আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৭৪- আল্লাহদ্রোহী ও ধর্মত্যাগীদেরকে তওবার প্রতি আহবান ও তাদের সাথে যুদ্ধ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৬৪৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯২২
- আল্লাহদ্রোহী ও ধর্মত্যাগীদেরকে তওবার প্রতি আহবান ও তাদের সাথে যুদ্ধ
২৮৯৯. ধর্মত্যাগী পুরুষ ও নারীর হুকুম।   ইবনে উমর (রাযিঃ), যুহরী ও ইবরাহীম (রাহঃ) বলেন, ধর্মত্যাগী নারীকে হত্যা করা হবে এবং তার থেকে তওবা আহবান করা হবে। 
আল্লাহ তাআলা বলেন, ঈমান আনার পর যে সম্প্রদায় সত্য প্রত্যাখ্যান করে, তাদেরকে আল্লাহ তাআলা কিরূপে সৎ পথের নির্দেশ দেবেন....... এরাই তারা, যারা পথভ্রষ্ট (৩ঃ ৮৬-৯০)।
আল্লাহর বাণীঃ তোমরা যদি তাদের দল বিশেষের আনুগত্য কর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তবে তারা তোমাদেরকে ঈমান আনার পর আবার সত্য প্রত্যাখ্যানকারীতে পরিণত করবে (৩ঃ ১০০)।
আল্লাহ বলেন, যারা ঈমান আনে, পরে কুফরি করে এবং আবার ঈমান আনে আবার কুফরি করে, এরপর তাদের কুফরি প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পায়, আল্লাহ তাদেরকে কিছুতেই ক্ষমা করবেন না এবং তাদেরকে কোন পথও দেখাবেন না (৪ঃ ১৩৭)।
আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ দ্বীন হতে ফিরে গেলে আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় আনবেন, যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং যারা তাঁকে ভালবাসবে (৫ঃ ৫৪)।
আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা সত্য প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখে, তাদের উপর আপতিত হয় আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তা এজন্য যে, তারা ইহজীবনকে পরজীবনের উপর প্রাধান্য দেয় (১৬ঃ ১০৬, ১০৭)।
অবশ্যই তারা আখিরাতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত, –لا جرم অর্থ حقا– অতঃপর যারা নির্যাতিত হওয়ার পর হিজরত করে, পরে জিহাদ করে এবং ধৈর্য ধারণ করেন, তোমার প্রতিপালক এই সবের পর, তাদের প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (১৬ঃ ১১০)।
আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা সর্বদা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে, যে পর্যন্ত তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন হতে ফিরিয়ে না দেয়, যদি তারা সক্ষম হয়। তোমাদের মধ্যে যে কেউ স্বীয় দ্বীন হতে ফিরে যায় ও কাফেররূপে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, ইহকাল ও পরকালে তাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যায়। এরাই অগ্নিবাসী, সেথায় তারা স্থায়ী হবে (২ঃ ২১৭)।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ঈমান আনার পর যে সম্প্রদায় সত্য প্রত্যাখ্যান করে, তাদেরকে আল্লাহ তাআলা কিরূপে সৎ পথের নির্দেশ দেবেন....... এরাই তারা, যারা পথভ্রষ্ট (৩ঃ ৮৬-৯০)।
আল্লাহর বাণীঃ তোমরা যদি তাদের দল বিশেষের আনুগত্য কর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তবে তারা তোমাদেরকে ঈমান আনার পর আবার সত্য প্রত্যাখ্যানকারীতে পরিণত করবে (৩ঃ ১০০)।
আল্লাহ বলেন, যারা ঈমান আনে, পরে কুফরি করে এবং আবার ঈমান আনে আবার কুফরি করে, এরপর তাদের কুফরি প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পায়, আল্লাহ তাদেরকে কিছুতেই ক্ষমা করবেন না এবং তাদেরকে কোন পথও দেখাবেন না (৪ঃ ১৩৭)।
আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ দ্বীন হতে ফিরে গেলে আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় আনবেন, যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং যারা তাঁকে ভালবাসবে (৫ঃ ৫৪)।
আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা সত্য প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখে, তাদের উপর আপতিত হয় আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তা এজন্য যে, তারা ইহজীবনকে পরজীবনের উপর প্রাধান্য দেয় (১৬ঃ ১০৬, ১০৭)।
অবশ্যই তারা আখিরাতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত, –لا جرم অর্থ حقا– অতঃপর যারা নির্যাতিত হওয়ার পর হিজরত করে, পরে জিহাদ করে এবং ধৈর্য ধারণ করেন, তোমার প্রতিপালক এই সবের পর, তাদের প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (১৬ঃ ১১০)।
আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা সর্বদা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে, যে পর্যন্ত তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন হতে ফিরিয়ে না দেয়, যদি তারা সক্ষম হয়। তোমাদের মধ্যে যে কেউ স্বীয় দ্বীন হতে ফিরে যায় ও কাফেররূপে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, ইহকাল ও পরকালে তাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যায়। এরাই অগ্নিবাসী, সেথায় তারা স্থায়ী হবে (২ঃ ২১৭)।
৬৪৫৪। আবু নু’মান মুহাম্মাদ ইবনে ফযল (রাহঃ) ......... ইকরিমা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আলী (রাযিঃ) এর নিকট একদল যিন্দীককে (নাস্তিক ও ধর্মদ্রোহী) আনা হল। তিনি তাদেরকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিলেন। এ ঘটনা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর কাছে পৌঁছলে তিনি বললেন, আমি হলে কিন্তু তাদেরকে পুড়িয়ে ফেলতাম না। কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর শাস্তি দ্বারা শাস্তি দিও না। বরং আমি তাদেরকে হত্যা করতাম। কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নির্দেশ রয়েছে, যে কেউ তার দ্বীন বদলে ফেলে, তাকে তোমরা হত্যা কর।
كتاب استتابة المرتدين والمعاندين وقتالهم
بَابُ حُكْمِ المُرْتَدِّ وَالمُرْتَدَّةِ وَاسْتِتَابَتِهِمْ وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ وَالزُّهْرِيُّ، وَإِبْرَاهِيمُ: «تُقْتَلُ المُرْتَدَّةُ» وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {كَيْفَ يَهْدِي اللَّهُ قَوْمًا كَفَرُوا بَعْدَ إِيمَانِهِمْ وَشَهِدُوا أَنَّ الرَّسُولَ حَقٌّ وَجَاءَهُمُ البَيِّنَاتُ وَاللَّهُ لاَ يَهْدِي القَوْمَ الظَّالِمِينَ أُولَئِكَ جَزَاؤُهُمْ أَنَّ عَلَيْهِمْ لَعْنَةَ اللَّهِ وَالمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ خَالِدِينَ فِيهَا لاَ يُخَفَّفُ عَنْهُمُ العَذَابُ وَلاَ هُمْ يُنْظَرُونَ إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ وَأَصْلَحُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بَعْدَ إِيمَانِهِمْ ثُمَّ ازْدَادُوا كُفْرًا لَنْ تُقْبَلَ تَوْبَتُهُمْ وَأُولَئِكَ هُمُ الضَّالُّونَ} [آل عمران: 87] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ تُطِيعُوا فَرِيقًا مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الكِتَابَ يَرُدُّوكُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ كَافِرِينَ} [آل عمران: 100] وَقَالَ: {إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا ثُمَّ كَفَرُوا ثُمَّ آمَنُوا ثُمَّ كَفَرُوا ثُمَّ ازْدَادُوا كُفْرًا لَمْ يَكُنِ اللَّهُ لِيَغْفِرَ لَهُمْ وَلاَ لِيَهْدِيَهُمْ سَبِيلًا} [النساء: 137] وَقَالَ: {مَنْ يَرْتَدَّ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى المُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الكَافِرِينَ} [المائدة: 54] وَقَالَ: {وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ ذَلِكَ بِأَنَّهُمُ اسْتَحَبُّوا الحَيَاةَ الدُّنْيَا عَلَى الآخِرَةِ وَأَنَّ اللَّهَ لاَ يَهْدِي القَوْمَ الكَافِرِينَ أُولَئِكَ الَّذِينَ طَبَعَ اللَّهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ وَسَمْعِهِمْ وَأَبْصَارِهِمْ وَأُولَئِكَ هُمُ الغَافِلُونَ لاَ جَرَمَ} [النحل: 106]- يَقُولُ: حَقًّا - {أَنَّهُمْ فِي الآخِرَةِ هُمُ الخَاسِرُونَ} [النحل: 109]- إِلَى - {لَغَفُورٌ رَحِيمٌ} [الأنعام: 165] {وَلاَ يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّى يَرُدُّوكُمْ عَنْ دِينِكُمْ إِنِ اسْتَطَاعُوا وَمَنْ يَرْتَدِدْ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُولَئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَأُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا [ص:15] خَالِدُونَ} [البقرة: 217]
6922 - حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ مُحَمَّدُ بْنُ الفَضْلِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ: أُتِيَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِزَنَادِقَةٍ فَأَحْرَقَهُمْ، فَبَلَغَ ذَلِكَ ابْنَ عَبَّاسٍ، فَقَالَ: لَوْ كُنْتُ أَنَا لَمْ أُحْرِقْهُمْ، لِنَهْيِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تُعَذِّبُوا بِعَذَابِ اللَّهِ» وَلَقَتَلْتُهُمْ، لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯২৩
- আল্লাহদ্রোহী ও ধর্মত্যাগীদেরকে তওবার প্রতি আহবান ও তাদের সাথে যুদ্ধ
২৮৯৯. ধর্মত্যাগী পুরুষ ও নারীর হুকুম।
৬৪৫৫। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) এর কাছে এলাম। আমার সাথে আশআরী গোত্রের দু’ব্যক্তি ছিল। একজন আমার ডানদিকে, অপরজন আমার বামদিকে। আর রাসূল (ﷺ) তখন মিসওয়াক করছিলেন। উভয়েই তাঁর কাছে আবদার জানাল। তখন তিনি বললেনঃ হে আবু মুসা! অথবা বললেন, হে আব্দুল্লাহ ইবনে কায়স! রাবী বলেন, আমি বললাম, ঐ সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন, তারা তাদের অন্তরে কী আছে তা আমাকে জানায়নি এবং তারা যে চাকরি প্রার্থনা করবে তা আমি বুঝতে পারিনি। আমি যেন তখন তাঁর ঠোটের নীচে মিসওয়াকের প্রতি লক্ষ্য করছিলাম যে, তা এক কোণে সরে গেছে। তখন তিনি বললেন, আমরা আমাদের কাজে এমন কাউকে নিয়োগ দিব না বা দেই না, যে নিজেই তা চায়। বরং হে আবু মুসা! অথবা বললেন, হে আব্দুল্লাহ ইবনে কায়স! তুমি ইয়ামানে যাও। 
এরপর তিনি তার পেছনে মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) কে পাঠালেন। যখন তিনি তথায় পৌঁছলেন, তখন আবু মুসা (রাযিঃ) তার জন্য একটি গদি বিছালেন। আর বললেন, নেমে আসুন। ঘটনাক্রমে তার কাছে একজন লোক শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ঐ লোকটি কে? আবু মুসা (রাযিঃ) বললেন, সে প্রথমে ইহুদী ছিল এবং পরে মুসলমান হয়েছিল। কিন্তু পুনরায় সে ইহুদী হয়ে গিয়েছে। আবু মুসা (রাযিঃ) বললেন, বসুন। মুআয (রাযিঃ) বললেন, না, বসব না, যতক্ষণ না তাকে হত্যা করা হবে। এটাই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ফায়সালা। কথাটি তিনি তিনবার বললেন। এরপর তার সম্পর্কে নির্দেশ দেয়া হল এবং তাকে হত্যা করা হল। তারপর তাঁরা উভয়ই কিয়ামুল লায়ল (রাত্র জাগরণ) সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তখন একজন বললেন, আমি কিন্তু ইবাদতও করি, নিদ্রাও যাই। আর নিদ্রাবস্থায় ঐ আশা রাখি, যা ইবাদত অবস্থায় রাখি।
এরপর তিনি তার পেছনে মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) কে পাঠালেন। যখন তিনি তথায় পৌঁছলেন, তখন আবু মুসা (রাযিঃ) তার জন্য একটি গদি বিছালেন। আর বললেন, নেমে আসুন। ঘটনাক্রমে তার কাছে একজন লোক শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ঐ লোকটি কে? আবু মুসা (রাযিঃ) বললেন, সে প্রথমে ইহুদী ছিল এবং পরে মুসলমান হয়েছিল। কিন্তু পুনরায় সে ইহুদী হয়ে গিয়েছে। আবু মুসা (রাযিঃ) বললেন, বসুন। মুআয (রাযিঃ) বললেন, না, বসব না, যতক্ষণ না তাকে হত্যা করা হবে। এটাই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ফায়সালা। কথাটি তিনি তিনবার বললেন। এরপর তার সম্পর্কে নির্দেশ দেয়া হল এবং তাকে হত্যা করা হল। তারপর তাঁরা উভয়ই কিয়ামুল লায়ল (রাত্র জাগরণ) সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তখন একজন বললেন, আমি কিন্তু ইবাদতও করি, নিদ্রাও যাই। আর নিদ্রাবস্থায় ঐ আশা রাখি, যা ইবাদত অবস্থায় রাখি।
كتاب استتابة المرتدين والمعاندين وقتالهم
بَاب حُكْمِ الْمُرْتَدِّ وَالْمُرْتَدَّةِ وَاسْتِتَابَتِهِمْ
6923 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ قُرَّةَ بْنِ خَالِدٍ، حَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: أَقْبَلْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعِي رَجُلاَنِ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ، أَحَدُهُمَا عَنْ يَمِينِي وَالآخَرُ عَنْ يَسَارِي، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَاكُ، فَكِلاَهُمَا سَأَلَ، فَقَالَ: " يَا أَبَا مُوسَى، أَوْ: يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ " قَالَ: قُلْتُ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالحَقِّ مَا أَطْلَعَانِي عَلَى مَا فِي أَنْفُسِهِمَا، وَمَا شَعَرْتُ أَنَّهُمَا يَطْلُبَانِ العَمَلَ، فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى سِوَاكِهِ تَحْتَ شَفَتِهِ قَلَصَتْ، فَقَالَ: " لَنْ، أَوْ: لاَ نَسْتَعْمِلُ عَلَى عَمَلِنَا مَنْ أَرَادَهُ، وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ يَا أَبَا مُوسَى، أَوْ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ، إِلَى اليَمَنِ " ثُمَّ اتَّبَعَهُ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ أَلْقَى لَهُ وِسَادَةً، قَالَ: انْزِلْ، وَإِذَا رَجُلٌ عِنْدَهُ مُوثَقٌ، قَالَ: مَا هَذَا؟ قَالَ: كَانَ يَهُودِيًّا فَأَسْلَمَ ثُمَّ تَهَوَّدَ، قَالَ: اجْلِسْ، قَالَ: لاَ أَجْلِسُ حَتَّى يُقْتَلَ، قَضَاءُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ، ثَلاَثَ مَرَّاتٍ. فَأَمَرَ بِهِ فَقُتِلَ، ثُمَّ تَذَاكَرَا قِيَامَ اللَّيْلِ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا: أَمَّا أَنَا فَأَقُومُ وَأَنَامُ، وَأَرْجُو فِي نَوْمَتِي مَا أَرْجُو فِي قَوْمَتِي

