আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৬৪- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৫৭১২
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৪২ - ৬১৪৩
- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩২৫১. বড়কে সম্মান করা। বয়সে যিনি বড়, তিনিই কথাবার্তা ও প্রশ্নাদি আরম্ভ করবেন।
৫৭১২। সুলায়মান ইবনে হারব (রাহঃ) ......... রাফি' ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) ও সাহল ইবনে আবু হাসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার আব্দুল্লাহ ইবনে সাহল ও মুহাইয়িসা ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) খায়বরে পৌছে উভয়েই খেজুরের বাগানের ভিন্ন ভিন্ন পথে চলে গেলেন। সেখানে আব্দুল্লাহ ইবনে সাহল (রাযিঃ) কে হত্যা করা হল। এ ঘটনার পর আব্দুর রহমান ইবনে সাহল ও মাসউদের দুই ছেলে হুওয়াইয়িসা (রাযিঃ) ও মুহাইয়িসা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর কাছে এলেন এবং তাঁর কাছে নিহত ব্যক্তির কথা বলতে লাগলেন। আব্দুর রহমান (রাযিঃ) কথা শুরু করলেন, তিনি ছোট ছিলেন, নবী (ﷺ) বললেনঃ তুমি বড়দের সম্মান করবে। বর্ণনাকারী ইয়াহয়া বলেনঃ কথা বলার দায়িত্ব যেন বড়রা পালন করে। তখন তারা তাদের লোক সম্পর্কে কথা বললেন। নবী (ﷺ) তাদের বললেনঃ তোমাদের পঞ্চাশজন লোক কসমের মাধ্যমে তোমাদের নিহত ভাইয়ের হত্যার হক প্রমাণ কর। তারা বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! ঘটনা তো আমরা দেখিনি। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ তাহলে ইয়াহুদীরা তাদের থেকে পঞ্চাশজনের কসমের মাধ্যমে তোমাদের কসম থেকে মুক্তি দিবে। তখন তারা বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! ওরা তো কাফির সম্প্রদায়। তারপর নবী (ﷺ) নিজের তরফ থেকে তাদের নিহত ব্যক্তির ফিদয়া দিয়ে দিলেন। সাহল (রাযিঃ) বললেনঃ আমি সেই উটগুলো থেকে একটি উট পেলাম। সেটি নিয়ে আমি যখন আস্তাবলে গেলাম তখন উটনীটি তার পা দিয়ে আমাকে লাথি মারল।
كتاب الأدب
باب إِكْرَامِ الْكَبِيرِ وَيَبْدَأُ الأَكْبَرُ بِالْكَلاَمِ وَالسُّؤَالِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، هُوَ ابْنُ زَيْدٍ ـ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، مَوْلَى الأَنْصَارِ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، وَسَهْلَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةَ بْنَ مَسْعُودٍ أَتَيَا خَيْبَرَ فَتَفَرَّقَا فِي النَّخْلِ، فَقُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ، فَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَحُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ ابْنَا مَسْعُودٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَتَكَلَّمُوا فِي أَمْرِ صَاحِبِهِمْ فَبَدَأَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَكَانَ أَصْغَرَ الْقَوْمِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " كَبِّرِ الْكُبْرَ ". ـ قَالَ يَحْيَى لِيَلِيَ الْكَلاَمَ الأَكْبَرُ ـ فَتَكَلَّمُوا فِي أَمْرِ صَاحِبِهِمْ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَتَسْتَحِقُّونَ قَتِيلَكُمْ ـ أَوْ قَالَ صَاحِبَكُمْ ـ بِأَيْمَانِ خَمْسِينَ مِنْكُمْ ". قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمْرٌ لَمْ نَرَهُ. قَالَ " فَتُبْرِئُكُمْ يَهُودُ فِي أَيْمَانِ خَمْسِينَ مِنْهُمْ ". قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَوْمٌ كُفَّارٌ. فَوَدَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ قِبَلِهِ. قَالَ سَهْلٌ فَأَدْرَكْتُ نَاقَةً مِنْ تِلْكَ الإِبِلِ، فَدَخَلَتْ مِرْبَدًا لَهُمْ فَرَكَضَتْنِي بِرِجْلِهَا.
قَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ بُشَيْرٍ، عَنْ سَهْلٍ، قَالَ يَحْيَى حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ مَعَ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، وَقَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ بُشَيْرٍ عَنْ سَهْلٍ وَحْدَهُ.
হাদীস নং: ৫৭১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৪৪
- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩২৫১. বড়কে সম্মান করা। বয়সে যিনি বড়, তিনিই কথাবার্তা ও প্রশ্নাদি আরম্ভ করবেন।
৫৭১৩। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা আমাকে এমন একটা বৃক্ষের খবর দাও, মুসলমানের সাথে যার দৃষ্টান্ত রয়েছে। তা সর্বদা তার প্রতিপালকের নির্দেশে খাদ্য দান করে, আর তার পাতাও ঝরে না। তখন আমার মনে আসল যে, এটি খেজুর গাছ। কিন্তু যেহেতু সে স্থানে আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) উপস্থিত থেকেও কথা বলছিলেন না, তাই আমিও কথা বলা অপছন্দ করি । তখন নবী (ﷺ) নিজেই বললেনঃ সেটি হল খেজুর গাছ। তারপর যখন আমি আমার আব্বার সঙ্গে বেরিয়ে এলাম, তখন আমি বললাম, আব্বা! আমার মনেও এ খেয়াল এসেছিল যে, এটা নিশ্চয়ই খেজুর গাছ। তিনি বললেনঃ তোমাকে তা বলতে কিসে বাধা দিয়েছিল? যদি তুমি তা বলতে, তাহলে একথা আমার কাছে এত এত ধন-সম্পদ পাওয়ার চেয়েও অধিক প্রিয় হত। তিনি বললেনঃ আমাকে শুধু একথাই বাঁধা দিয়েছিল যে, আমি দেখলাম আপনি ও আবু বকর (রাযিঃ) কেউই কোন কথা বলছেন না। তাই আমিও কথা বলা পছন্দ করলাম না।
كتاب الأدب
باب إِكْرَامِ الْكَبِيرِ وَيَبْدَأُ الأَكْبَرُ بِالْكَلاَمِ وَالسُّؤَالِ
6144 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَخْبِرُونِي بِشَجَرَةٍ مَثَلُهَا مَثَلُ المُسْلِمِ، تُؤْتِي أُكُلَهَا كُلَّ حِينٍ بِإِذْنِ رَبِّهَا، وَلاَ تَحُتُّ وَرَقَهَا» فَوَقَعَ فِي نَفْسِي أَنَّهَا النَّخْلَةُ، فَكَرِهْتُ أَنْ أَتَكَلَّمَ، وَثَمَّ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، فَلَمَّا لَمْ يَتَكَلَّمَا، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هِيَ النَّخْلَةُ» ، فَلَمَّا خَرَجْتُ مَعَ أَبِي قُلْتُ: يَا أَبَتَاهُ، وَقَعَ فِي نَفْسِي أَنَّهَا النَّخْلَةُ، قَالَ: مَا مَنَعَكَ أَنْ تَقُولَهَا، لَوْ كُنْتَ قُلْتَهَا كَانَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ كَذَا وَكَذَا، قَالَ: مَا مَنَعَنِي إِلَّا أَنِّي لَمْ أَرَكَ وَلاَ أَبَا بَكْرٍ تَكَلَّمْتُمَا فَكَرِهْتُ