আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫২- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
হাদীস নং: ৪৬৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৯৯
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
২৬২২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যে সব সাহাবী ক্বারী ছিলেন।
৪৬৩৭। হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) ......... মাসরূক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘উদের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আমি তাঁকে ঐ সময় থেকে ভালবাসি, যখন রাসূল (ﷺ) কে আমি বলতে শুনেছি যে, তোমরা চার ব্যক্তি থেকে কুরআন শিক্ষা কর- আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘উদ (রাযিঃ), সালিম (রাযিঃ), মু‘আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) এবং উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ)।
كتاب فضائل القرآن
باب الْقُرَّاءِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
4999 - حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، ذَكَرَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ فَقَالَ: لاَ أَزَالُ أُحِبُّهُ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «خُذُوا القُرْآنَ مِنْ أَرْبَعَةٍ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، وَسَالِمٍ، وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، وَأُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫০০০
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
২৬২২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যে সব সাহাবী ক্বারী ছিলেন।
৪৬৩৮। উমর ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... শাকীক ইবনে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘উদ (রাযিঃ) আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ। সত্তরেরও কিছু অধিক সূরা আমি রাসূল (ﷺ) এর মুখ থেকে হাসিল করেছি। আল্লাহর কসম! রাসূল (ﷺ) এর সাহাবীরা জানেন, আমি তাঁদের চাইতে আল্লাহর কিতাব সম্বন্ধে সর্বাধিক জ্ঞাত; অথচ আমি তাঁদের চাইতে উত্তম নই। শাকীক (রাহঃ) বলেন, সাহাবিগণ তাঁর বক্তব্য শুনে কি বলেন এ কথা শোনার জন্য আমি মজলিসে বসেছি, কিন্তু আমি কাউকে তার বক্তব্যে কোন আপত্তি উত্থাপন করতে শুনিনি।
كتاب فضائل القرآن
باب الْقُرَّاءِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
5000 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا شَقِيقُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: خَطَبَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ فَقَالَ: «وَاللَّهِ لَقَدْ أَخَذْتُ مِنْ فِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِضْعًا وَسَبْعِينَ سُورَةً، وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِّي مِنْ أَعْلَمِهِمْ بِكِتَابِ اللَّهِ، وَمَا أَنَا بِخَيْرِهِمْ» ، قَالَ شَقِيقٌ: فَجَلَسْتُ فِي الحِلَقِ أَسْمَعُ مَا يَقُولُونَ، فَمَا سَمِعْتُ رَادًّا يَقُولُ غَيْرَ ذَلِكَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫০০১
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
২৬২২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যে সব সাহাবী ক্বারী ছিলেন।
৪৬৩৯। মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর (রাহঃ) ......... আলকামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা হিমস শহরে ছিলাম। এ সময় ইবনে মাস‘উদ (রাযিঃ) সূরা ইউসুফ তিলাওয়াত করলেন। তখন এক ব্যক্তি বললেন, এ সূরা এভাবে নাযিল হয়নি। এ কথা শুনে ইবনে মাস‘উদ (রাযিঃ) বললেন, আমি রাসূল (ﷺ) এর সামনে এ সূরা তিলাওয়াত করেছি। তিনি বলেছেন, তুমি সুন্দরভাবে পাঠ করেছ। এসময় তিনি ঐ লোকটির মুখ থেকে মদের গন্ধ পেলেন। তাই তিনি তাকে বললেন, তুমি আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলা এবং মদ পান করার মত জঘন্যতম অপরাধ এক সাথে করছ? এরপর তিনি তার ওপর হদ (অপরাধে নির্ধারিত শাস্তি) জারি করলেন।
كتاب فضائل القرآن
باب الْقُرَّاءِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
5001 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ: كُنَّا بِحِمْصَ فَقَرَأَ ابْنُ مَسْعُودٍ سُورَةَ يُوسُفَ، فَقَالَ رَجُلٌ: مَا هَكَذَا أُنْزِلَتْ، قَالَ [ص:187]: قَرَأْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَحْسَنْتَ» وَوَجَدَ مِنْهُ رِيحَ الخَمْرِ، فَقَالَ: أَتَجْمَعُ أَنْ تُكَذِّبَ بِكِتَابِ اللَّهِ وَتَشْرَبَ الخَمْرَ فَضَرَبَهُ الحَدَّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৫০০২
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
২৬২২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যে সব সাহাবী ক্বারী ছিলেন।
৪৬৪০। উমর ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... মাসরূক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, আল্লাহর কিতাবের অবতীর্ণ প্রতিটি সূরা সম্পর্কে আমি জানি যে, তা কোথায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং প্রতিটি আয়াত সম্পর্কেই আমি জানি যে, তা কার সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। আমি যদি জানতাম যে, কোন ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে আমার চাইতে অধিক জ্ঞাত এবং সেখানে উট গিয়ে পৌঁছতে পারে, তাহলে সওয়ার হয়ে আমি সেখানে গিয়ে পৌঁছতাম।
كتاب فضائل القرآن
باب الْقُرَّاءِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
5002 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ غَيْرُهُ، مَا أُنْزِلَتْ سُورَةٌ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ إِلَّا أَنَا أَعْلَمُ أَيْنَ أُنْزِلَتْ، وَلاَ أُنْزِلَتْ آيَةٌ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ إِلَّا أَنَا أَعْلَمُ فِيمَ أُنْزِلَتْ، وَلَوْ أَعْلَمُ أَحَدًا أَعْلَمَ مِنِّي بِكِتَابِ اللَّهِ، تُبَلِّغُهُ الإِبِلُ لَرَكِبْتُ إِلَيْهِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৫০০৩
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
২৬২২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যে সব সাহাবী ক্বারী ছিলেন।
৪৬৪১। হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) ......... কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূল (ﷺ) এর সময় কে কে কুরআন সংগ্রহ করেছেন? তিনি বললেন, চারজন এবং তাঁরা চারজনই ছিলেন আনসারী সাহাবী। তাঁরা হলেনঃ উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ), মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ), যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এবং আবু যায়দ (রাযিঃ)।
(অন্য সনদে) ফাদল (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ করেছেন।
(অন্য সনদে) ফাদল (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ করেছেন।
كتاب فضائل القرآن
باب الْقُرَّاءِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
5003 - حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ: سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: مَنْ جَمَعَ القُرْآنَ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: " أَرْبَعَةٌ، كُلُّهُمْ مِنَ الأَنْصَارِ: أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَأَبُو زَيْدٍ " تَابَعَهُ الفَضْلُ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ ثُمَامَةَ، عَنْ أَنَسٍ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৫০০৪
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
২৬২২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যে সব সাহাবী ক্বারী ছিলেন।
৪৬৪২। মুআল্লা ইবনে আসাদ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইন্তিকাল করেন। তখন চার ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ কুরআন সংগ্রহ করেননি। তাঁরা হলেন আবুদ্ দারদা (রাযিঃ), মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ), যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এবং আবু যায়দ (রাযিঃ)।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমরা আবু যায়দ (রাযিঃ) এর উত্তরসুরি।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমরা আবু যায়দ (রাযিঃ) এর উত্তরসুরি।
كتاب فضائل القرآن
باب الْقُرَّاءِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
5004 - حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ المُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنِي ثَابِتٌ البُنَانِيُّ، وَثُمَامَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: " مَاتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَجْمَعِ القُرْآنَ غَيْرُ أَرْبَعَةٍ: أَبُو الدَّرْدَاءِ، وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَأَبُو زَيْدٍ " قَالَ: «وَنَحْنُ وَرِثْنَاهُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫০০৫
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
২৬২২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যে সব সাহাবী ক্বারী ছিলেন।
৪৬৪৩। সাদাকা ইবনে ফদল (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর (রাযিঃ) বলেছেন, আলী (রাযিঃ) আমাদের মধ্যে সর্বোত্তম বিচারক এবং উবাই (রাযিঃ) আমাদের মাঝে বর্বোত্তম কারী। এতদসত্ত্বেও তিনি যা তিলাওয়াত করেছেন, আমার তার কতিপয় অংশ বর্জন করছি, অথচ তিনি বলেছেন, আমি তা আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এর যবান মুবারক থেকে শুনেছি, কোন কিছুর বিনিময়ে আমি তা বর্জন করব না। আল্লাহ বলেছেন, আমি কোন আয়াত রহিত করলে কিংবা বিস্মৃত হতে দিলে তা হতে উত্তম কিংবা তার সমতুল্য কোন আয়াত আনয়ন করি।
كتاب فضائل القرآن
باب الْقُرَّاءِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
5005 - حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الفَضْلِ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ عُمَرُ: أُبَيٌّ أَقْرَؤُنَا، وَإِنَّا لَنَدَعُ مِنْ لَحَنِ أُبَيٍّ، وَأُبَيٌّ يَقُولُ: «أَخَذْتُهُ مِنْ فِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلاَ أَتْرُكُهُ لِشَيْءٍ» ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {مَا نَنْسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِنْهَا أَوْ مِثْلِهَا} [البقرة: 106]
তাহকীক: