আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫২- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৬১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৭৮ - ৪৯৭৯
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
২৬১৬. ওহী কিভাবে নাযিল হয় এবং সর্বপ্রথম কোন আয়াত নাযিল হয়েছিল।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, الْمُهَيْمِنُ মানে- আমীন। কুরআন পূর্ববর্তী সমস্ত আসমানী গ্রন্থের জন্য আমীন স্বরূপ।
৪৬১৮। উবাইদুল্লাহ্ ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... আবু সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়েশা (রাযিঃ) ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, নবী (ﷺ) মক্কায় দশ বছর অবস্থান করেন। এ সময় তাঁর প্রতি কুরআন নাযিল হয়েছে এবং মদীনাতেও তিনি দশ বছর অবস্থান করেন (এ সময়ও তাঁর প্রতি দশ বছর কুরআন নাযিল হয়েছে)।
كتاب فضائل القرآن
باب كَيْفَ نُزُولُ الْوَحْىِ وَأَوَّلُ مَا نَزَلَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ الْمُهَيْمِنُ الأَمِينُ، الْقُرْآنُ أَمِينٌ عَلَى كُلِّ كِتَابٍ قَبْلَهُ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ أَخْبَرَتْنِي عَائِشَةُ، وَابْنُ، عَبَّاسٍ رضى الله عنهم قَالاَ لَبِثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِينَ يُنْزَلُ عَلَيْهِ الْقُرْآنُ وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرَ سِنِينَ.
হাদীস নং: ৪৬১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৮০
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
২৬১৬. ওহী কিভাবে নাযিল হয় এবং সর্বপ্রথম কোন আয়াত নাযিল হয়েছিল।
৪৬১৯। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আবু উসমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে অবগত করা হয়েছে যে, একদা জিবরাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাসূল (ﷺ)-এর কাছে আগমন করলেন। তখন উম্মে সালামা (রাযিঃ) তাঁর কাছে ছিলেন। জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তাঁর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করলেন। রাসূল (ﷺ) উম্মে সালামা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, ইনি কে? অথবা তিনি এ ধরনের কোন কথা জিজ্ঞাসা করলেন। উম্মে সালামা (রাযিঃ) বললেন, ইনি দিহয়া (রাযিঃ)। তারপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) উঠে দাঁড়ালেন। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, রাসূল (ﷺ) এর ভাষণে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এর খবর না শুণা পর্যন্ত আমি তাঁকে সে দিহয়া (রাযিঃ)-ই মনে করেছি। অথবা তিনি (বর্ণনাকারী) অনুরূপ কোন কথা বর্ণনা করেছেন।
বর্ণনাকারী মুতামির (রাহঃ) বলেন, আমার পিতা সুলাইমান বলেছেন, আমি উসমান (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কার থেকে এ ঘটনা শুনেছেন? তিনি বললেন, উসামা ইবনে যায়দের কাছ থেকে।
كتاب فضائل القرآن
باب كَيْفَ نُزُولُ الْوَحْىِ وَأَوَّلُ مَا نَزَلَ
4980 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ: أُنْبِئْتُ أَنَّ جِبْرِيلَ، أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدَهُ أُمُّ سَلَمَةَ، فَجَعَلَ يَتَحَدَّثُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأُمِّ سَلَمَةَ: «مَنْ هَذَا؟» أَوْ كَمَا قَالَ، قَالَتْ: هَذَا دِحْيَةُ، فَلَمَّا قَامَ، قَالَتْ: وَاللَّهِ مَا حَسِبْتُهُ إِلَّا إِيَّاهُ، حَتَّى سَمِعْتُ خُطْبَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُخْبِرُ خَبَرَ جِبْرِيلَ، أَوْ كَمَا قَالَ، قَالَ أَبِي: قُلْتُ لِأَبِي عُثْمَانَ: مِمَّنْ سَمِعْتَ هَذَا؟ قَالَ: مِنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৬২০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৮১
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
২৬১৬. ওহী কিভাবে নাযিল হয় এবং সর্বপ্রথম কোন আয়াত নাযিল হয়েছিল।
৪৬২০। আব্দল্লাহ্ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, প্রত্যেক নবীকে তার যুগের চাহিদা মুতাবিক কিছু মু'জিযা দান করতে হয়েছে, যা দেখে লোকেরা তাঁর প্রতি ঈমান এনেছে। আমাকে যে মু'জিযা দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে, ওহী- যা আল্লাহ পাক আমার প্রতি অবতীর্ণ করেছেন। সুতরাং আমি আশা করি, কিয়ামতের দিন তাদের অনুসারীদের তুলনায় আমার অনুসারীদের সংখ্যা অনেক বেশী হবে।
كتاب فضائل القرآن
باب كَيْفَ نُزُولُ الْوَحْىِ وَأَوَّلُ مَا نَزَلَ
4981 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ المَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنَ الأَنْبِيَاءِ نَبِيٌّ إِلَّا أُعْطِيَ مَا مِثْلهُ آمَنَ عَلَيْهِ البَشَرُ، وَإِنَّمَا كَانَ الَّذِي أُوتِيتُ وَحْيًا أَوْحَاهُ اللَّهُ إِلَيَّ، فَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَكْثَرَهُمْ تَابِعًا يَوْمَ القِيَامَةِ»
হাদীস নং: ৪৬২১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৮২
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
২৬১৬. ওহী কিভাবে নাযিল হয় এবং সর্বপ্রথম কোন আয়াত নাযিল হয়েছিল।
৪৬২১। আমর ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা’ রাসূল (ﷺ) এর প্রতি ধারাবাহিকভাবে ওহী নাযিল করতে থাকেন এবংতাঁর ইন্‌তিকালের নিকটর্বতী সময়ে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি সর্বাধিক পরিমাণ ওহী নাযিল করেন। এরপর তিনি ওফাত প্রাপ্ত হন।
كتاب فضائل القرآن
باب كَيْفَ نُزُولُ الْوَحْىِ وَأَوَّلُ مَا نَزَلَ
4982 - حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى تَابَعَ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الوَحْيَ قَبْلَ وَفَاتِهِ، حَتَّى تَوَفَّاهُ أَكْثَرَ مَا كَانَ الوَحْيُ، ثُمَّ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدُ»
হাদীস নং: ৪৬২২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৮৩
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
২৬১৬. ওহী কিভাবে নাযিল হয় এবং সর্বপ্রথম কোন আয়াত নাযিল হয়েছিল।
৪৬২২। আবু নু’আইম (রাহঃ) ......... জুনদুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার রাসূল (ﷺ) অসুস্থ হয়ে পড়লেন। ফলে এক কি দু’রাত তিনি উঠতে পারেননি। জনৈকা মহিলা তাঁর কাছে এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আমার মনে হয়, তোমার শয়তান তোমাকে পরিত্যাগ করেছে। তখন আল্লাহ নাযিল করলেন,

وَالضُّحَى * وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَى * مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَى

“শপথ পূর্বাহ্নের, শপথ রজনীর, যখন তা হয় নিঝুম। তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি বিরূপও হননি”।
كتاب فضائل القرآن
باب كَيْفَ نُزُولُ الْوَحْىِ وَأَوَّلُ مَا نَزَلَ
4983 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ جُنْدَبًا، يَقُولُ: " اشْتَكَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يَقُمْ لَيْلَةً - أَوْ لَيْلَتَيْنِ - فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ، فَقَالَتْ: يَا مُحَمَّدُ مَا أُرَى شَيْطَانَكَ إِلَّا قَدْ تَرَكَكَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَالضُّحَى وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَى مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَى} [الضحى: 2] "