আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৯৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৫
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২১১. মক্কা বিজয়ের যুদ্ধ। এ যুদ্ধটি রমযান মাসে সংঘটিত হয়েছে
৩৯৪৮। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি জানিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রমযান মাসে মক্কা বিজয়ের যুদ্ধ করেছেন। বর্ণনাকারী যুহরী (রাহঃ) বলেন, আমি সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) কেও অনুরূপ বর্ণনা করতে শুনেছি।
আরেকটি সূত্র দিয়ে তিনি উবাইদুল্লাহ্ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ)- এর মাধ্যমে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস বলেছেন, (মক্কা অভিমুখে রওয়ানা হয়ে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রোযা পালন করছিলেন। অবশেষে তিনি যখন কুদায়দ এবং উসফান নামক স্থানদ্বয়ের মধ্যবর্তী কাদীদ নামক জায়গার ঝরনাটির কাছে পৌঁছেন কখন তিনি ইফতার করেন। এরপর রমযান মাস খতম হওয়া পর্যন্ত তিনি আর রোযা পালন করেননি।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْفَتْحِ فِي رَمَضَانَ
4275 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا غَزْوَةَ الفَتْحِ فِي رَمَضَانَ» ، قَالَ: وَسَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ المُسَيِّبِ، يَقُولُ مِثْلَ ذَلِكَ، وَعَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَخْبَرَهُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ [ص:146] عَنْهُمَا قَالَ: «صَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا بَلَغَ الكَدِيدَ - المَاءَ الَّذِي بَيْنَ قُدَيْدٍ وَعُسْفَانَ - أَفْطَرَ، فَلَمْ يَزَلْ مُفْطِرًا حَتَّى انْسَلَخَ الشَّهْرُ»
হাদীস নং: ৩৯৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৬
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২১১. মক্কা বিজয়ের যুদ্ধ। এ যুদ্ধটি রমযান মাসে সংঘটিত হয়েছে
৩৯৪৯। মাহমুদ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী কারীম (ﷺ) রমযান মাসে মদীনা থেকে (মক্কা অভিযানে) রওয়ানা হন। তাঁর সঙ্গে ছিল দশ হাজার সাহাবী। তখন (মক্কা থেকে) হিজরত করে মদীনা চলে আসার সাড়ে আট বছর অতিক্রম হয়ে গিয়েছিল। তিনি ও তাঁর সঙ্গী মুসলিমগণ রোযা অবস্থায়ই মক্কা অভিমুখে রওয়ানা হন। অবশেষে তিনি যখন উসফান ও কুদায়দ স্থানদ্বয়ের মধ্যবর্তী কাদীদ নামক জায়গার ঝরনার নিকট পৌঁছলেন তখন তিনি ও সঙ্গী মুসলিমগণ ইফতার করলেন।
যুহরী (রাহঃ) বলেছেনঃ (উম্মতের জীবনযাত্রায়) ফাতওয়া হিসেবে গ্রহণ করার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাজকর্মের শেষোক্ত আমলটিকেই চূড়ান্ত দলীল হিসাবে গণ্য করা হয়। (কেননা শেষোক্ত আমল পূর্ববর্তী আমলকে রহিত করে দেয়)।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْفَتْحِ فِي رَمَضَانَ
4276 - حَدَّثَنِي مَحْمُودٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ: أَخْبَرَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «خَرَجَ فِي رَمَضَانَ مِنَ المَدِينَةِ وَمَعَهُ عَشَرَةُ آلاَفٍ، وَذَلِكَ عَلَى رَأْسِ ثَمَانِ سِنِينَ وَنِصْفٍ مِنْ مَقْدَمِهِ المَدِينَةَ، فَسَارَ هُوَ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ المُسْلِمِينَ إِلَى مَكَّةَ، يَصُومُ وَيَصُومُونَ، حَتَّى بَلَغَ الكَدِيدَ، وَهُوَ مَاءٌ بَيْنَ عُسْفَانَ، وَقُدَيْدٍ أَفْطَرَ وَأَفْطَرُوا» ، قَالَ الزُّهْرِيُّ: «وَإِنَّمَا يُؤْخَذُ مِنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الآخِرُ فَالْآخِرُ»
হাদীস নং: ৩৯৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৭ - ৪২৭৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২১১. মক্কা বিজয়ের যুদ্ধ। এ যুদ্ধটি রমযান মাসে সংঘটিত হয়েছে
৩৯৫০। আইয়াশ ইবনে ওয়ালীদ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) রমযান মাসে হুনায়নের দিকে রওয়ানা হয়েছিলেন। সঙ্গী মুসলিমদের অবস্থা ছিল ভিন্ন ভিন্ন। কেউ ছিলেন রোযাদার। আবার কেউ রোযাবিহীন অবস্থায়। তাই তিনি যখন সওয়ারীর উপর বসলেন তখন তিনি একপাত্র দুধ কিংবা পানি আনতে বললেন। তারপর তিনি পাত্রটি হাতের উপর কিংবা সওয়ারীর উপর রেখে (সমবেত) লোকজনের দিকে তাকালেন। এ অবস্থা দেখে রোযাবিহীন লোকেরা রোযাদার লোকদেরকে ডেকে বললেনঃ তোমরা রোযা ভেঙ্গে ফেল।
আব্দুর রাযযাক, মা‘মার, আইয়ুব, ইকরিমা (রাহঃ) সূত্রে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, মক্কা বিজয়ের বছর নবী কারীম (ﷺ) অভিযানে বের হয়েছিলেন। এভাবে হাম্মাদ ইবনে যায়দ, আইয়ুব, ইকরিমা (রাহঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকেও বিষয়টি বর্ণনা করেছেন।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْفَتْحِ فِي رَمَضَانَ
حَدَّثَنِي عَيَّاشُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ إِلَى حُنَيْنٍ، وَالنَّاسُ مُخْتَلِفُونَ فَصَائِمٌ وَمُفْطِرٌ، فَلَمَّا اسْتَوَى عَلَى رَاحِلَتِهِ دَعَا بِإِنَاءٍ مِنْ لَبَنٍ أَوْ مَاءٍ، فَوَضَعَهُ عَلَى رَاحَتِهِ أَوْ عَلَى رَاحِلَتِهِ، ثُمَّ نَظَرَ إِلَى النَّاسِ فَقَالَ الْمُفْطِرُونَ لِلصُّوَّامِ أَفْطِرُوا.
وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ. وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
হাদীস নং: ৩৯৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৯
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২১১. মক্কা বিজয়ের যুদ্ধ। এ যুদ্ধটি রমযান মাসে সংঘটিত হয়েছে
৩৯৫১। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) রমযান মাসে রোযা অবস্থায় (মক্কা অভিমুখে) সফর করেছেন। অবশেষে তিনি উসফান নামক স্থানে উপনীত হলে একপাত্র পানি দিতে বললেন। তারপর দিনের বেলাই তিনি সে পানি পান করলেন যেন তিনি লোকজনকে তাঁর রোযাবিহীন অবস্থা দেখাতে পারেন। এরপর মক্কা পৌঁছা পর্যন্ত তিনি আর রোযা পালন করেননি। বর্ণনাকারী বলেছেন, পরবর্তীকালে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলতেন সফরে কোন সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রোযা পালন করতেন আবার কোন কোন সময় তিনি রোযাবিহীন অবস্থায়ও ছিলেন। তাই সফরে (তোমাদের) যার ইচ্ছা সে রোযা পালন করতে পার, আর যার ইচ্ছা সে রোযাবিহীন অবস্থায়ও থাকতে পার। (সফর শেষে আবাসে তা আদায় করে নেবে)।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْفَتْحِ فِي رَمَضَانَ
4279 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «سَافَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ، فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ عُسْفَانَ، ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ مِنْ مَاءٍ، فَشَرِبَ نَهَارًا لِيُرِيَهُ النَّاسَ، فَأَفْطَرَ حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ» قَالَ: وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ: «صَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي السَّفَرِ، وَأَفْطَرَ فَمَنْ شَاءَ صَامَ وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ»