আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৮ টি
হাদীস নং: ৩৬৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬১
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৭৫। ইবনে নুমাইর (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, বদর যুদ্ধের দিন আবু জাহল যখন মৃত্যুর মুখোমুখি তখন তিনি (আব্দুল্লাহ) তার কাছে গেলেন। তখন আবু জাহল বলল, (আজ) তোমরা তোমাদের এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছ এতে আমি কি আশ্চর্যবোধ করব।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3961 - حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، أَخْبَرَنَا قَيْسٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: " أَنَّهُ أَتَى أَبَا جَهْلٍ وَبِهِ رَمَقٌ يَوْمَ بَدْرٍ، فَقَالَ: أَبُو جَهْلٍ: هَلْ أَعْمَدُ مِنْ رَجُلٍ قَتَلْتُمُوهُ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬২
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৭৬। আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ও আমর ইবনে খালিদ (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, (বদরের দিন) নবী কারীম (ﷺ) বললেন, আবু জাহলের কি অবস্থা কেউ তা দেখে আসতে পার কি? তখন ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) তার খোঁজে বের হলেন এবং দেখতে পেলেন যে, আফরার দুই পুত্র তাকে এমনভাবে প্রহার করতেছে যে, মুমূর্ষু অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। রাবী বলেনঃ যাকে (অর্থাৎ আবু জাহল) তোমরা অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) তার গোত্রের লোকেরা হত্যা করল তার চেয়ে বেশী আর কি? আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) বলেন, তুমিই কি আবু জাহল।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3962 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، أَنَّ أَنَسًا، حَدَّثَهُمْ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ح وحَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَنْظُرُ مَا صَنَعَ أَبُو جَهْلٍ» . فَانْطَلَقَ ابْنُ مَسْعُودٍ فَوَجَدَهُ قَدْ ضَرَبَهُ ابْنَا عَفْرَاءَ حَتَّى بَرَدَ، قَالَ: أَأَنْتَ، أَبُو جَهْلٍ؟ قَالَ: فَأَخَذَ بِلِحْيَتِهِ، قَالَ: وَهَلْ فَوْقَ رَجُلٍ قَتَلْتُمُوهُ، أَوْ رَجُلٍ قَتَلَهُ قَوْمُهُ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ: «أَنْتَ أَبُو جَهْلٍ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬৩
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৭৭। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, (বদরের দিন) নবী কারীম (ﷺ) বললেন, আবু জাহল কি করল, কে তার খোঁজ নিয়ে আসতে পারে? (একথা শুনে) ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) চলে গেলেন এবং তিনি দেখতে পেলেন, আফরার দুই পুত্র তাকে এমনভাবে প্রহার করেছে যে, সে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে আছে। তখন তিনি তার দাঁড়ি ধরে বললেন, তুমিই কি আবু জাহল? উত্তরে সে বলল, এক ব্যক্তিকে তার গোত্রের লোকেরা হত্যা করল অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) যাকে তোমরা হত্যা করলে! এর চাইতে বেশী আর কি?
ইবনে মুসান্না (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ একটি রেওয়ায়েত বর্ণিত আছে।
ইবনে মুসান্না (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ একটি রেওয়ায়েত বর্ণিত আছে।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3963 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَدْرٍ: «مَنْ يَنْظُرُ مَا فَعَلَ أَبُو جَهْلٍ» . فَانْطَلَقَ ابْنُ مَسْعُودٍ فَوَجَدَهُ قَدْ ضَرَبَهُ ابْنَا عَفْرَاءَ حَتَّى بَرَدَ فَأَخَذَ بِلِحْيَتِهِ، فَقَالَ: أَنْتَ أَبَا جَهْلٍ؟ قَالَ: وَهَلْ فَوْقَ رَجُلٍ قَتَلَهُ قَوْمُهُ أَوْ قَالَ: قَتَلْتُمُوهُ، حَدَّثَنِي ابْنُ المُثَنَّى، أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، أَخْبَرَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ نَحْوَهُ،
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬৪
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৭৮। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... ইবরাহীমের দাদা থেকে বদর তথা আফরার দুই ছেলের সম্পর্কে এক রেওয়ায়ত বর্ণনা করেছেন।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3964 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: كَتَبْتُ عَنْ يُوسُفَ [ص:75] بْنِ المَاجِشُونِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ فِي بَدْرٍ يَعْنِي حَدِيثَ ابْنَيْ عَفْرَاءَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬৫
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৭৯। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ রুকাশী (রাহঃ) .... আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমিই সর্বপ্রথম ব্যক্তি যে কিয়ামতের দিন দয়াময়ের সামনে বিবাদের (মীমাংসার) জন্য হাঁটু গেড়ে বসব। কায়স ইবনে উবাদ (রাযিঃ) বলেন, এদের সম্পর্কেই কুরআন মজীদের هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ “এরা দুটি বিবাদমান পক্ষ তাঁরা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে” (হজ্জঃ ১৯) আয়াতটি নাযিল হয়েছে। তিনি বলেন, (মুসলিম পক্ষের) তারা হল হামযা, আলী ও উবাইদা অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) আবু উবাইদা ইবনুল হারিস (কাফির পক্ষের) শায়বা ইবনে রাবী‘আ, উতবা এবং ওয়ালীদ ইবনে উতবা।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3965 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: حَدَّثَنَا أَبُو مِجْلَزٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ: «أَنَا أَوَّلُ مَنْ يَجْثُو بَيْنَ يَدَيِ الرَّحْمَنِ لِلْخُصُومَةِ يَوْمَ القِيَامَةِ» وَقَالَ قَيْسُ بْنُ عُبَادٍ: وَفِيهِمْ أُنْزِلَتْ: {هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ} [الحج: 19] قَالَ: " هُمُ الَّذِينَ تَبَارَزُوا يَوْمَ بَدْرٍ: حَمْزَةُ، وَعَلِيٌّ، وَعُبَيْدَةُ، أَوْ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الحَارِثِ، وَشَيْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَعُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَالوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬৬
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৮০। কাবীসা (রাহঃ) .... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ “এরা দুটি বিবাদমান পক্ষ তারা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে” আয়াতটি কুরাইশ গোত্রীয় ছয়জন লোক (এদের তিনজন মুসলিম এবং তিনজন মুশরিক) সম্বন্ধে নাযিল হয়েছে। তারা হলেন, (মুসলিম পক্ষের) আলী , হামযা ও উবাইদা ইবনে হারিস অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) আবু উবাইদা ইবনুল হারিস (রাযিঃ) ও (কাফির পক্ষের) শায়বা ইবনে রাবী‘আ, উতবা ইবনে রাবী‘আ এবং ওয়ালীদ ইবনে উতবা।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3966 - حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: نَزَلَتْ: {هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا} [الحج: 19] فِي رَبِّهِمْ فِي سِتَّةٍ مِنْ قُرَيْشٍ: عَلِيٍّ، وَحَمْزَةَ، وَعُبَيْدَةَ بْنِ الحَارِثِ، وَشَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَعُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَالوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ "
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬৭
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৮১। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম সাওয়্যাফ .... কায়স ইবনে উবাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আলী (রাযিঃ) বলেছেন هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ “এরা দুটি বিবাদমান পক্ষ, তারা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে” আয়াতটি আমাদের সম্পর্কেই নাযিল হয়েছে।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3967 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الصَّوَّافُ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ، كَانَ يَنْزِلُ فِي بَنِي ضُبَيْعَةَ، وَهُوَ مَوْلًى لِبَنِي سَدُوسَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: فِينَا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ: {هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ} [الحج: 19]
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৮২। ইয়াহয়া ইবনে জাফর (রাহঃ) .... কায়স ইবনে উবাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, (তিনি বলেছেন) আমি আবু যর (রাযিঃ)- কে কসম করে বলতে শুনেছি যে, উপরোক্ত আয়াতগুলো উল্লেখিত বদরের দিন ঐ ছয় ব্যক্তি সম্পর্কে নাযিল হয়েছিল।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3968 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يُقْسِمُ: " لَنَزَلَتْ هَؤُلاَءِ الآيَاتُ، فِي هَؤُلاَءِ الرَّهْطِ السِّتَّةِ يَوْمَ بَدْرٍ نَحْوَهُ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬৯
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৮৩। ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম দাউরাকী (রাহঃ) .... কায়স (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমি আবু যর (রাযিঃ)- কে কসম করে বলতে শুনেছি যে, هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ “এরা দুটি বিবাদমান পক্ষ তারা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে” আয়াতটি বদরের দিন দ্বন্দ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ হামযা, আলী, উবাইদা ইবনুল হারিস, রাবী‘আর দুই পুত্র উতবা ও শায়বা এবং ওয়ালীদ ইবনে উতবার সম্বন্ধে অবতীর্ণ হয়েছে।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3969 - حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو هَاشِمٍ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ، يُقْسِمُ قَسَمًا: إِنَّ هَذِهِ الآيَةَ: {هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ} [الحج: 19] نَزَلَتْ فِي الَّذِينَ بَرَزُوا يَوْمَ بَدْرٍ: حَمْزَةَ، وَعَلِيٍّ، وَعُبَيْدَةَ بْنِ الحَارِثِ، وَعُتْبَةَ، وَشَيْبَةَ، ابْنَيْ رَبِيعَةَ، وَالوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ "
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৮৪। আহমদ ইবনে সা‘ঈদ আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... ইসহাক ইবনে মানসুর সালুলী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আমি শুনলাম, এক ব্যক্তি বারা (রাযিঃ)- কে জিজ্ঞাসা করল, আলী (রাযিঃ) কি বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল? তিনি বললেন, আলী তো নিঃসন্দেহে মুকাবিলায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন এবং দুইটি লৌহ পোশাক পরিধান করেছিলন।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3970 - حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ السَّلُولِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَأَلَ رَجُلٌ البَرَاءَ وَأَنَا أَسْمَعُ، قَالَ: أَشَهِدَ عَلِيٌّ بَدْرًا قَالَ: «بَارَزَ وَظَاهَرَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭১
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৮৫। আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমাইয়া ইবনে খালফের সাথে একটি চুক্তি করেছিলাম। যখন বদর দিবস উপস্থিত হল, এরপর তিনি উমাইয়া ইবনে খালফ ও তার পুত্রের নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করলেন। সেদিন বিলাল (রাযিঃ) বললেন, যদি উমাইয়া ইবনে খালফ প্রাণে বেঁচে যায় তাহলে আমি সফল হব না।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3971 - حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي يُوسُفُ بْنُ المَاجِشُونِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: كَاتَبْتُ أُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمَ بَدْرٍ، فَذَكَرَ قَتْلَهُ وَقَتْلَ ابْنِهِ، فَقَالَ بِلاَلٌ: «لاَ نَجَوْتُ إِنْ نَجَا أُمَيَّةُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭২ - ৩৯৭৩
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৮৬। আবদান ইবনে উসমান (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি সূরা নাজম তিলাওয়াত করলেন এবং সাথে সাথে সিজদা করলেন। এক বৃদ্ধ ব্যতীত নবীজীর (ﷺ)- এর নিকট যারা উপস্থিত ছিলেন তারা সকলেই সিজদা করলেন। সে বৃদ্ধ এক মুষ্টি মাটি উঠিয়ে কপালে লাগিয়ে বলল, আমার জন্য এতটুকু যথেষ্ট। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, কিছুদিন পর আমি তাকে কাফির অবস্থায় নিহত হতে দেখেছি।
ইবরাহীম ইবনে মুসা .... হিশামের পিতা (উরওয়া) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, (তার পিতা) যুবাইরের শরীরে তিনটি মারাত্নক আঘাতের চিহ্ন বিদ্যমান ছিল। এর একটি ছিল তার কাঁধে। উরওয়া বলেন, আমি আমার আঙ্গুলগুলো ঐ ক্ষতস্থানে ঢুকিয়ে দিতাম, বর্ণনাকারী উরওয়া বলেন, ঐ আঘাত তিনটির দু’টি ছিল বদর যুদ্ধের এবং একটি ছিল ইয়ারমুক যুদ্ধের। উরওয়া বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর শহীদ হলেন তখন আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান আমাকে বললেন, হে উরওয়া, যুবাইরের তরবারিখানা তুমি কি চিন? আমি বললাম হ্যাঁ চিনি। আব্দুল মালিক বললেন, এর কি কোন চিহ্ন (তোমার জানা) আছে?
আমি বললাম, এর ধার পাশে এক জায়গায় ভাঙ্গা আছে যা বদর যুদ্ধের দিন ভেঙ্গে ছিল তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ তুমি সত্যি বলেছ, (তারপর তিনি একটি কবিতাংশ আবৃত্তি করলেন) بِهِنَّ فُلُولٌ مِنْ قِرَاعِ الْكَتَائِبِ সে তরবারীর ভাঙ্গণ ছিল শত্রু সেনাদের আঘাত করার কারণে। এরপর আব্দুল মালিক তরবারী খানা উরওয়ার নিকট ফিরিয়ে দিলেন, হিশাম বলেন, আমরা নিজেরা এর মূল্য নির্ধারণ করেছিলাম তিন হাজার দিরহাম। এরপর আমাদের এক ব্যক্তি তা (উত্তরাধিকার সূত্রে) নিয়ে নিল। আমার মনে বাসনা জাগল যে,যদি আমি তরবারীটি নিয়ে নিতাম।
ইবরাহীম ইবনে মুসা .... হিশামের পিতা (উরওয়া) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, (তার পিতা) যুবাইরের শরীরে তিনটি মারাত্নক আঘাতের চিহ্ন বিদ্যমান ছিল। এর একটি ছিল তার কাঁধে। উরওয়া বলেন, আমি আমার আঙ্গুলগুলো ঐ ক্ষতস্থানে ঢুকিয়ে দিতাম, বর্ণনাকারী উরওয়া বলেন, ঐ আঘাত তিনটির দু’টি ছিল বদর যুদ্ধের এবং একটি ছিল ইয়ারমুক যুদ্ধের। উরওয়া বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর শহীদ হলেন তখন আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান আমাকে বললেন, হে উরওয়া, যুবাইরের তরবারিখানা তুমি কি চিন? আমি বললাম হ্যাঁ চিনি। আব্দুল মালিক বললেন, এর কি কোন চিহ্ন (তোমার জানা) আছে?
আমি বললাম, এর ধার পাশে এক জায়গায় ভাঙ্গা আছে যা বদর যুদ্ধের দিন ভেঙ্গে ছিল তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ তুমি সত্যি বলেছ, (তারপর তিনি একটি কবিতাংশ আবৃত্তি করলেন) بِهِنَّ فُلُولٌ مِنْ قِرَاعِ الْكَتَائِبِ সে তরবারীর ভাঙ্গণ ছিল শত্রু সেনাদের আঘাত করার কারণে। এরপর আব্দুল মালিক তরবারী খানা উরওয়ার নিকট ফিরিয়ে দিলেন, হিশাম বলেন, আমরা নিজেরা এর মূল্য নির্ধারণ করেছিলাম তিন হাজার দিরহাম। এরপর আমাদের এক ব্যক্তি তা (উত্তরাধিকার সূত্রে) নিয়ে নিল। আমার মনে বাসনা জাগল যে,যদি আমি তরবারীটি নিয়ে নিতাম।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَرَأَ (وَالنَّجْمِ) فَسَجَدَ بِهَا، وَسَجَدَ مَنْ مَعَهُ، غَيْرَ أَنَّ شَيْخًا أَخَذَ كَفًّا مِنْ تُرَابٍ فَرَفَعَهُ إِلَى جَبْهَتِهِ فَقَالَ يَكْفِينِي هَذَا. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ بَعْدُ قُتِلَ كَافِرًا.
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ كَانَ فِي الزُّبَيْرِ ثَلاَثُ ضَرَبَاتٍ بِالسَّيْفِ، إِحْدَاهُنَّ فِي عَاتِقِهِ، قَالَ إِنْ كُنْتُ لأُدْخِلُ أَصَابِعِي فِيهَا. قَالَ ضُرِبَ ثِنْتَيْنِ يَوْمَ بَدْرٍ، وَوَاحِدَةً يَوْمَ الْيَرْمُوكِ. قَالَ عُرْوَةُ وَقَالَ لِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ حِينَ قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ يَا عُرْوَةُ، هَلْ تَعْرِفُ سَيْفَ الزُّبَيْرِ قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ فَمَا فِيهِ قُلْتُ فِيهِ فَلَّةٌ فُلَّهَا يَوْمَ بَدْرٍ. قَالَ صَدَقْتَ. بِهِنَّ فُلُولٌ مِنْ قِرَاعِ الْكَتَائِبِ ثُمَّ رَدَّهُ عَلَى عُرْوَةَ. قَالَ هِشَامٌ فَأَقَمْنَاهُ بَيْنَنَا ثَلاَثَةَ آلاَفٍ، وَأَخَذَهُ بَعْضُنَا، وَلَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ أَخَذْتُهُ.
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ كَانَ فِي الزُّبَيْرِ ثَلاَثُ ضَرَبَاتٍ بِالسَّيْفِ، إِحْدَاهُنَّ فِي عَاتِقِهِ، قَالَ إِنْ كُنْتُ لأُدْخِلُ أَصَابِعِي فِيهَا. قَالَ ضُرِبَ ثِنْتَيْنِ يَوْمَ بَدْرٍ، وَوَاحِدَةً يَوْمَ الْيَرْمُوكِ. قَالَ عُرْوَةُ وَقَالَ لِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ حِينَ قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ يَا عُرْوَةُ، هَلْ تَعْرِفُ سَيْفَ الزُّبَيْرِ قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ فَمَا فِيهِ قُلْتُ فِيهِ فَلَّةٌ فُلَّهَا يَوْمَ بَدْرٍ. قَالَ صَدَقْتَ. بِهِنَّ فُلُولٌ مِنْ قِرَاعِ الْكَتَائِبِ ثُمَّ رَدَّهُ عَلَى عُرْوَةَ. قَالَ هِشَامٌ فَأَقَمْنَاهُ بَيْنَنَا ثَلاَثَةَ آلاَفٍ، وَأَخَذَهُ بَعْضُنَا، وَلَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ أَخَذْتُهُ.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭৪
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৮৭। ফারওয়া (রাহঃ) .... হিশামের পিতা (উরওয়া) (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, যুবাইর (রাযিঃ)- এর তরবারী রূপার কারুকার্য খচিত ছিল। হিশাম (রাহঃ) বলেন, উরওয়া (রাহঃ)-এর তরবারীটিও রূপার কারুকার্য খচিত ছিল।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3974 - حَدَّثَنَا فَرْوَةُ، حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «كَانَ سَيْفُ الزُّبَيْرِ بْنِ العَوَّامِ مُحَلًّى بِفِضَّةٍ» قَالَ هِشَامٌ: وَكَانَ سَيْفُ عُرْوَةَ مُحَلًّى بِفِضَّةٍ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭৫
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৮৮। আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইয়ারমুকের (যুদ্ধের) দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহাবাগণ যুবাইর (রাযিঃ)- কে বলেন যে, (মুশরিকদের প্রতি) আপনি কি আক্রমণ করবেন না তাহলে আমরাও আপনার সঙ্গে আক্রমণ করব। তখন তিনি বলেন, আমি যদি (তাদের প্রতি) আক্রমণ করি তখন তোমরা পিছে সরে পড়বে। তখন তারা বললেন, আমরা তা করব না। এরপর তিনি (যুবায়ের (রাযিঃ)) তাদের উপর আক্রমণ করলেন। এমনকি শত্রুদের কাতার ভেদ করে সামনে এগিয়ে গেলেন। কিন্তু (এ সময়) তার সঙ্গে আর কেউ ছিল না। মুখোমুখি হয়ে ফিরে আসার জন্য উদ্যত হলে শত্রুগণ তাঁর ঘোড়ার লাগাম ধরে ফেলে এবং তার কাঁধের উপর দু’টি আঘাত করে, যে আঘাত দু’টির মাঝেই বিদ্যমান রয়েছে বদর যুদ্ধের আঘাতের চিহ্নটি। উরওয়া (রাহঃ) বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম তখন ঐ ক্ষত চিহ্ন গুলোতে আমার সবগুলো আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়ে আমি খেলা করতাম। উরওয়া (রাহঃ) আরো বলেন, ঐদিন তার (যুবাইরের) সঙ্গে (তার পুত্র) আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ)ও শরীক ছিলেন, তখন তার বয়স ছিল দশ বছর। যুবাইর (রাযিঃ) তাকে ঘোড়ার পিঠে উঠিয়ে নিলেন এবং এক ব্যক্তিকে তার তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিলেন।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3975 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالُوا لِلزُّبَيْرِ يَوْمَ اليَرْمُوكِ: أَلَا تَشُدُّ فَنَشُدَّ مَعَكَ؟ فَقَالَ: " إِنِّي إِنْ شَدَدْتُ كَذَبْتُمْ، فَقَالُوا: لاَ نَفْعَلُ، فَحَمَلَ عَلَيْهِمْ حَتَّى شَقَّ صُفُوفَهُمْ، فَجَاوَزَهُمْ وَمَا مَعَهُ أَحَدٌ، ثُمَّ رَجَعَ مُقْبِلًا، فَأَخَذُوا بِلِجَامِهِ، فَضَرَبُوهُ ضَرْبَتَيْنِ عَلَى عَاتِقِهِ، بَيْنَهُمَا ضَرْبَةٌ ضُرِبَهَا يَوْمَ بَدْرٍ، قَالَ عُرْوَةُ: «كُنْتُ أُدْخِلُ أَصَابِعِي فِي تِلْكَ الضَّرَبَاتِ أَلْعَبُ وَأَنَا صَغِيرٌ» قَالَ عُرْوَةُ: «وَكَانَ مَعَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ يَوْمَئِذٍ وَهُوَ ابْنُ عَشْرِ سِنِينَ فَحَمَلَهُ عَلَى فَرَسٍ وَوَكَّلَ بِهِ رَجُلًا»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭৬
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৮৯। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আবু তালহা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, বদর যুদ্ধের দিন আল্লাহর নবী (ﷺ)- এর নির্দেশে চব্বিশজন কুরাইশ সর্দারের লাশ বদর প্রান্তরের একটি কদর্য আবর্জনাপূর্ণ কূপে নিক্ষেপ করা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করলে সে স্থানের উপকন্ঠে তিনদিন অবস্থান করতেন। সে মতে বদর প্রান্তরে অবস্থানের পর তৃতীয় দিন তিনি তাঁর সওয়ারী প্রস্তুত করার আদেশ দিলেন, সওয়ারী জ্বীন কষে বাঁধা হল। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পদব্রজে (কিছু দূর) এগিয়ে গেলেন। সাহাবাগণও তাঁর পেছনে পেছনে চলেছেন।
তারা বলেন, আমরা মনে করেছিলাম, কোন প্রয়োজনে (হয়ত) তিনি কোথাও যাচ্ছেন। অবশেষে তিনি ঐ কূপের কিনারে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং কূঁপে নিক্ষিপ্ত ঐ নিহত ব্যক্তিদের নাম ও তাদের পিতার নাম ধরে এভাবে ডাকতে শুরু করলেন, হে অমুকের পুত্র অমুক, হে অমুকের পুত্র অমুক! তোমরা কি এখন অনুভব করতে পারছ যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য তোমাদের জন্য পরম খুশীর বস্তু ছিল? আমাদের প্রতিপালক আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আমরা তো তা সত্য পেয়েছি, তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে যা বলেছিলেন তোমরাও তা সত্য পেয়েছ কি? বর্ণনাকারী বলেন, (এ কথা শুনে) উমর (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি আত্মাহীন দেহগুলোকে সম্বোধন করে কি কথা বলছেন?
নবী কারীম (ﷺ) বললেন, ঐ মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, আমি যা বলছি তা তাদের তুলনায় তোমরা অধিক শ্রবণ করছ না। কাতাদা বলেন, আল্লাহ তাঁর (রাসূল (ﷺ) -এর কথা শোনাতে) তাদের ধমকি, লাঞ্ছনা, দুঃখ-কষ্ট, আফসোস এবং লজ্জা দেওয়ার জন্য (সাময়িকভাবে) দেহে প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন।
তারা বলেন, আমরা মনে করেছিলাম, কোন প্রয়োজনে (হয়ত) তিনি কোথাও যাচ্ছেন। অবশেষে তিনি ঐ কূপের কিনারে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং কূঁপে নিক্ষিপ্ত ঐ নিহত ব্যক্তিদের নাম ও তাদের পিতার নাম ধরে এভাবে ডাকতে শুরু করলেন, হে অমুকের পুত্র অমুক, হে অমুকের পুত্র অমুক! তোমরা কি এখন অনুভব করতে পারছ যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য তোমাদের জন্য পরম খুশীর বস্তু ছিল? আমাদের প্রতিপালক আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আমরা তো তা সত্য পেয়েছি, তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে যা বলেছিলেন তোমরাও তা সত্য পেয়েছ কি? বর্ণনাকারী বলেন, (এ কথা শুনে) উমর (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি আত্মাহীন দেহগুলোকে সম্বোধন করে কি কথা বলছেন?
নবী কারীম (ﷺ) বললেন, ঐ মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, আমি যা বলছি তা তাদের তুলনায় তোমরা অধিক শ্রবণ করছ না। কাতাদা বলেন, আল্লাহ তাঁর (রাসূল (ﷺ) -এর কথা শোনাতে) তাদের ধমকি, লাঞ্ছনা, দুঃখ-কষ্ট, আফসোস এবং লজ্জা দেওয়ার জন্য (সাময়িকভাবে) দেহে প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3976 - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، سَمِعَ رَوْحَ بْنَ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: ذَكَرَ لَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ يَوْمَ بَدْرٍ بِأَرْبَعَةٍ وَعِشْرِينَ رَجُلًا مِنْ صَنَادِيدِ قُرَيْشٍ، فَقُذِفُوا فِي طَوِيٍّ مِنْ أَطْوَاءِ بَدْرٍ خَبِيثٍ مُخْبِثٍ، وَكَانَ إِذَا ظَهَرَ عَلَى قَوْمٍ أَقَامَ بِالعَرْصَةِ ثَلاَثَ لَيَالٍ، فَلَمَّا كَانَ بِبَدْرٍ اليَوْمَ الثَّالِثَ أَمَرَ بِرَاحِلَتِهِ فَشُدَّ عَلَيْهَا رَحْلُهَا، ثُمَّ مَشَى وَاتَّبَعَهُ أَصْحَابُهُ، وَقَالُوا: مَا نُرَى يَنْطَلِقُ إِلَّا لِبَعْضِ حَاجَتِهِ، حَتَّى قَامَ عَلَى شَفَةِ الرَّكِيِّ، فَجَعَلَ يُنَادِيهِمْ بِأَسْمَائِهِمْ وَأَسْمَاءِ آبَائِهِمْ: «يَا فُلاَنُ بْنَ فُلاَنٍ، وَيَا فُلاَنُ بْنَ فُلاَنٍ، أَيَسُرُّكُمْ أَنَّكُمْ أَطَعْتُمُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، فَإِنَّا قَدْ وَجَدْنَا مَا وَعَدَنَا رَبُّنَا حَقًّا، فَهَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَ رَبُّكُمْ حَقًّا؟» قَالَ: فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا تُكَلِّمُ مِنْ أَجْسَادٍ لاَ أَرْوَاحَ لَهَا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، مَا أَنْتُمْ بِأَسْمَعَ لِمَا أَقُولُ مِنْهُمْ» ، قَالَ قَتَادَةُ: أَحْيَاهُمُ اللَّهُ حَتَّى أَسْمَعَهُمْ، قَوْلَهُ تَوْبِيخًا وَتَصْغِيرًا وَنَقِيمَةً وَحَسْرَةً وَنَدَمًا
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭৭
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৯০। হুমায়দী (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি الَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَةَ اللَّهِ كُفْرًا (যারা আল্লাহর অনুগ্রহের বদলে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে) ইবরাহীম  ১৪ : ২৮ আয়াতাংশ সম্পর্কে বলেছেন, আল্লাহর কসম, এরা হল কাফির কুরাইশ সম্প্রদায়। আমর (রাহঃ) বলেন, এরা হচ্ছে কুরাইশ সম্প্রদায় এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) হচ্ছেন আল্লাহর নি‘আমত। এবং وَأَحَلُّوا قَوْمَهُمْ دَارَ الْبَوَارِ (নিজেদের সম্প্রদায়কে তারা নামিয়ে আনে ধ্বংসের ক্ষেত্রে) ইবরাহীম   ১৪ : ২৮ আয়াতাংশের মাঝে বর্ণিত الْبَوَارِ এর অর্থ হচ্ছে النَّار দোযখ। (অর্থাৎ বদর যুদ্ধের দিন তারা তাদের কওমকে দোযখে পৌছিয়ে দিয়েছে।)
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3977 - حَدَّثَنَا الحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا عَمْرٌو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: {الَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَةَ اللَّهِ كُفْرًا} [إبراهيم: 28] . قَالَ: «هُمْ وَاللَّهِ كُفَّارُ قُرَيْشٍ» قَالَ عَمْرٌو: هُمْ قُرَيْشٌ، وَمُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:77] نِعْمَةُ اللَّهِ {وَأَحَلُّوا قَوْمَهُمْ دَارَ البَوَارِ} [إبراهيم: 28] قَالَ: «النَّارَ، يَوْمَ بَدْرٍ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৯১। উবাইদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... হিশামের পিতা (উরওয়া) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবার পরিজনদের কান্নাকাটি করার কারণে কবরে শাস্তি দেওয়া হয়। ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত নবী কারীম (ﷺ)- এর কথাটি” আয়েশা (রাযিঃ)- এর নিকট উল্লেখ করা হলে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তো বলেছেন, মৃত ব্যক্তির অপরাধ ও গুনাহর কারণে তাকে (কবরে) শাস্তি দেয়া হয় অথচ তখনও তার পরিবারের লোকেরা তার জন্য ক্রন্দন করছে।
তিনি (রাযিঃ) বলেন, এ কথাটি ঐ কথাটিরই অনুরূপ যা রাসূল (ﷺ) ঐ কূপের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, যে কূপে বদর যুদ্ধে নিহত মুশরিকদের নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তিনি তাদেরকে যা বলার বললেন (এবং জানালেন) যে, আমি যা বলছি তারা তা সবই শুনতে পাচ্ছে। তিনি বললেন, এখন তারা খুব বুঝতে পারছে যে, আমি তাদেরকে যা বলছিলাম তা ছিল যথার্থ। এরপর আয়েশা (রাযিঃ) إِنَّكَ لاَ تُسْمِعُ الْمَوْتَى - وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَنْ فِي الْقُبُورِ (তুমি তো মৃতকে শোনাতে পারবে না) (রূমঃ ৫২) (এবং তুমি শোনাতে সমর্থ হবে না তাদেরকে যারা কবরে রয়েছে) (ফাতিরঃ ২২) আয়াতাংশ দু’টো তিলাওয়াত করলেন। উরওয়া বলেন, (এর অর্থ হল) জাহান্নামে যখন তারা তাদের আসন গ্রহণ করে নেবে।
তিনি (রাযিঃ) বলেন, এ কথাটি ঐ কথাটিরই অনুরূপ যা রাসূল (ﷺ) ঐ কূপের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, যে কূপে বদর যুদ্ধে নিহত মুশরিকদের নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তিনি তাদেরকে যা বলার বললেন (এবং জানালেন) যে, আমি যা বলছি তারা তা সবই শুনতে পাচ্ছে। তিনি বললেন, এখন তারা খুব বুঝতে পারছে যে, আমি তাদেরকে যা বলছিলাম তা ছিল যথার্থ। এরপর আয়েশা (রাযিঃ) إِنَّكَ لاَ تُسْمِعُ الْمَوْتَى - وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَنْ فِي الْقُبُورِ (তুমি তো মৃতকে শোনাতে পারবে না) (রূমঃ ৫২) (এবং তুমি শোনাতে সমর্থ হবে না তাদেরকে যারা কবরে রয়েছে) (ফাতিরঃ ২২) আয়াতাংশ দু’টো তিলাওয়াত করলেন। উরওয়া বলেন, (এর অর্থ হল) জাহান্নামে যখন তারা তাদের আসন গ্রহণ করে নেবে।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3978 - حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: ذُكِرَ عِنْدَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَفَعَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ المَيِّتَ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ» فَقَالَتْ: وَهَلَ؟ إِنَّمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُ لَيُعَذَّبُ بِخَطِيئَتِهِ وَذَنْبِهِ، وَإِنَّ أَهْلَهُ لَيَبْكُونَ عَلَيْهِ الآنَ» ، قَالَتْ: وَذَاكَ مِثْلُ قَوْلِهِ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ عَلَى القَلِيبِ وَفِيهِ قَتْلَى بَدْرٍ مِنَ المُشْرِكِينَ، فَقَالَ لَهُمْ مَا قَالَ: «إِنَّهُمْ لَيَسْمَعُونَ مَا أَقُولُ» إِنَّمَا قَالَ: «إِنَّهُمُ الآنَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّ مَا كُنْتُ أَقُولُ لَهُمْ حَقٌّ» ، ثُمَّ قَرَأَتْ {إِنَّكَ لاَ تُسْمِعُ المَوْتَى} [النمل: 80] ، {وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَنْ فِي القُبُورِ} [فاطر: 22] يَقُولُ حِينَ تَبَوَّءُوا مَقَاعِدَهُمْ مِنَ النَّارِ
হাদীস নং: ৩৬৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৮০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৯২। উসমান (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) বদরে অবস্থিত কূপের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, (হে, মুশরিকগণ) তোমাদের রব তোমাদের নিকট যা ওয়াদা করেছিলেন তা তোমরা ঠিক মত পেয়েছ কি? পরে তিনি বললেন, এ মুহূর্তে তাদেরকে আমি যা বলছি তারা তা সবই শুনতে পাচ্ছে। এ বিষয়টি আয়েশা (রাযিঃ)- এর সামনে উল্লেখ করা হলে তিনি বললেন, নবী কারীম (ﷺ) যা বলেছেন তার অর্থ হল, তারা এখন বুঝতে পারছে যে, আমি তাদেরকে যা বলতাম তাই হক ছিল। এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেন إِنَّكَ لاَ تُسْمِعُ الموتى  তুমি তো মৃতকে শোনাতে পারবেনা এভাবে আয়াতটি সম্পুর্ণ তিলাওয়াত করলেন।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
3980 - حَدَّثَنِي عُثْمَانُ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: وَقَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قَلِيبِ بَدْرٍ فَقَالَ: «هَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَ رَبُّكُمْ حَقًّا» ثُمَّ قَالَ: «إِنَّهُمُ الآنَ يَسْمَعُونَ مَا أَقُولُ» ، فَذُكِرَ لِعَائِشَةَ، فَقَالَتْ: إِنَّمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُمُ الآنَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّ الَّذِي كُنْتُ أَقُولُ لَهُمْ هُوَ الحَقُّ» ثُمَّ قَرَأَتْ {إِنَّكَ لاَ تُسْمِعُ المَوْتَى} [النمل: 80] حَتَّى قَرَأَتْ الآيَةَ
তাহকীক: