আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৬৫- অনুমতি গ্রহণ - প্রদান সংক্রান্ত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৫৮৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৮১
- অনুমতি গ্রহণ - প্রদান সংক্রান্ত
৩৩৩১. যিনি কোন কওমের সাথে দেখা করতে যান এবং সেখানে ‘কায়লুলা’ করেন।
৫৮৪৬। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর জন্য চামড়ার বিছানা বিছিয়ে দিতেন এবং তিনি সেখানেই ঐ চামড়ার বিছানার উপর কায়লুলা করতেন। এরপর তিনি যখন ঘুম থেকে উঠতেন, তখন তিনি তাঁর শরীরের কিছুটা ঘাম ও চুল সংগ্রহ করতেন এবং তা একটা শিশির মধ্যে জমাতেন এবং তাকে ‘সুক্ক’ নামক সুগন্ধির মধ্যে মিশাতেন। রাবী বর্ণনা করেন যে, আনাস ইবনে মালিক রাঃ এর ওফাতের সময় ঘনিয়ে আসলে, তিনি আমাকে অসিয়ত করলেনঃ যেন ঐ ‘সুক্ক’ থেকে কিছুটা তার -হানূত- সুগন্ধির মধ্যে মিশিয়ে দেওয়া হয়। সুতরাং তা তার সুগন্ধির মধ্যে মিশিয়ে দেয়া হয়েছিল।
كتاب الاستئذان
باب مَنْ زَارَ قَوْمًا فَقَالَ عِنْدَهُمْ
6281 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ ثُمَامَةَ، عَنْ أَنَسٍ: «أَنَّ أُمَّ سُلَيْمٍ كَانَتْ تَبْسُطُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِطَعًا، فَيَقِيلُ عِنْدَهَا عَلَى ذَلِكَ النِّطَعِ» قَالَ: «فَإِذَا نَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَتْ مِنْ عَرَقِهِ وَشَعَرِهِ، فَجَمَعَتْهُ فِي قَارُورَةٍ، ثُمَّ جَمَعَتْهُ فِي سُكٍّ» قَالَ: فَلَمَّا حَضَرَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ الوَفَاةُ، أَوْصَى إِلَيَّ أَنْ يُجْعَلَ فِي حَنُوطِهِ مِنْ ذَلِكَ السُّكِّ، قَالَ: فَجُعِلَ فِي حَنُوطِهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৮২ - ৬২৮৩
- অনুমতি গ্রহণ - প্রদান সংক্রান্ত
৩৩৩১. যিনি কোন কওমের সাথে দেখা করতে যান এবং সেখানে ‘কায়লুলা’ করেন।
৫৮৪৭। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) ‘কুবা’ এর দিকে যখন যেতেন, তখন প্রায়ই উম্মে হারাম বিনতে মিলহান (রাযিঃ) এর ঘরে প্রবেশ করতেন এবং তিনি তাঁকে খানা খাওয়াতেন। তিনি উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) এর স্ত্রী ছিলেন। একদিন তিনি তার ঘরে গেলে তাঁকে খাবার খাওয়ালেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখানেই ঘুমালেন। কিছুক্ষণ পরে তিনি সজাগ হয়ে হাসতে লাগলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকে কিসে হাসাচ্ছে? তিনি বললেনঃ স্বপ্নের মধ্যে আমাকে আমার উম্মতের মধ্য হতে আল্লাহর পথে জিহাদকারী কিছু সংখ্যক মুজাহিদকে দেখানো হয়েছে, যারা এই বিশাল সমুদ্রের মাঝখানে বাদশাহদের মত সিংহাসনের উপর সমাসীন। তখন তিনি বললেনঃ আপনি দুআ করুনঃ যেন আল্লাহ তাআলা আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করে দেন। তিনি সে দুআ করলেন এবং বিছানায় মাথা রেখে আবার শুয়ে পড়লেন।
কিছুক্ষণ পর তিনি আবার হাসতে হাসতে সজাগ হলেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকে কিসে হাসাচ্ছে? তিনি বললেনঃ (স্বপ্নের মধ্যে) আমাকে আমার উম্মতের মধ্য থেকে আল্লাহর পথে জিহাদকারী কিছু সংখ্যক লোককে দেখানো হয়েছে, যারা এই বিশাল সমুদ্রের মাঝখানে বাদশাহদের মত সিংহাসনের উপর সমাসীন। তখন আবার আমি বললামঃ আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুনঃ যেন তিনি আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। তিনি বললেনঃ তুমি প্রথম বাহিনীদেরই অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সুতরাং তিনি মুআবিয়া (রাযিঃ) এর আমলে সামুদ্রিক অভিযানে রওয়ানা হন এবং সমুদ্রাভিযান থেকে ফিরার পথে তার নিজেরই সওয়ারী থেকে পড়ে গিয়ে (আল্লাহর পথেই) শাহাদাত বরণ করেন।
কিছুক্ষণ পর তিনি আবার হাসতে হাসতে সজাগ হলেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকে কিসে হাসাচ্ছে? তিনি বললেনঃ (স্বপ্নের মধ্যে) আমাকে আমার উম্মতের মধ্য থেকে আল্লাহর পথে জিহাদকারী কিছু সংখ্যক লোককে দেখানো হয়েছে, যারা এই বিশাল সমুদ্রের মাঝখানে বাদশাহদের মত সিংহাসনের উপর সমাসীন। তখন আবার আমি বললামঃ আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুনঃ যেন তিনি আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। তিনি বললেনঃ তুমি প্রথম বাহিনীদেরই অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সুতরাং তিনি মুআবিয়া (রাযিঃ) এর আমলে সামুদ্রিক অভিযানে রওয়ানা হন এবং সমুদ্রাভিযান থেকে ফিরার পথে তার নিজেরই সওয়ারী থেকে পড়ে গিয়ে (আল্লাহর পথেই) শাহাদাত বরণ করেন।
كتاب الاستئذان
باب مَنْ زَارَ قَوْمًا فَقَالَ عِنْدَهُمْ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا ذَهَبَ إِلَى قُبَاءٍ يَدْخُلُ عَلَى أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ فَتُطْعِمُهُ، وَكَانَتْ تَحْتَ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، فَدَخَلَ يَوْمًا فَأَطْعَمَتْهُ، فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ اسْتَيْقَظَ يَضْحَكُ. قَالَتْ فَقُلْتُ مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ " نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَىَّ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ، يَرْكَبُونَ ثَبَجَ هَذَا الْبَحْرِ، مُلُوكًا عَلَى الأَسِرَّةِ ". ـ أَوْ قَالَ " مِثْلُ الْمُلُوكِ عَلَى الأَسِرَّةِ ". شَكَّ إِسْحَاقُ ـ قُلْتُ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. فَدَعَا ثُمَّ وَضَعَ رَأْسَهُ فَنَامَ، ثُمَّ اسْتَيْقَظَ يَضْحَكُ فَقُلْتُ مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَىَّ، غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ، يَرْكَبُونَ ثَبَجَ هَذَا الْبَحْرِ، مُلُوكًا عَلَى الأَسِرَّةِ ". أَوْ " مِثْلَ الْمُلُوكِ عَلَى الأَسِرَّةِ ". فَقُلْتُ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. قَالَ " أَنْتِ مِنَ الأَوَّلِينَ ". فَرَكِبَتِ الْبَحْرَ زَمَانَ مُعَاوِيَةَ، فَصُرِعَتْ عَنْ دَابَّتِهَا حِينَ خَرَجَتْ مِنَ الْبَحْرِ، فَهَلَكَتْ.
তাহকীক: