আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫- হায়েয-ইস্তিহাযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৪
- হায়েয-ইস্তিহাযার অধ্যায়
২২৫। ঋতুবতী মহিলাদের উভয় ঈদ ও মুসলমানদের দুআর সমাবেশে উপস্থিত হওয়া এবং ঈদগাহ থেকে দূরে অবস্থান করা।
৩১৮। মুহাম্মাদ ইবনে সালামা (রাহঃ) .... হাফসা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা আমাদের যুবতীদের ঈদের নামাযে বের হতে নিষেধ করতাম। এক মহিলা বনু খালাফের মহলে এসে পৌঁছলেন এবং তিনি তাঁর বোন থেকে বর্ণনা করলেন, তাঁর ভগ্নীপতি নবী (ﷺ) এর সঙ্গে বারটি গাযওয়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেনঃ আমার বোনও তাঁর সঙ্গে ছয়টি গাযওয়ায় শরীক ছিল। সেই বোন বলেনঃ আমাদের কারো ওড়না না থাকার কারণে বের না হলে কোন অসুবিধা আছে কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তাঁর সাথীর ওড়না তাকে পরিয়ে দেবে, যাতে সে ভালো মজলিস ও মুমিনদের দু'আয় শরীক হতে পারে।
যখন উম্মে আতিয়্যা (রাযিঃ) আসলেন, আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলামঃ আপনি কি নবী (ﷺ) থেকে এরূপ শুনেছেন? উত্তরে তিনি বললেঃ আমার পিতা তাঁর জন্য কুরবান হোক। হ্যাঁ, তিনি এরূপ বলেছিলেন। নবী (ﷺ)-এর কথা আলোচিত হলেই তিনি বলতেন “আমার পিতা তাঁর জন্য কুরবান হোক”। আমি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, যুবতী, পর্দানশীন ও ঋতুবতী মহিলারা বের হবে এবং ভাল স্থানে ও মু’মিনদের দুআয় অংশগ্রহণ করবে। অবশ্য ঋতুবতী মহিলা ঈদগাহ থেকে দূরে থাকবে। হাফসা (রাহঃ) বলেনঃ আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ ঋতুবতীও কি বের হবে? তিনি বলেনঃ সে কি আরাফাতে ও অমুক অমুক স্থানে উপস্থিত হবে না?
كتاب الحيض
باب شُهُودِ الْحَائِضِ الْعِيدَيْنِ، وَدَعْوَةَ الْمُسْلِمِينَ، وَيَعْتَزِلْنَ الْمُصَلَّى
324 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ سَلاَمٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حَفْصَةَ، قَالَتْ: كُنَّا نَمْنَعُ عَوَاتِقَنَا أَنْ يَخْرُجْنَ فِي العِيدَيْنِ، فَقَدِمَتِ امْرَأَةٌ، فَنَزَلَتْ قَصْرَ بَنِي خَلَفٍ، فَحَدَّثَتْ عَنْ أُخْتِهَا، وَكَانَ زَوْجُ أُخْتِهَا غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ غَزْوَةً، وَكَانَتْ أُخْتِي مَعَهُ فِي سِتٍّ، قَالَتْ: كُنَّا نُدَاوِي الكَلْمَى، وَنَقُومُ عَلَى المَرْضَى، فَسَأَلَتْ أُخْتِي النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَعَلَى إِحْدَانَا بَأْسٌ إِذَا لَمْ يَكُنْ لَهَا جِلْبَابٌ أَنْ لاَ تَخْرُجَ؟ قَالَ: «لِتُلْبِسْهَا صَاحِبَتُهَا مِنْ جِلْبَابِهَا وَلْتَشْهَدِ الخَيْرَ وَدَعْوَةَ المُسْلِمِينَ» ، فَلَمَّا قَدِمَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ، سَأَلْتُهَا أَسَمِعْتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: بِأَبِي، نَعَمْ، وَكَانَتْ لاَ تَذْكُرُهُ إِلَّا قَالَتْ: بِأَبِي، سَمِعْتُهُ يَقُولُ: «يَخْرُجُ العَوَاتِقُ وَذَوَاتُ الخُدُورِ، أَوِ العَوَاتِقُ ذَوَاتُ الخُدُورِ، وَالحُيَّضُ، وَلْيَشْهَدْنَ الخَيْرَ، وَدَعْوَةَ المُؤْمِنِينَ، وَيَعْتَزِلُ الحُيَّضُ المُصَلَّى» ، قَالَتْ حَفْصَةُ: فَقُلْتُ الحُيَّضُ، فَقَالَتْ: أَلَيْسَ تَشْهَدُ عَرَفَةَ، وَكَذَا وَكَذَا