আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
হাদীস নং: ৪০৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৮৪
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৩৮. আশ‘আরী ও ইয়ামানবাসীদের আগমন। নবী কারীম (ﷺ) থেকে আবু মুসা আশ‘আরী (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আশ‘আরীগণ আমার আর আমিও তাদের
৪০৪২। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ এবং ইসহাক ইবনে নাসর (রাহঃ) .... আবু মুসা আশ‘আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার ভাই ইয়ামান থেকে এসে অনেক দিন পর্যন্ত অবস্থান করেছি। এ সময়ে তাঁর [নবী কারীম (ﷺ)- এর] খিদমতে ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) ও তাঁর আম্মার অধিক আসা-যাওয়া ও ঘনিষ্ঠতার কারণে আমরা তাঁদেরকে তাঁর [নবী কারীম (ﷺ)- এর] পরিবারেরই অন্তর্ভুক্ত মনে করেছিলাম।
كتاب المغازى
بَابُ قُدُومِ الأَشْعَرِيِّينَ وَأَهْلِ اليَمَنِ وَقَالَ أَبُو مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هُمْ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُمْ»
4384 - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، قَالاَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي مُوسَى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «قَدِمْتُ أَنَا وَأَخِي مِنَ اليَمَنِ، فَمَكَثْنَا حِينًا، مَا نُرَى ابْنَ مَسْعُودٍ وَأُمَّهُ، إِلَّا مِنْ أَهْلِ البَيْتِ، مِنْ كَثْرَةِ دُخُولِهِمْ وَلُزُومِهِمْ لَهُ»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪০৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৮৫
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৩৮. আশ‘আরী ও ইয়ামানবাসীদের আগমন।
৪০৪৩। আবু নুআইম (রাহঃ) .... যাহদাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু মুসা (রাযিঃ) এ এলাকায় এসে জারম গোত্রের লোকদেরকে মর্যাদাবান করেছেন। একদা আমরা তাঁর কাছে বসা ছিলাম। এ সময়ে তিনি মুরগীর গোশত দিয়ে দুপুরের খানা খাচ্ছিলেন। উপস্থিতদের মধ্যে এক ব্যক্তি বসা ছিল। তিনি তাকে খানা খেতে ডাকলেন। সে বলল, আমি মুরগীকে একটি (খারাপ) জিনিস খেতে দেখেছি। এ জন্য খেতে আমার অরুচি লাগছে। তিনি বললেন, এসো। কেননা আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে মুরগী খেতে দেখেছি। সে বলল, আমি শপথ করে ফেলেছি যে, এটি খাবো না। তিনি বললেন, এসে পড়। তোমার শপথ সম্বন্ধে আমি তোমাকে জানাচ্ছি যে, আমরা আশ‘আরীদের একটি দল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকটে এসে তাঁর কাছে সওয়ারী চেয়েছিলাম। তিনি আমাদেরকে সওয়ারী দিতে অস্বীকার করলেন। এরপর আমরা (পূনরায়) তাঁর [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর] কাছে সওয়ারী চাইলাম।
তিনি তখন শপথ করে ফেললেন যে, আমাদেরকে তিনি সওয়ারী দেবেন না। কিছুক্ষণ পরেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে গনীমতের কিছু উট আনা হল। তিনি আমাদেরকে পাঁচটি করে উট দেয়ার আদেশ দিলেন। উটগুলো হাতে নেয়ার পর আমরা পরস্পর বললাম, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে তাঁর শপথ থেকে অমনোযোগী করে ফেলছি (এবং উট নিয়ে যাচ্ছি) এমন অবস্থায় কখনো আমরা কামিয়াব হতে পারবো না। কাজেই আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে এসে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি শপথ করেছিলেন যে, আমাদের সওয়ারী দেবেন না। এখনতো আপনি আমাদের সওয়ারী দিলেন। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই। তবে আমার নিয়ম হল, আমি যদি কোন ব্যাপারে শপথ করি আর এর বিপরীত কোনটিকে এ অপেক্ষা উত্তম মনে করি তাহলে (শপথকৃত ব্যাপার ত্যাগ করি) উত্তমটিকেই গ্রহণ করে নেই।
তিনি তখন শপথ করে ফেললেন যে, আমাদেরকে তিনি সওয়ারী দেবেন না। কিছুক্ষণ পরেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে গনীমতের কিছু উট আনা হল। তিনি আমাদেরকে পাঁচটি করে উট দেয়ার আদেশ দিলেন। উটগুলো হাতে নেয়ার পর আমরা পরস্পর বললাম, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে তাঁর শপথ থেকে অমনোযোগী করে ফেলছি (এবং উট নিয়ে যাচ্ছি) এমন অবস্থায় কখনো আমরা কামিয়াব হতে পারবো না। কাজেই আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে এসে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি শপথ করেছিলেন যে, আমাদের সওয়ারী দেবেন না। এখনতো আপনি আমাদের সওয়ারী দিলেন। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই। তবে আমার নিয়ম হল, আমি যদি কোন ব্যাপারে শপথ করি আর এর বিপরীত কোনটিকে এ অপেক্ষা উত্তম মনে করি তাহলে (শপথকৃত ব্যাপার ত্যাগ করি) উত্তমটিকেই গ্রহণ করে নেই।
كتاب المغازى
بَابُ قُدُومِ الأَشْعَرِيِّينَ وَأَهْلِ اليَمَنِ
4385 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ زَهْدَمٍ، قَالَ: لَمَّا قَدِمَ أَبُو مُوسَى أَكْرَمَ هَذَا الحَيَّ مِنْ جَرْمٍ، وَإِنَّا لَجُلُوسٌ عِنْدَهُ، وَهُوَ يَتَغَدَّى دَجَاجًا، وَفِي القَوْمِ رَجُلٌ جَالِسٌ، فَدَعَاهُ إِلَى الغَدَاءِ، فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُهُ يَأْكُلُ شَيْئًا فَقَذِرْتُهُ، فَقَالَ: هَلُمَّ، فَإِنِّي رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُهُ، فَقَالَ: إِنِّي حَلَفْتُ لاَ آكُلُهُ، فَقَالَ: هَلُمَّ أُخْبِرْكَ عَنْ يَمِينِكَ، إِنَّا أَتَيْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفَرٌ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ فَاسْتَحْمَلْنَاهُ، فَأَبَى أَنْ يَحْمِلَنَا، فَاسْتَحْمَلْنَاهُ فَحَلَفَ أَنْ لاَ يَحْمِلَنَا، ثُمَّ لَمْ يَلْبَثِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أُتِيَ بِنَهْبِ إِبِلٍ، فَأَمَرَ لَنَا بِخَمْسِ ذَوْدٍ، فَلَمَّا قَبَضْنَاهَا قُلْنَا: تَغَفَّلْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمِينَهُ، لاَ نُفْلِحُ بَعْدَهَا أَبَدًا، فَأَتَيْتُهُ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّكَ حَلَفْتَ أَنْ لاَ تَحْمِلَنَا وَقَدْ حَمَلْتَنَا؟ قَالَ: «أَجَلْ، وَلَكِنْ لاَ أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ، فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا، إِلَّا أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ مِنْهَا»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪০৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৮৬
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৩৮. আশ‘আরী ও ইয়ামানবাসীদের আগমন।
৪০৪৪। আমর ইবনে আলী (রাহঃ) .... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনী তামীমের লোকজন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে আসলে তিনি তাদেরকে বললেন, হে বনী তামীম! খোশ-খবরী গ্রহণ কর। তারা বলল, আপনি খোশ-খবরী তো দিলেন, কিন্তু এখন আমাদেরকে (কিছু আর্থিক সাহায্য) দান করুন। কথাটি শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর চেহেরা মুবারক বিবর্ণ হয়ে গেল। এমন সময়ে ইয়ামানী কিছু লোক আসল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, বনী তামীম যখন খোশ-খবর গ্রহণ করলো না, তাহলে তোমরাই তা গ্রহণ কর। তাঁরা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা তা কবুল করলাম।
كتاب المغازى
بَابُ قُدُومِ الأَشْعَرِيِّينَ وَأَهْلِ اليَمَنِ
4386 - حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا أَبُو صَخْرَةَ جَامِعُ بْنُ شَدَّادٍ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ مُحْرِزٍ المَازِنِيُّ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ، قَالَ: جَاءَتْ بَنُو تَمِيمٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «أَبْشِرُوا يَا بَنِي تَمِيمٍ» قَالُوا: أَمَّا إِذْ بَشَّرْتَنَا فَأَعْطِنَا، فَتَغَيَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ اليَمَنِ فَقَالَ: النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «اقْبَلُوا البُشْرَى إِذْ لَمْ يَقْبَلْهَا بَنُو تَمِيمٍ» قَالُوا: قَدْ قَبِلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৮৭
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৩৮. আশ‘আরী ও ইয়ামানবাসীদের আগমন।
৪০৪৫। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ আল-জু‘ফী (রাহঃ) .... আবু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী কারীম (ﷺ) ইয়ামানের দিকে তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করে বলেছেন, ঈমান হল ওখানে। আর কঠোরতা ও হৃদয়হীনতা হল রাবীয়া ও মুযার গোত্রদ্বয়ের সেসব মানুষের মধ্যে যারা উটের লেজের কাছে দাঁড়িয়ে চিৎকার দেয়, যেখান থেকে উদিত হয়ে থাকে শয়তানের উভয় শিং।
كتاب المغازى
بَابُ قُدُومِ الأَشْعَرِيِّينَ وَأَهْلِ اليَمَنِ
4387 - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الجُعْفِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الإِيمَانُ هَا هُنَا وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى اليَمَنِ، وَالجَفَاءُ وَغِلَظُ القُلُوبِ فِي الفَدَّادِينَ عِنْدَ أُصُولِ أَذْنَابِ الإِبِلِ، مِنْ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنَا الشَّيْطَانِ رَبِيعَةَ، وَمُضَرَ»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪০৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৮৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৩৮. আশ‘আরী ও ইয়ামানবাসীদের আগমন।
৪০৪৬। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়ামানবাসীরা তোমাদের কাছে এসেছে। তাঁরা অন্তরের দিক থেকে অত্যন্ত কোমল ও দরদী। ঈমান হল ইয়ামানীদের, হিকমত হল ইয়ামানীদের, আত্মম্ভরিতা ও অহংকার রয়েছে উট-ওয়ালাদের মধ্যে, বকরী পালকদের মধ্যে আছে প্রশান্তি ও গাম্ভীর্য। গুণদুর (রাহঃ) এ হাদীসটি শুবা-সুলায়মান- যাকওয়ান (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
كتاب المغازى
بَابُ قُدُومِ الأَشْعَرِيِّينَ وَأَهْلِ اليَمَنِ
4388 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَاكُمْ أَهْلُ اليَمَنِ، هُمْ أَرَقُّ أَفْئِدَةً وَأَلْيَنُ قُلُوبًا، الإِيمَانُ يَمَانٍ وَالحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ، وَالفَخْرُ وَالخُيَلاَءُ فِي أَصْحَابِ الإِبِلِ، وَالسَّكِينَةُ وَالوَقَارُ فِي أَهْلِ الغَنَمِ» ، وَقَالَ: غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، سَمِعْتُ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ [ص:174]، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৮৯
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৩৮. আশ‘আরী ও ইয়ামানবাসীদের আগমন।
৪০৪৭। ইসমাঈল (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী কারীম (ﷺ) বলেছেন, ঈমান হল ইয়ামানীদের, আর ফিতনা (বিপর্যয়ের) গোড়া হল ওখানে, যেখানে উদিত হয় শয়তানের শিং।
كتاب المغازى
بَابُ قُدُومِ الأَشْعَرِيِّينَ وَأَهْلِ اليَمَنِ
4389 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي الغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الإِيمَانُ يَمَانٍ، وَالفِتْنَةُ هَا هُنَا، هَا هُنَا يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৯০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৩৮. আশ‘আরী ও ইয়ামানবাসীদের আগমন।
৪০৪৮। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়ামানবাসীরা তোমাদের কাছে এসেছে। তাঁরা অন্তরের দিক থেকে অত্যন্ত কোমল। আর মনের দিক থেকে অত্যন্ত দয়ার্দ্র। ফিকাহ্ হল ইয়ামানীদের আর হিকমাত হল ইয়ামানীদের।
كتاب المغازى
بَابُ قُدُومِ الأَشْعَرِيِّينَ وَأَهْلِ اليَمَنِ
4390 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَتَاكُمْ أَهْلُ اليَمَنِ، أَضْعَفُ قُلُوبًا، وَأَرَقُّ أَفْئِدَةً، الفِقْهُ يَمَانٍ وَالحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৯১
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৩৮. আশ‘আরী ও ইয়ামানবাসীদের আগমন।
৪০৪৯। আবদান (রাহঃ) .... আলকামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)- এর কাছে বসা ছিলাম। তখন সেখানে খাব্বাব (রাযিঃ) এসে বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান (ইবনে মাসউদ)! এসব তরুন কি আপনার তিলাওয়াতের মতো তিলাওয়াত করতে পারে? তিনি বললেন, আপনি যদি চান তাহলে একজনকে হুকুম দেই যে, সে আপনাকে তিলাওয়াত করে শোনাবে। তিনি বললেন, অবশ্যই। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বললেন, ওহে আলকামা, পড় তো। তখন যিয়াদ ইবনে হুদায়রের ভাই যায়দ ইবনে হুদায়র বলল, আপনি আলকামাকে পড়তে হুকুম করেছেন, অথচ সে তো আমাদের মধ্যে ভাল তিলাওয়াতকারী নয়। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বললেন, যদি তুমি চাও, তাহলে আমি তোমার গোত্র ও তার গোত্র সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি বলেছেন তা জানিয়ে দিতে পারি।
(আলকামা বলেন) এরপর আমি সূরায়ে মারয়াম থেকে পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত করলাম। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, আপনার কেমন মনে হয়? তিনি বললেন, বেশ ভালোই পড়েছে। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, আমি যা কিছু পড়ি, তার সবই সে পড়ে নেয়। এরপর তিনি খাব্বাব (রাযিঃ)- এর দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলেন, তার হাতে একটি সোনার আংটি। তিনি বললেন, এখনো কি এ আংটি খুলে ফেলার সময় হয়নি? খাব্বাব (রাযিঃ) বললেন, ঠিক আছে, আজকের পর আর এটি আমার হাতে দেখতে পাবেন না। এ কথা বলে তিনি আংটিটি ফেলে দিলেন। হাদীসটি গুণদুর (রাহঃ) শু’বা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
(আলকামা বলেন) এরপর আমি সূরায়ে মারয়াম থেকে পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত করলাম। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, আপনার কেমন মনে হয়? তিনি বললেন, বেশ ভালোই পড়েছে। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, আমি যা কিছু পড়ি, তার সবই সে পড়ে নেয়। এরপর তিনি খাব্বাব (রাযিঃ)- এর দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলেন, তার হাতে একটি সোনার আংটি। তিনি বললেন, এখনো কি এ আংটি খুলে ফেলার সময় হয়নি? খাব্বাব (রাযিঃ) বললেন, ঠিক আছে, আজকের পর আর এটি আমার হাতে দেখতে পাবেন না। এ কথা বলে তিনি আংটিটি ফেলে দিলেন। হাদীসটি গুণদুর (রাহঃ) শু’বা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
كتاب المغازى
بَابُ قُدُومِ الأَشْعَرِيِّينَ وَأَهْلِ اليَمَنِ
4391 - حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ: " كُنَّا جُلُوسًا مَعَ ابْنِ مَسْعُودٍ، فَجَاءَ خَبَّابٌ، فَقَالَ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَيَسْتَطِيعُ هَؤُلاَءِ الشَّبَابُ أَنْ يَقْرَءُوا كَمَا تَقْرَأُ؟ قَالَ: أَمَا إِنَّكَ لَوْ شِئْتَ أَمَرْتُ بَعْضَهُمْ يَقْرَأُ عَلَيْكَ؟ قَالَ: أَجَلْ، قَالَ: اقْرَأْ يَا عَلْقَمَةُ، فَقَالَ زَيْدُ بْنُ حُدَيْرٍ، أَخُو زِيَادِ بْنِ حُدَيْرٍ: أَتَأْمُرُ عَلْقَمَةَ أَنْ يَقْرَأَ وَلَيْسَ بِأَقْرَئِنَا؟ قَالَ: أَمَا إِنَّكَ إِنْ شِئْتَ أَخْبَرْتُكَ بِمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَوْمِكَ وَقَوْمِهِ؟ فَقَرَأْتُ خَمْسِينَ آيَةً مِنْ سُورَةِ مَرْيَمَ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: كَيْفَ تَرَى؟ قَالَ: قَدْ أَحْسَنَ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: مَا أَقْرَأُ شَيْئًا إِلَّا وَهُوَ يَقْرَؤُهُ، ثُمَّ التَفَتَ إِلَى خَبَّابٍ وَعَلَيْهِ خَاتَمٌ مِنْ ذَهَبٍ، فَقَالَ: أَلَمْ يَأْنِ لِهَذَا الخَاتَمِ أَنْ يُلْقَى، قَالَ: أَمَا إِنَّكَ لَنْ تَرَاهُ عَلَيَّ بَعْدَ اليَوْمِ، فَأَلْقَاهُ " رَوَاهُ غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ
তাহকীক: