আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৬২- চিকিৎসা - তদবীরের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৫৩২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫৭৩৬
- চিকিৎসা - তদবীরের অধ্যায়
৩০৩৪. সূরায়ে ফাতিহার দ্বারা ফুঁক দেয়া।
ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে নবী করীম (ﷺ) সূত্রে এ ব্যাপারে উল্লেখ আছে
ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে নবী করীম (ﷺ) সূত্রে এ ব্যাপারে উল্লেখ আছে
৫৩২৫। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু সা‘ঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) -এর সাহাবীদের মধ্যে কতিপয় সাহাবী আরবের এক গোত্রের নিকট আসলেন। গোত্রের লোকেরা তাদের কোন মেহমানাদারী করল না। তারা সেখানে থাকা কালেই হঠাৎ সেই গোত্রের নেতাকে সর্প দংশন করলো। তখন তারা এসে বলল, আপনাদের কাছে কি কোন ঔষধ আছে কিংবা আপনাদের মখ্যে ঝাড়-ফুঁককারী কোন লোক আছে কি? তারা উত্তর দিলেনঃ হ্যাঁ। তবে তোমরা আমাদের কোন মেহমানদারী করনি। কাজেই আমাদের জন্য কোন বিনিময় নির্ধারণ না করা পর্যন্ত আমরা তা করবো না। ফলে তারা তাদের জন্য এক পাল বকরী বিনিময় স্বরূপ দিতে রাযী হল।
তখন একজন সাহাবী উম্মুল কুরআন (সূরা-ফাতিহা) পড়তে লাগলেন এবং মুখে থুথু জমা করে তা সে ব্যক্তির গায়ে ছিঁটিয়ে দিলেন। ফলে সে আরোগ্য লাভ করল। এরপর তারা বকরীগুলো নিয়ে এসে বললো, আমরা নবী করীম (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করার পূর্বে এটি স্পর্শ করবো না। এরপর তাঁরা এ বিষয়ে নবী করীম (ﷺ) -কে জিজ্ঞাসা করলেন। নবী করীম (ﷺ) শুনে হেসে দিলেন এবং বললেন তোমরা কিভাবে জানলে যে এটি রোগ নিরাময়কারী? ঠিক আছে বকরীগুলো নিয়ে যাও এবং তাতে আমার জন্যও এক অংশ রেখে দিও।
তখন একজন সাহাবী উম্মুল কুরআন (সূরা-ফাতিহা) পড়তে লাগলেন এবং মুখে থুথু জমা করে তা সে ব্যক্তির গায়ে ছিঁটিয়ে দিলেন। ফলে সে আরোগ্য লাভ করল। এরপর তারা বকরীগুলো নিয়ে এসে বললো, আমরা নবী করীম (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করার পূর্বে এটি স্পর্শ করবো না। এরপর তাঁরা এ বিষয়ে নবী করীম (ﷺ) -কে জিজ্ঞাসা করলেন। নবী করীম (ﷺ) শুনে হেসে দিলেন এবং বললেন তোমরা কিভাবে জানলে যে এটি রোগ নিরাময়কারী? ঠিক আছে বকরীগুলো নিয়ে যাও এবং তাতে আমার জন্যও এক অংশ রেখে দিও।
كتاب الطب
باب الرُّقَى بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَيُذْكَرُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
5736 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ أَبِي المُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ نَاسًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَوْا عَلَى حَيٍّ مِنْ أَحْيَاءِ العَرَبِ فَلَمْ يَقْرُوهُمْ، فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ، إِذْ لُدِغَ سَيِّدُ أُولَئِكَ، فَقَالُوا: هَلْ مَعَكُمْ مِنْ دَوَاءٍ أَوْ رَاقٍ؟ فَقَالُوا: إِنَّكُمْ لَمْ تَقْرُونَا، وَلاَ نَفْعَلُ حَتَّى تَجْعَلُوا لَنَا جُعْلًا، فَجَعَلُوا لَهُمْ قَطِيعًا مِنَ الشَّاءِ، فَجَعَلَ يَقْرَأُ بِأُمِّ القُرْآنِ، وَيَجْمَعُ بُزَاقَهُ وَيَتْفِلُ، فَبَرَأَ فَأَتَوْا بِالشَّاءِ، فَقَالُوا: لاَ نَأْخُذُهُ حَتَّى نَسْأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلُوهُ فَضَحِكَ وَقَالَ: «وَمَا أَدْرَاكَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ، خُذُوهَا وَاضْرِبُوا لِي بِسَهْمٍ»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: