আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৬৫- অনুমতি গ্রহণ - প্রদান সংক্রান্ত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৫৮৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৭৭
- অনুমতি গ্রহণ - প্রদান সংক্রান্ত
৩৩২৮. যাকে হেলান দেয়ার উদ্দেশ্যে একটা বালিশ পেশ করা হয়।
৫৮৪২। ইসহাক এবং আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) এর নিকট আমার বেশী রোযা পালন সম্পর্কে উল্লেখ করা হল। তখন তিনি আমার ঘরে আসলেন এবং আমি তার উদ্দেশ্যে খেজুরের ছাল ভর্তি করা চামড়ার একটা বালিশ পেশ করলাম। তিনি মাটিতেই বসে পড়লেন। আর বালিশটা আমার ও তার মাঝখানে থেকে গেল। তিনি আমাকে বললেনঃ প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোযা থাকা কি তোমার জন্য যথেষ্ট নয়? আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ তা হলে পাঁচ দিন? আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ তবে সাতদিন? আমি আবার বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ তবে নয়দিন? আমি পূনরায় বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ তা হলে এগার দিন? আমি আবার বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি বললেনঃ দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযার চেয়ে বেশী কোন (নফল) রোযা নেই। তিনি প্রত্যেক মাসের অথবা বছরের অর্ধেক রোযা পালন করতেন অর্থাৎ একদিন রোযা পালন করতেন আর একদিন পালন করতেন না।
كتاب الاستئذان
باب مَنْ أُلْقِيَ لَهُ وِسَادَةٌ
6277 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، ح وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو المَلِيحِ، قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ أَبِيكَ زَيْدٍ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، فَحَدَّثَنَا: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذُكِرَ لَهُ صَوْمِي، فَدَخَلَ عَلَيَّ، فَأَلْقَيْتُ لَهُ وِسَادَةً مِنْ أَدَمٍ حَشْوُهَا لِيفٌ، فَجَلَسَ عَلَى الأَرْضِ وَصَارَتِ الوِسَادَةُ بَيْنِي وَبَيْنَهُ، فَقَالَ لِي: «أَمَا يَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «خَمْسًا» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «سَبْعًا» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «تِسْعًا» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «إِحْدَى عَشْرَةَ» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: " لاَ صَوْمَ فَوْقَ صَوْمِ دَاوُدَ، شَطْرَ الدَّهْرِ: صِيَامُ يَوْمٍ، وَإِفْطَارُ يَوْمٍ "
হাদীস নং: ৫৮৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৭৮
- অনুমতি গ্রহণ - প্রদান সংক্রান্ত
৩৩২৮. যাকে হেলান দেয়ার উদ্দেশ্যে একটা বালিশ পেশ করা হয়।
৫৮৪৩। ইয়াহয়া ইবনে জা'ফর ও আবুল ওয়ালীদ (রাহঃ) ......... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আলকামা (রাহঃ) সিরিয়া গমন করলেন। তখন তিনি মসজিদে গিয়ে দু’রাকআত নামায আদায় করে দুআ করলেনঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাকে একজন নেক সঙ্গী দান করুন। এরপর তিনি আবুদ দারদা (রাযিঃ) এর পাশে গিয়ে বসে পড়লেন। তারপর তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ আপনি কোন শহরের লোক? তিনি জবাব দিলেনঃ আমি কুফার বাসিন্দা। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ আপনাদের মধ্যে কি সেই ব্যক্তি নেই? যিনি ঐ ভেদ সম্পর্কে অবগত ছিলেন, যা অপর কেউ জানতেন না (রাবী বলেনঃ অর্থাৎ হুযাইফা (রাযিঃ)। আবার তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ আপনাদের মধ্যে কি এমন ব্যক্তি নেই, অথবা আছে? যাকে আল্লাহ তাআলা তার রাসূলের দুআর কারণে শয়তান থেকে পানাহ দিয়েছেন
(রাবী বলেনঃ অর্থাৎ আম্মার (রাযিঃ)। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেনঃ আর আপনাদের মধ্যে কি সে ব্যক্তি নেই, যিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মিসওয়াক ও বালিশের জিম্মাদার ছিলেন? (রাবী বলেনঃ অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)। আবুদ দারদা (রাযিঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) সূরায়ে ‘ওয়াল্লাইলি ইযা ইয়াগশা’ কিভাবে পড়তেন? তিনি বললেনঃ তিনি ‘ওয়ামা খালাকায যাকারা ওয়াল উনসা’ এর স্থলে ‘ওয়ামা খালাকা’ অংশটুকু ছেড়ে দিয়ে “ওয়ায যাকারি ওয়াল উনসা” পড়তেন। তখন তিনি বললেনঃ এখানকার লোকেরা আমাকে এ সূরা সম্পর্কে সন্দেহের মধ্যেই ফেলে দিচ্ছিলেন। অথচ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এরকমই শুনেছি।
(রাবী বলেনঃ অর্থাৎ আম্মার (রাযিঃ)। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেনঃ আর আপনাদের মধ্যে কি সে ব্যক্তি নেই, যিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মিসওয়াক ও বালিশের জিম্মাদার ছিলেন? (রাবী বলেনঃ অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)। আবুদ দারদা (রাযিঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) সূরায়ে ‘ওয়াল্লাইলি ইযা ইয়াগশা’ কিভাবে পড়তেন? তিনি বললেনঃ তিনি ‘ওয়ামা খালাকায যাকারা ওয়াল উনসা’ এর স্থলে ‘ওয়ামা খালাকা’ অংশটুকু ছেড়ে দিয়ে “ওয়ায যাকারি ওয়াল উনসা” পড়তেন। তখন তিনি বললেনঃ এখানকার লোকেরা আমাকে এ সূরা সম্পর্কে সন্দেহের মধ্যেই ফেলে দিচ্ছিলেন। অথচ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এরকমই শুনেছি।
كتاب الاستئذان
باب مَنْ أُلْقِيَ لَهُ وِسَادَةٌ
6278 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ - أَنَّهُ قَدِمَ الشَّأْمَ - ح وَحَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: ذَهَبَ عَلْقَمَةُ، إِلَى الشَّأْمِ، فَأَتَى المَسْجِدَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي جَلِيسًا، فَقَعَدَ إِلَى أَبِي الدَّرْدَاءِ، فَقَالَ: مِمَّنْ أَنْتَ؟ قَالَ: مِنْ أَهْلِ الكُوفَةِ؟ قَالَ: " أَلَيْسَ فِيكُمْ صَاحِبُ السِّرِّ الَّذِي كَانَ لاَ يَعْلَمُهُ غَيْرُهُ - يَعْنِي حُذَيْفَةَ - أَلَيْسَ فِيكُمْ - أَوْ كَانَ فِيكُمْ - الَّذِي أَجَارَهُ اللَّهُ عَلَى لِسَانِ رَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الشَّيْطَانِ - يَعْنِي عَمَّارًا - أَوَلَيْسَ فِيكُمْ صَاحِبُ السِّوَاكِ وَالوِسَادِ - يَعْنِي ابْنَ مَسْعُودٍ - كَيْفَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَقْرَأُ: {وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى} [الليل: 1] قَالَ: وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى " فَقَالَ: مَا زَالَ هَؤُلاَءِ حَتَّى كَادُوا يُشَكِّكُونِي، وَقَدْ سَمِعْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: