আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৬৪- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
হাদীস নং: ৫৭২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৫৯
- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩২৫৭. কাউকে ‘ওয়াইলাকা’ বলা।
৫৭২৮। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) এক ব্যক্তিকে একটি কুরবানীর উট হাকিয়ে নিতে দেখে তাকে বললেনঃ এতে সওয়ার হয়ে যাও। সে বললঃ এটি তো কুরবানীর উট। তিনি আবার বললেনঃ সওয়ার হয়ে যাও। সে বললঃ এটি তো কুরবানীর উট। তিনি বললেনঃ ওয়াইলাকা (তোমার অকল্যাণ হোক), তুমি এটির উপর সওয়ার হয়ে যাও।
كتاب الأدب
باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ الرَّجُلِ وَيْلَكَ
6159 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى رَجُلًا يَسُوقُ بَدَنَةً، فَقَالَ: «ارْكَبْهَا» قَالَ: إِنَّهَا بَدَنَةٌ، قَالَ: «ارْكَبْهَا» قَالَ: إِنَّهَا بَدَنَةٌ، قَالَ: «ارْكَبْهَا وَيْلَكَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৬০
- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩২৫৭. কাউকে ‘ওয়াইলাকা’ বলা।
৫৭২৯। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক ব্যক্তিকে একটা কুরবানীর উট হাকিয়ে নিয়ে যেতে দেখে বললেনঃ তুমি এর উপর সওয়ার হয়ে যাও। সে বলল ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটি তো কুরবানীর উট। তখন তিনি দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয়বার বললেনঃ ওয়াইলাকা (তোমার অনিষ্ট হোক), তুমি এতে সওয়ার হয়ে যাও।
كتاب الأدب
باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ الرَّجُلِ وَيْلَكَ
6160 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ [ص:38] الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى رَجُلًا يَسُوقُ بَدَنَةً، فَقَالَ لَهُ: «ارْكَبْهَا» قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا بَدَنَةٌ، قَالَ: «ارْكَبْهَا وَيْلَكَ» فِي الثَّانِيَةِ أَوْ فِي الثَّالِثَةِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৬১
- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩২৫৭. কাউকে ‘ওয়াইলাকা’ বলা।
৫৭৩০। মুসাদ্দাদ রাহঃ হাম্মাদ ও আইয়ুব (রাহঃ) সূত্রে ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক সফরে ছিলেন। তার সঙ্গে তখন আনজাশা নামক একজন কালো গোলাম ছিল। সে পুঁথি গাইছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ ওহে আনজাশা, তোমার অকল্যাণ হোক, তুমি উটটিকে কাঁচপাত্র সদৃশ সওয়ারীদের নিয়ে ধীরে চালিয়ে যাও।
كتاب الأدب
باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ الرَّجُلِ وَيْلَكَ
6161 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ البُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَأَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، وَكَانَ مَعَهُ غُلاَمٌ لَهُ أَسْوَدُ يُقَالُ لَهُ أَنْجَشَةُ، يَحْدُو، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَيْحَكَ يَا أَنْجَشَةُ رُوَيْدَكَ بِالقَوَارِيرِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৬২
- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩২৫৭. কাউকে ‘ওয়াইলাকা’ বলা।
৫৭৩১। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর সামনে আরেকজনের প্রশংসা করল। তিনি বললেনঃ ‘ওয়াইলাকা’ (তোমার অমঙ্গল হোক), তুমি তো তোমার ভাইয়ের গর্দান কেটে দিয়েছ। তিনি এ কথাটি তিনবার বললেন। তিনি আরও বললেনঃ যদি তোমাদের কারোর কাউকে প্রশংসা করতেই হয়, আর সে তার অবস্থা সম্পর্কে অবহিত থাকে, তবে শুধু এতটুকু বলবে যে, আমি এ ব্যক্তি সম্পর্কে এরূপ ধারণা পোষণ করি, প্রকৃত হিসাব নিকাশের মালিক একমাত্র আল্লাহ। আর আমি নিশ্চিতভাবে আল্লাহর সামনে কারো পবিত্রতা বর্ণনা করছি না।
كتاب الأدب
باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ الرَّجُلِ وَيْلَكَ
6162 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: أَثْنَى رَجُلٌ عَلَى رَجُلٍ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " وَيْلَكَ، قَطَعْتَ عُنُقَ أَخِيكَ - ثَلاَثًا - مَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَادِحًا لاَ مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ: أَحْسِبُ فُلاَنًا، وَاللَّهُ حَسِيبُهُ، وَلاَ أُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا، إِنْ كَانَ يَعْلَمُ "
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৫৭৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৬৩
- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩২৫৭. কাউকে ‘ওয়াইলাকা’ বলা।
৫৭৩২। আব্দুর রহমান ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা নিজ অধিকারভুক্ত কিছু মাল নবী (ﷺ) ভাগ করে দিলেন। এমন সমর তামীম গোত্রের যুল খুয়াইসিরা নামক এক ব্যক্তি বলে উঠলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইনসাফ করুন। তখন তিনি বললেনঃ ওয়াইলাকা (তোমার অমঙ্গল হোক), আমি ইনসাফ না করলে আর কে ইনসাফ করবে? তখন উমর (রাযিঃ) বললেনঃ আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি এর গর্দান উড়িয়ে দিই। তিনি বললেনঃ না। কারণ, তার এমন কতক সাথী রয়েছে; যাদের নামাযের সামনে নিজেদের নামাযকে তোমরা তুচ্ছ মনে করবে এবং তাদের রোযার সামনে তোমাদের নিজেদের রোযাকে তুচ্ছ মনে করবে। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে! যেমনিভাবে তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়; গোবর ও রক্তকে এমনভাবে অতিক্রম করে যায় যে, তীরের অগ্রভাগ লক্ষ্য করলে তাতে কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না, তার উপরিভাগে লক্ষ্য করলেও কোন চিহ্ন পাওয়া যায়না। তার কাঠামোতেও কোন চিহ্ন নেই। তার পাতির মধ্যেও কোন চিহ্ন নেই।
এমন সময় তাদের আবির্ভাব হবে, যখন মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ দেখা দিবে। তাদের পরিচয় হল, তাদের নেতা এমন এক ব্যক্তি হবে, যার একহাত স্ত্রীলোকের স্তনের মত অথবা পিত্তের মত তা কাপতে থাকবে।
রাবী আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিয়ে বলছি যে, আমি নিশ্চয়ই নবী (ﷺ) থেকে একথা শুনেছি এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি নিজে আলী (রাযিঃ) এর সাথে ছিলাম, যখন তিনি এ দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন। তখন সে লোকটিকে যুদ্ধের নিহত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে খুজে বের করে আনার পর তাকে ঠিক সেই অবস্থায়ই পাওয়া গেল, যে অবস্থার বর্ণনা নবী (ﷺ) দিয়েছিলেন।
এমন সময় তাদের আবির্ভাব হবে, যখন মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ দেখা দিবে। তাদের পরিচয় হল, তাদের নেতা এমন এক ব্যক্তি হবে, যার একহাত স্ত্রীলোকের স্তনের মত অথবা পিত্তের মত তা কাপতে থাকবে।
রাবী আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিয়ে বলছি যে, আমি নিশ্চয়ই নবী (ﷺ) থেকে একথা শুনেছি এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি নিজে আলী (রাযিঃ) এর সাথে ছিলাম, যখন তিনি এ দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন। তখন সে লোকটিকে যুদ্ধের নিহত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে খুজে বের করে আনার পর তাকে ঠিক সেই অবস্থায়ই পাওয়া গেল, যে অবস্থার বর্ণনা নবী (ﷺ) দিয়েছিলেন।
كتاب الأدب
باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ الرَّجُلِ وَيْلَكَ
6163 - حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الوَلِيدُ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَالضَّحَّاكِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ، قَالَ: بَيْنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْسِمُ ذَاتَ يَوْمٍ قِسْمًا، فَقَالَ ذُو الخُوَيْصِرَةِ، رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ اعْدِلْ، قَالَ: «وَيْلَكَ، مَنْ يَعْدِلُ إِذَا لَمْ أَعْدِلْ» فَقَالَ عُمَرُ: ائْذَنْ لِي فَلْأَضْرِبْ عُنُقَهُ، قَالَ: «لاَ، إِنَّ لَهُ أَصْحَابًا، يَحْقِرُ أَحَدُكُمْ صَلاَتَهُ مَعَ صَلاَتِهِمْ، وَصِيَامَهُ مَعَ صِيَامِهِمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمُرُوقِ السَّهْمِ مِنَ الرَّمِيَّةِ، يُنْظَرُ إِلَى نَصْلِهِ فَلاَ يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، ثُمَّ يُنْظَرُ إِلَى رِصَافِهِ فَلاَ يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، ثُمَّ يُنْظَرُ إِلَى نَضِيِّهِ فَلاَ يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، ثُمَّ يُنْظَرُ إِلَى قُذَذِهِ فَلاَ يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، قَدْ سَبَقَ الفَرْثَ وَالدَّمَ، يَخْرُجُونَ عَلَى حِينِ فُرْقَةٍ مِنَ النَّاسِ، آيَتُهُمْ رَجُلٌ إِحْدَى يَدَيْهِ مِثْلُ ثَدْيِ المَرْأَةِ، أَوْ مِثْلُ البَضْعَةِ تَدَرْدَرُ» قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: أَشْهَدُ لَسَمِعْتُهُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَشْهَدُ أَنِّي كُنْتُ مَعَ عَلِيٍّ حِينَ قَاتَلَهُمْ، فَالْتُمِسَ فِي القَتْلَى فَأُتِيَ بِهِ عَلَى النَّعْتِ الَّذِي نَعَتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৫৭৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৬৪
- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩২৫৭. কাউকে ‘ওয়াইলাকা’ বলা।
৫৭৩৩। আবুল হাসান মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খেদমতে এসে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বললেনঃ ওয়াইলাকা (আফসোস তোমার জন্য), এরপর সে বলল, আমি রমযানের মধ্যেই দিনের বেলায় আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ একটা গোলাম আযাদ করে দাও। সে বললঃ আমার কাছে তা নেই। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি লাগাতার দু’মাস রোযা পালন কর। সে বললঃ আমি এতেও সক্ষম নই। তিনি বললেনঃ তবে তুমি ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াও। লোকটি বললঃ আমি এর সামর্থ রাখি না। তখন নবী (ﷺ) এর খিদমতে এক ঝুড়ি খেজুর এলো। তখন তিনি বললেনঃ এটা নিয়ে যাও এবং সাদ্কা করে দাও। সে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তা কি আমার পরিবার ব্যতীত অন্যকে দেব? সেই সত্তার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ, মদীনার উভয় প্রান্তের মধ্যে আমার চেয়ে অভাবী আর কেউ নেই। তখন নবী (ﷺ) এমনভাবে হেসে দিলেন যে, তার পার্শ্বের দাঁত পর্যন্ত প্রকাশ পেল। তিনি বললেনঃ তবে তা তুমিই নিয়ে যাও।
كتاب الأدب
باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ الرَّجُلِ وَيْلَكَ
6164 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَبُو الحَسَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَجُلًا أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكْتُ، قَالَ: «وَيْحَكَ» قَالَ: وَقَعْتُ عَلَى أَهْلِي فِي رَمَضَانَ، قَالَ: «أَعْتِقْ رَقَبَةً» قَالَ: مَا أَجِدُهَا، قَالَ: «فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ» قَالَ: لاَ أَسْتَطِيعُ، قَالَ: «فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا» قَالَ: مَا أَجِدُ، فَأُتِيَ بِعَرَقٍ، فَقَالَ: «خُذْهُ فَتَصَدَّقْ بِهِ» فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعَلَى غَيْرِ أَهْلِي، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، مَا بَيْنَ طُنُبَيْ المَدِينَةِ أَحْوَجُ [ص:39] مِنِّي، فَضَحِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَدَتْ أَنْيَابُهُ، قَالَ: «خُذْهُ» تَابَعَهُ يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ: «وَيْلَكَ»
হাদীস নং: ৫৭৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৬৫
- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩২৫৭. কাউকে ‘ওয়াইলাকা’ বলা।
৫৭৩৪। সুলাইমান ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একজন গ্রাম্যলোক এসে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাকে হিজরত সম্পর্কে কিছু বর্ণনা করুন। তিনি বললেনঃ আফসোস তোমার প্রতি, হিজরত তো বড় কঠিন ব্যাপার। তোমার উট আছে? সে বললঃ হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি এর যাকাত দিয়ে থাক? লোকটি বললঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তবে তুমি সমুদ্রের ঐপাশ থেকেই আমল করে যাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা সওয়াব একটুও কমাবেন না।
كتاب الأدب
باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ الرَّجُلِ وَيْلَكَ
6165 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا الوَلِيدُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ أَعْرَابِيًّا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخْبِرْنِي عَنِ الهِجْرَةِ، فَقَالَ: «وَيْحَكَ، إِنَّ شَأْنَ الهِجْرَةِ شَدِيدٌ، فَهَلْ لَكَ مِنْ إِبِلٍ» قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «فَهَلْ تُؤَدِّي صَدَقَتَهَا» قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «فَاعْمَلْ مِنْ وَرَاءِ البِحَارِ، فَإِنَّ اللَّهَ لَنْ يَتِرَكَ مِنْ عَمَلِكَ شَيْئًا»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৫৭৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৬৬
- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩২৫৭. কাউকে ‘ওয়াইলাকা’ বলা।
৫৭৩৫। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বললেনঃ ‘ওয়াইলাকুম’ অথবা ‘ওয়াইহাকুম’ –রাবীর সন্দেহ– (তোমাদের জন্য আফসোস), আমার পরে তোমরা আবার কাফির হয়ে যেয়ো না। যাতে তোমরা একে অন্যের গর্দান মারবে।
كتاب الأدب
باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ الرَّجُلِ وَيْلَكَ
6166 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الوَهَّابِ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ وَاقِدِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، سَمِعْتُ أَبِي، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " وَيْلَكُمْ أَوْ وَيْحَكُمْ - قَالَ شُعْبَةُ: شَكَّ هُوَ - لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ " وَقَالَ النَّضْرُ، عَنْ شُعْبَةَ: «وَيْحَكُمْ» وَقَالَ عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ: «وَيْلَكُمْ، أَوْ وَيْحَكُمْ»
হাদীস নং: ৫৭৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৬৭
- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩২৫৭. কাউকে ‘ওয়াইলাকা’ বলা।
৫৭৩৬। আমর ইবনে আসিম (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক গ্রাম্যলোক নবী (ﷺ) এর খেদমতে এসে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! কিয়ামত কবে সংঘটিত হবে? তিনি বললেনঃ তোমার জন্য আক্ষেপ, তুমি এর জন্য কী প্রস্তুতি নিয়েছ? সে জবাব দিলঃ আমি তো তার জন্য তেমন কিছু প্রস্তুতি নেই নি, তবে আমি আল্লাহ ও তার রাসূল (ﷺ) কে ভালবাসি। তিনি বললেনঃ তুমি যাকে ভালবাস, কিয়ামতের দিন তুমি তার সঙ্গেই থাকবে। তখন আমরা বললামঃ আমাদের জন্যও কি এরূপ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। এতে আমরা সেদিন যারপরনাই আনন্দিত হলাম। আনাস (রাযিঃ) বলেন, এ সময় মুগীরা (রাযিঃ) এর একটি যুবক ছেলে পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে ছিল আমার সমবয়সী। নবী (ﷺ) বললেনঃ যদি এ যুবকটি বেশী দিন বেঁচে থাকে, তবে সে বৃদ্ধ হওয়ার আগেই (তোমাদের) কিয়ামত সংঘটিত হতে পারে।
كتاب الأدب
باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ الرَّجُلِ وَيْلَكَ
6167 - حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ: أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ البَادِيَةِ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَتَى السَّاعَةُ قَائِمَةٌ؟ قَالَ: «وَيْلَكَ، وَمَا أَعْدَدْتَ لَهَا» قَالَ: مَا أَعْدَدْتُ لَهَا إِلَّا أَنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، قَالَ: «إِنَّكَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ» فَقُلْنَا: وَنَحْنُ كَذَلِكَ؟ قَالَ: «نَعَمْ» فَفَرِحْنَا يَوْمَئِذٍ فَرَحًا شَدِيدًا، فَمَرَّ غُلاَمٌ لِلْمُغِيرَةِ وَكَانَ مِنْ أَقْرَانِي، فَقَالَ: «إِنْ أُخِّرَ هَذَا، فَلَنْ يُدْرِكَهُ الهَرَمُ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ» وَاخْتَصَرَهُ شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، سَمِعْتُ أَنَسًا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ