আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৬৪- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৫৭৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৯১
- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩২৭০. নাম বদলিয়ে পূর্বের নামের চাইতে উত্তম নাম রাখা।
৫৭৫৮। সাঈদ ইবনে আবু মারয়াম (রাহঃ) ......... সাহল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, যখন মুনযির ইবনে আবু উসায়দ জন্মগ্রহণ করলেন, তখন তাকে নবী (ﷺ) এর খেদমতে নিয়ে আসা হল। তিনি তাকে নিজের উরুর উপর রাখলেন। আবু উসায়দ (রাযিঃ) পাশেই বসা ছিলেন। এ সময় নবী (ﷺ) তার সামনেই কোন জরুরী কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। ইত্যবসরে আবু উসায়দ (রাযিঃ) কারো দ্বারা তার উরুর থেকে তাকে উঠায়ে নিয়ে গেলেন। পরে নবী (ﷺ) সে কাজ থেকে অবসর হয়ে জিজ্ঞাসা করলেনঃ শিশুটি কোথায়? আবু উসায়দ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তাকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তার নাম কি? তিনি বললেনঃ অমুক। নবী (ﷺ) বললেনঃ বরং তার নাম মুনযির। সে দিন থেকে তিনি তার নাম রাখলেন মুনযির।
كتاب الأدب
باب تَحْوِيلِ الاِسْمِ إِلَى اسْمٍ أَحْسَنَ مِنْهُ
6191 - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلٍ، قَالَ: أُتِيَ بِالْمُنْذِرِ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ وُلِدَ، فَوَضَعَهُ عَلَى فَخِذِهِ، وَأَبُو أُسَيْدٍ جَالِسٌ، فَلَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَيْءٍ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَأَمَرَ أَبُو أُسَيْدٍ بِابْنِهِ، فَاحْتُمِلَ مِنْ فَخِذِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاسْتَفَاقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَيْنَ الصَّبِيُّ» فَقَالَ أَبُو أُسَيْدٍ: قَلَبْنَاهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «مَا اسْمُهُ» قَالَ: فُلاَنٌ، قَالَ: «وَلَكِنْ أَسْمِهِ المُنْذِرَ» فَسَمَّاهُ يَوْمَئِذٍ المُنْذِرَ
হাদীস নং: ৫৭৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৯২
- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩২৭০. নাম বদলিয়ে পূর্বের নামের চাইতে উত্তম নাম রাখা।
৫৭৫৯। সাদাকা ইবনে ফযল (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, যায়নাব (রাযিঃ) এর নাম ছিল ‘বাররাহ’ (নেককার)। তখন কেউ বললঃ এতে তিনি নিজের পবিত্রতা প্রকাশ করছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর নাম রাখলেন ‘যায়নাব’।
كتاب الأدب
باب تَحْوِيلِ الاِسْمِ إِلَى اسْمٍ أَحْسَنَ مِنْهُ
6192 - حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الفَضْلِ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: " أَنَّ زَيْنَبَ كَانَ اسْمُهَا بَرَّةَ، فَقِيلَ: تُزَكِّي نَفْسَهَا، فَسَمَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ "
হাদীস নং: ৫৭৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৯৩
- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৩২৭০. নাম বদলিয়ে পূর্বের নামের চাইতে উত্তম নাম রাখা।
৫৭৬০। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, একবার তার দাদা নবী (ﷺ) এর খিদমতে আসলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার নাম কি? তিনি উত্তর দিলেনঃ আমার নাম হাযন। তিনি বললেনঃ না, বরং তোমার নাম “সাহল”। তিনি বললেনঃ আমার পিতা আমার যে নাম রেখে গিয়েছেন তা আমি বদলাতে চাই না। ইবনে মুসাইয়্যাব রাহঃ বলেন, ফলে এরপর থেকে আমাদের বংশে কঠিনতাই চলে আসছে।
كتاب الأدب
باب تَحْوِيلِ الاِسْمِ إِلَى اسْمٍ أَحْسَنَ مِنْهُ
6193 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الحَمِيدِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ، قَالَ: جَلَسْتُ إِلَى سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، فَحَدَّثَنِي: أَنَّ جَدَّهُ حَزْنًا قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «مَا اسْمُكَ» قَالَ: اسْمِي حَزْنٌ، قَالَ: «بَلْ أَنْتَ سَهْلٌ» قَالَ: مَا أَنَا بِمُغَيِّرٍ اسْمًا سَمَّانِيهِ أَبِي قَالَ ابْنُ المُسَيِّبِ: «فَمَا زَالَتْ فِينَا الحُزُونَةُ بَعْدُ»
tahqiq

তাহকীক: