আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫৪- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৪৮৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৬৬
- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়
২৭৭৬. (মহান আল্লাহর বাণী) এমন বস্তুকে আপনি কেন হারাম করছেন যা আল্লাহ্ আপনার জন্য হালাল করে দিয়েছেন ?
৪৮৮৮। হাসান ইবনে সাব্বাহ (রাহঃ) ......... সা‘ঈদ ইবনে যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হারাম বলে ঘোষণা করে তবে তাতে কিছু (তালাক) হয় না। তিনি আরও বলেনঃ নিশ্চয় তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।
كتاب الطلاق
باب {لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ}
5266 - حَدَّثَنِي الحَسَنُ بْنُ صَبَّاحٍ، سَمِعَ الرَّبِيعَ بْنَ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ: أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ: «إِذَا حَرَّمَ امْرَأَتَهُ لَيْسَ بِشَيْءٍ» وَقَالَ: {لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ} [الأحزاب: 21]
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৮৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৬৭
- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়
২৭৭৬. (মহান আল্লাহর বাণী) এমন বস্তুকে আপনি কেন হারাম করছেন যা আল্লাহ্ আপনার জন্য হালাল করে দিয়েছেন ?
৪৮৮৯। হাসান ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে সাব্বাহ (রাহঃ) ......... ‘আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) যায়নাব বিনতে জাহাশের নিকট কিছু বিলম্ব করতেন এবং সেখানে তিনি মধু পান করতেন। আমি ও হাফসা পরামর্শক্রমে ঠিক করলাম যে, আমাদের মধ্যে যার কাছেই নবী (ﷺ) প্রবেশ করবেন, সেই যেন বলে আমি আপনার থেকে মাগাফীর -এর গন্ধ পাচ্ছি। আপনি কি মাগাফীর খেয়েছেন? এরপর তিনি তাদের একজনের নিকট প্রবেশ করলে তিনি তাকে অনুরূপ বললেন। তিনি বললেনঃ বরং আমি যায়নাব বিনতে জাহাশের নিকট মধু পান করেছি। আমি পুনঃ এ কাজ করব না। এ প্রসঙ্গেই অবর্তীর্ণ হয় (মহান আল্লাহর বাণীঃ) হে নবী! এমন বস্তুকে হারাম করছেন কেন, যা আল্লাহ আপনার জন্য হালাল করেছেন? .... যদি তোমরা উভয়ে আল্লাহর নিকট তাওবা কর পর্যন্ত। এখানে আয়েশা ও হাফসা (রাযিঃ) কে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। আর আল্লাহর বাণীঃ যখন নবী তার স্ত্রীদের একজনকে গোপনে কিছু বলেছিলেন ‘বরং আমি মধু পান করেছি’ এ কথার প্রেক্ষিতে নাযিল হয়।
كتاب الطلاق
باب {لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ}
5267 - حَدَّثَنِي الحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ صَبَّاحٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: زَعَمَ عَطَاءٌ، أَنَّهُ سَمِعَ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمْكُثُ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، وَيَشْرَبُ عِنْدَهَا عَسَلًا، فَتَوَاصَيْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ: أَنَّ أَيَّتَنَا دَخَلَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلْتَقُلْ: إِنِّي أَجِدُ مِنْكَ رِيحَ مَغَافِيرَ، أَكَلْتَ مَغَافِيرَ، فَدَخَلَ عَلَى إِحْدَاهُمَا، فَقَالَتْ لَهُ ذَلِكَ، فَقَالَ: «لاَ، بَلْ شَرِبْتُ عَسَلًا عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، وَلَنْ أَعُودَ لَهُ» فَنَزَلَتْ: {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ} [التحريم: 1]- إِلَى - {إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ} [التحريم: 4] لِعَائِشَةَ وَحَفْصَةَ: {وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ} [التحريم: 3] لِقَوْلِهِ: «بَلْ شَرِبْتُ عَسَلًا»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৮৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৬৮
- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়
২৭৭৬. (মহান আল্লাহর বাণী) এমন বস্তুকে আপনি কেন হারাম করছেন যা আল্লাহ্ আপনার জন্য হালাল করে দিয়েছেন ?
৪৮৯০। ফারওয়া ইবনে আবুল মাগরা (রাহঃ) ......... ‘আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মধু ও হালুয়া (মিষ্টি) পছন্দ করতেন। আসরের নামায শেষে তিনি তার সহধর্মিনীদের নিকট যেতেন। এরপর তাদের একজনের ঘনিষ্ঠ হতেন। একদা তিনি হাফসা বিনতে উমরের কাছে গেলেন এবং অন্যান্য দিন অপেক্ষা বেশী সময় অতিবাহিত করলেন। এতে আমি ঈর্ষা করলাম। পরে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে অবগত হলাম যে, তার (হাফসার) গোত্রের জনৈকা মহিলা তাকে এক পাত্র মধু হাদিয়া দিয়েছিল। তা থেকেই তিনি নবী (ﷺ) কে কিছু পান করিয়েছেন। আমি বললামঃ আল্লাহর কসম! আমরা এজন্য একটি ফন্দি করব।
এরপর আমি সাওদা বিনতে যাম‘আকে বললাম তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) তো এখনই তোমার কাছে আসছেন, তিনি তোমার নিকটবর্তী হলেই তুমি বলবে, আপনি কি মাগাফীর খেয়েছেন? তিনি নিশ্চয়ই তোমাকে বলবেন “না”। তখন তুমি তাকে বলবে, তবে আমি কিসের গন্ধ পাচ্ছি? তিনি বলবেনঃ হাফসা আমাকে কিছু মধূ পান করিয়েছে। তুমি তখন বলবে, এর মৌমাছি মনে হয় উরফূত (এক জাতীয় গাছ) নামক বৃক্ষ থেকে মধূ আহরন করেছে। আমিও তাই বলব। হে সাফিয়্যা! তুমিও তাই বলবে।
‘আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ সাওদা (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! তিনি দরজার নিকট আসতেই আমি তোমার ভয়ে তোমার আদিষ্ট কাজ পালনে প্রস্তুত হলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন তার নিকটবর্তী হলেন, তখন সাওদা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি মাগাফীর খেয়েছেন? তিনি বললেনঃ না। সাওদা বললেনঃ তবে আপনার কাছ থেকে এ কিসের গন্ধ পাচ্ছি? তিনি বললেনঃ হাফসা আমাকে কিছু মধূ পান করিয়েছে। সাওদা বললেন, এর মধূ মক্ষিকা উরফূত নামক বৃক্ষের মধূ আহরন করেছে।
এরপর তিনি পরে যখন আমার কাছে এলেন, তখন আমিও অনুরূপ বললাম। তিনি সাফিয়্যার কাছে গেলে তিনিও এরূপ উক্তি করলেন। পরদিন যখন তিনি হাফসার কাছে গেলেনঃ তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনাকে মধূ পান করাব কি? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এর আমার কোন প্রয়োজন নেই। আয়েশা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, সাওদা বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমরা তাকে বিরত রেখেছি। আমি তাকে বললামঃ চুপ কর।
এরপর আমি সাওদা বিনতে যাম‘আকে বললাম তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) তো এখনই তোমার কাছে আসছেন, তিনি তোমার নিকটবর্তী হলেই তুমি বলবে, আপনি কি মাগাফীর খেয়েছেন? তিনি নিশ্চয়ই তোমাকে বলবেন “না”। তখন তুমি তাকে বলবে, তবে আমি কিসের গন্ধ পাচ্ছি? তিনি বলবেনঃ হাফসা আমাকে কিছু মধূ পান করিয়েছে। তুমি তখন বলবে, এর মৌমাছি মনে হয় উরফূত (এক জাতীয় গাছ) নামক বৃক্ষ থেকে মধূ আহরন করেছে। আমিও তাই বলব। হে সাফিয়্যা! তুমিও তাই বলবে।
‘আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ সাওদা (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! তিনি দরজার নিকট আসতেই আমি তোমার ভয়ে তোমার আদিষ্ট কাজ পালনে প্রস্তুত হলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন তার নিকটবর্তী হলেন, তখন সাওদা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি মাগাফীর খেয়েছেন? তিনি বললেনঃ না। সাওদা বললেনঃ তবে আপনার কাছ থেকে এ কিসের গন্ধ পাচ্ছি? তিনি বললেনঃ হাফসা আমাকে কিছু মধূ পান করিয়েছে। সাওদা বললেন, এর মধূ মক্ষিকা উরফূত নামক বৃক্ষের মধূ আহরন করেছে।
এরপর তিনি পরে যখন আমার কাছে এলেন, তখন আমিও অনুরূপ বললাম। তিনি সাফিয়্যার কাছে গেলে তিনিও এরূপ উক্তি করলেন। পরদিন যখন তিনি হাফসার কাছে গেলেনঃ তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনাকে মধূ পান করাব কি? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এর আমার কোন প্রয়োজন নেই। আয়েশা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, সাওদা বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমরা তাকে বিরত রেখেছি। আমি তাকে বললামঃ চুপ কর।
كتاب الطلاق
باب {لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ}
5268 - حَدَّثَنَا فَرْوَةُ بْنُ أَبِي المَغْرَاءِ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّ العَسَلَ وَالحَلْوَاءَ، وَكَانَ إِذَا انْصَرَفَ مِنَ العَصْرِ دَخَلَ عَلَى نِسَائِهِ، فَيَدْنُو مِنْ إِحْدَاهُنَّ، فَدَخَلَ عَلَى حَفْصَةَ بِنْتِ عُمَرَ، فَاحْتَبَسَ أَكْثَرَ مَا كَانَ يَحْتَبِسُ، فَغِرْتُ، فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ، فَقِيلَ لِي: أَهْدَتْ لَهَا امْرَأَةٌ مِنْ قَوْمِهَا عُكَّةً مِنْ عَسَلٍ، فَسَقَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ شَرْبَةً، فَقُلْتُ: أَمَا وَاللَّهِ لَنَحْتَالَنَّ لَهُ، فَقُلْتُ لِسَوْدَةَ بِنْتِ زَمْعَةَ: إِنَّهُ سَيَدْنُو مِنْكِ، فَإِذَا دَنَا مِنْكِ فَقُولِي: أَكَلْتَ مَغَافِيرَ، فَإِنَّهُ سَيَقُولُ لَكِ: لاَ، فَقُولِي لَهُ: مَا هَذِهِ الرِّيحُ الَّتِي أَجِدُ مِنْكَ، فَإِنَّهُ سَيَقُولُ لَكِ: سَقَتْنِي حَفْصَةُ شَرْبَةَ عَسَلٍ، فَقُولِي لَهُ: جَرَسَتْ نَحْلُهُ العُرْفُطَ، وَسَأَقُولُ ذَلِكِ، وَقُولِي أَنْتِ يَا صَفِيَّةُ ذَاكِ، قَالَتْ: تَقُولُ سَوْدَةُ: فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ قَامَ عَلَى البَابِ، فَأَرَدْتُ أَنْ أُبَادِيَهُ بِمَا أَمَرْتِنِي بِهِ فَرَقًا مِنْكِ، فَلَمَّا دَنَا مِنْهَا قَالَتْ لَهُ سَوْدَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَكَلْتَ مَغَافِيرَ؟ قَالَ: «لاَ» قَالَتْ: فَمَا هَذِهِ الرِّيحُ الَّتِي أَجِدُ مِنْكَ؟ قَالَ: «سَقَتْنِي حَفْصَةُ شَرْبَةَ عَسَلٍ» فَقَالَتْ: جَرَسَتْ نَحْلُهُ العُرْفُطَ، فَلَمَّا دَارَ إِلَيَّ قُلْتُ لَهُ نَحْوَ ذَلِكَ، فَلَمَّا دَارَ إِلَى صَفِيَّةَ قَالَتْ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ [ص:45]، فَلَمَّا دَارَ إِلَى حَفْصَةَ قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلاَ أَسْقِيكَ مِنْهُ؟ قَالَ: «لاَ حَاجَةَ لِي فِيهِ» قَالَتْ: تَقُولُ سَوْدَةُ: وَاللَّهِ لَقَدْ حَرَمْنَاهُ، قُلْتُ لَهَا: اسْكُتِي
তাহকীক: