আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৭৩- রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৪০১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৬৭
- রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
২৮৬৭. আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন গোটা মানব জাতির প্রাণ রক্ষা করল (৫ঃ ৩২)।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, যে ব্যক্তি যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে প্রাণ সংহার নিষিদ্ধ মনে করে, তার থেকে গোটা মানব জাতির প্রাণ রক্ষা পেল।
৬৪০১। কাবীসা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেনঃ কোন মানব সন্তানকে হত্যা করা হলে আদম (আলাইহিস সালাম) এর প্রথম সন্তানের (কাবীল) উপর অপরাধের কিছু অংশ অবশ্যই বর্তায়।
كتاب الديات
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَمَنْ أَحْيَاهَا} [المائدة: 32]قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: " مَنْ حَرَّمَ قَتْلَهَا إِلَّا بِحَقٍّ {فَكَأَنَّمَا أَحْيَا النَّاسَ جَمِيعًا} [المائدة: 32] "
6867 - حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لاَ تُقْتَلُ نَفْسٌ إِلَّا كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْهَا»
হাদীস নং: ৬৪০২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৬৮
- রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
২৮৬৭. আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন গোটা মানব জাতির প্রাণ রক্ষা করল (৫ঃ ৩২)।
৬৪০২। আবুল ওয়ালীদ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ তোমরা আমার পরে কুফরমুখী হয়ে যেয়ো না যে, তোমরা একে অপরের গর্দান উড়াতে থাকবে।
كتاب الديات
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَمَنْ أَحْيَاهَا} [المائدة: 32]
6868 - حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: وَاقِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي: عَنْ أَبِيهِ: سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ»
হাদীস নং: ৬৪০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৬৯
- রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
২৮৬৭. আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন গোটা মানব জাতির প্রাণ রক্ষা করল (৫ঃ ৩২)।
৬৪০৩। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... জারীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আমাকে বিদায় হজ্জের প্রাক্কালে বলেছেনঃ লোকদেরকে নীরব কর, তোমরা আমার পরে কুফরমুখী হয়ে যেয়ো না যে, তোমরা একে অপরের গর্দান উড়াবে।
আবু বাকরা ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে (অনুরূপ) বর্ণনা করেছেন।
كتاب الديات
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَمَنْ أَحْيَاهَا} [المائدة: 32]
6869 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُدْرِكٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ بْنَ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ: قَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ: «اسْتَنْصِتِ النَّاسَ، لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ» رَوَاهُ أَبُو بَكْرَةَ، وَابْنُ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ৬৪০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৭০
- রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
২৮৬৭. আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন গোটা মানব জাতির প্রাণ রক্ষা করল (৫ঃ ৩২)।
৬৪০৪। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কবীরা গুনাহ হচ্ছেঃ আল্লাহর সাথে শরীক করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া অথবা বলেছেন, মিথ্যা কসম করা। শু'বা (রাহঃ) তাতে সন্দেহ পোষণ করেন এবং মুআয (রাহঃ) বলেন, শু'বা আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন, কবীরা গুনাহ হচ্ছেঃ আল্লাহর সাথে শরীক করা, মিথ্যা কসম করা আর মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া অথবা বলেছেন প্রাণ সংহার করা।
كتاب الديات
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَمَنْ أَحْيَاهَا} [المائدة: 32]
6870 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " الكَبَائِرُ: الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ، وَعُقُوقُ الوَالِدَيْنِ، - أَوْ قَالَ: - اليَمِينُ الغَمُوسُ " شَكَّ شُعْبَةُ وَقَالَ مُعَاذٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: " الكَبَائِرُ: الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ، وَاليَمِينُ الغَمُوسُ، وَعُقُوقُ الوَالِدَيْنِ، أَوْ قَالَ: وَقَتْلُ النَّفْسِ "
হাদীস নং: ৬৪০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৭১
- রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
২৮৬৭. আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন গোটা মানব জাতির প্রাণ রক্ষা করল (৫ঃ ৩২)।
৬৪০৫। ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) ও আমর (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কবীরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচাইতে বড় গুনাহ হচ্ছে, আল্লাহর সাথে শরীক করা, প্রাণ সংহার করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া আর মিথ্যা বলা, অথবা বলেছেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।
كتاب الديات
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَمَنْ أَحْيَاهَا} [المائدة: 32]
6871 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الكَبَائِرُ» . ح وحَدَّثَنَا عَمْرٌو وَهُوَ ابْنُ مَرْزُوقٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ ابْنِ أَبِي [ص:4] بَكْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " أَكْبَرُ الكَبَائِرِ: الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ، وَقَتْلُ النَّفْسِ، وَعُقُوقُ الوَالِدَيْنِ، وَقَوْلُ الزُّورِ، - أَوْ قَالَ: وَشَهَادَةُ الزُّورِ - "
হাদীস নং: ৬৪০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৭২
- রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
২৮৬৭. আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন গোটা মানব জাতির প্রাণ রক্ষা করল (৫ঃ ৩২)।
৬৪০৬। আমর ইবনে যুরারা (রাহঃ) ......... উসামা ইবনে যায়দ ইবনে হারিসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে জুহাইনা গোত্রের হুরাকা শাখার বিরুদ্ধে পাঠালেন। আমরা ভোরে এ গোত্রের কাছে এলাম এবং তাদেরকে পরাস্ত করে ফেললাম। তিনি বলেন, আমি ও আনসারদের এক ব্যক্তি তাদের একজনকে ধাওয়া করে তার কাছে পৌছে গেলাম। তিনি বলেন, আমরা যখন আক্রমণ করতে উদ্যত হলাম, তখন সে বলে উঠল, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। তিনি বলেন, আনসারী ব্যক্তি তার থেকে বিরত হয়ে গেল। কিন্তু আমি তাকে আমার বর্শা দ্বারা আঘাত করে হত্যা করে ফেললাম। তিনি বলেন, আমরা যখন মদীনায় পৌঁছলাম, তখন নবী (ﷺ) এর কাছে এ সংবাদ পৌছল। তিনি বলেন, আমাকে তিনি বললেন, হে উসামা! তুমি কি তাকে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার পরও হত্যা করলে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে আসলে হত্যা থেকে বাঁচতে চেয়েছিল। তিনি বললেনঃ আহা! তুমি কি তাকে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার পরও হত্যা করলে? তিনি বলেন, তিনি বারবার কথাটি আমাকে বলতে থাকলেন। এমন কি আমি আকাঙ্ক্ষা করতে লাগলাম, যদি আমি ঐদিনের পূর্বে মুসলমান না হতাম।
كتاب الديات
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَمَنْ أَحْيَاهَا} [المائدة: 32]
6872 - حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ، حَدَّثَنَا أَبُو ظَبْيَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، يُحَدِّثُ قَالَ: بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الحُرَقَةِ مِنْ جُهَيْنَةَ، قَالَ: فَصَبَّحْنَا القَوْمَ فَهَزَمْنَاهُمْ، قَالَ: وَلَحِقْتُ أَنَا وَرَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ رَجُلًا مِنْهُمْ، قَالَ: فَلَمَّا غَشِينَاهُ قَالَ: لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، قَالَ: فَكَفَّ عَنْهُ الأَنْصَارِيُّ، فَطَعَنْتُهُ بِرُمْحِي حَتَّى قَتَلْتُهُ، قَالَ: فَلَمَّا قَدِمْنَا بَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَقَالَ لِي: «يَا أُسَامَةُ، أَقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ» قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّمَا كَانَ مُتَعَوِّذًا، قَالَ: «أَقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ» قَالَ: فَمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا عَلَيَّ، حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ أَسْلَمْتُ قَبْلَ ذَلِكَ اليَوْمِ
হাদীস নং: ৬৪০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৭৩
- রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
২৮৬৭. আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন গোটা মানব জাতির প্রাণ রক্ষা করল (৫ঃ ৩২)।
৬৪০৭। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ঐ নির্বাচিত নেতাদের একজন ছিলাম, যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাতে বায়আত করেছিলেন। আমরা তার হাতে এ শর্তে বায়আত করেছি যে, আমরা আল্লাহর সাথে কিছুকেও শরীক করব না, যিনা করব না, চুরি করব না, এমন প্রাণ সংহার করব না যা আল্লাহ হারাম করেছেন, আমরা লুন্ঠন করব না ও নাফরমানী করব না। যদি আমরা ওগুলো যথাযথ পালন করি, তবে জান্নাত লাভ হবে। আর যদি এগুলোর মধ্য থেকে কোন একটা করে ফেলি, তাহলে তার ফায়সালা আল্লাহর কাছে সমর্পিত।
كتاب الديات
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَمَنْ أَحْيَاهَا} [المائدة: 32]
6873 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، عَنْ أَبِي الخَيْرِ، عَنْ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «إِنِّي مِنَ النُّقَبَاءِ الَّذِينَ بَايَعُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَايَعْنَاهُ عَلَى أَنْ لاَ نُشْرِكَ بِاللَّهِ شَيْئًا، وَلاَ نَسْرِقَ، وَلاَ نَزْنِيَ، وَلاَ نَقْتُلَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ، وَلاَ نَنْتَهِبَ، وَلاَ نَعْصِيَ، بِالْجَنَّةِ إِنْ فَعَلْنَا ذَلِكَ، فَإِنْ غَشِينَا مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا، كَانَ قَضَاءُ ذَلِكَ إِلَى اللَّهِ»
হাদীস নং: ৬৪০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৭৪
- রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
২৮৬৭. আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন গোটা মানব জাতির প্রাণ রক্ষা করল (৫ঃ ৩২)।
৬৪০৮। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করবে, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। আবু মুসা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে (অনুরূপ) বর্ণনা করেছেন।
كتاب الديات
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَمَنْ أَحْيَاهَا} [المائدة: 32]
6874 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاَحَ فَلَيْسَ مِنَّا» رَوَاهُ أَبُو مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ৬৪০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৭৫
- রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
২৮৬৭. আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন গোটা মানব জাতির প্রাণ রক্ষা করল (৫ঃ ৩২)।
৬৪০৯। আব্দুর রহমান ইবনে মূবারক (রাহঃ) ......... আহনাফ ইবনে কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এই ব্যক্তিকে (আলী রাযিঃ কে) সাহায্য করার জন্য যাচ্ছিলাম। ইত্যবসরে আমার সাথে আবু বাকরা (রাযিঃ) এর সাক্ষাত ঘটল। তিনি বললেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, ঐ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে। তিনি বললেন, ফিরে যাও। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, যখন দুজন মুসলমান তরবারী নিয়ে পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয়ের অবস্থান হবে জাহান্নাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! হত্যাকারীর ব্যাপারটা তো বোধগম্য, কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপার সেটি কেমন? তিনি বললেনঃ সেও তো প্রতিপক্ষকে হত্যা করতে আগ্রহী ছিল।
كتاب الديات
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَمَنْ أَحْيَاهَا} [المائدة: 32]
6875 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ المُبَارَكِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، وَيُونُسُ، عَنِ الحَسَنِ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ: ذَهَبْتُ لِأَنْصُرَ هَذَا الرَّجُلَ، فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرَةَ، فَقَالَ: أَيْنَ تُرِيدُ؟ قُلْتُ: أَنْصُرُ هَذَا الرَّجُلَ، قَالَ: ارْجِعْ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا التَقَى المُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالقَاتِلُ وَالمَقْتُولُ فِي النَّارِ» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا القَاتِلُ، فَمَا بَالُ المَقْتُولِ؟ قَالَ: «إِنَّهُ كَانَ حَرِيصًا عَلَى قَتْلِ صَاحِبِهِ»