তারা বললেন, এ হল দাজ্জাল। মানুষের মধ্যে ইবনে কাতানের সাথে তার অধিক সা’দৃশ্য রয়েছ। যুহরী (রাহঃ) তার বর্ণনায় বলেন, ইবনে কাতান খুযাআ গোত্রের লোক, সে জাহিলী যুগেই মারা গেছে।
كتاب الأنبياء
بَابُ: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا}
3441 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ المَكِّيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ سَعْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: لاَ وَاللَّهِ مَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعِيسَى أَحْمَرُ، وَلَكِنْ قَالَ: " بَيْنَمَا أَنَا نَائِمٌ أَطُوفُ بِالكَعْبَةِ، فَإِذَا رَجُلٌ آدَمُ، سَبْطُ الشَّعَرِ، يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ، يَنْطِفُ رَأْسُهُ مَاءً، أَوْ يُهَرَاقُ رَأْسُهُ مَاءً، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالُوا: ابْنُ مَرْيَمَ، فَذَهَبْتُ أَلْتَفِتُ، فَإِذَا رَجُلٌ أَحْمَرُ جَسِيمٌ، جَعْدُ الرَّأْسِ، أَعْوَرُ عَيْنِهِ اليُمْنَى، كَأَنَّ عَيْنَهُ عِنَبَةٌ طَافِيَةٌ، قُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالُوا: هَذَا الدَّجَّالُ، وَأَقْرَبُ النَّاسِ بِهِ، شَبَهًا ابْنُ قَطَنٍ " قَالَ الزُّهْرِيُّ: رَجُلٌ مِنْ خُزَاعَةَ، هَلَكَ فِي الجَاهِلِيَّةِ
হাদীস নং: ৩১৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৪২
- নবীগণের আঃ আলোচনা
২০৪৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর এ কিতাবে মারইয়ামের কথা। যখন সে তার পরিজন থেকে পৃথক হল।
৩১৯৯। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি, আমি মারইয়ামের পুত্র ঈসার বেশী নিকটতম। আর নবীগণ পরস্পর আল্লাতী ভাই অর্থাৎ দ্বীনের মূল বিষয়ে এক এবং বিধানে বিভিন্ন। আমার ও তার (ঈসার) মাঝখানে কোন নবী নেই।
كتاب الأنبياء
بَابُ: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا}
3442 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «أَنَا أَوْلَى النَّاسِ بِابْنِ مَرْيَمَ، وَالأَنْبِيَاءُ أَوْلاَدُ عَلَّاتٍ، لَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ نَبِيٌّ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২০০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৪৩
- নবীগণের আঃ আলোচনা
২০৪৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর এ কিতাবে মারইয়ামের কথা। যখন সে তার পরিজন থেকে পৃথক হল।
৩২০০। মুহাম্মাদ ইবনে সিনান (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি দুনিয়া ও আখিরাতে ঈসা ইবনে মারইয়ামের সবচেয়ে নিকটতম। নবীগণ একে অন্যের আল্লাতী ভাই। তাঁদের মা ভিন্ন ভিন্ন, অর্থাৎ তাদের বিধান ভিন্ন। (কিন্তু তাদের মূল দ্বীন এক (তাওহীদ)। ইবরাহীম ইবনে তাহমান (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন।
كتاب الأنبياء
بَابُ: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا}
3443 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا هِلاَلُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَا أَوْلَى النَّاسِ بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَالْأَنْبِيَاءُ إِخْوَةٌ لِعَلَّاتٍ، أُمَّهَاتُهُمْ شَتَّى وَدِينُهُمْ وَاحِدٌ» وَقَالَ: إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২০১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৪৪
- নবীগণের আঃ আলোচনা
২০৪৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর এ কিতাবে মারইয়ামের কথা। যখন সে তার পরিজন থেকে পৃথক হল।
৩২০১। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, ঈসা (আলাইহিস সালাম) এক ব্যক্তিকে চুরি করতে দেখলেন, তখন তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি চুরি করেছ? সে বলল, কখনও নয়। সেই সত্তার কসম, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তখন ঈসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি, আর আমি আমার দু’নয়নকে বাহ্যত সমর্থন করলাম না।
كتاب الأنبياء
بَابُ: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا}
3444 - وحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " رَأَى عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ رَجُلًا يَسْرِقُ، فَقَالَ لَهُ: أَسَرَقْتَ؟ قَالَ: كَلَّا وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلَّا هُوَ، فَقَالَ عِيسَى: آمَنْتُ بِاللَّهِ، وَكَذَّبْتُ عَيْنِي "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২০২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৪৫
- নবীগণের আঃ আলোচনা
২০৪৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর এ কিতাবে মারইয়ামের কথা। যখন সে তার পরিজন থেকে পৃথক হল।
৩২০২। হুমাইদী (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি উমর (রাযিঃ)- কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন যে, আমি নবী (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি, তোমরা আমার প্রশংসা করতে গিয়ে অতিরঞ্জিত করো না, যেমন ঈসা ইবনে মারইয়াম (আলাইহিস সালাম) সম্পর্কে খ্রিস্টান অতিরঞ্জিত করেছিল। আমি তাঁর (আল্লাহর) বান্দা, বরং তোমরা আমার সম্পর্কে বলবে, আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল।
كتاب الأنبياء
بَابُ: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا}
3445 - حَدَّثَنَا الحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ، يَقُولُ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، سَمِعَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ عَلَى المِنْبَرِ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لاَ تُطْرُونِي، كَمَا أَطْرَتْ النَّصَارَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَإِنَّمَا أَنَا عَبْدُهُ، فَقُولُوا عَبْدُ اللَّهِ، وَرَسُولُهُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৪৬
- নবীগণের আঃ আলোচনা
২০৪৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর এ কিতাবে মারইয়ামের কথা। যখন সে তার পরিজন থেকে পৃথক হল।
৩২০৩। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) .... আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি কোন লোক তার দাসীকে আদব-কায়দা শিখায় এবং তা ভালভাবে শিখায়, এবং তাকে দ্বীন শিখায় আর তা উত্তমভাবে শিখায়, তারপর তাকে আযাদ করে দেয়, অতঃপর তাকে বিয়ে করে তবে সে দু’টি করে সাওয়াব পাবে। আর যদি কেউ ঈসা (আলাইহিস সালাম)- এর প্রতি ঈমান আনয়ন করে, তারপর আমার প্রতিও ঈমান আনে, তার জন্যও দু’টি করে সাওয়াব রয়েছে। আর গোলাম যদি তার প্রতিপালককে ভয় করে, এবং তার মনিবদেরকে মেনে চলে,তাহলে তার জন্যও দু’টি করে সাওয়াব রয়েছে।
كتاب الأنبياء
بَابُ: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا}
3446 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا صَالِحُ بْنُ حَيٍّ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ خُرَاسَانَ، قَالَ لِلشَّعْبِيِّ: فَقَالَ الشَّعْبِيُّ: أَخْبَرَنِي أَبُو بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ [ص:168] رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَدَّبَ الرَّجُلُ أَمَتَهُ فَأَحْسَنَ تَأْدِيبَهَا، وَعَلَّمَهَا فَأَحْسَنَ تَعْلِيمَهَا، ثُمَّ أَعْتَقَهَا فَتَزَوَّجَهَا كَانَ لَهُ أَجْرَانِ، وَإِذَا آمَنَ بِعِيسَى، ثُمَّ آمَنَ بِي فَلَهُ أَجْرَانِ، وَالعَبْدُ إِذَا اتَّقَى رَبَّهُ وَأَطَاعَ مَوَالِيَهُ، فَلَهُ أَجْرَانِ»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩২০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৪৭
- নবীগণের আঃ আলোচনা
২০৪৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর এ কিতাবে মারইয়ামের কথা। যখন সে তার পরিজন থেকে পৃথক হল।
৩২০৪। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা হাশরের মাঠে খালি-পা, খালি-গা এবং খাতনাবিহীন অবস্থায় সমবেত হবে। তারপর তিনি এ আয়াত পাঠ করলেনঃ যেভাবে আমি প্রথবার সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করবো। এটা আমার ওয়াদা। আমি তা অবশ্যই পুর্ণ করব। (২১ঃ ১০৪) এরপর (হাশরে) সর্বপ্রথম যাকে কাপড় পরানো হবে, তিনি হলেন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)। তারপর আমার সাহাবীদের কিছু সংখ্যককে ডান দিকে (বেহেশতে) এবং কিছু সংখ্যককে বাম দিকে (দোযখে) নিয়ে যাওয়া হবে। তখন আমি বলব, এরা তো আমার অনুসারী। তখন বলা হবে আপনি তাদের থেকে বিদায় নেয়ার পর তারা মুরতাদ হয়ে গেছে।
তখন আমি এমন কথা বলব, যেমন বলেছিল, পুণ্যবান বান্দা ঈসা ইবনে মারইয়াম (আলাইহিস সালাম)। তার উক্তিটি হল এ আয়াতঃ আর আমি যতদিন তাদের মধ্যে ছিলাম ততদিন আমি তাদের উপর সাক্ষী ছিলাম। এরপর আপনি যখন আমাকে উঠিয়ে নিলেন তখন আপনিই তাদের হেফাযতকারী ছিলেন। আর আপনি তো সবকিছুর উপরই সাক্ষী। যদি আপনি তাদেরকে আযাব দেন, তবে এরা তো আপনারই বান্দা। আর যদি আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন তবে আপনি নিশ্চয়ই পরাক্রমশীল ও প্রজ্ঞাময়। (৫ঃ ১১৭) কাবীসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এরা হল ঐ সব মুরতাদ যারা আবু বকর (রাযিঃ)- এর খিলাফতকালে মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল। তখন আবু বকর (রাযিঃ) তাদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন।
তখন আমি এমন কথা বলব, যেমন বলেছিল, পুণ্যবান বান্দা ঈসা ইবনে মারইয়াম (আলাইহিস সালাম)। তার উক্তিটি হল এ আয়াতঃ আর আমি যতদিন তাদের মধ্যে ছিলাম ততদিন আমি তাদের উপর সাক্ষী ছিলাম। এরপর আপনি যখন আমাকে উঠিয়ে নিলেন তখন আপনিই তাদের হেফাযতকারী ছিলেন। আর আপনি তো সবকিছুর উপরই সাক্ষী। যদি আপনি তাদেরকে আযাব দেন, তবে এরা তো আপনারই বান্দা। আর যদি আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন তবে আপনি নিশ্চয়ই পরাক্রমশীল ও প্রজ্ঞাময়। (৫ঃ ১১৭) কাবীসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এরা হল ঐ সব মুরতাদ যারা আবু বকর (রাযিঃ)- এর খিলাফতকালে মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল। তখন আবু বকর (রাযিঃ) তাদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন।
كتاب الأنبياء
بَابُ: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا}
3447 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ المُغِيرَةِ بْنِ النُّعْمَانِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " تُحْشَرُونَ حُفَاةً، عُرَاةً، غُرْلًا، ثُمَّ قَرَأَ: {كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ} [الأنبياء: 104] فَأَوَّلُ مَنْ يُكْسَى إِبْرَاهِيمُ، ثُمَّ يُؤْخَذُ بِرِجَالٍ مِنْ أَصْحَابِي ذَاتَ اليَمِينِ وَذَاتَ الشِّمَالِ، فَأَقُولُ: أَصْحَابِي، فَيُقَالُ: إِنَّهُمْ لَمْ يَزَالُوا مُرْتَدِّينَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ مُنْذُ فَارَقْتَهُمْ، فَأَقُولُ كَمَا قَالَ العَبْدُ الصَّالِحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ: {وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ، فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ، وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ، إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ، وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ العَزِيزُ الحَكِيمُ} [المائدة: 118] ، قَالَ: مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ الفَرَبْرِيُّ، ذُكِرَ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ قَبِيصَةَ، قَالَ: " هُمُ المُرْتَدُّونَ الَّذِينَ ارْتَدُّوا عَلَى عَهْدِ أَبِي بَكْرٍ فَقَاتَلَهُمْ أَبُو بَكرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ