আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৬১- রোগীদের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৫২৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৫৫
- রোগীদের বর্ণনা
২৯৮৮. অসুস্থ শিশুদের সেবা করা
৫২৫৩। হাজ্জাজ ইবনে মিনহাল (রাহঃ) ......... উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) -এর এক কন্যা (যায়নাব) তাঁর কাছে সংবাদ পাঠিয়েছেন, এ সময় সা’দ ও সম্ভবত উবাই (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ) -এর সঙ্গে ছিলেন। সংবাদ ছিল এ মর্মে যে, (যায়নাব বলেছেন) আমার এক শিশুকন্যা মৃত্যুশয্যায় শায়িত। কাজেই আপনি আমাদের এখানে আসুন। উত্তরে নবী করীম (ﷺ) তার কাছে সালাম পাঠিয়ে বলে দিলেনঃ সব আল্লাহর ইখতিয়ার। তিনি যা চান নিয়ে নেন, আবার যা চান দিয়ে যান। তার কাছে সব কিছুরই একটি নির্ধারিত সময় আছে। কাজেই তুমি ধৈর্যধারণ কর এবং উত্তম প্রতিদানের আশায় থাকো।
তারপর আবারো তিনি নবী করীম (ﷺ) -এর কাছে কসম ও তাগিদ দিয়ে সংবাদ পাঠালে নবী করীম (ﷺ) উঠে দাঁড়ালেন। আমরাও দাঁড়িয়ে গেলাম। এরপর শিশুটিকে নবী করীম (ﷺ) -এর কোলে তুলে দেওয়া হল। এ সময় তার নিঃশ্বাস দ্রুত উঠানামা করছিল। নবী করীম (ﷺ) -এর দু’চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে লাগলো।
সা‘দ (রাযিঃ) বললেন: ইয়া রাসুলাল্লাহ! এটা কি? তিনি উত্তর দিলেনঃ এটা রহমত। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা করেন তার অন্তরে এটিকে স্থাপন করেন। আর আল্লাহ তার মেহেরবান বান্দাদের প্রতিই রহমত বর্ষণ করে থাকেন।
তারপর আবারো তিনি নবী করীম (ﷺ) -এর কাছে কসম ও তাগিদ দিয়ে সংবাদ পাঠালে নবী করীম (ﷺ) উঠে দাঁড়ালেন। আমরাও দাঁড়িয়ে গেলাম। এরপর শিশুটিকে নবী করীম (ﷺ) -এর কোলে তুলে দেওয়া হল। এ সময় তার নিঃশ্বাস দ্রুত উঠানামা করছিল। নবী করীম (ﷺ) -এর দু’চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে লাগলো।
সা‘দ (রাযিঃ) বললেন: ইয়া রাসুলাল্লাহ! এটা কি? তিনি উত্তর দিলেনঃ এটা রহমত। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা করেন তার অন্তরে এটিকে স্থাপন করেন। আর আল্লাহ তার মেহেরবান বান্দাদের প্রতিই রহমত বর্ষণ করে থাকেন।
كتاب المرضى
باب عِيَادَةِ الصِّبْيَانِ
5655 - حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَاصِمٌ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ ابْنَةً لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْسَلَتْ إِلَيْهِ، وَهُوَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَعْدٌ وَأُبَيٌّ، نَحْسِبُ: أَنَّ ابْنَتِي قَدْ حُضِرَتْ فَاشْهَدْنَا، فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا السَّلاَمَ، وَيَقُولُ: «إِنَّ لِلَّهِ مَا أَخَذَ وَمَا أَعْطَى، وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ مُسَمًّى، فَلْتَحْتَسِبْ وَلْتَصْبِرْ» فَأَرْسَلَتْ تُقْسِمُ عَلَيْهِ، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقُمْنَا، فَرُفِعَ الصَّبِيُّ فِي حَجْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَفْسُهُ جُئِّثُ، فَفَاضَتْ عَيْنَا النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ: مَا هَذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «هَذِهِ رَحْمَةٌ وَضَعَهَا اللَّهُ فِي قُلُوبِ مَنْ شَاءَ مِنْ عِبَادِهِ، وَلاَ يَرْحَمُ اللَّهُ مِنْ عِبَادِهِ إِلَّا الرُّحَمَاءَ»