আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

হাদীস নং: ৩৯৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০১
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২১৭.লাঈস [ইবনে সা‘দ (রাহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবনে শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাবা ইবনে সুআইব (রাযিঃ) আমাকে (হাদীসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী কারীম (ﷺ) তার মুখমণ্ডল মাসাহ করে দিয়েছিলেন।*
*লায়স ইবন সা‘দের উপরোক্ত সনদের মাধ্যমে এখানে কোন হাদীস বর্ণনা করা উদ্দেশ্য নয়, কেবল এ কথা প্রমাণ করাই উদ্দেশ্য যে, এ সনদ থেকে বোঝা যায়, আবদুল্লাহ্ ইবন সালাবা নবী কারীম (ﷺ)-এর সুহবত লাভ করেছেন এবং মক্কা বিজয়ের সময় তিনি নবী কারীম (ﷺ)-এর সাথে ছিলেন।
৩৯৭০। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) .... যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি সুনাইন আবু জামিলা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। যুহরী (রাহঃ) বলেন, আমরা (সাঈদ) ইবনে মুসায়্যিব (রাহঃ)- এর সাথে উপস্থিত ছিলাম। এ সময় আবু জামিলা* (রাযিঃ) দাবি করেন যে, তিনি নবী কারীম (ﷺ)- এর সাক্ষাত পেয়েছেন এবং তিনি নবী কারীম (ﷺ)- এর সাথে মক্কা বিজয়ের বছর (যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য) বের হয়েছিলেন।
*আবু জামীলা সাহাবী কি সাহাবী নন -এ বিষয়টি মুহাদ্দিসীনের কাছে বিতর্কিত বিষয়। ইবনে মান্দাহ্, আবু নুআয়ম প্রমুখ ইমাম তাঁকে সাহাবীদের তালিকার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এখানে উল্লিখিত সনদ দিয়ে ইমাম বুখারী (রাহঃ) তাঁর সাহাবী হওয়ার পক্ষে প্রমাণ পেশ করেছেন।
كتاب المغازى
باب: وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
4301 - حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سُنَيْنٍ أَبِي جَمِيلَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا وَنَحْنُ مَعَ ابْنِ المُسَيِّبِ، قَالَ: «وَزَعَمَ أَبُو جَمِيلَةَ أَنَّهُ أَدْرَكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَرَجَ مَعَهُ عَامَ الفَتْحِ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৯৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০০ - ৪৩০২
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২১৭.লাঈস [ইবনে সা‘দ (রাহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবনে শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাবা ইবনে সুআইব (রাযিঃ) আমাকে (হাদীসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী কারীম (ﷺ) তার মুখমণ্ডল মাসাহ করে দিয়েছিলেন।*
*লায়স ইবন সা‘দের উপরোক্ত সনদের মাধ্যমে এখানে কোন হাদীস বর্ণনা করা উদ্দেশ্য নয়, কেবল এ কথা প্রমাণ করাই উদ্দেশ্য যে, এ সনদ থেকে বোঝা যায়, আবদুল্লাহ্ ইবন সালাবা নবী কারীম (ﷺ)-এর সুহবত লাভ করেছেন এবং মক্কা বিজয়ের সময় তিনি নবী কারীম (ﷺ)-এর সাথে ছিলেন।
৩৯৭১। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) .... আমর ইবনে সালিমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আইয়ুব (রাহঃ) বলেছেন, আবু কিলাবা আমাকে বললেন, তুমি আমর ইবনে সালিমার সাথে সাক্ষাত করে তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা কর না কেন? আবু কিলাবা (রাহঃ) বলেন, এরপর আমি আমর ইবনে সালিমার সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। উত্তরে তিনি বললেন, আমরা (আমাদের গোত্র) পথিকদের যাতায়াত পথের পাশে একটি ঝর্নার নিকট বাস করতাম, (মক্কার) লোকজনের কি অবস্থা?
আর ঐ লোকটিরই কি অবস্থা? তারা বলত, সে ব্যক্তি তো দাবি করেন যে, আল্লাহ্ তাঁকে রাসূল (ﷺ) বানিয়ে পাঠিয়েছেন। তাঁর প্রতি ওহী অবতীর্ণ করেছেন। (কুরআনের কিছু অংশ পাঠ করে বললেন) তাঁর কাছে আল্লাহ্ এ রকম ওহী নাযিল করেছেন। (আমর ইবনে সালিমা বলেন) তখন (পথিকদের মুখ থেকে শুনে) আমি সে বাণীগুলো মুখস্থ করে ফেলতাম যেন তা আজ আমার হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে।
সমগ্র আরববাসী ইসলাম গ্রহণের জন্য নবী কারীম (ﷺ) বিজয়ের অপেক্ষা করছিল। তারা বলত, তাঁকে তাঁর স্বগোত্রীয় লোকদের সঙ্গে (প্রথমে) বোঝাপড়া করতে দাও। কেননা তিনি যদি তাদের উপর বিজয় লাভ করেন তাহলে তিনি সত্য সত্যই নবী (ﷺ)। এরপর মক্কা বিজয়ের ঘটনা সংঘটিত হল। এবার সব গোত্রই তাড়াহুড়া করে ইসলামে দীক্ষিত হতে শুরু করল। আমাদের কওমের ইসলাম গ্রহণ করার ব্যাপারে আমার পিতা বেশ তাড়াহুড়া করলেন। যখন তিনি ইসলাম গ্রহণ করে বাড়ি ফিরলেন তখন তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ, আমি সত্য নবীর নিকট থেকে তোমাদের কাছে এসেছি। তিনি বলে দিয়েছেন যে, অমুক সময়ে তোমরা অমুক নামায এবং অমুক সময় অমুক নামায আদায় করবে। এভাবে নামাযের ওয়াক্ত হলে তোমাদের একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যে যে কুরআন বেশি মুখস্থ করেছে সে নামাযের ইমামতি করবে।
(এরপর নামায আদায় করার সময় হল) সবাই এ রকম একজন লোককে খুঁজতে লাগল। কিন্তু আমার চেয়ে অধিক কুরআন মুখস্থকারী অন্য কাউকে পাওয়া গেল না। কেননা আমি কাফেলার লোকদের থেকে শুনে (কুরআন) মুখস্থ করতাম। কাজেই সকলে আমাকেই (নামায আদায়ের জন্য) তাদের সামনে এগিয়ে দিল। অথচ তখনো আমি ছয় কিংবা সাত বছরের বালক। আমার একটি চাঁদর ছিল, যখন আমি সিজদায় যেতাম তখন চাঁদরটি আমার গায়ের সঙ্গে জড়িয়ে উপরের দিকে উঠে যেত। (ফলে পেছনের অংশ অনাবৃত হয়ে পড়ত) তখন গোত্রের জনৈক মহিলা বলল, তোমরা তোমাদের ইমামের পেছনের অংশ আবৃত করে দাও না কেন? তাই সবাই মিলে কাপড় খরিদ করে আমাকে একটি জামা তৈরী করে দিল। এ জামা পেয়ে আমি এত আনন্দিত হয়েছিলাম যে, কখনো অন্য কিছুতে এতটা আনন্দিত হইনি।
كتاب المغازى
باب: وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلَمَةَ، قَالَ قَالَ لِي أَبُو قِلاَبَةَ أَلاَ تَلْقَاهُ فَتَسْأَلَهُ، قَالَ فَلَقِيتُهُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ كُنَّا بِمَاءٍ مَمَرَّ النَّاسِ، وَكَانَ يَمُرُّ بِنَا الرُّكْبَانُ فَنَسْأَلُهُمْ مَا لِلنَّاسِ مَا لِلنَّاسِ مَا هَذَا الرَّجُلُ فَيَقُولُونَ يَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَهُ أَوْحَى إِلَيْهِ، أَوْ أَوْحَى اللَّهُ بِكَذَا. فَكُنْتُ أَحْفَظُ ذَلِكَ الْكَلاَمَ، وَكَأَنَّمَا يُغْرَى فِي صَدْرِي، وَكَانَتِ الْعَرَبُ تَلَوَّمُ بِإِسْلاَمِهِمِ الْفَتْحَ، فَيَقُولُونَ اتْرُكُوهُ وَقَوْمَهُ، فَإِنَّهُ إِنْ ظَهَرَ عَلَيْهِمْ فَهْوَ نَبِيٌّ صَادِقٌ. فَلَمَّا كَانَتْ وَقْعَةُ أَهْلِ الْفَتْحِ بَادَرَ كُلُّ قَوْمٍ بِإِسْلاَمِهِمْ، وَبَدَرَ أَبِي قَوْمِي بِإِسْلاَمِهِمْ، فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ جِئْتُكُمْ وَاللَّهِ مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَقًّا فَقَالَ " صَلُّوا صَلاَةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا، وَصَلُّوا كَذَا فِي حِينِ كَذَا، فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ، فَلْيُؤَذِّنْ أَحَدُكُمْ، وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا ". فَنَظَرُوا فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ أَكْثَرَ قُرْآنًا مِنِّي، لِمَا كُنْتُ أَتَلَقَّى مِنَ الرُّكْبَانِ، فَقَدَّمُونِي بَيْنَ أَيْدِيهِمْ، وَأَنَا ابْنُ سِتٍّ أَوْ سَبْعِ، سِنِينَ وَكَانَتْ عَلَىَّ بُرْدَةٌ، كُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ تَقَلَّصَتْ عَنِّي، فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الْحَىِّ أَلاَ تُغَطُّوا عَنَّا اسْتَ قَارِئِكُمْ. فَاشْتَرَوْا فَقَطَعُوا لِي قَمِيصًا، فَمَا فَرِحْتُ بِشَىْءٍ فَرَحِي بِذَلِكَ الْقَمِيصِ.
হাদীস নং: ৩৯৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০৩
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২১৭.লাঈস [ইবনে সা‘দ (রাহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবনে শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাবা ইবনে সুআইব (রাযিঃ) আমাকে (হাদীসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী কারীম (ﷺ) তার মুখমণ্ডল মাসাহ করে দিয়েছিলেন।*
*লায়স ইবন সা‘দের উপরোক্ত সনদের মাধ্যমে এখানে কোন হাদীস বর্ণনা করা উদ্দেশ্য নয়, কেবল এ কথা প্রমাণ করাই উদ্দেশ্য যে, এ সনদ থেকে বোঝা যায়, আবদুল্লাহ্ ইবন সালাবা নবী কারীম (ﷺ)-এর সুহবত লাভ করেছেন এবং মক্কা বিজয়ের সময় তিনি নবী কারীম (ﷺ)-এর সাথে ছিলেন।
৩৯৭২। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত, অন্য সনদে লায়েস (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উতবা ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) তার ভাই সা‘দ [ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ)]- কে ওয়াসিয়াত করে গিয়েছিল যে, সে যেন যামআর বাঁদীর সন্তানটি তাঁর নিজের কাছে নিয়ে নেয়। উতবা বলেছিল, পুত্রটি আমার ঔরসজাত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মক্কা বিজয়কালে সেখানে আগমন করলেন (সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাসও তাঁর সাথে মক্কায় আসেন। সুযোগ পেয়ে) তখন তিনি যামআর বাঁদীর সন্তানটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে উপস্থিত করলেন। তাঁর সাথে আবদ ইবনে যামআ (যামআর পুত্র)ও আসলেন।
সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস দাবি উত্থাপন করে বললেন, সন্তানটি তো আমার ভাতিজা। আমার ভাই আমাকে বলে গিয়েছেন যে, এ সন্তান তার ঔরসজাত কিন্তু আব্দ ইবনে যামআ তার দাবি পেশ করে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ আমার ভাই, এ যামআর সন্তান, তাঁর বিছানায় এর জম্ম হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন যামআর ক্রীতদাসীর সন্তানের প্রতি নযর দিয়ে দেখলেন যে, সন্তানটি দৈহিক আকৃতিগত দিক থেকে উতবা ইবনে আবু ওয়াক্কাসের সাথেই বেশী সা’দৃশ্যপূর্ণ।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আব্দ ইবনে যামআ! সন্তানটি তুমি নিয়ে যাও। সে তোমার ভাই। কেননা সে তার (তোমার পিতা যামআর) বিছানায় জম্মগ্রহণ করেছে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ সন্তানটির দৈহিক আকৃতি উতবা ইবনে আবী ওয়াক্কাসের আকৃতির সাদৃশ্য দেখার কারণে (তাঁর স্ত্রী) সাওদা বিনতে যামআ (রাযিঃ)-কে বললেন, হে সাওদা! তুমি তার (বিতর্কিত সন্তানটির) থেকে পর্দা করবে। ইবনে শিহাব যুহরী (রাহঃ) বলেন, আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন যে, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সন্তানের (আইনগত) পিতৃত্ব স্বামীর। আর ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর। ইবনে শিহাব যুহরী (রাহঃ) বলেছেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ)- এর নিয়ম ছিল যে তিনি এ কথাটি উচ্চস্বরে বলতেন।
كتاب المغازى
باب: وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
4303 - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ عَهِدَ إِلَى أَخِيهِ سَعْدٍ: أَنْ يَقْبِضَ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ، وَقَالَ عُتْبَةُ: إِنَّهُ ابْنِي، فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ فِي الفَتْحِ، أَخَذَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ، فَأَقْبَلَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَقْبَلَ مَعَهُ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ، فَقَالَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ: هَذَا ابْنُ أَخِي عَهِدَ إِلَيَّ أَنَّهُ ابْنُهُ، قَالَ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا أَخِي هَذَا ابْنُ زَمْعَةَ وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ، فَنَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى ابْنِ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ، فَإِذَا أَشْبَهُ النَّاسِ بِعُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هُوَ لَكَ هُوَ أَخُوكَ يَا عَبْدُ بْنَ زَمْعَةَ» مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «احْتَجِبِي مِنْهُ يَا سَوْدَةُ» لِمَا رَأَى مِنْ شَبَهِ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: قَالَتْ عَائِشَةُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الحَجَرُ» وَقَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَصِيحُ بِذَلِكَ
হাদীস নং: ৩৯৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০৪
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২১৭.লাঈস [ইবনে সা‘দ (রাহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবনে শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাবা ইবনে সুআইব (রাযিঃ) আমাকে (হাদীসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী কারীম (ﷺ) তার মুখমণ্ডল মাসাহ করে দিয়েছিলেন।*
*লায়স ইবন সা‘দের উপরোক্ত সনদের মাধ্যমে এখানে কোন হাদীস বর্ণনা করা উদ্দেশ্য নয়, কেবল এ কথা প্রমাণ করাই উদ্দেশ্য যে, এ সনদ থেকে বোঝা যায়, আবদুল্লাহ্ ইবন সালাবা নবী কারীম (ﷺ)-এর সুহবত লাভ করেছেন এবং মক্কা বিজয়ের সময় তিনি নবী কারীম (ﷺ)-এর সাথে ছিলেন।
৩৯৭৩। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) .... উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর যামানায় (মক্কা) বিজয় অভিযানের সময়ে জনৈকা মহিলা চুরি করেছিল। তাই তার গোত্রের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে গেল এবং উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ)- এর কাছে এসে (উক্ত মহিলার ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করল। উরওয়া (রাহঃ) বলেন, উসামা (রাযিঃ) এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে যখনি কথা বললেন, তখন তাঁর চেহারার রং পরিবর্তিত হয়ে গেল। তিনি উসামা (রাযিঃ)- কে বললেন, তুমি কি আল্লাহর নির্ধারিত একটি হুকুম (হাদ) প্রয়োগ করার ব্যাপারে আমার কাছে সুপারিশ করছ?
উসামা (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। এরপর সন্ধ্যা হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খুতবা দিতে দাঁড়ালেন। যথাযথভাবে আল্লাহর হামদ ও প্রশংসা পাঠ করে বললেন, “আম্মা বাদ” তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতরা এ কারণে ধ্বংস হয়েছিল যে, তারা তাদের মধ্যকার অভিজাত শ্রেণীর কোন লোক চুরি করলে তার উপর শরীয়ত নির্ধারিত দণ্ড প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকত। পক্ষান্তরে কোন দুর্বল লোক চুরি করলে তার উপর দণ্ড প্রয়োগ করত।
যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ তাঁর শপথ, যদি মুহাম্মাদের কন্যা ফাতিমাও চুরি করত তা হলে আমি তার হাত কেটে দিতাম। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেই মহিলাটির হাত কেটে দিতে আদেশ দিলেন। ফলে তার হাত কেটে দেওয়া হল। অবশ্য পরবর্তীকালে সে উত্তম তওবার অধিকারিণী হয়েছিল এবং (বানু সুলায়েম গোত্রের এক ব্যক্তির সঙ্গে) তার বিয়ে হয়েছিল। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, এ ঘটনার পর সে আমার কাছে প্রায়ই আসত। আমি তার বিভিন্ন প্রয়োজন ও সমস্যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর খেদমতে পেশ করতাম।
كتاب المغازى
باب: وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
4304 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ امْرَأَةً سَرَقَتْ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ الفَتْحِ، فَفَزِعَ قَوْمُهَا إِلَى أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ يَسْتَشْفِعُونَهُ، قَالَ عُرْوَةُ: فَلَمَّا كَلَّمَهُ أُسَامَةُ [ص:152] فِيهَا، تَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «أَتُكَلِّمُنِي فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ» ، قَالَ أُسَامَةُ: اسْتَغْفِرْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَلَمَّا كَانَ العَشِيُّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ خَطِيبًا، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: " أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّمَا أَهْلَكَ النَّاسَ قَبْلَكُمْ: أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ، وَإِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الضَّعِيفُ أَقَامُوا عَلَيْهِ الحَدَّ، وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعْتُ يَدَهَا " ثُمَّ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتِلْكَ المَرْأَةِ فَقُطِعَتْ يَدُهَا، فَحَسُنَتْ تَوْبَتُهَا بَعْدَ ذَلِكَ وَتَزَوَّجَتْ قَالَتْ عَائِشَةُ: «فَكَانَتْ تَأْتِي بَعْدَ ذَلِكَ فَأَرْفَعُ حَاجَتَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
হাদীস নং: ৩৯৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০৫
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২১৭.লাঈস [ইবনে সা‘দ (রাহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবনে শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাবা ইবনে সুআইব (রাযিঃ) আমাকে (হাদীসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী কারীম (ﷺ) তার মুখমণ্ডল মাসাহ করে দিয়েছিলেন।*
*লায়স ইবন সা‘দের উপরোক্ত সনদের মাধ্যমে এখানে কোন হাদীস বর্ণনা করা উদ্দেশ্য নয়, কেবল এ কথা প্রমাণ করাই উদ্দেশ্য যে, এ সনদ থেকে বোঝা যায়, আবদুল্লাহ্ ইবন সালাবা নবী কারীম (ﷺ)-এর সুহবত লাভ করেছেন এবং মক্কা বিজয়ের সময় তিনি নবী কারীম (ﷺ)-এর সাথে ছিলেন।
৩৯৭৪। আমর ইবনে খালিদ (রাহঃ) .... মুজাশি (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের পর আমি আমার ভাই (মুজালিদ)- কে নিয়ে নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে এসে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আমার ভাইকে আপনার কাছে নিয়ে এসেছি যেন আপনি তার কাছ থেকে হিজরত করার ব্যাপারে বায়আত গ্রহণ করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হিজরতকারিগণ (মক্কা বিজয়ের পূর্বে মক্কা থেকে মদীনায়) হিজরতের সমুদয় মর্যাদা ও বরকত পেয়ে গেছেন। (এখন আর হিজরতের অবকাশ নেই) আমি বললাম, তা হলে কোন্ বিষয়ের উপর আপনি তার কাছ থেকে বায়আত গ্রহণ করবেন? তিনি বললেন, আমি তাঁর কাছ থেকে বায়আত গ্রহণ করবো ইসলাম, ঈমান ও জিহাদের উপর। [বর্ণনাকারী আবু উসমান (রাযিঃ) বলেছেন] পরে আমি আবু মাবাদ (রাযিঃ)- এর সাথে সাক্ষাত করলাম। তিনি ছিলেন তাঁদের দু’ভাইয়ের মধ্যে বড়। আমি তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, মুজাশি (রাযিঃ) ঠিকই বর্ণনা করেছেন।
كتاب المغازى
باب: وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
4305 - حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُجَاشِعٌ، قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَخِي بَعْدَ الفَتْحِ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، جِئْتُكَ بِأَخِي لِتُبَايِعَهُ عَلَى الهِجْرَةِ. قَالَ: «ذَهَبَ أَهْلُ الهِجْرَةِ بِمَا فِيهَا» . فَقُلْتُ: " عَلَى أَيِّ شَيْءٍ تُبَايِعُهُ؟ قَالَ: «أُبَايِعُهُ عَلَى الإِسْلاَمِ، وَالإِيمَانِ، وَالجِهَادِ» فَلَقِيتُ مَعْبَدًا بَعْدُ، وَكَانَ أَكْبَرَهُمَا، فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: «صَدَقَ مُجَاشِعٌ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৯৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০৭
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২১৭.লাঈস [ইবনে সা‘দ (রাহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবনে শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাবা ইবনে সুআইব (রাযিঃ) আমাকে (হাদীসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী কারীম (ﷺ) তার মুখমণ্ডল মাসাহ করে দিয়েছিলেন।*
*লায়স ইবন সা‘দের উপরোক্ত সনদের মাধ্যমে এখানে কোন হাদীস বর্ণনা করা উদ্দেশ্য নয়, কেবল এ কথা প্রমাণ করাই উদ্দেশ্য যে, এ সনদ থেকে বোঝা যায়, আবদুল্লাহ্ ইবন সালাবা নবী কারীম (ﷺ)-এর সুহবত লাভ করেছেন এবং মক্কা বিজয়ের সময় তিনি নবী কারীম (ﷺ)-এর সাথে ছিলেন।
৩৯৭৫। মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর (রাহঃ) .... মুজাশি ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু মা‘বাদ (রাযিঃ) (মুজালিদ)- কে নিয়ে নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে গেলাম, যেন তিনি তাঁর কাছ থেকে হিজরতের জন্য বায়আত গ্রহণ করেন। তখন তিনি [নবী কারীম (ﷺ)] বললেন, হিজরতের মর্যাদা (মক্কা বিজয়ের পূর্বেকার) হিজরতকারীদের দ্বারা সমাপ্ত হয়ে গেছে। আমি তার কাছ থেকে ইসলাম ও জিহাদের জন্য বায়আত গ্রহণ করব। [বর্ণনাকারী আবু উসমান নাহদী (রাহঃ) বলেন] এরপরে আমি আবু মা‘বাদ (রাযিঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, মুজাশি (রাযিঃ) সত্যই বলেছেন।
অন্য সনদে খালিদ (রাহঃ) আবু উসমান (রাহঃ)-এর মাধ্যমে মুজাশি (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি তার ভাই মুজালিদ (রাযিঃ)-কে নিয়ে এসেছিলেন।
كتاب المغازى
باب: وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
4307 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، حَدَّثَنَا الفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ مُجَاشِعِ بْنِ مَسْعُودٍ، انْطَلَقْتُ بِأَبِي مَعْبَدٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيُبَايِعَهُ عَلَى الهِجْرَةِ قَالَ: «مَضَتِ الهِجْرَةُ لِأَهْلِهَا، أُبَايِعُهُ عَلَى الإِسْلاَمِ وَالجِهَادِ» فَلَقِيتُ أَبَا مَعْبَدٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: «صَدَقَ مُجَاشِعٌ» وَقَالَ خَالِدٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ مُجَاشِعٍ، أَنَّهُ جَاءَ بِأَخِيهِ مُجَالِدٍ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৯৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০৯ - ৪৩১০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২১৭.লাঈস [ইবনে সা‘দ (রাহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবনে শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাবা ইবনে সুআইব (রাযিঃ) আমাকে (হাদীসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী কারীম (ﷺ) তার মুখমণ্ডল মাসাহ করে দিয়েছিলেন।*
*লায়স ইবন সা‘দের উপরোক্ত সনদের মাধ্যমে এখানে কোন হাদীস বর্ণনা করা উদ্দেশ্য নয়, কেবল এ কথা প্রমাণ করাই উদ্দেশ্য যে, এ সনদ থেকে বোঝা যায়, আবদুল্লাহ্ ইবন সালাবা নবী কারীম (ﷺ)-এর সুহবত লাভ করেছেন এবং মক্কা বিজয়ের সময় তিনি নবী কারীম (ﷺ)-এর সাথে ছিলেন।
৩৯৭৬। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনে উমর (রাযিঃ)- কে বললাম, আমি সিরিয়া দেশে হিজরত করার ইচ্ছা করেছি। তিনি বললেন, এখন হিজরতের কোন প্রয়োজন নেই, বরং প্রয়োজন আছে জিহাদের। সুতরাং যাও, নিজ অন্তরের সাথে বোঝাপড়া করে দেখ, যদি জিহাদের সাহস খুঁজে পাও (তবে ভাল, গিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ কর)। অন্যথায় হিজরতের ইচ্ছা থেকে ফিরে আস।
অন্য সনদে নযর [ইবনে শুমাইল (রাহঃ)] মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, (তিনি বলেছেন) আমি ইবনে উমর (রাযিঃ)- কে (এ কথা) বললে তিনি উত্তর দিলেন, বর্তমানে হিজরতের কোন প্রয়োজন নেই, অথবা তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ওফাতের পর হিজরতের কোন প্রয়োজন নেই। এরপর তিনি উপরোল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
كتاب المغازى
باب: وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُهَاجِرَ إِلَى الشَّأْمِ. قَالَ لاَ هِجْرَةَ وَلَكِنْ جِهَادٌ، فَانْطَلِقْ فَاعْرِضْ نَفْسَكَ، فَإِنْ وَجَدْتَ شَيْئًا وَإِلاَّ رَجَعْتَ.
وَقَالَ النَّضْرُ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، قُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ فَقَالَ لاَ هِجْرَةَ الْيَوْمَ، أَوْ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ.
হাদীস নং: ৩৯৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১১
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২১৭.লাঈস [ইবনে সা‘দ (রাহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবনে শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাবা ইবনে সুআইব (রাযিঃ) আমাকে (হাদীসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী কারীম (ﷺ) তার মুখমণ্ডল মাসাহ করে দিয়েছিলেন।*
*লায়স ইবন সা‘দের উপরোক্ত সনদের মাধ্যমে এখানে কোন হাদীস বর্ণনা করা উদ্দেশ্য নয়, কেবল এ কথা প্রমাণ করাই উদ্দেশ্য যে, এ সনদ থেকে বোঝা যায়, আবদুল্লাহ্ ইবন সালাবা নবী কারীম (ﷺ)-এর সুহবত লাভ করেছেন এবং মক্কা বিজয়ের সময় তিনি নবী কারীম (ﷺ)-এর সাথে ছিলেন।
৩৯৭৭। ইসহাক ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) .... মুজাহিদ ইবনে জাবর আল-মক্কী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলতেনঃ মক্কা বিজয়ের পর হিজরতের কোন প্রয়োজন অবশিষ্ট নেই।
كتاب المغازى
باب: وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
4311 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَبْدَةَ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ، عَنْ مُجَاهِدِ بْنِ جَبْرٍ المَكِّيِّ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، كَانَ يَقُولُ: «لاَ هِجْرَةَ بَعْدَ الفَتْحِ»
হাদীস নং: ৩৯৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১২
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২১৭.লাঈস [ইবনে সা‘দ (রাহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবনে শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাবা ইবনে সুআইব (রাযিঃ) আমাকে (হাদীসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী কারীম (ﷺ) তার মুখমণ্ডল মাসাহ করে দিয়েছিলেন।*
*লায়স ইবন সা‘দের উপরোক্ত সনদের মাধ্যমে এখানে কোন হাদীস বর্ণনা করা উদ্দেশ্য নয়, কেবল এ কথা প্রমাণ করাই উদ্দেশ্য যে, এ সনদ থেকে বোঝা যায়, আবদুল্লাহ্ ইবন সালাবা নবী কারীম (ﷺ)-এর সুহবত লাভ করেছেন এবং মক্কা বিজয়ের সময় তিনি নবী কারীম (ﷺ)-এর সাথে ছিলেন।
৩৯৭৮। ইসহাক ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) .... আতা ইবনে আবু রাবাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উবাইদ ইবনে উমায়র (রাহঃ) সহ আয়েশা (রাযিঃ)- এর সাক্ষাতে গিয়েছিলাম। সে সময় উবাইদ (রাহঃ) তাঁকে হিজরত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, বর্তমানে হিজরতের কোন প্রয়োজন নেই। পূর্বে মু’মিন ব্যক্তির এ অবস্থা ছিল যে, সে তার দ্বীনকে ফিতনার হাত থেকে হিফাজত করতে হলে তাকে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের দিকে (মদীনার দিকে) পালিয়ে যেতে হতো। কিন্তু বর্তমানে (মক্কা বিজয়ের পর) আল্লাহ্ ইসলামকে বিজয় দান করেছেন। তাই এখন ম’মিন যেখানে যেভাবে চায় আল্লাহর ইবাদত করতে পারে। তবে বর্তমানে জিহাদ এবং হিজরতের সাওয়াবের নিয়ত রাখা যেতে পারে।
كتاب المغازى
باب: وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
4312 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، قَالَ: زُرْتُ عَائِشَةَ مَعَ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، فَسَأَلَهَا عَنِ الهِجْرَةِ، فَقَالَتْ: «لاَ هِجْرَةَ اليَوْمَ، كَانَ المُؤْمِنُ يَفِرُّ أَحَدُهُمْ بِدِينِهِ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَخَافَةَ أَنْ يُفْتَنَ عَلَيْهِ، فَأَمَّا اليَوْمَ فَقَدْ أَظْهَرَ اللَّهُ الإِسْلاَمَ، فَالْمُؤْمِنُ [ص:153] يَعْبُدُ رَبَّهُ حَيْثُ شَاءَ وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ»
হাদীস নং: ৩৯৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১৩
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২১৭.লাঈস [ইবনে সা‘দ (রাহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবনে শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাবা ইবনে সুআইব (রাযিঃ) আমাকে (হাদীসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী কারীম (ﷺ) তার মুখমণ্ডল মাসাহ করে দিয়েছিলেন।*
*লায়স ইবন সা‘দের উপরোক্ত সনদের মাধ্যমে এখানে কোন হাদীস বর্ণনা করা উদ্দেশ্য নয়, কেবল এ কথা প্রমাণ করাই উদ্দেশ্য যে, এ সনদ থেকে বোঝা যায়, আবদুল্লাহ্ ইবন সালাবা নবী কারীম (ﷺ)-এর সুহবত লাভ করেছেন এবং মক্কা বিজয়ের সময় তিনি নবী কারীম (ﷺ)-এর সাথে ছিলেন।
৩৯৭৯। ইসহাক (রাহঃ) .... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খুতবার জন্য দাঁড়িয়ে বললেন, যেদিন আল্লাহ্ সমুদয় আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, সেই দিন থেকেই তিনি মক্কা নগরীকে সম্মান দান করেছেন। তাই আল্লাহ্ কর্তৃক এ সম্মান প্রদানের কারণে এটি কিয়ামত দিবস পর্যন্ত সম্মানিত থাকবে। আমার পূর্বেকার কারো জন্য তা (কখনো) হালাল করা হয়নি, আমার পরবর্তী কারো জন্যও তা হালাল করা হবে না। আর আমার জন্যও মাত্র একদিনের সামান্য অংশের জন্যই তা হালাল করা হয়েছিল। এখানে অবস্থিত শিকারকে তাড়ানো যাবে না, কাঁটাযুক্ত বৃক্ষের কাঁটাতেও কাস্তে ব্যবহারে করা যাবে না। ঘাস কাটা যাবে না। রাস্তায় পড়ে থাকা কোন জিনিসকে মালিকের হাতে পৌঁছেয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে হারানো প্রাপ্তি সংবাদ প্রচারকারী ব্যতীত অন্য কেউ তুলতে পাবে না।
এ ঘোষণা শুনে আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইযখির ঘাস ব্যতীত। কেননা ইযখির ঘাস আমাদের কর্মকার ও বাড়ির (ঘরের ছাউনির) কাজে প্রয়োজন হয়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চুপ থাকলেন। এর কিছুক্ষণ পরে বললেন, ইযখির ব্যতীত। ইযখির ঘাস কাটা জায়েয।
অন্য সনদে ইবনে জুবায়ের (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত রয়েছে। তাছাড়া এ হাদীস আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও নবী কারীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
كتاب المغازى
باب: وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
4313 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي حَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ يَوْمَ الفَتْحِ فَقَالَ: «إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، فَهِيَ حَرَامٌ بِحَرَامِ اللَّهِ إِلَى يَوْمِ القِيَامَةِ، لَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ قَبْلِي وَلاَ تَحِلُّ لِأَحَدٍ بَعْدِي، وَلَمْ تَحْلِلْ لِي قَطُّ إِلَّا سَاعَةً مِنَ الدَّهْرِ، لاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهَا، وَلاَ يُعْضَدُ شَوْكُهَا، وَلاَ يُخْتَلَى خَلاَهَا، وَلاَ تَحِلُّ لُقَطَتُهَا إِلَّا لِمُنْشِدٍ» . فَقَالَ العَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ المُطَّلِبِ: إِلَّا الإِذْخِرَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنَّهُ لاَ بُدَّ مِنْهُ لِلْقَيْنِ وَالبُيُوتِ، فَسَكَتَ ثُمَّ قَالَ: «إِلَّا الإِذْخِرَ فَإِنَّهُ حَلاَلٌ» وَعَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الكَرِيمِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، بِمِثْلِ هَذَا أَوْ نَحْوِ هَذَا، رَوَاهُ أَبُو هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক: