আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ৩৭০২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯২
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭০২। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... মু‘আয ইবনে রিফা‘আ ইবনে যুরাকী (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তার পিতা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের একজন। তিনি বলেন, একদা জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট এসে বললেন, আপনারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুসলমানদেরকে কিরূপ গণ্য করেন? তিনি বললেন, তাঁরা সর্বোত্তম মুসলমান অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) এরূপ কোন বাক্য তিনি বলেছিলেন। জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেন, ফিরিশতাগণের মধ্যে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীগণও তদ্রূপ মর্যাদার অধিকারী।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
3992 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، وَكَانَ أَبُوهُ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ قَالَ: جَاءَ جِبْرِيلُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " مَا تَعُدُّونَ أَهْلَ بَدْرٍ فِيكُمْ، قَالَ: مِنْ أَفْضَلِ المُسْلِمِينَ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا، قَالَ: وَكَذَلِكَ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا مِنَ المَلاَئِكَةِ "
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৭০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯৩
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭০৩। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) .... মু‘আয ইবনে রিফা‘আ ইবনে রাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রিফা‘আ (রাযিঃ) ছিলেন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন সাহাবী আর রাফি (রাযিঃ) ছিলেন বায়‘আতে আকাবায় অংশগ্রহণকারী একজন সাহাবী। রাফি (রাযিঃ)- তার পুত্র (রিফা‘আ)- কে বলতেন, বায়‘আতে আকাবায় শরীক থাকার চেয়ে বদর যুদ্ধে শরীক থাকা আমার কাছে বেশী আনন্দের বিষয় বলে মনে হয় না। কেননা জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এ বিষয়ে নবী কারীম (ﷺ)- কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
3993 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ يَحْيَى [ص:81]، عَنْ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، وَكَانَ رِفَاعَةُ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ، وَكَانَ رَافِعٌ مِنْ أَهْلِ العَقَبَةِ، فَكَانَ يَقُولُ لِابْنِهِ: مَا يَسُرُّنِي أَنِّي شَهِدْتُ بَدْرًا، بِالعَقَبَةِ قَالَ: سَأَلَ جِبْرِيلُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا "
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৭০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯৪
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭০৪। ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) .... মু‘আয ইবনে রিফা‘আ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, একজন ফিরিশতা নবী কারীম (ﷺ)- কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। (অন্য সনদে) ইয়াহয়া থেকে বর্ণিত যে, ইয়াযীদ ইবনুল হাদ (রাহঃ) তাকে জানিয়েছেন যে, যেদিন মু‘আয (রাযিঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছিলেন সেদিন আমি তার কাছেই ছিলাম। ইয়াযীদ বলেছেন, মু‘আয (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, প্রশ্নকারী ফিরিশতা হলেন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
3994 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى، سَمِعَ مُعَاذَ بْنَ رِفَاعَةَ، أَنَّ مَلَكًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ، وَعَنْ يَحْيَى، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ الهَادِ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ كَانَ مَعَهُ يَوْمَ حَدَّثَهُ مُعَاذٌ هَذَا الحَدِيثَ فَقَالَ يَزِيدُ: فَقَالَ مُعَاذٌ: «إِنَّ السَّائِلَ هُوَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৭০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯৫
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭০৫। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, বদর যুদ্ধের দিন নবী কারীম (ﷺ) বলেছেন, এই তো জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) রণ-সজ্জায় সজ্জিত হয়ে ঘোড়ার মাথা (ঘোড়ার লাগাম) হাত দিয়ে ধরে আছেন।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
3995 - حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَ بَدْرٍ: «هَذَا جِبْرِيلُ، آخِذٌ بِرَأْسِ فَرَسِهِ، عَلَيْهِ أَدَاةُ الحَرْبِ»
হাদীস নং: ৩৭০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯৬
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭০৬। খালীফা (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আবু যায়দ (রাযিঃ) ইন্‌তিকাল করেন। তিনি কোন সন্তান-সন্ততি রেখে যাননি। তিনি ছিলেন বদরী সাহাবী।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
3996 - حَدَّثَنِي خَلِيفَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «مَاتَ أَبُو زَيْدٍ، وَلَمْ يَتْرُكْ عَقِبًا، وَكَانَ بَدْرِيًّا»
হাদীস নং: ৩৭০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯৭
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭০৭। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... ইবনে খাব্বাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবু সা‘ঈদ ইবনে মালিক খুদরী (রাযিঃ) সফর থেকে বাড়ী ফেরার পর তার পরিবারের লোকেরা তাঁকে কুরবানীর গোশত থেকে কিছু গোশত খেতে দিলেন। তিনি বললেন, আমি না জিজ্ঞাসা করে এ গোশত খেতে পারি না। তারপর তিনি তার মায়ের গর্ভজাত ভ্রাতা কাতাদা ইবনে নু‘মানের কাছে গিয়ে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি ছিলেন, একজন বদরী সাহাবী। তখন তিনি তাকে, বললেন, তিনদিন পর কুরবানীর গোশত খাওয়ার ব্যাপারে তোমাদের প্রতি যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল পরবর্তীতে (অনুমতি সম্বলিত হাদীসের দ্বারা) তা সম্পূর্ণ রহিত করে দেয়া হয়েছে।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
3997 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ القَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ خَبَّابٍ، أَنَّ أَبَا سَعِيدِ بْنَ مَالِكٍ الخُدْرِيَّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ، فَقَدَّمَ إِلَيْهِ أَهْلُهُ لَحْمًا مِنْ لُحُومِ الأَضْحَى، فَقَالَ: مَا أَنَا بِآكِلِهِ حَتَّى أَسْأَلَ، فَانْطَلَقَ إِلَى أَخِيهِ لِأُمِّهِ، وَكَانَ بَدْرِيًّا، قَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ، فَسَأَلَهُ فَقَالَ: «إِنَّهُ حَدَثَ بَعْدَكَ أَمْرٌ، نَقْضٌ لِمَا كَانُوا يُنْهَوْنَ عَنْهُ مِنْ أَكْلِ لُحُومِ الأَضْحَى بَعْدَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৭০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭০৮। উবায়দ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যুবাইর (রাযিঃ) বলেছেন, বদর যুদ্ধের দিন আমি উবাইদা ইবনে সাঈদ ইবনে আস (রাযিঃ)- কে এমন অস্ত্রাবৃত অবস্থায় দেখলাম যে, তার দু’চোখ ব্যতীত আর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তাকে আবু যাতুল কারিশ বলে ডাকা হত। সে বলল, আমি আবু যাতুল কারিশ। (একথা শুনে) বর্শা দিয়ে আমি তার উপর হামলা করলাম এবং তার চোখ ফুঁড়ে দিলাম। সে তৎক্ষণাৎ মারা গেল। হিশাম বলেন, আমাকে জানানো হয়েছে যে, যুবাইর (রাযিঃ) বলেছেন, তার (উবাইদা ইবনে সাঈদ ইবনে আসের) লাশের উপর পা রেখে বেশ বল প্রয়োগ করে (তার চোখ থেকে) আমি বর্শাটি টেনে বের করলাম। এতে বর্শার উভয় প্রান্ত বাঁকা হয়ে যায়।
উরওয়া বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যুবাইরের নিকট বর্শাটি চাইলে তিনি তা তাঁকে দিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ইন্‌তিকালের পর তিনি তা নিয়ে যান। এবং পরে আবু বকর (রাযিঃ) তা চাইলে তিনি তাঁকে বর্শাখানা দিয়ে দেন। আবু বকরের ইন্‌তিকালের পর উমর (রাযিঃ) তা চাইলেন। তিনি তাঁকে বর্শাখানা দিয়ে দিলেন। কিন্তু উমরের ইন্‌তিকালের পর যুবাইর (রাযিঃ) পুনরায় বর্শাটি নিয়ে যান। এরপর উসমান (রাযিঃ) তাঁর নিকট বর্শাখানা চাইলে তিনি উসমানকে তা দিয়ে দেন। তবে উসমানের শাহাদতের পর তা আলীর লোকজনের হস্তগত হওয়ার পর আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) তা চেয়ে নিয়ে যান। এরপর থেকে শহীদ হওয়া পর্যন্ত বর্শাখানা তাঁর নিকটই থাকে।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
3998 - حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ الزُّبَيْرُ: لَقِيتُ يَوْمَ بَدْرٍ عُبَيْدَةَ بْنَ سَعِيدِ بْنِ العَاصِ، وَهُوَ مُدَجَّجٌ، لاَ يُرَى مِنْهُ إِلَّا عَيْنَاهُ، وَهُوَ يُكْنَى أَبُو ذَاتِ الكَرِشِ، فَقَالَ: أَنَا أَبُو ذَاتِ الكَرِشِ، فَحَمَلْتُ عَلَيْهِ بِالعَنَزَةِ فَطَعَنْتُهُ فِي عَيْنِهِ فَمَاتَ، قَالَ هِشَامٌ: - فَأُخْبِرْتُ: أَنَّ الزُّبَيْرَ قَالَ: - لَقَدْ وَضَعْتُ رِجْلِي عَلَيْهِ، ثُمَّ تَمَطَّأْتُ، فَكَانَ الجَهْدَ أَنْ نَزَعْتُهَا وَقَدِ انْثَنَى طَرَفَاهَا، قَالَ عُرْوَةُ: «فَسَأَلَهُ إِيَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَاهُ، فَلَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَهَا» ثُمَّ طَلَبَهَا أَبُو بَكْرٍ فَأَعْطَاهُ، فَلَمَّا قُبِضَ أَبُو بَكْرٍ، سَأَلَهَا إِيَّاهُ عُمَرُ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا، فَلَمَّا قُبِضَ عُمَرُ أَخَذَهَا، ثُمَّ طَلَبَهَا عُثْمَانُ مِنْهُ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا، فَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ وَقَعَتْ عِنْدَ آلِ عَلِيٍّ، فَطَلَبَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، فَكَانَتْ عِنْدَهُ حَتَّى قُتِلَ "
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৭০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯৯
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭০৯। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আবু ইদরীস আয়িযুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমার হাতে বায়‘আত গ্রহণ কর। তিনি বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
3999 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو إِدْرِيسَ عَائِذُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ، وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «بَايِعُونِي»
হাদীস নং: ৩৭১০
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭১০। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) .... নবী কারীম (ﷺ)- এর সহধর্মিনী আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবী আবু হুযাইফ (রাযিঃ)- এক আনসারী মহিলার আযাদকৃত গোলাম সালিমকে পালকপুত্র হিসাবে গ্রহণ করেন, যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যায়দকে পালকপুত্র হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি তাকে তার ভ্রাতুষ্পুত্রী হিনদা বিনতে ওয়ালীদ ইবনে উতবার সাথে বিয়ে করিয়ে দেন। জাহিলীয়্যাতের আমলে কেউ কোন ব্যক্তিকে পালকপুত্র হিসাবে গ্রহণ করলে লোকেরা তাকে তার (পালনকারীর) প্রতিই সম্বোধন করত, এবং সে তার পরিত্যক্ত সম্পদের উত্তরাধিকারী হত। অবশেষে আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করলেন, “তোমরা তাদেরকে ডাক তাদের পিতৃ পরিচয়ে।” এরপর (আবু হুযাইফার স্ত্রী সাহলা নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট এসে হাদীসে বর্ণিত প্রকৃত ঘটনা বর্ণনা করলেন।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
4000 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّ أَبَا حُذَيْفَةَ، وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ [ص:82] رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَبَنَّى سَالِمًا، وَأَنْكَحَهُ بِنْتَ أَخِيهِ هِنْدَ بِنْتَ الوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ، وَهُوَ مَوْلًى لِامْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ، كَمَا «تَبَنَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدًا» وَكَانَ مَنْ تَبَنَّى رَجُلًا فِي الجَاهِلِيَّةِ دَعَاهُ النَّاسُ إِلَيْهِ وَوَرِثَ مِنْ مِيرَاثِهِ، حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ} [الأحزاب: 5] . فَجَاءَتْ سَهْلَةُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " فَذَكَرَ الحَدِيثَ
হাদীস নং: ৩৭১১
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০১
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭১১। আলী (রাহঃ) .... রুবায়ই বিনত মু‘আওয়িয (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমার বাসর রাতের পরদিন সকাল বেলা নবী কারীম (ﷺ) আমার নিকট আসলেন এবং তুমি (খালিদ ইবনে যাকওয়ান) যেভাবে আমার কাছে বসে আছ ঠিক সেভাবে আমার বিছানায় এসে বসলেন। তখন কয়েকজন ছোট বালিকা দুফ বাজিয়ে বদর যুদ্ধে নিহত শহীদ পিতাদের প্রশংসা শ্লোক আবৃত্তি করছিল। পরিশেষে একটি বালিকা বলে উঠল, আমাদের মাঝে এমন একজন নবী আছেন, যিনি জানেন আগামীকাল কি হবে। তখন নবী কারীম (ﷺ) বললেন, এরূপ কথা বলবে না, বরং পূর্বে যা বলতে ছিলে তাই বল।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
4001 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ المُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ ذَكْوَانَ، عَنِ الرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذٍ، قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَدَاةَ بُنِيَ عَلَيَّ، فَجَلَسَ عَلَى فِرَاشِي كَمَجْلِسِكَ مِنِّي، وَجُوَيْرِيَاتٌ يَضْرِبْنَ بِالدُّفِّ، يَنْدُبْنَ مَنْ قُتِلَ مِنْ آبَائِهِنَّ يَوْمَ بَدْرٍ، حَتَّى قَالَتْ جَارِيَةٌ: وَفِينَا نَبِيٌّ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تَقُولِي هَكَذَا وَقُولِي مَا كُنْتِ تَقُولِينَ»
হাদীস নং: ৩৭১২
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০২
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭১২। ইবরাহীম ইবনে মুসা ও ইসমাঈল (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবী আবু তালহা (রাযিঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ঘরে কুকুর কিংবা ছবি থাকে সে ঘরে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না। ইবনে আব্বাসের মতে ছবি এর অর্থ হচ্ছে প্রাণীর ছবি।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
4002 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو طَلْحَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «لاَ تَدْخُلُ المَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ صُورَةٌ» يُرِيدُ التَّمَاثِيلَ الَّتِي فِيهَا الأَرْوَاحُ
হাদীস নং: ৩৭১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৩
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭১৩। আবদান ও আহমাদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) .... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের গনীমতের মাল থেকে আমার অংশে আমি একটি উট পেয়েছিলাম। ‘ফায়’ থেকে প্রাপ্ত এক পঞ্চমাংশ থেকেও সেদিন নবী কারীম (ﷺ) আমাকে একটি উট প্রদান করেন। আমি যখন নবী কারীম (ﷺ)- এর কন্যা ফাতিমার সাথে বাসর রাত যাপন করার ইচ্ছা করলাম এবং বনু কায়নুকা গোত্রের এক ইয়াহুদী স্বর্ণকারকে ঠিক করলাম যেন সে আমার সাথে যায়। (সেখান থেকে) আমরা ইযখির ঘাস সংগ্রহ করে নিয়ে আসব। পরে ঐ ঘাস স্বর্ণকারদের নিকট বিক্রি করে তা আমি আমার বিয়ের ওলীমায় খরচ করার ইচ্ছা করেছিলাম (একদা ঐ কার্যে যাত্রা করার জন্য) আমি আমার উট দু’টোর জন্য গদি, বস্তা এবং দড়ি ব্যবস্থা করেছিলাম আর উট দু’টো এক আনসারী ব্যক্তির ঘরের পার্শ্বে বসানো ছিল। আমার যা কিছু সংগ্রহ করার তা সংগ্রহ করে নিয়ে এসে দেখলাম উট দু’টির চুট কেঁটে ফেলা হয়েছে এবং সে দু’টির বক্ষ বিদীর্ণ করে কলিজা খুলে নেয়া হয়েছে।
এ দৃশ্য দেখে আমি আমার অশ্রু সংবরণ করতে পারলাম না। আমি (নিকটস্থ লোকদেরকে) জিজ্ঞাসা করলাম, এ কাজ কে করেছে? তারা বললেন, আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র হামযা এ কাজ করেছেন। এখন তিনি এ ঘরে আনসারদের কিছু মদ্যপায়ীদের সাথে মদপান করছেন। সেখানে একদল গায়িকা ও কপিতয় সঙ্গী সাথী। (মদ্যপানের সময়) গায়িকা ও তার সঙ্গীগণ গানের ভেতর বলেছিল, “হে হামযা! মোটা উষ্ট্রদ্বয়ের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়”। একথা শুনে হামযা দৌড়িয়ে গিয়ে তলোয়ার হাতে নিল এবং উষ্ট্রদ্বয়ের চুট দু’টো কেঁটে নিল আর তাদের পেট চিরে কলীজা বের করে নিয়ে আসল। আলী (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি পথ চলতে চলতে নবী কারীম (ﷺ) -এর নিকট চলে গেলাম। তখন তাঁর নিকট যায়দ ইবনে হারিস (রাযিঃ) উপস্থিত ছিলেন। নবী কারীম (ﷺ) (আমাকে দেখামাত্রই) আমি যে বিপদের সম্মুখীন হয়েছি তা বুঝে ফেললেন।
তিনি আমাকে বললেন, তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজকের মত বেদনাদায়ক ঘটনা আমি কখনো দেখিনি। হামযা আমার উট দু’টোর উপর খুব যুলুম করেছেন, তিনি উট দু’টোর চুট কেঁটে ফেলেছেন এবং বক্ষ বিদীর্ণ করেছেন। এখন তিনি একটি ঘরে একদল মদ্যপায়ীদের সাথে অবস্থান করছেন। তখন নবী কারীম (ﷺ) তাঁর চাঁদরখানা চেয়ে নিলেন এবং তা গায়ে দিয়ে হেঁটে রওয়ানা হলেন।
(আলী বলেন) এরপর আমি এবং যায়দ ইবনে হারিস (রাযিঃ) তাঁকে অনুসরণ করলাম। (হাঁটতে হাঁটতে) তিনি যে ঘরে হামযা অবস্থান করছিলেন সে ঘরের কাছে পৌঁছে তার নিকট অনুমতি চাইলেন। তাঁকে অনুমতি দেয়া হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হামযাকে তার কৃতকর্মের জন্য ভৎর্সনা করতে শুরু করলেন। হামযা তখন নেশাগ্রস্ত। চোখ দু’টো তার লাল। তিনি নবী কারীম (ﷺ)- এর প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন এবং দৃষ্টি উপর দিকে উঠিয়ে তিনি নবী কারীম (ﷺ)- এর হাটুর দিকে তাকালেন। এরপর দৃষ্টি আরো একটু উপরে দিকে উঠিয়ে তিনি তাঁর চেহারার প্রতি তাকালেন। এরপর হামযা বললেন, তোমরা তো আমার পিতার দাস। (এ কথা শুনে) নবী কারীম (ﷺ) বুঝলেন যে, তিনি এখন নেশাগ্রস্ত। তাই রাসূল (ﷺ) পেছনের দিকে হটে (সেখান থেকে) বেরিয়ে পড়লেন, আমরাও তাঁর সাথে সাথে বেড়িয়ে পড়লাম।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
4003 - حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، ح وحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ عَلَيْهِمُ السَّلاَمُ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ: كَانَتْ لِي شَارِفٌ مِنْ نَصِيبِي مِنَ المَغْنَمِ يَوْمَ بَدْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَانِي مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ مِنَ الخُمُسِ يَوْمَئِذٍ، فَلَمَّا أَرَدْتُ أَنْ أَبْتَنِيَ بِفَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ، بِنْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاعَدْتُ رَجُلًا صَوَّاغًا فِي بَنِي قَيْنُقَاعَ أَنْ يَرْتَحِلَ مَعِي، فَنَأْتِيَ بِإِذْخِرٍ، فَأَرَدْتُ أَنْ أَبِيعَهُ مِنَ الصَّوَّاغِينَ، فَنَسْتَعِينَ بِهِ فِي وَلِيمَةِ عُرْسِي، فَبَيْنَا أَنَا أَجْمَعُ لِشَارِفَيَّ مِنَ الأَقْتَابِ وَالغَرَائِرِ وَالحِبَالِ، وَشَارِفَايَ مُنَاخَانِ إِلَى جَنْبِ حُجْرَةِ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ، حَتَّى جَمَعْتُ مَا جَمَعْتُ، فَإِذَا أَنَا بِشَارِفَيَّ قَدْ أُجِبَّتْ أَسْنِمَتُهَا، وَبُقِرَتْ خَوَاصِرُهُمَا، وَأُخِذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا، فَلَمْ أَمْلِكْ عَيْنَيَّ حِينَ رَأَيْتُ المَنْظَرَ، قُلْتُ: مَنْ فَعَلَ هَذَا؟ قَالُوا فَعَلَهُ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ المُطَّلِبِ، وَهُوَ فِي هَذَا البَيْتِ، فِي شَرْبٍ مِنَ الأَنْصَارِ، عِنْدَهُ قَيْنَةٌ وَأَصْحَابُهُ، فَقَالَتْ فِي غِنَائِهَا:
[البحر الوافر]
[ص:83]
أَلاَ يَا حَمْزُ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ،
فَوَثَبَ حَمْزَةُ إِلَى السَّيْفِ، فَأَجَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا، وَأَخَذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا، قَالَ عَلِيٌّ: فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، وَعَرَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي لَقِيتُ، فَقَالَ: «مَا لَكَ» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا رَأَيْتُ كَاليَوْمِ، عَدَا حَمْزَةُ عَلَى نَاقَتَيَّ، فَأَجَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا، وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا، وَهَا هُوَ ذَا فِي بَيْتٍ مَعَهُ شَرْبٌ، فَدَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرِدَائِهِ فَارْتَدَى، ثُمَّ انْطَلَقَ يَمْشِي، وَاتَّبَعْتُهُ أَنَا وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، حَتَّى جَاءَ البَيْتَ الَّذِي فِيهِ حَمْزَةُ، فَاسْتَأْذَنَ عَلَيْهِ، فَأُذِنَ لَهُ، فَطَفِقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلُومُ حَمْزَةَ فِيمَا فَعَلَ، فَإِذَا حَمْزَةُ ثَمِلٌ، مُحْمَرَّةٌ عَيْنَاهُ، فَنَظَرَ حَمْزَةُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى رُكْبَتِهِ، ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى وَجْهِهِ، ثُمَّ قَالَ حَمْزَةُ: وَهَلْ أَنْتُمْ إِلَّا عَبِيدٌ لِأَبِي، فَعَرَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ ثَمِلٌ فَنَكَصَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عَقِبَيْهِ القَهْقَرَى فَخَرَجَ وَخَرَجْنَا مَعَهُ
হাদীস নং: ৩৭১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৪
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭১৪। মুহাম্মাদ ইবনে আব্বাদ (রাহঃ) .... ইবনে মাকিল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, (তিনি বলেছেন) আলী (রাযিঃ) সাহল ইবনে হুনাইফের (জানাজার নামায তাকবীর উচ্চারণ করলেন এবং বললেন, তিনি (সাহল ইবনে হুনাইফ) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
4004 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، قَالَ: أَنْفَذَهُ لَنَا ابْنُ الأَصْبَهَانِيِّ، سَمِعَهُ مِنْ ابْنِ مَعْقِلٍ، أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَبَّرَ عَلَى سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ فَقَالَ: «إِنَّهُ شَهِدَ بَدْرًا»
হাদীস নং: ৩৭১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৫
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭১৫। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, (উমর (রাযিঃ) তাঁকে বলেছেন) উমর ইবনে খাত্তাবের কন্যা হাফসার স্বামী খুনায়স ইবনে হুযাফা সাহামী (রাযিঃ) যিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহাবী ছিলেন এবং বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, মদীনায় ইন্‌তিকাল করলে হাফসা (রাযিঃ) বিধবা হয়ে পড়লেন। উমর (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি উসমান ইবনে আফফানের সাথে সাক্ষাত করলাম এবং তাঁর নিকট হাফসার কথা আলোচনা করে তাঁকে বললাম, আপনি চাইলে আমি আপনার সাথে উমরের মেয়ে হাফসাকে বিয়ে দিয়ে দেব। উসমান (রাযিঃ) বললেন, ব্যাপারটি আমি একটু চিন্তা করে দেখি। (উমর (রাযিঃ) বলেন, এ কথা শুনে) আমি কয়েকদিন অপেক্ষা করলাম। পরে উসমান (রাযিঃ) বললেন, আমার সুস্পষ্ট অভিমত এই যে, এই সময় আমি বিয়ে করব না। উমর (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি আবু বকরের সাথে সাক্ষাত করলাম এবং তাঁকে বললাম, আপনার ইচ্ছা করলে উমরের কন্যা হাফসাকে আমি আপনার নিকট বিয়ে দিয়ে দেব। (এ কথা শুনে) আবু বকর (রাযিঃ) চুপ করে রইলেন এবং আমাকে কোন জবাব দিলেন না।
এতে আমি উসমানের (অস্বীকৃতির) চেয়েও অধিক দুঃখ পেলাম। এরপর আমি কয়েকদিন চুপ করে রইলাম, এমতাবস্থায় হাফসার জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজেই প্রস্তাব দিলেন। আমি তাঁকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে বিয়ে দিলাম। এরপর আবু বকর (রাযিঃ) আমার সাথে সাক্ষাত করে বললেন, আমার সাথে হাফসার বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার পর আমি কোন উত্তর না দেওয়ার ফলে সম্ভবত আপনি মনকষ্ট পেয়েছেন। (উমর (রাযিঃ) বলেন) আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আপনার প্রস্তাবের জবাব দিতে একটি জিনিসই আমাকে বাঁধা দিয়েছে আর তা হল এই যে, আমি জানতাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজেই হাফসা (রাযিঃ) সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন, তাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর গোপনীয় বিষয়টি প্রকাশ করার আমার ইচ্ছা ছিল না। (এ কারণেই আমি আপনাকে কোন উত্তর দেই নি।) যদি তিনি (রাসূল (ﷺ)) তাঁকে গ্রহণ না করতেন, অবশ্যই আমি তাঁকে গ্রহণ করতাম।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
4005 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، يُحَدِّثُ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ الخَطَّابِ، حِينَ تَأَيَّمَتْ حَفْصَةُ بِنْتُ عُمَرَ مِنْ خُنَيْسِ بْنِ حُذَافَةَ السَّهْمِيِّ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا، تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ، قَالَ عُمَرُ: فَلَقِيتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، فَعَرَضْتُ عَلَيْهِ حَفْصَةَ، فَقُلْتُ: إِنْ شِئْتَ أَنْكَحْتُكَ حَفْصَةَ بِنْتَ عُمَرَ، قَالَ: سَأَنْظُرُ فِي أَمْرِي، فَلَبِثْتُ لَيَالِيَ، فَقَالَ: قَدْ بَدَا لِي أَنْ لاَ أَتَزَوَّجَ يَوْمِي هَذَا، قَالَ عُمَرُ: فَلَقِيتُ أَبَا بَكْرٍ، فَقُلْتُ: إِنْ شِئْتَ أَنْكَحْتُكَ حَفْصَةَ بِنْتَ عُمَرَ، فَصَمَتَ أَبُو بَكْرٍ فَلَمْ يَرْجِعْ إِلَيَّ شَيْئًا، فَكُنْتُ عَلَيْهِ أَوْجَدَ مِنِّي عَلَى عُثْمَانَ، فَلَبِثْتُ لَيَالِيَ ثُمَّ «خَطَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَنْكَحْتُهَا إِيَّاهُ» فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ: لَعَلَّكَ وَجَدْتَ عَلَيَّ حِينَ عَرَضْتَ عَلَيَّ حَفْصَةَ فَلَمْ أَرْجِعْ إِلَيْكَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: فَإِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَرْجِعَ إِلَيْكَ فِيمَا عَرَضْتَ، إِلَّا أَنِّي قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ ذَكَرَهَا، فَلَمْ أَكُنْ لِأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَوْ تَرَكَهَا لَقَبِلْتُهَا
হাদীস নং: ৩৭১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৬
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭১৬। মুসলিম (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) বদরী সাহাবী আবু মাসউদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, স্বীয় আহলের (পরিবার পরিজনের) জন্য ব্যয় করাও সাদ্‌কা।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
4006 - حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، سَمِعَ أَبَا مَسْعُودٍ البَدْرِيَّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «نَفَقَةُ الرَّجُلِ عَلَى أَهْلِهِ صَدَقَةٌ»
হাদীস নং: ৩৭১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৭
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭১৭। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) তাঁর খিলাফত কালের (একটি ঘটনা) বর্ণনা করেছেন যে, মুগীরা ইবনে শুবা (রাযিঃ) কুফার আমীর থাকা কালে তিনি (একদা) আসরের নামায আদায় করতে বিলম্ব করে ফেললে যায়দ ইবনে হাসানের দাদা বদরী সাহাবী আবু মাসউদ উতবা ইবনে আমর আনসারী (রাযিঃ) তাঁর নিকট গিয়ে বললেন, আপনিতো জানেন যে, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এসে নামায আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (তাঁর সাথে) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করলেন। জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনি এভাবেই নামায আদায় করানোর জন্য আদিষ্ট হয়েছেন। (উরওয়া বলেন) বশীর ইবনে আবু মাসউদ তার পিতার নিকট থেকে হাদীসটি এভাবেই বর্ণনা করতেন।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
4007 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، سَمِعْتُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، يُحَدِّثُ [ص:84] عُمَرَ بْنَ عَبْدِ العَزِيزِ فِي إِمَارَتِهِ: أَخَّرَ المُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ العَصْرَ، وَهُوَ أَمِيرُ الكُوفَةِ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو مَسْعُودٍ عُقْبَةُ بْنُ عَمْرٍو الأَنْصَارِيُّ، جَدُّ زَيْدِ بْنِ حَسَنٍ، شَهِدَ بَدْرًا، فَقَالَ: لَقَدْ عَلِمْتَ: نَزَلَ جِبْرِيلُ فَصَلَّى، فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمْسَ صَلَوَاتٍ، ثُمَّ قَالَ: «هَكَذَا أُمِرْتُ» كَذَلِكَ كَانَ بَشِيرُ بْنُ أَبِي مَسْعُودٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ
হাদীস নং: ৩৭১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭১৮। মুসা (রাহঃ) .... বদরী সাহাবী আবু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সূরা বাকারার শেষে এমন দু’টি আয়াত রয়েছে যে ব্যক্তি রাতের বেলা আয়াত দু’টো তিলাওয়াত করবে তার জন্য এ আয়াত দু’টোই যথেষ্ট। অর্থাৎ রাত্রে কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করার যে হক রয়েছে, কমপক্ষে সূরা বাকারার শেষ দু’টি আয়াত তেলাওয়াত করলে তার জন্য তা যথেষ্ট। আব্দুর রহমান (রাহঃ) বলেন, পরে আমি আবু মাসউদের সাথে সাক্ষাত করলাম। তখন তিনি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করছিলেন। (সেখানে) এ হাদীসটি সম্পর্কে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তা আমার নিকট বর্ণনা করলেন।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
4008 - حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ البَدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الآيَتَانِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ البَقَرَةِ، مَنْ قَرَأَهُمَا فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ» ، قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: فَلَقِيتُ أَبَا مَسْعُودٍ وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ فَسَأَلْتُهُ فَحَدَّثَنِيهِ
হাদীস নং: ৩৭১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৯
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭১৯। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) .... ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মাহমুদ ইবনে রবী (রাহঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, ‘ইতবান ইবনে মালিক (রাযিঃ) নবী কারীম (ﷺ)- এর আনসারী সাহাবী ছিলেন এবং তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে গেলেন।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
4009 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ الرَّبِيعِ، «أَنَّ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مِنَ الأَنْصَارِ، أَنَّهُ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» ،
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৭২০
আন্তর্জাতিক নং: ৪০১০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭২০। আহমদ (রাহঃ) .... ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, আমি বনী সালিম গোত্রের অন্যতম নেতা হুসাইন ইবনে মুহাম্মাদকে (রাহঃ) ইতবান ইবনে মালিক থেকে মাহমুদ ইবনে রাবী এর বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার পর তিনি উহার স্বীকৃতি দিলেন।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
4010 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ هُوَ ابْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ابْنُ شِهَابٍ، ثُمَّ سَأَلْتُ الحُصَيْنَ بْنَ مُحَمَّدٍ، وَهُوَ أَحَدُ بَنِي سَالِمٍ وَهُوَ مِنْ سَرَاتِهِمْ، عَنْ حَدِيثِ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنْ عِتْبَانَ بْنِ مَالِكٍ فَصَدَّقَهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৭২১
আন্তর্জাতিক নং: ৪০১১
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭২১। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... বনী আদী গোত্রের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে আমির ইবনে রাবী‘আ যার পিতা নবী কারীম (ﷺ)- এর সাথে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, আমাকে বর্ণনা করেন যে, উমর (রাযিঃ) কুদামা ইবনে মাযউনকে (রাযিঃ) বাহরাইনের শাসনকর্তা নিয়োগ করেছিলেন। তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) এবং হাফসা (রাযিঃ) এর মামা।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
4011 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، وَكَانَ مِنْ أَكْبَرِ بَنِي عَدِيٍّ، وَكَانَ أَبُوهُ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّ عُمَرَ «اسْتَعْمَلَ قُدَامَةَ بْنَ مَظْعُونٍ عَلَى البَحْرَيْنِ، وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا، وَهُوَ خَالُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَحَفْصَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ»
tahqiq

তাহকীক: