আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ৪০২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৬৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৩৩. আব্দুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দল
৪০২৯। ইসহাক (রাহঃ) .... আবু জামরা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, (তিনি বলেন), আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)- কে বললাম, আমার একটি কলসী আছে। তাতে আমার জন্য (খেজুর ভিজিয়ে) নাবীয তৈরী করা হয় এবং পানি মিষ্টি হয়ে গেলে আমি তা আরেকটি পাত্রে (ছোট গ্লাসে) ঢেলে পান করি। কিন্তু কখনো যদি ঐ পানি বেশী পরিমাণ পান করে লোকজনের সাথে বসে যাই এবং দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত মজলিসে বসে থাকি, তখন আমার আশঙ্কা হয় যে, (নেশার দোষে) আমি (লোকসম্মুখে) অপমানিত হব।
তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, আব্দুল কাইস গোত্রের একটি প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকটে আসলে তিনি বললেন, কওমের জন্য খোশ-আমদেদ। যাদের আগমন না ক্ষতিগ্রস্থ অবস্থায় হয়েছে, না অপমানিত অবস্থায়। তারা আরয করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের ও আপনার মধ্যে মুদার গোত্রের মুশরিকরা প্রতিবন্ধক হয়ে আছে। এ জন্য আমরা আপনার কাছে আশহুরুল হুরুম (নিষিদ্ধ মাসসমূহ) ব্যতীত অন্য সময়ে আসতে পারি না। কাজেই আমাদেরকে সংক্ষিপ্ত কয়েকটি কথা বলে দিন, যেগুলোর উপর আমল করলে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। আর যাঁরা আমাদের পেছনে (বাড়িতে) রয়ে গেছে তাদেরকে এর দাওয়াত দেব।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি তোমাদেরকে চারটি জিনিস পালন করার নির্দেশ দিচ্ছি। আর চারটি জিনিস থেকে বিরত থাকতে বলছি। (আমি তোমাদেরকে) আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ দিচ্ছি। তোমরা কি জানো আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা কাকে বলে? তা হলঃ আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া, আর নামায আদায় করা, যাকাত দেওয়া, রমযানের রোযা পালন করা এবং গনীমতের মালের এক-পঞ্চমাংশ (বায়তুল মালে) জমা দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। আর চারটি জিনিস- লাউয়ের পাত্র, কাঠের তৈরী নাকীর নামক পাত্র, সবুজ কলসী এবং মুযাফফাত নামক তৈল মাখানো পাত্রে নাবীয তৈরী করা থেকে নিষেধ করছি।
তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, আব্দুল কাইস গোত্রের একটি প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকটে আসলে তিনি বললেন, কওমের জন্য খোশ-আমদেদ। যাদের আগমন না ক্ষতিগ্রস্থ অবস্থায় হয়েছে, না অপমানিত অবস্থায়। তারা আরয করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের ও আপনার মধ্যে মুদার গোত্রের মুশরিকরা প্রতিবন্ধক হয়ে আছে। এ জন্য আমরা আপনার কাছে আশহুরুল হুরুম (নিষিদ্ধ মাসসমূহ) ব্যতীত অন্য সময়ে আসতে পারি না। কাজেই আমাদেরকে সংক্ষিপ্ত কয়েকটি কথা বলে দিন, যেগুলোর উপর আমল করলে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। আর যাঁরা আমাদের পেছনে (বাড়িতে) রয়ে গেছে তাদেরকে এর দাওয়াত দেব।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি তোমাদেরকে চারটি জিনিস পালন করার নির্দেশ দিচ্ছি। আর চারটি জিনিস থেকে বিরত থাকতে বলছি। (আমি তোমাদেরকে) আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ দিচ্ছি। তোমরা কি জানো আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা কাকে বলে? তা হলঃ আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া, আর নামায আদায় করা, যাকাত দেওয়া, রমযানের রোযা পালন করা এবং গনীমতের মালের এক-পঞ্চমাংশ (বায়তুল মালে) জমা দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। আর চারটি জিনিস- লাউয়ের পাত্র, কাঠের তৈরী নাকীর নামক পাত্র, সবুজ কলসী এবং মুযাফফাত নামক তৈল মাখানো পাত্রে নাবীয তৈরী করা থেকে নিষেধ করছি।
كتاب المغازى
بَابُ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ
4368 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَامِرٍ العَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: إِنَّ لِي جَرَّةً يُنْتَبَذُ لِي نَبِيذٌ، فَأَشْرَبُهُ حُلْوًا فِي جَرٍّ، إِنْ أَكْثَرْتُ مِنْهُ، فَجَالَسْتُ القَوْمَ فَأَطَلْتُ الجُلُوسَ، خَشِيتُ أَنْ أَفْتَضِحَ، فَقَالَ: قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ القَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «مَرْحَبًا بِالقَوْمِ، غَيْرَ خَزَايَا وَلاَ النَّدَامَى» ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ المُشْرِكِينَ مِنْ مُضَرَ، وَإِنَّا لاَ نَصِلُ إِلَيْكَ إِلَّا فِي أَشْهُرِ الحُرُمِ، حَدِّثْنَا بِجُمَلٍ مِنَ الأَمْرِ: إِنْ عَمِلْنَا بِهِ دَخَلْنَا الجَنَّةَ، وَنَدْعُو بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا. قَالَ: «آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ [ص:169]، وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ الإِيمَانِ بِاللَّهِ، هَلْ تَدْرُونَ مَا الإِيمَانُ بِاللَّهِ؟ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَإِقَامُ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ، وَصَوْمُ رَمَضَانَ، وَأَنْ تُعْطُوا مِنَ المَغَانِمِ الخُمُسَ، وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ، مَا انْتُبِذَ فِي الدُّبَّاءِ، وَالنَّقِيرِ، وَالحَنْتَمِ، وَالمُزَفَّتِ»
হাদীস নং: ৪০৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৬৯
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৩৩. আব্দুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দল
৪০৩০। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) .... আবু জামরা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, (তিনি বলেন), আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)- এর কাছ থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেন- আব্দুল কাইস গোত্রের একটি প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকটে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা অর্থাৎ এই ছোট্ট দল রাবীআর গোত্র। আমাদের এবং আপনার মাঝখানে প্রতিবন্ধক হয়ে আছে মুদার গোত্রের মুশরিকরা। কাজেই আমরা নিষিদ্ধ মাসগুলো ছাড়া অন্য সময়ে আপনার কাছে আসতে পারি না। এ জন্য আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বিষয়ের নির্দেশ দিয়ে দিন, যেগুলোর উপর আমরা আমল করতে থাকব এবং যারা আমাদের পেছনে রয়েছে তাদেরকেও সেই দিকে আহবান জানাব। তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে চারটি বিষয় আদায় করার হুকুম দিচ্ছি এবং চারটি জিনিস থেকে নিষেধ করছি।
(বিষয়গুলো হলঃ) আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা অর্থাৎ আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া। কথাটি বলে তিনি আঙ্গুলের সাহায্যে এক গুণেছেন। আর নামায আদায় করা, যাকাত দেওয়া এবং তোমরা যে গনীমত লাভ করবে, তার এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহর জন্য (বায়তুল মালে) জমা দেওয়া।
আর আমি তোমাদেরকে লাউয়ের পাত্র, নাকীর নামক খোদাইকৃত কাঠের পাত্র, সবুজ কলসী এবং মুযাফফাত নামক তৈল মাখানো পাত্র ব্যবহার থেকে নিষেধ করছি।
(বিষয়গুলো হলঃ) আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা অর্থাৎ আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া। কথাটি বলে তিনি আঙ্গুলের সাহায্যে এক গুণেছেন। আর নামায আদায় করা, যাকাত দেওয়া এবং তোমরা যে গনীমত লাভ করবে, তার এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহর জন্য (বায়তুল মালে) জমা দেওয়া।
আর আমি তোমাদেরকে লাউয়ের পাত্র, নাকীর নামক খোদাইকৃত কাঠের পাত্র, সবুজ কলসী এবং মুযাফফাত নামক তৈল মাখানো পাত্র ব্যবহার থেকে নিষেধ করছি।
كتاب المغازى
بَابُ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ
4369 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ: قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ القَيْسِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا هَذَا الحَيَّ مِنْ رَبِيعَةَ، وَقَدْ حَالَتْ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ كُفَّارُ مُضَرَ، فَلَسْنَا نَخْلُصُ إِلَيْكَ إِلَّا فِي شَهْرٍ حَرَامٍ، فَمُرْنَا بِأَشْيَاءَ نَأْخُذُ بِهَا، وَنَدْعُو إِلَيْهَا مَنْ وَرَاءَنَا، قَالَ: «آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ، وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ، الإِيمَانِ بِاللَّهِ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، - وَعَقَدَ وَاحِدَةً - وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَأَنْ تُؤَدُّوا لِلَّهِ خُمْسَ مَا غَنِمْتُمْ، وَأَنْهَاكُمْ عَنِ الدُّبَّاءِ، وَالنَّقِيرِ، وَالحَنْتَمِ، وَالمُزَفَّتِ»
হাদীস নং: ৪০৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৭০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৩৩. আব্দুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দল
৪০৩১। ইয়াহয়া ইবনে সুলাইমান ও বকর ইবনে মুদার (রাহঃ) .... বুকাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, (তিনি বলেন), ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)- এর আযাদকৃত গোলাম কু্রাইব (রাহঃ) তাকে বর্ণনা করেছেন যে, ইবনে আব্বাস, আব্দুর রহমান ইবনে আযহার এবং মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) (এ তিনজনে) আমাকে আয়েশা (রাযিঃ)- এর কাছে পাঠিয়ে বললেন, তাঁকে আমাদের সবার পক্ষ থেকে সালাম জানাবে। এবং তাঁকে আসরের পরের দু’রাকআত নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। কারণ আমরা অবহিত হয়েছি যে, আপনি নাকি এই দু’রাকআত নামায আদায় করেন অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ দু’রাকআত নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেন- এ হাদীসও আমাদের কাছে পৌঁছেছে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমি উমর (রাযিঃ) সহ এ দু’রাকআত নামায আদায়কারী লোকদেরকে প্রহার করতাম।
কুরায়ব (রাহঃ) বলেন, আমি তাঁর [আয়েশা (রাযিঃ)] কাছে গেলাম এবং আমাকে যে ব্যাপারে পাঠিয়েছেন তা জানালাম। তিনি বললেন, বিষয়টি উম্মে সালামা (রাযিঃ)- এর কাছে জিজ্ঞাসা কর। এরপর আমি তাঁদেরকে [আয়েশা (রাযিঃ)- এর জবাবের কথা] জানালে তাঁরা আবার আমাকে উম্মে সালামা (রাযিঃ)- এর কাছে পাঠালেন এবং আয়েশা (রাযিঃ)- এর কাছে যা বলতে বলেছিলেন সেসব কথা তাঁর কাছেও গিয়ে বলতে বললেন।
তখন উম্মে সালামা (রাযিঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছি যে, তিনি দু’রাকআত নামায আদায় করা থেকে নিষেধ করেছেন। কিন্তু একদিন তিনি আসরের নামায আদায় করে আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। এ সময় আমার কাছে ছিল আনসারদের বনী হারাম গোত্রের কতিপয় মহিলা। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু’রাকআত নামায আদায় করলেন। আমি তা দেখে খাদীমা কে পাঠিয়ে বললাম, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে এবং বলবে, ‘উম্মে সালামা (রাযিঃ) আপনাকে এ কথা বলেছেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি আপনাকে এ দু’রাকআত আদায় করা থেকে নিষেধ করতে শুনিনি? অথচ দেখতে পাচ্ছি, আপনি সেই দু’রাকআত আদায় করছেন।এরপর যদি তিনি হাত দিয়ে ইশারা করেন তাহলে পিছনে সরে যাবে।
খাদীমা গিয়ে (সেভাবে কথাটি) বলল। তিনি হাত দিয়ে ইশারা করলেন। খাদীমা পেছনের দিকে সরে গেল। এরপর নামায সেরে তিনি বললেন, হে আবু উমাইয়ার কন্যা! (উম্মে সালামা) তুমি আমাকে আসরের পরের দু’রাকআত নামাযের কথা জিজ্ঞাসা করছ। আসলে আজ আব্দুল কায়স গোত্র থেকে তাদের কয়েকজন লোক আমার কাছে ইসলাম গ্রহণ করতে এসেছিল। তাঁরা আমাকে ব্যস্ত রাখার কারণে যোহরের পরের দু’রাকআত নামায আদায় করার সুযোগ আমার হয়নি। আর সেই দু’রাকআত হল এ দু’রাকআত নামায।
কুরায়ব (রাহঃ) বলেন, আমি তাঁর [আয়েশা (রাযিঃ)] কাছে গেলাম এবং আমাকে যে ব্যাপারে পাঠিয়েছেন তা জানালাম। তিনি বললেন, বিষয়টি উম্মে সালামা (রাযিঃ)- এর কাছে জিজ্ঞাসা কর। এরপর আমি তাঁদেরকে [আয়েশা (রাযিঃ)- এর জবাবের কথা] জানালে তাঁরা আবার আমাকে উম্মে সালামা (রাযিঃ)- এর কাছে পাঠালেন এবং আয়েশা (রাযিঃ)- এর কাছে যা বলতে বলেছিলেন সেসব কথা তাঁর কাছেও গিয়ে বলতে বললেন।
তখন উম্মে সালামা (রাযিঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছি যে, তিনি দু’রাকআত নামায আদায় করা থেকে নিষেধ করেছেন। কিন্তু একদিন তিনি আসরের নামায আদায় করে আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। এ সময় আমার কাছে ছিল আনসারদের বনী হারাম গোত্রের কতিপয় মহিলা। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু’রাকআত নামায আদায় করলেন। আমি তা দেখে খাদীমা কে পাঠিয়ে বললাম, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে এবং বলবে, ‘উম্মে সালামা (রাযিঃ) আপনাকে এ কথা বলেছেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি আপনাকে এ দু’রাকআত আদায় করা থেকে নিষেধ করতে শুনিনি? অথচ দেখতে পাচ্ছি, আপনি সেই দু’রাকআত আদায় করছেন।এরপর যদি তিনি হাত দিয়ে ইশারা করেন তাহলে পিছনে সরে যাবে।
খাদীমা গিয়ে (সেভাবে কথাটি) বলল। তিনি হাত দিয়ে ইশারা করলেন। খাদীমা পেছনের দিকে সরে গেল। এরপর নামায সেরে তিনি বললেন, হে আবু উমাইয়ার কন্যা! (উম্মে সালামা) তুমি আমাকে আসরের পরের দু’রাকআত নামাযের কথা জিজ্ঞাসা করছ। আসলে আজ আব্দুল কায়স গোত্র থেকে তাদের কয়েকজন লোক আমার কাছে ইসলাম গ্রহণ করতে এসেছিল। তাঁরা আমাকে ব্যস্ত রাখার কারণে যোহরের পরের দু’রাকআত নামায আদায় করার সুযোগ আমার হয়নি। আর সেই দু’রাকআত হল এ দু’রাকআত নামায।
كتاب المغازى
بَابُ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ
4370 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، وَقَالَ: بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرٍ، أَنَّ كُرَيْبًا، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَزْهَرَ، وَالمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَرْسَلُوا إِلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَقَالُوا: اقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلاَمَ مِنَّا جَمِيعًا، وَسَلْهَا عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ العَصْرِ، وَإِنَّا أُخْبِرْنَا أَنَّكِ تُصَلِّيهَا، وَقَدْ بَلَغَنَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْهَا، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «وَكُنْتُ أَضْرِبُ مَعَ عُمَرَ النَّاسَ عَنْهُمَا» ، قَالَ كُرَيْبٌ: فَدَخَلْتُ عَلَيْهَا وَبَلَّغْتُهَا مَا أَرْسَلُونِي، فَقَالَتْ: سَلْ أُمَّ سَلَمَةَ، فَأَخْبَرْتُهُمْ فَرَدُّونِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِمِثْلِ مَا أَرْسَلُونِي إِلَى عَائِشَةَ، فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: " سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنْهُمَا، وَإِنَّهُ صَلَّى العَصْرَ، ثُمَّ دَخَلَ عَلَيَّ وَعِنْدِي نِسْوَةٌ مِنْ بَنِي حَرَامٍ مِنَ الأَنْصَارِ، فَصَلَّاهُمَا، فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ الخَادِمَ، فَقُلْتُ: قُومِي إِلَى جَنْبِهِ، فَقُولِي: تَقُولُ أُمُّ سَلَمَةَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَمْ أَسْمَعْكَ تَنْهَى عَنْ هَاتَيْنِ الرَّكْعَتَيْنِ؟ فَأَرَاكَ تُصَلِّيهِمَا، فَإِنْ أَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخِرِي، فَفَعَلَتِ الجَارِيَةُ، فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخَرَتْ عَنْهُ، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: «يَا بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ، سَأَلْتِ عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ العَصْرِ، إِنَّهُ أَتَانِي أُنَاسٌ مِنْ عَبْدِ القَيْسِ بِالإِسْلاَمِ مِنْ قَوْمِهِمْ، فَشَغَلُونِي عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ، فَهُمَا هَاتَانِ»
হাদীস নং: ৪০৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৭১
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৩৩. আব্দুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দল
৪০৩২। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ জু‘ফী (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর মসজিদে জুম’আর নামায জারী করার পর সর্বপ্রথম যে মসজিদ জুম’আর নামায জারী করা হয়েছিল তা হল বাহরাইনের জুয়াসা এলাকার আব্দুল কায়স গোত্রের মসজিদ।
كتاب المغازى
بَابُ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ
4371 - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الجُعْفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَبْدُ المَلِكِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ هُوَ ابْنُ طَهْمَانَ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: " أَوَّلُ جُمُعَةٍ جُمِّعَتْ، بَعْدَ جُمُعَةٍ جُمِّعَتْ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي مَسْجِدِ عَبْدِ القَيْسِ بِجُوَاثَى، يَعْنِي قَرْيَةً مِنَ البَحْرَيْنِ
তাহকীক: