আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ৪০৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪২৮ - ৪৪২৯
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত। মহান আল্লাহর বাণীঃ আপনিতো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল। এরপর কিয়ামত দিবসে তোমরা পরস্পর তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে বাক-বিতণ্ডা করবে (৩৯ঃ ৩০,৩১) ইউনুস (রাহঃ) যুহরী ও উরওয়া (রাহঃ) সূত্রে বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, নবী কারীম (ﷺ) যে রোগে ইন্তিকাল করেন সে সময় তিনি বলতেন, হে আয়িশা! আমি খায়বারে (বিষযুক্ত) যে খাদ্য ভক্ষণ করেছিলাম, আমি সর্বদা তার যন্ত্রণা অনুভব করছি। আর এখন সেই সময় আগত, যখন সে বিষক্রিয়ায় আমার প্রাণবায়ু বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে
৪০৮৬। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) .... উম্মুল ফদল বিনতে হারিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে মাগরিবের নামাযে সূরা “ওয়াল মুরসালাতি উরফা” পাঠ করতে শুনেছি। তারপর আল্লাহ্ তাআলা তাঁর রুহ মুবারক কবজ করা পর্যন্ত তিনি আর আমাদের নিয়ে কোন নামায আদায় করেননি।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ ثُمَّ إِنَّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ رَبِّكُمْ تَخْتَصِمُونَ وَقَالَ يُونُسُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ عُرْوَةُ: قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ: «يَا عَائِشَةُ مَا أَزَالُ أَجِدُ أَلَمَ الطَّعَامِ الَّذِي أَكَلْتُ بِخَيْبَرَ، فَهَذَا أَوَانُ وَجَدْتُ انْقِطَاعَ أَبْهَرِي مِنْ ذَلِكَ السُّمِّ»
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ بِنْتِ الْحَارِثِ، قَالَتْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِ ـ (الْمُرْسَلاَتِ عُرْفًا) ثُمَّ مَا صَلَّى لَنَا بَعْدَهَا حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ.
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪০৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪০৮৭। মুহাম্মাদ ইবনে আরআরা (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)- কে তাঁর কাছে বসাতেন। এতে আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) তাঁকে বললেন, আমাদেরও তো ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)- এর সমবয়সী ছেলেপুলে আছে! তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, সে কিরূপ মর্যাদার লোক তা তো আপনারাও জানেন। এরপর উমর (রাযিঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)- কে إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ এই আয়াতের প্রকৃত মর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তখন তিনি বললেন, এতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ইন্তিকালের খবর (তাঁকে অবগত করানো হয়েছে)। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, আমিও তা-ই মনে করি যা তুমি মনে করেছ।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4430 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: كَانَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يُدْنِي ابْنَ عَبَّاسٍ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ: إِنَّ لَنَا أَبْنَاءً مِثْلَهُ، فَقَالَ: إِنَّهُ مِنْ حَيْثُ تَعْلَمُ، فَسَأَلَ عُمَرُ، ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ هَذِهِ الآيَةِ: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالفَتْحُ} [النصر: 1] . فَقَالَ: «أَجَلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْلَمَهُ إِيَّاهُ» فَقَالَ: مَا أَعْلَمُ مِنْهَا إِلَّا مَا تَعْلَمُ
হাদীস নং: ৪০৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩১
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪০৮৮। কুতায়বা (রাহঃ) .... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রহ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, বৃহস্পতিবার! বৃহস্পতিবারের ঘটনা কি? নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ-জ্বালা প্রবলভাবে দেখা দেয়। তখন তিনি বললেন, তোমরা আমার কাছে আস, আমি তোমাদের জন্য কিছু লিখে দিয়ে যাই যেন তোমরা এরপর কখনও বিভ্রান্ত না হও। তখন তারা পরস্পর মতভেদ করতে থাকে। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সামনে মতবিরোধ করা শোভনীয় নয়। এরপর কিছুসংখ্যক লোক বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর অবস্থা কেমন? তিনি কি প্রলাপ বকছেন? তোমরা তাঁর কাছ থেকে ব্যাপারটি বুঝে নাও।
এতে তারা নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে ব্যাপারটি পুনরুত্থাপনের উদ্যোগ নিলেন। তখন তিনি বললেন, তোমরা আমাকে আমার অবস্থায় ছেড়ে দাও, তোমরা যে কাজের দিকে আমাকে আহবান জানাচ্ছ তার চেয়ে আমি উত্তম অবস্থায় অবস্থান করছি। আর নবী কারীম (ﷺ) তাঁদেরকে তিনটি নসীহত করলেন (১) আরব উপদ্বীপ থেকে মুশরিকদের বহিষ্কার করে দিবে, (২) দূতদের সেরূপ আদর-আপ্যায়ন করবে যেমন আমি করতাম এবং তৃতীয়টি বলা থেকে তিনি নীরব থাকলেন অথবা বর্ণনাকারী বলেন, তৃতীয়টি আমি ভুলে গিয়েছি।
এতে তারা নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে ব্যাপারটি পুনরুত্থাপনের উদ্যোগ নিলেন। তখন তিনি বললেন, তোমরা আমাকে আমার অবস্থায় ছেড়ে দাও, তোমরা যে কাজের দিকে আমাকে আহবান জানাচ্ছ তার চেয়ে আমি উত্তম অবস্থায় অবস্থান করছি। আর নবী কারীম (ﷺ) তাঁদেরকে তিনটি নসীহত করলেন (১) আরব উপদ্বীপ থেকে মুশরিকদের বহিষ্কার করে দিবে, (২) দূতদের সেরূপ আদর-আপ্যায়ন করবে যেমন আমি করতাম এবং তৃতীয়টি বলা থেকে তিনি নীরব থাকলেন অথবা বর্ণনাকারী বলেন, তৃতীয়টি আমি ভুলে গিয়েছি।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4431 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَحْوَلِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: يَوْمُ الخَمِيسِ، وَمَا يَوْمُ الخَمِيسِ؟ اشْتَدَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَعُهُ، فَقَالَ: «ائْتُونِي أَكْتُبْ لَكُمْ كِتَابًا لَنْ تَضِلُّوا بَعْدَهُ أَبَدًا» ، فَتَنَازَعُوا وَلاَ يَنْبَغِي عِنْدَ نَبِيٍّ تَنَازُعٌ، فَقَالُوا: مَا شَأْنُهُ، أَهَجَرَ اسْتَفْهِمُوهُ؟ فَذَهَبُوا يَرُدُّونَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: «دَعُونِي، فَالَّذِي أَنَا فِيهِ خَيْرٌ مِمَّا تَدْعُونِي إِلَيْهِ» وَأَوْصَاهُمْ بِثَلاَثٍ، قَالَ: «أَخْرِجُوا المُشْرِكِينَ مِنْ جَزِيرَةِ العَرَبِ، وَأَجِيزُوا الوَفْدَ بِنَحْوِ مَا كُنْتُ أُجِيزُهُمْ» وَسَكَتَ عَنِ الثَّالِثَةِ أَوْ قَالَ فَنَسِيتُهَا "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩২
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪০৮৯। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ওফাতের সময় যখন নিকটবর্তী হল এবং ঘরে ছিলো লোকের সমাবেশ, তখন নবী কারীম (ﷺ) বললেন, তোমরা আস, আমি তোমাদের জন্য কিছু লিখে দেই, যেন তোমরা পরবর্তীতে পথভ্রষ্ট না হও। তখন তাদের মধ্যকার কিছু লোক বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রোগ-যন্ত্রণার কঠিনতর অবস্থায় আছেন, আর তোমাদের কাছে তো কুরআন মজুদ আছে। আল্লাহর কিতাবই আমাদের জন্য যথেষ্ট।
ইত্যবসরে নবী কারীম (ﷺ)- এর পরিবারের লোকজনের মধ্যে মতানৈক্য শুরু হয়ে যায়, এবং তারা পরস্পর বাক-বিতণ্ডা করতে থাকেন। তাদের কেউ বললেন, তোমরা কাগজ উপস্থিত কর, তিনি তোমাদের জন্য কিছু লিখে দিন। যাতে তোমরা তাঁর পরে কোন বিভ্রান্তিতে নিপতিত না হও। আবার কেউ বললেন এর বিপরীত। এরপর যখন বাক-বিতণ্ডা ও মতবিরোধ চরমে পৌঁছল, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা উঠে চলে যাও। উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলতেন, এ ছিল অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবায়ে কিরামের জন্য কিছু লিখে দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের মতবিরোধ ও উচ্চ শব্দই মূলত প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
ইত্যবসরে নবী কারীম (ﷺ)- এর পরিবারের লোকজনের মধ্যে মতানৈক্য শুরু হয়ে যায়, এবং তারা পরস্পর বাক-বিতণ্ডা করতে থাকেন। তাদের কেউ বললেন, তোমরা কাগজ উপস্থিত কর, তিনি তোমাদের জন্য কিছু লিখে দিন। যাতে তোমরা তাঁর পরে কোন বিভ্রান্তিতে নিপতিত না হও। আবার কেউ বললেন এর বিপরীত। এরপর যখন বাক-বিতণ্ডা ও মতবিরোধ চরমে পৌঁছল, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা উঠে চলে যাও। উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলতেন, এ ছিল অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবায়ে কিরামের জন্য কিছু লিখে দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের মতবিরোধ ও উচ্চ শব্দই মূলত প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4432 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: لَمَّا حُضِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي البَيْتِ رِجَالٌ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلُمُّوا أَكْتُبْ لَكُمْ كِتَابًا لاَ تَضِلُّوا بَعْدَهُ» ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:10] قَدْ غَلَبَهُ الوَجَعُ، وَعِنْدَكُمُ القُرْآنُ حَسْبُنَا، كِتَابُ اللَّهِ فَاخْتَلَفَ أَهْلُ البَيْتِ وَاخْتَصَمُوا، فَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ قَرِّبُوا يَكْتُبُ لَكُمْ كِتَابًا لاَ تَضِلُّوا بَعْدَهُ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ غَيْرَ ذَلِكَ، فَلَمَّا أَكْثَرُوا اللَّغْوَ وَالِاخْتِلاَفَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قُومُوا» قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ، فَكَانَ يَقُولُ ابْنُ عَبَّاسٍ: «إِنَّ الرَّزِيَّةَ كُلَّ الرَّزِيَّةِ، مَا حَالَ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَ أَنْ يَكْتُبَ لَهُمْ ذَلِكَ الكِتَابَ، لِاخْتِلاَفِهِمْ وَلَغَطِهِمْ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩৩
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪০৯০। ইয়াসারা ইবনে সাফয়ান ইবনে জামীল আল লাখমী (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ)- এর মৃত্যু-রোগকালে ফাতিমা (রাযিঃ)- কে ডেকে আনলেন এবং চুপে চুপে কিছু বললেন, তখন ফাতিমা (রাযিঃ) কেঁদে ফেললেন, এরপর নবী কারীম (ﷺ) পূনরায় তাঁকে ডেকে চুপে চুপে কিছু বললেন, তখন তিনি হাসলেন। পরে আমরা এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, নবী কারীম (ﷺ) যে রোগে আক্রান্ত আছেন এ রোগেই তাঁর ইন্তিকাল হবে। এ কথাটিই তিনি গোপনে আমাকে বলেছেন। তখন আমি কাঁদলাম। আবার তিনি আমাকে চুপে চুপে বললেন, তাঁর পরিবার-পরিজনের মধ্যে সর্বপ্রথম আমিই তাঁর সঙ্গে মিলিত হব, তখন আমি হাসলাম।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4433 - حَدَّثَنَا يَسَرَةُ بْنُ صَفْوَانَ بْنِ جَمِيلٍ اللَّخْمِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: دَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ فِي شَكْوَاهُ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ، فَسَارَّهَا بِشَيْءٍ فَبَكَتْ، ثُمَّ دَعَاهَا فَسَارَّهَا بِشَيْءٍ فَضَحِكَتْ، فَسَأَلْنَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ: «سَارَّنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ يُقْبَضُ فِي وَجَعِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ فَبَكَيْتُ، ثُمَّ سَارَّنِي فَأَخْبَرَنِي أَنِّي أَوَّلُ أَهْلِهِ يَتْبَعُهُ فَضَحِكْتُ»
হাদীস নং: ৪০৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩৫
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪০৯১। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একথা শুনছিলাম যে, কোন নবী মারা যান না যতক্ষণ না তাঁকে ইখতিয়ার প্রদান করা হয় দুনিয়া বা আখিরাত গ্রহণ করার। যে রোগে নবী কারীম (ﷺ) ইন্তিকাল করেন সে রোগে আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে মৃত্যু যন্ত্রণায় আক্রান্তাবস্থায় বলতে শুনেছি, তাঁদের সাথে যাঁদের প্রতি আল্লাহ্ তাআলা নিআমত প্রদান করেছেন [তাঁরা হলেন, নবী (আলাইহিস সালাম) গণ, সিদ্দীকগণ এবং শহীদগণ।] (৪ঃ ৭২) তখন আমি ধারণা করলাম যে তিনিও ইখতিয়ার প্রাপ্ত হয়েছেন।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4435 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كُنْتُ أَسْمَعُ: " أَنَّهُ لاَ يَمُوتُ نَبِيٌّ حَتَّى يُخَيَّرَ بَيْنَ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، فَسَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، وَأَخَذَتْهُ بُحَّةٌ، يَقُولُ: {مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ} [النساء: 69] الآيَةَ فَظَنَنْتُ أَنَّهُ خُيِّرَ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩৬
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪০৯২। মুসলিম (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন নবী কারীম (ﷺ) মৃত্যু রোগে আক্রান্ত হন, তখন তিনি বলছিলেন, ‘‘ফির রফীকিল আলা।” উর্ধ্বলোকের বন্ধুর সাথে (আমাকে মিলিত করুন।)
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4436 - حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: لَمَّا مَرِضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَرَضَ الَّذِي مَاتَ فِيهِ جَعَلَ يَقُولُ: «فِي الرَّفِيقِ الأَعْلَى»
হাদীস নং: ৪০৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩৭
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪০৯৩। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সুস্থাবস্থায় বলতেন, কোন নবী (আলাইহিস সালাম)- এর প্রাণ কখনো কবজ করা হয়নি, যতক্ষণ না তাঁর স্থান জান্নাতে দেখানো হয়েছে। তারপর তাঁকে জীবিত রাখা হয় অথবা ইন্তিকালের ইখতিয়ার দেয়া হয়। এরপর যখন নবী কারীম (ﷺ) অসুস্থ হয়ে পড়লেন এবং তাঁর মাথা আয়েশা (রাযিঃ)- এর উরুতে রাখাবস্থায় তাঁর জান কবজের সময় উপস্থিত হল তখন তিনি চৈতন্যহীন হয়ে পড়লেন। এরপর যখন তিনি চেতনা ফিরে পেলেন তখন তিনি ঘরের ছাদের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বললেন, হে আল্লাহ্! উর্ধ্বজগতের মহান বন্ধুর সাথে (আমাকে মিলিত করুন)। অনন্তর আমি বললাম, তিনি আর আমাদের মাঝে থাকছেন না। এরপর আমি উপলব্ধি করলাম যে, ইহা ঐ কথাই যা তিনি আমাদের কাছে বর্ণনা করতেন। আর তাই ঠিক।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4437 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، إِنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ صَحِيحٌ يَقُولُ: " إِنَّهُ لَمْ يُقْبَضْ نَبِيٌّ قَطُّ حَتَّى يَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الجَنَّةِ، ثُمَّ يُحَيَّا أَوْ يُخَيَّرَ، فَلَمَّا اشْتَكَى وَحَضَرَهُ القَبْضُ وَرَأْسُهُ عَلَى فَخِذِ عَائِشَةَ غُشِيَ عَلَيْهِ، فَلَمَّا أَفَاقَ شَخَصَ بَصَرُهُ نَحْوَ سَقْفِ البَيْتِ، ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ فِي الرَّفِيقِ الأَعْلَى» فَقُلْتُ: إِذًا لاَ يُجَاوِرُنَا، فَعَرَفْتُ أَنَّهُ حَدِيثُهُ الَّذِي كَانَ يُحَدِّثُنَا وَهُوَ صَحِيحٌ
হাদীস নং: ৪০৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪০৯৪। মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে এলেন। তখন আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে আমার বুকে হেলান দেওয়া অবস্থায় রেখেছিলাম এবং আব্দুর রহমানের হাতে তাজা মিসওয়াকের ডাল ছিল যা দিয়ে সে দাঁত পরিষ্কার করছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার দিকে বিশেষ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিলেন। আমি মিসওয়াকটি নিলাম এবং তা চিবিয়ে নরম করলাম। তারপর তা নবী কারীম (ﷺ)- কে দিলাম। তখন নবী কারীম (ﷺ) তা দিয়ে দাঁত মর্দন করলেন। আমি তাঁকে এর আগে এতো সুন্দরভাবে মিসওয়াক করতে আর কখনোও দেখিনি। এ থেকে অবসর হয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর উভয় হাত অথবা আঙ্গুল উপরে উঠিয়ে তিনবার বললেন, উর্ধ্বলোকের মহান বন্ধুর সাথে (আমাকে মিলিত করুন), তারপর তিনি ইন্তিকাল করলেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলতেন, নবী কারীম (ﷺ) আমার বুক ও থুতনির মধ্যস্থলে থাকাবস্থায় ইন্তিকাল করেন।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4438 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، عَنْ صَخْرِ بْنِ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ القَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، دَخَلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا مُسْنِدَتُهُ إِلَى صَدْرِي، وَمَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ سِوَاكٌ رَطْبٌ يَسْتَنُّ بِهِ، فَأَبَدَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَصَرَهُ، فَأَخَذْتُ السِّوَاكَ فَقَصَمْتُهُ، وَنَفَضْتُهُ وَطَيَّبْتُهُ، ثُمَّ دَفَعْتُهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَنَّ بِهِ، فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَنَّ اسْتِنَانًا قَطُّ أَحْسَنَ مِنْهُ، فَمَا عَدَا أَنْ فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَفَعَ يَدَهُ [ص:11] أَوْ إِصْبَعَهُ ثُمَّ قَالَ «فِي الرَّفِيقِ الأَعْلَى» . ثَلاَثًا، ثُمَّ قَضَى، وَكَانَتْ تَقُولُ: مَاتَ بَيْنَ حَاقِنَتِي وَذَاقِنَتِي
হাদীস নং: ৪০৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩৯
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪০৯৫। হিব্বান (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অসুস্থ হয়ে পড়তেন তখন তিনি আশ্রয় প্রার্থনার দুই সূরা (ফালাক ও নাস) পাঠ করে নিজ দেহে ফুঁক দিতেন এবং স্বীয় হাত দ্বারা শরীর মাসাহ্ করতেন। এরপর যখন তিনি মৃত্যু-রোগে আক্রান্ত হলেন, তখন আমি আশ্রয় প্রার্থনার সূরাদ্বয় দ্বারা তাঁর শরীরে দম করতাম, যা দিয়ে তিনি দম করতেন। আমি তাঁর হাত দ্বারা তাঁর শরীর মাসাহ্ করিয়ে দিতাম।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4439 - حَدَّثَنِي حِبَّانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَخْبَرَتْهُ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا اشْتَكَى نَفَثَ عَلَى نَفْسِهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ، وَمَسَحَ عَنْهُ بِيَدِهِ، فَلَمَّا اشْتَكَى وَجَعَهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ، طَفِقْتُ أَنْفِثُ عَلَى نَفْسِهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ الَّتِي كَانَ يَنْفِثُ، وَأَمْسَحُ بِيَدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْهُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৪০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪০৯৬। মুআল্লাহ্ ইবনে আসাদ (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ)- এর ওফাতের পূর্বে যখন তাঁর পিঠ আমার উপর হেলান দেয়া অবস্থায় ছিল, তখন আমি কান ঝুঁকিয়ে দিয়ে নবী কারীম (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি, হে আল্লাহ্! আমাকে মাফ করুন, রহম করুন এবং (উর্ধ্বজগতের) মহান বন্ধুর সাথে আমাকে মিলিত করুন।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4440 - حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ مُخْتَارٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا سَمِعَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْغَتْ إِلَيْهِ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ، وَهُوَ مُسْنِدٌ إِلَيَّ ظَهْرَهُ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي، وَأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ»
হাদীস নং: ৪০৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৪১
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪০৯৭। সালত ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে রোগ থেকে নবী কারীম (ﷺ) আর সুস্থ হয়ে উঠেননি সে রোগাবস্থায় তিনি বলেন, ইহুদীদের প্রতি আল্লাহ্ লা‘নত করেছেন। তারা তাদের নবীদের কবরগুলোকে সিজদার স্থানে পরিনত করেছে। আয়েশা (রাযিঃ) মন্তব্য করেন, এরূপ প্রথা যদি না থাকত তবে তাঁর কবরকেও খোলা রাখা হতো। কারণ তাঁর কবরকেও মসজিদ (সিজদার স্থান) বানানোর আশঙ্কা ছিল।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4441 - حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ هِلاَلٍ الوَزَّانِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي لَمْ يَقُمْ مِنْهُ: «لَعَنَ اللَّهُ اليَهُودَ اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ» ، قَالَتْ عَائِشَةُ: «لَوْلاَ ذَلِكَ لَأُبْرِزَ قَبْرُهُ خَشِيَ أَنْ يُتَّخَذَ مَسْجِدًا»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৪২ - ৪৪৪৫
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪০৯৮। সাঈদ ইবনে উফায়র (রাহঃ) .... নবী সহধর্মিনী আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর রোগ প্রবল হল ও ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করল, তখন তিনি আমার ঘরে সেবা-শুশ্রুষা করার ব্যাপারে তাঁর বিবিগণের নিকট অনুমতি চাইলেন। তখন তাঁরা তাঁকে অনুমতি দিলেন। তারপর নবী কারীম (ﷺ) ঘর থেকে বের হয়ে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) ও অপর একজন সাহাবীর সাহায্যে জমীনের উপর পা হিঁচড়ে চলতে লাগলেন। উবাইদুল্লাহ্ (রাহঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)- কে আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) কথিত ব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করলাম, তখন তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি সেই দ্বিতীয় ব্যক্তি যার নাম আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) উল্লেখ করেননি, তার নাম জান? আমি বললাম, না। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, তিনি হলেন আলী (রাযিঃ)।
নবী কারীম (ﷺ)- এর সহধর্মিনী আয়েশা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার ঘরে প্রবেশ করলেন এবং তাঁর ব্যথা বেড়ে গেল, তখন তিনি বললেন, তোমরা এমন সাত মশক যার মুখ এখনোও খোলা হয়নি, তা থেকে আমার শরীরে পানি ঢেলে দাও। যেন আমি (সুস্থ হয়ে) লোকদের উপদেশ দিতে পারি। এরপর আমরা তাঁকে নবী কারীম (ﷺ)- এর সহধর্মিনী হাফসা (রাযিঃ)- এর একটি বড় গামলায় বসালাম। তারপর আমরা উক্ত মশক হতে তাঁর উপর ততক্ষণ পর্যন্ত পানি ঢালা অব্যাহত রাখলাম, যতক্ষণ না তিনি তাঁর হাত দ্বারা আমাদের ইশারা করে জানালেন যে, তোমরা তোমাদের কাজ সম্পন্ন করেছ। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, তারপর নবী কারীম (ﷺ) লোকদের কাছে গিয়ে তাদের সাথে জামাতে নামায আদায় করলেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন।
উবাইদুল্লাহ্ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উতবা (রাহঃ) আমাকে জানালেন যে, আয়েশা ও আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) উভয়ে বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রোগ-যাতনায় অস্থির হতেন তখন তিনি তাঁর কালো চাঁদর দিয়ে নিজ মুখমণ্ডল ঢেকে রাখতেন। আবার যখন জ্বরের উষ্ণতা হ্রাস পেত তখন মুখমণ্ডল থেকে চাঁদর সরিয়ে ফেলতেন। রাবী বলেন, এরূপ অবস্থায়ও তিনি বলতেন, ইহুদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহর লানত, তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিনত করেছে। তাদের কৃতকর্ম থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
উবাইদুল্লাহ্ (রাহঃ) বলেন যে, আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি আবু বকর (রাযিঃ)- এর ইমামতির ব্যাপারে নবী কারীম (ﷺ)- কে বারবার আপত্তি করেছি। আর আমার তাঁর কাছে বারবার আপত্তি করার কারণ ছিল এই, আমার অন্তরে একথা আসেনি যে, নবী কারীম (ﷺ)- এর পরে তাঁর স্থলে কেউ দাঁড়ালে লোকেরা তাকে পছন্দ করবে। বরং আমি মনে করতাম যে, কেউ তাঁর স্থলে দাঁড়ালে লোকেরা তাঁর প্রতি খারাপ ধারণা পোষন করবে, তাই আমি ইচ্ছা করলাম যে, নবী কারীম (ﷺ) এ দায়িত্ব আবু বকর (রাযিঃ)- এর পরিবর্তে অন্য কাউকে প্রদান করুন। আবু আব্দুল্লাহ বুখারী (রাহঃ) বলেন, এ হাদীস ইবনে উমর, আবু মুসা ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নবী কারীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
নবী কারীম (ﷺ)- এর সহধর্মিনী আয়েশা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার ঘরে প্রবেশ করলেন এবং তাঁর ব্যথা বেড়ে গেল, তখন তিনি বললেন, তোমরা এমন সাত মশক যার মুখ এখনোও খোলা হয়নি, তা থেকে আমার শরীরে পানি ঢেলে দাও। যেন আমি (সুস্থ হয়ে) লোকদের উপদেশ দিতে পারি। এরপর আমরা তাঁকে নবী কারীম (ﷺ)- এর সহধর্মিনী হাফসা (রাযিঃ)- এর একটি বড় গামলায় বসালাম। তারপর আমরা উক্ত মশক হতে তাঁর উপর ততক্ষণ পর্যন্ত পানি ঢালা অব্যাহত রাখলাম, যতক্ষণ না তিনি তাঁর হাত দ্বারা আমাদের ইশারা করে জানালেন যে, তোমরা তোমাদের কাজ সম্পন্ন করেছ। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, তারপর নবী কারীম (ﷺ) লোকদের কাছে গিয়ে তাদের সাথে জামাতে নামায আদায় করলেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন।
উবাইদুল্লাহ্ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উতবা (রাহঃ) আমাকে জানালেন যে, আয়েশা ও আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) উভয়ে বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রোগ-যাতনায় অস্থির হতেন তখন তিনি তাঁর কালো চাঁদর দিয়ে নিজ মুখমণ্ডল ঢেকে রাখতেন। আবার যখন জ্বরের উষ্ণতা হ্রাস পেত তখন মুখমণ্ডল থেকে চাঁদর সরিয়ে ফেলতেন। রাবী বলেন, এরূপ অবস্থায়ও তিনি বলতেন, ইহুদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহর লানত, তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিনত করেছে। তাদের কৃতকর্ম থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
উবাইদুল্লাহ্ (রাহঃ) বলেন যে, আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি আবু বকর (রাযিঃ)- এর ইমামতির ব্যাপারে নবী কারীম (ﷺ)- কে বারবার আপত্তি করেছি। আর আমার তাঁর কাছে বারবার আপত্তি করার কারণ ছিল এই, আমার অন্তরে একথা আসেনি যে, নবী কারীম (ﷺ)- এর পরে তাঁর স্থলে কেউ দাঁড়ালে লোকেরা তাকে পছন্দ করবে। বরং আমি মনে করতাম যে, কেউ তাঁর স্থলে দাঁড়ালে লোকেরা তাঁর প্রতি খারাপ ধারণা পোষন করবে, তাই আমি ইচ্ছা করলাম যে, নবী কারীম (ﷺ) এ দায়িত্ব আবু বকর (রাযিঃ)- এর পরিবর্তে অন্য কাউকে প্রদান করুন। আবু আব্দুল্লাহ বুখারী (রাহঃ) বলেন, এ হাদীস ইবনে উমর, আবু মুসা ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নবী কারীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاشْتَدَّ بِهِ وَجَعُهُ اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِي، فَأَذِنَّ لَهُ، فَخَرَجَ وَهْوَ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ تَخُطُّ رِجْلاَهُ فِي الأَرْضِ، بَيْنَ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَبَيْنَ رَجُلٍ آخَرَ. قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَأَخْبَرْتُ عَبْدَ اللَّهِ بِالَّذِي قَالَتْ عَائِشَةُ، فَقَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ هَلْ تَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ الآخَرُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ قَالَ قُلْتُ لاَ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ هُوَ عَلِيٌّ. وَكَانَتْ عَائِشَةُ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا دَخَلَ بَيْتِي وَاشْتَدَّ بِهِ وَجَعُهُ قَالَ " هَرِيقُوا عَلَىَّ مِنْ سَبْعِ قِرَبٍ لَمْ تُحْلَلْ أَوْكِيَتُهُنَّ لَعَلِّي أَعْهَدُ إِلَى النَّاسِ ". فَأَجْلَسْنَاهُ فِي مِخْضَبٍ لِحَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، ثُمَّ طَفِقْنَا نَصُبُّ عَلَيْهِ مِنْ تِلْكَ الْقِرَبِ، حَتَّى طَفِقَ يُشِيرُ إِلَيْنَا بِيَدِهِ أَنْ قَدْ فَعَلْتُنَّ قَالَتْ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى النَّاسِ فَصَلَّى لَهُمْ وَخَطَبَهُمْ.
وَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، رضى الله عنهم قَالاَ لَمَّا نَزَلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَفِقَ يَطْرَحُ خَمِيصَةً لَهُ عَلَى وَجْهِهِ، فَإِذَا اغْتَمَّ كَشَفَهَا عَنْ وَجْهِهِ وَهْوَ كَذَلِكَ يَقُولُ " لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى، اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ ". يُحَذِّرُ مَا صَنَعُوا.
أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَقَدْ رَاجَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ، وَمَا حَمَلَنِي عَلَى كَثْرَةِ مُرَاجَعَتِهِ إِلاَّ أَنَّهُ لَمْ يَقَعْ فِي قَلْبِي أَنْ يُحِبَّ النَّاسُ بَعْدَهُ رَجُلاً قَامَ مَقَامَهُ أَبَدًا، وَلاَ كُنْتُ أُرَى أَنَّهُ لَنْ يَقُومَ أَحَدٌ مَقَامَهُ إِلاَّ تَشَاءَمَ النَّاسُ بِهِ، فَأَرَدْتُ أَنْ يَعْدِلَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَبِي بَكْرٍ. رَوَاهُ ابْنُ عُمَرَ وَأَبُو مُوسَى وَابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهم ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
وَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، رضى الله عنهم قَالاَ لَمَّا نَزَلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَفِقَ يَطْرَحُ خَمِيصَةً لَهُ عَلَى وَجْهِهِ، فَإِذَا اغْتَمَّ كَشَفَهَا عَنْ وَجْهِهِ وَهْوَ كَذَلِكَ يَقُولُ " لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى، اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ ". يُحَذِّرُ مَا صَنَعُوا.
أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَقَدْ رَاجَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ، وَمَا حَمَلَنِي عَلَى كَثْرَةِ مُرَاجَعَتِهِ إِلاَّ أَنَّهُ لَمْ يَقَعْ فِي قَلْبِي أَنْ يُحِبَّ النَّاسُ بَعْدَهُ رَجُلاً قَامَ مَقَامَهُ أَبَدًا، وَلاَ كُنْتُ أُرَى أَنَّهُ لَنْ يَقُومَ أَحَدٌ مَقَامَهُ إِلاَّ تَشَاءَمَ النَّاسُ بِهِ، فَأَرَدْتُ أَنْ يَعْدِلَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَبِي بَكْرٍ. رَوَاهُ ابْنُ عُمَرَ وَأَبُو مُوسَى وَابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهم ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৪৬
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪০৯৯। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ)- এর এমন অবস্থায় ওফাত হয় যে, আমার বুক ও থুতনির মধ্যস্থলে তিনি হেলান দেওয়া অবস্থায় ছিলেন। আর নবী কারীম (ﷺ)- এর মৃত্যু-যন্ত্রণার পর আমি আর কারো জন্য মৃত্যু-যন্ত্রণাকে কঠোর বলে মনে করি না।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4446 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الهَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ القَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «مَاتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّهُ لَبَيْنَ حَاقِنَتِي وَذَاقِنَتِي، فَلاَ أَكْرَهُ شِدَّةَ المَوْتِ لِأَحَدٍ أَبَدًا، بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১০০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৪৭
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪১০০। ইসহাক (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আলী ইবনে আবু তালীব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছ হতে বের হয়ে আসেন যখন তিনি মৃত্যুরোগে আক্রান্ত ছিলেন। তখন সাহাবীগণ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবুল হাসান, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আজ কেমন আছেন? তিনি বললেন, আল্-হামদুলিল্লাহ্, তিনি কিছুটা সুস্থ। তখন আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) তাঁর হাত ধরে তাঁকে বললেন, আল্লাহর কসম, তুমি তিন দিন পরে অন্যের দ্বারা পরিচালিত হবে। আল্লাহর শপথ, আমি মনে করি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই রোগে অচিরেই ওফাত পাবেন। কারণ আমি আব্দুল মুত্তালিবের বংশের অনেকের মৃত্যুকালীন চেহারার অবস্থা লক্ষ্য করেছি।
চল যাই, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করি যে, তিনি (খিলাফতের) দায়িত্ব কার উপর ন্যস্ত করে যাচ্ছেন। যদি আমাদের মধ্যে থাকে তো তা আমরা জানবো। আর যদি আমাদের ছাড়া অন্যদের উপর ন্যস্ত করে যান, তাহলে তাও আমরা জানতে পারব এবং তিনি এ ব্যাপারে আমাদের তখন অসীয়ত করে যাবেন। তখন আলী (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, যদি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে আমরা জিজ্ঞাসা করি আর তিনি আমাদের নিষেধ করে দেন, তবে তারপরে লোকেরা আর আমাদের তা প্রদান করবে না। আল্লাহর কসম, এজন্য আমি কখনোই এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে জিজ্ঞাসা করবো না।
চল যাই, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করি যে, তিনি (খিলাফতের) দায়িত্ব কার উপর ন্যস্ত করে যাচ্ছেন। যদি আমাদের মধ্যে থাকে তো তা আমরা জানবো। আর যদি আমাদের ছাড়া অন্যদের উপর ন্যস্ত করে যান, তাহলে তাও আমরা জানতে পারব এবং তিনি এ ব্যাপারে আমাদের তখন অসীয়ত করে যাবেন। তখন আলী (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, যদি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে আমরা জিজ্ঞাসা করি আর তিনি আমাদের নিষেধ করে দেন, তবে তারপরে লোকেরা আর আমাদের তা প্রদান করবে না। আল্লাহর কসম, এজন্য আমি কখনোই এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে জিজ্ঞাসা করবো না।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4447 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ الأَنْصَارِيُّ، وَكَانَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ أَحَدَ الثَّلاَثَةِ الَّذِينَ تِيبَ عَلَيْهِمْ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، خَرَجَ مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَجَعِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ، فَقَالَ النَّاسُ: يَا أَبَا حَسَنٍ، " كَيْفَ أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟، فَقَالَ: أَصْبَحَ بِحَمْدِ اللَّهِ بَارِئًا "، فَأَخَذَ بِيَدِهِ عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ المُطَّلِبِ فَقَالَ لَهُ: أَنْتَ وَاللَّهِ بَعْدَ ثَلاَثٍ عَبْدُ العَصَا، وَإِنِّي وَاللَّهِ لَأَرَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَوْفَ يُتَوَفَّى مِنْ وَجَعِهِ هَذَا، إِنِّي لَأَعْرِفُ وُجُوهَ بَنِي عَبْدِ المُطَّلِبِ عِنْدَ المَوْتِ، اذْهَبْ بِنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلْنَسْأَلْهُ فِيمَنْ هَذَا الأَمْرُ، إِنْ كَانَ فِينَا عَلِمْنَا ذَلِكَ، وَإِنْ كَانَ فِي غَيْرِنَا عَلِمْنَاهُ، فَأَوْصَى بِنَا، فَقَالَ عَلِيٌّ: إِنَّا وَاللَّهِ لَئِنْ سَأَلْنَاهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَنَعَنَاهَا لاَ يُعْطِينَاهَا النَّاسُ بَعْدَهُ، وَإِنِّي وَاللَّهِ لاَ أَسْأَلُهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ৪১০১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৪৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪১০১। সাঈদ ইবনে উফায়র (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, সোমবারে সাহাবীগণ ফজরের নামাযে ছিলেন। আর আবু বকর (রাযিঃ) তাদের নামাযের জামাতের ইমামতী করছিলেন। হঠাৎ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আয়েশা (রাযিঃ)- এর কক্ষের পর্দা উঠিয়ে তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন। সাহাবীগণ কাতারবন্দী অবস্থায় নামায আদায় করছিলেন। তখন নবী কারীম (ﷺ) মুচকি হাসি দিলেন। আবূ বকর (রাযিঃ) পেছনে মুক্তাদির সারিতে নামায আদায়ের নিমিত্ত পিছিয়ে আসতে মনস্থ করলেন। তিনি ধারণা করেছিলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের নামায আদায়ের জন্য বেরিয়ে আসার ইচ্ছা করছেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর আগমনের আনন্দে সাহাবীগণের নামায ভঙ্গের উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজ হাতের ইশারায় তাদের নামায পুরা করতে বললেন। তারপর তিনি কক্ষে প্রবেশ করলেন ও পর্দা টেনে দিলেন।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4448 - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ المُسْلِمِينَ بَيْنَا هُمْ فِي صَلاَةِ الفَجْرِ مِنْ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ، وَأَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي لَهُمْ، لَمْ يَفْجَأْهُمْ إِلَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ «كَشَفَ سِتْرَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ، فَنَظَرَ إِلَيْهِمْ وَهُمْ فِي صُفُوفِ الصَّلاَةِ، ثُمَّ تَبَسَّمَ يَضْحَكُ» ، فَنَكَصَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى عَقِبَيْهِ لِيَصِلَ الصَّفَّ، وَظَنَّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرِيدُ أَنْ يَخْرُجَ إِلَى الصَّلاَةِ، فَقَالَ أَنَسٌ [ص:13]: وَهَمَّ المُسْلِمُونَ أَنْ يَفْتَتِنُوا فِي صَلاَتِهِمْ، فَرَحًا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ بِيَدِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنْ أَتِمُّوا صَلاَتَكُمْ ثُمَّ دَخَلَ الحُجْرَةَ وَأَرْخَى السِّتْرَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১০২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৪৯
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪১০২। মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদা (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি প্রায়ই বলতেন, আমার প্রতি আল্লাহর বিশেষ নিআমত যে, নবী কারীম (ﷺ) আমার ঘরে, আমার পালার দিনে এবং আমার হলকুম ও সিনার মধ্যস্থলে থাকাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ইন্তিকাল হয় এবং আল্লাহ তাআলা তাঁর ইন্তিকালের সময় আমার থুথু তাঁর থুথুর সাথে মিশ্রিত করে দিয়েছেন। এ সময় আব্দুর রহমান (রাযিঃ) আমার নিকট প্রবেশ করে এবং তার হাতে মিসওয়াক ছিল। আর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে (আমার বুকে) হেলান লাগান অবস্থায় রেখেছিলাম। আমি লক্ষ্য করলাম যে, তিনি আব্দুর রহমানের দিকে তাকাচ্ছেন। আমি অনুভব করতে পারলাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিসওয়াক চাচ্ছেন। আমি তখন জিজ্ঞাসা করলাম, আমি কি আপনার জন্য মিসওয়াক আনব? তিনি তখন মাথার ইশারায় জানালেন যে, হ্যাঁ, আন।
তখন আমি মিসওয়াক আনলাম। কিন্তু মিসওয়াক শক্ত ছিল, তাই আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আমি কি এটি আপনার জন্য নরম করে দিব? তখন তিনি মাথার ইশারায় হ্যাঁ বললেন। তখন আমি মিসওয়াকটি চিবিয়ে নরম করে দিলাম। এরপর তিনি মিসওয়াক করলেন। তাঁর সম্মুখে পাত্র অথবা পেয়ালা ছিল (রাবী উমরের সন্দেহ) তাতে পানি ছিল। নবী কারীম (ﷺ) বারবার স্বীয় হস্তদ্বয় উক্ত পানির মধ্যে প্রবেশ করিয়ে তার দ্বারা তাঁর চেহারা মাসাহ (ঠাণ্ডা) করালেন। এবং বলছিলেনঃ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، إِنَّ لِلْمَوْتِ سَكَرَاتٍ আল্লাহ ব্যতিত কোন মা‘বুদ নেই, সত্যিই মৃত্যুযন্ত্রণা কঠিন। তারপর উভয় হাত উপর দিকে উত্তোলন করে বলছিলেন, আমি উর্ধ্বলোকের মহান বন্ধুর সাথে মিলিত হতে চাই। এ অবস্থায় তাঁর ইন্তিকাল হল আর হাত শিথিল হয়ে গেল।
তখন আমি মিসওয়াক আনলাম। কিন্তু মিসওয়াক শক্ত ছিল, তাই আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আমি কি এটি আপনার জন্য নরম করে দিব? তখন তিনি মাথার ইশারায় হ্যাঁ বললেন। তখন আমি মিসওয়াকটি চিবিয়ে নরম করে দিলাম। এরপর তিনি মিসওয়াক করলেন। তাঁর সম্মুখে পাত্র অথবা পেয়ালা ছিল (রাবী উমরের সন্দেহ) তাতে পানি ছিল। নবী কারীম (ﷺ) বারবার স্বীয় হস্তদ্বয় উক্ত পানির মধ্যে প্রবেশ করিয়ে তার দ্বারা তাঁর চেহারা মাসাহ (ঠাণ্ডা) করালেন। এবং বলছিলেনঃ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، إِنَّ لِلْمَوْتِ سَكَرَاتٍ আল্লাহ ব্যতিত কোন মা‘বুদ নেই, সত্যিই মৃত্যুযন্ত্রণা কঠিন। তারপর উভয় হাত উপর দিকে উত্তোলন করে বলছিলেন, আমি উর্ধ্বলোকের মহান বন্ধুর সাথে মিলিত হতে চাই। এ অবস্থায় তাঁর ইন্তিকাল হল আর হাত শিথিল হয়ে গেল।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4449 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ أَبَا عَمْرٍو ذَكْوَانَ، مَوْلَى عَائِشَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ كَانَتْ تَقُولُ: إِنَّ مِنْ نِعَمِ اللَّهِ عَلَيَّ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُوُفِّيَ فِي بَيْتِي، وَفِي يَوْمِي، وَبَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي، وَأَنَّ اللَّهَ جَمَعَ بَيْنَ رِيقِي وَرِيقِهِ عِنْدَ مَوْتِهِ: دَخَلَ عَلَيَّ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَبِيَدِهِ السِّوَاكُ، وَأَنَا مُسْنِدَةٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَأَيْتُهُ يَنْظُرُ إِلَيْهِ، وَعَرَفْتُ أَنَّهُ يُحِبُّ السِّوَاكَ، فَقُلْتُ: آخُذُهُ لَكَ؟ فَأَشَارَ بِرَأْسِهِ: «أَنْ نَعَمْ» فَتَنَاوَلْتُهُ، فَاشْتَدَّ عَلَيْهِ، وَقُلْتُ: أُلَيِّنُهُ لَكَ؟ فَأَشَارَ بِرَأْسِهِ: «أَنْ نَعَمْ» فَلَيَّنْتُهُ، فَأَمَرَّهُ، وَبَيْنَ يَدَيْهِ رَكْوَةٌ أَوْ عُلْبَةٌ - يَشُكُّ عُمَرُ - فِيهَا مَاءٌ، فَجَعَلَ يُدْخِلُ يَدَيْهِ فِي المَاءِ فَيَمْسَحُ بِهِمَا وَجْهَهُ، يَقُولُ: «لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، إِنَّ لِلْمَوْتِ سَكَرَاتٍ» ثُمَّ نَصَبَ يَدَهُ، فَجَعَلَ يَقُولُ: «فِي الرَّفِيقِ الأَعْلَى» حَتَّى قُبِضَ وَمَالَتْ يَدُهُ
হাদীস নং: ৪১০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৫০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪১০৩। ইসমাঈল .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যে রোগে নবী কারীম (ﷺ) ইন্তিকাল করেন সে অবস্থায় তিনি জিজ্ঞাসা করতেন, আমি আগামীকাল কার ঘরে থাকব। আগামী কাল কার ঘরে থাকব? এর দ্বারা তিনি আয়েশা (রাযিঃ)- এর ঘরে থাকার পালার প্রতি ইচ্ছা প্রকাশ করতেন। অন্য সহধর্মিনীগণ নবী কারীম (ﷺ)- কে যার ঘরে ইচ্ছা সেখানে অবস্থান করার অনুমতি দিলেন। তখন নবী কারীম (ﷺ) আয়েশা (রাযিঃ)- এর ঘরে অবস্থান করতে থাকেন। এমনকি তাঁর ঘরেই তিনি ইন্তিকাল করেন।
আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, নবী কারীম (ﷺ) আমার জন্য নির্ধারিত পালার দিন আমার ঘরে ইন্তিকাল করেন এবং আল্লাহ্ তাঁর রূহ কবজ করেন এ অবস্থায় যে, তাঁর মাথা আমার হলকুম (গলা) ও সীনার মধ্যস্থলে ছিল এবং আমার থুথুর সাথে তাঁর থুথু মিশ্রিত হয়ে যায়। তারপর তিনি বলেন, আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ)- এর হাতে একটি মিসওয়াক ছিল যা দিয়ে সে তার দাঁত মাজছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার দিকে তাকালেন। আমি তখন তাকে বললাম, হে আব্দুর রহমান এই মিসওয়াকটি আমাকে দাও, তখন সে তা আমাকে দিয়ে দিল। আমি সেটি চিবিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে দিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিসওয়াকটি দ্বারা দাঁত পরিস্কার করলেন, আর তিনি তখন আমার বুকে হেলান লাগান অবস্থায় ছিলেন।
আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, নবী কারীম (ﷺ) আমার জন্য নির্ধারিত পালার দিন আমার ঘরে ইন্তিকাল করেন এবং আল্লাহ্ তাঁর রূহ কবজ করেন এ অবস্থায় যে, তাঁর মাথা আমার হলকুম (গলা) ও সীনার মধ্যস্থলে ছিল এবং আমার থুথুর সাথে তাঁর থুথু মিশ্রিত হয়ে যায়। তারপর তিনি বলেন, আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ)- এর হাতে একটি মিসওয়াক ছিল যা দিয়ে সে তার দাঁত মাজছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার দিকে তাকালেন। আমি তখন তাকে বললাম, হে আব্দুর রহমান এই মিসওয়াকটি আমাকে দাও, তখন সে তা আমাকে দিয়ে দিল। আমি সেটি চিবিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে দিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিসওয়াকটি দ্বারা দাঁত পরিস্কার করলেন, আর তিনি তখন আমার বুকে হেলান লাগান অবস্থায় ছিলেন।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4450 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسْأَلُ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، يَقُولُ: «أَيْنَ أَنَا غَدًا، أَيْنَ أَنَا غَدًا» يُرِيدُ يَوْمَ عَائِشَةَ، فَأَذِنَ لَهُ أَزْوَاجُهُ يَكُونُ حَيْثُ شَاءَ، فَكَانَ فِي بَيْتِ عَائِشَةَ حَتَّى مَاتَ عِنْدَهَا، قَالَتْ عَائِشَةُ: فَمَاتَ فِي اليَوْمِ الَّذِي كَانَ يَدُورُ عَلَيَّ فِيهِ، فِي بَيْتِي، فَقَبَضَهُ اللَّهُ وَإِنَّ رَأْسَهُ لَبَيْنَ نَحْرِي وَسَحْرِي، وَخَالَطَ رِيقُهُ رِيقِي، ثُمَّ قَالَتْ: دَخَلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَمَعَهُ سِوَاكٌ يَسْتَنُّ بِهِ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ لَهُ: أَعْطِنِي هَذَا السِّوَاكَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ، فَأَعْطَانِيهِ، فَقَضِمْتُهُ، ثُمَّ مَضَغْتُهُ، فَأَعْطَيْتُهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَنَّ بِهِ، وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى صَدْرِي
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৫১
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪১০৪। সুলাইয়মান ইবনে হারব (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) আমার ঘরে আমার পালার দিনে এবং আমার হলকুম ও সীনার মধ্যস্থলে থাকা অবস্থায় ইন্তিকাল করেন। নবী কারীম (ﷺ) যখন অসুস্থ হতেন তখন আমাদের মধ্যকার কেউ দু'আ পড়ে তাঁকে ঝাড়ফুঁক করতেন। আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে ঝাড়ফুঁক করার জন্য তাঁর কাছে গেলাম। তখন তিনি তাঁর মাথা আকাশের দিকে উঠিয়ে বললেন, উর্ধ্বলোকের বন্ধুর সাথে (মিলিত হতে চাই), উর্ধ্ব জগতের মহান বন্ধুর সাথে (মিলিত হতে চাই)। এ সময় আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) আগমন করলেন। তাঁর হাতে মিসওয়াকের একটি তাজা ডাল ছিল।
নবী কারীম (ﷺ) তখন সেদিকে তাকালেন। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, তাঁর [নবী কারীম (ﷺ)] মিসওয়াকের প্রয়োজন। তখন আমি সেটি নিয়ে চিবালাম, ঝেড়ে পরিস্কার করলাম এবং নবী কারীম (ﷺ)- কে তা দিলাম। তখন তিনি এর দ্বারা এত সুন্দরভাবে দাঁত পরিস্কার করলেন যে এর আগে কখনও এরূপ করেননি। তারপর তা আমাকে দিলেন। এরপর তাঁর হাত ঢলে পড়ল অথবা রাবী বলেন তাঁর হাত থেকে ঢলে পড়ল। আল্লাহ্ তাআলা আমার থুথুকে নবী কারীম (ﷺ)- এর থুথুর সাথে মিলিয়ে দিলেন। দুনিয়ার জীবনের শেষ দিনে এবং আখিরাতের প্রথম দিনে।
নবী কারীম (ﷺ) তখন সেদিকে তাকালেন। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, তাঁর [নবী কারীম (ﷺ)] মিসওয়াকের প্রয়োজন। তখন আমি সেটি নিয়ে চিবালাম, ঝেড়ে পরিস্কার করলাম এবং নবী কারীম (ﷺ)- কে তা দিলাম। তখন তিনি এর দ্বারা এত সুন্দরভাবে দাঁত পরিস্কার করলেন যে এর আগে কখনও এরূপ করেননি। তারপর তা আমাকে দিলেন। এরপর তাঁর হাত ঢলে পড়ল অথবা রাবী বলেন তাঁর হাত থেকে ঢলে পড়ল। আল্লাহ্ তাআলা আমার থুথুকে নবী কারীম (ﷺ)- এর থুথুর সাথে মিলিয়ে দিলেন। দুনিয়ার জীবনের শেষ দিনে এবং আখিরাতের প্রথম দিনে।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
4451 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِي، وَفِي يَوْمِي، وَبَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي، وَكَانَتْ إِحْدَانَا تُعَوِّذُهُ بِدُعَاءٍ إِذَا مَرِضَ، فَذَهَبْتُ أُعَوِّذُهُ، فَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ، وَقَالَ: «فِي الرَّفِيقِ الأَعْلَى، فِي الرَّفِيقِ الأَعْلَى» ، وَمَرَّ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَفِي يَدِهِ جَرِيدَةٌ رَطْبَةٌ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَظَنَنْتُ أَنَّ لَهُ بِهَا حَاجَةً، فَأَخَذْتُهَا، فَمَضَغْتُ رَأْسَهَا، وَنَفَضْتُهَا، فَدَفَعْتُهَا إِلَيْهِ، فَاسْتَنَّ بِهَا كَأَحْسَنِ مَا كَانَ مُسْتَنًّا، ثُمَّ نَاوَلَنِيهَا، فَسَقَطَتْ يَدُهُ، أَوْ: سَقَطَتْ مِنْ يَدِهِ، فَجَمَعَ اللَّهُ بَيْنَ رِيقِي وَرِيقِهِ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنَ الدُّنْيَا، وَأَوَّلِ يَوْمٍ مِنَ الآخِرَةِ
হাদীস নং: ৪১০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৫২ - ৪৪৫৪
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪৭. নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪১০৫। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু বকর (রাযিঃ) ঘোড়ার ওপর সওয়ার হয়ে তার সুনহের বাড়ি থেকে আগমন করেন। ঘোড়া থেকে অবতরণ করে তিনি মসজিদে নববীতে প্রবেশ করেন, কিন্তু কারও সঙ্গে কোনো কথা না বলে সোজা আয়েশা (রাযিঃ)- এর কাছে উপস্থিত হন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর উদ্দেশ্যে। তখন নবী কারীম (ﷺ) ইয়ামানী চাঁদর দ্বারা আবৃত ছিলেন। তখন তিনি চেহারা হতে কাপড় হটিয়ে তাঁর ওপর ঝুঁকে পড়েন এবং তাঁকে চুমু দেন ও কেঁদে ফেললেন। তারপর বললেন, আমার মাতাপিতা আপনার প্রতি কুরবান হোক! আল্লাহর কসম আল্লাহ তো আপনাকে দু’বার মৃত্যু দিবেন না, যে মৃত্যু ছিলো আপনার জন্য নির্ধারিত সে মৃত্যু আপনি গ্রহণ করে নিলেন।
ইমাম যুহরী (রাহঃ) বলেন, আমাকে আবু সালামা (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, আবু বকর (রাযিঃ) বের হয়ে আসেন তখন উমর (রাযিঃ) লোকজনের সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় আবু বকর (রাযিঃ) তাঁকে বলেন, হে উমর বসে পড়। উমর (রাযিঃ) বসতে অস্বীকার করলেন। তখন সাহাবীগণ উমর (রাযিঃ)- কে ছেড়ে আবু বকর (রাযিঃ)- এর প্রতি মনোনিবেশ করলেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) ভাষণ দিলেন- “এরপর আপনাদের মধ্যে যারা মুহাম্মাদ (ﷺ)- এর ইবাদত করতেন, তিনি তো ইন্তিকাল করেছেন। আর যারা আপনাদের মধ্যে আল্লাহর ইবাদত করতেন (জেনে রাখুন) আল্লাহ চিরঞ্জীব, চির অমর। মহান আল্লাহ্ বলেন, وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ- قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ الخ মুহাম্মাদ (ﷺ) একজন রাসূল মাত্র, তাঁর পূর্বে বহু রাসূল গত হয়েছেন। ....কৃতজ্ঞদের পুরস্কৃত করবেন (৩ঃ ১৪৪)
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, আবু বকর (রাযিঃ)- এর পাঠ করার পূর্বে লোকেরা যেন জানতো না যে আল্লাহ্ তাআলা এরূপ আয়াত নাযিল করেছেন। এরপর সমস্ত সাহাবী তাঁর থেকে উক্ত আয়াত শিখে নিলেন। তখন সকলে উক্ত আয়াত তিলাওয়াত করতে লাগলেন। আমাকে সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (রাহঃ) অবহিত করেন যে, উমর (রাযিঃ) বলেছেন, আল্লাহর কসম, আমি যখন আবু বকর (রাযিঃ)- কে উক্ত আয়াত তিলাওয়াত করতে শুনলাম, তখন হতভম্ব হয়ে গেলাম, এবং আমার পা দু’টি যেন আমাকে আর বহন করতে পারছিল না, আমি জমীনের ওপর পড়ে গেলাম। যখন আমি শুনতে পেলাম যে, তিনি তিলাওয়াত করছেন যে, নবী কারীম (ﷺ) ইন্তিকাল করেছেন।
ইমাম যুহরী (রাহঃ) বলেন, আমাকে আবু সালামা (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, আবু বকর (রাযিঃ) বের হয়ে আসেন তখন উমর (রাযিঃ) লোকজনের সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় আবু বকর (রাযিঃ) তাঁকে বলেন, হে উমর বসে পড়। উমর (রাযিঃ) বসতে অস্বীকার করলেন। তখন সাহাবীগণ উমর (রাযিঃ)- কে ছেড়ে আবু বকর (রাযিঃ)- এর প্রতি মনোনিবেশ করলেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) ভাষণ দিলেন- “এরপর আপনাদের মধ্যে যারা মুহাম্মাদ (ﷺ)- এর ইবাদত করতেন, তিনি তো ইন্তিকাল করেছেন। আর যারা আপনাদের মধ্যে আল্লাহর ইবাদত করতেন (জেনে রাখুন) আল্লাহ চিরঞ্জীব, চির অমর। মহান আল্লাহ্ বলেন, وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ- قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ الخ মুহাম্মাদ (ﷺ) একজন রাসূল মাত্র, তাঁর পূর্বে বহু রাসূল গত হয়েছেন। ....কৃতজ্ঞদের পুরস্কৃত করবেন (৩ঃ ১৪৪)
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, আবু বকর (রাযিঃ)- এর পাঠ করার পূর্বে লোকেরা যেন জানতো না যে আল্লাহ্ তাআলা এরূপ আয়াত নাযিল করেছেন। এরপর সমস্ত সাহাবী তাঁর থেকে উক্ত আয়াত শিখে নিলেন। তখন সকলে উক্ত আয়াত তিলাওয়াত করতে লাগলেন। আমাকে সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (রাহঃ) অবহিত করেন যে, উমর (রাযিঃ) বলেছেন, আল্লাহর কসম, আমি যখন আবু বকর (রাযিঃ)- কে উক্ত আয়াত তিলাওয়াত করতে শুনলাম, তখন হতভম্ব হয়ে গেলাম, এবং আমার পা দু’টি যেন আমাকে আর বহন করতে পারছিল না, আমি জমীনের ওপর পড়ে গেলাম। যখন আমি শুনতে পেলাম যে, তিনি তিলাওয়াত করছেন যে, নবী কারীম (ﷺ) ইন্তিকাল করেছেন।
كتاب المغازى
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ أَقْبَلَ عَلَى فَرَسٍ مِنْ مَسْكَنِهِ بِالسُّنْحِ حَتَّى نَزَلَ، فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ فَلَمْ يُكَلِّمِ النَّاسَ حَتَّى دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ، فَتَيَمَّمَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ مُغَشًّى بِثَوْبِ حِبَرَةٍ، فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ ثُمَّ أَكَبَّ عَلَيْهِ فَقَبَّلَهُ وَبَكَى. ثُمَّ قَالَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، وَاللَّهِ لاَ يَجْمَعُ اللَّهُ عَلَيْكَ مَوْتَتَيْنِ، أَمَّا الْمَوْتَةُ الَّتِي كُتِبَتْ عَلَيْكَ فَقَدْ مُتَّهَا. قَالَ الزُّهْرِيُّ وَحَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، خَرَجَ وَعُمَرُ يُكَلِّمُ النَّاسَ فَقَالَ اجْلِسْ يَا عُمَرُ، فَأَبَى عُمَرُ أَنْ يَجْلِسَ. فَأَقْبَلَ النَّاسُ إِلَيْهِ وَتَرَكُوا عُمَرَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَمَّا بَعْدُ مَنْ كَانَ مِنْكُمْ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ، وَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ يَعْبُدُ اللَّهَ فَإِنَّ اللَّهَ حَىٌّ لاَ يَمُوتُ، قَالَ اللَّهُ (وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ) إِلَى قَوْلِهِ (الشَّاكِرِينَ) وَقَالَ وَاللَّهِ لَكَأَنَّ النَّاسَ لَمْ يَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ هَذِهِ الآيَةَ حَتَّى تَلاَهَا أَبُو بَكْرٍ، فَتَلَقَّاهَا مِنْهُ النَّاسُ كُلُّهُمْ فَمَا أَسْمَعُ بَشَرًا مِنَ النَّاسِ إِلاَّ يَتْلُوهَا. فَأَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ عُمَرَ قَالَ وَاللَّهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرٍ تَلاَهَا فَعَقِرْتُ حَتَّى مَا تُقِلُّنِي رِجْلاَىَ، وَحَتَّى أَهْوَيْتُ إِلَى الأَرْضِ حِينَ سَمِعْتُهُ تَلاَهَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدْ مَاتَ.
তাহকীক: