আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৭৬- কৌশল গ্রহণ সংশ্লিষ্ট অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ৬৪৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৫৫
- কৌশল গ্রহণ সংশ্লিষ্ট অধ্যায়
২৯১৬. যাকাত এবং সাদ্কা দেওয়ার ভয়ে যেন একত্রিত পুঁজিকে পৃথক করা না হয় এবং পৃথক পুঁজিকে যেন একত্র করা না হয়।
৬৪৮৫। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক নির্ধারিত সাদ্কা সম্পর্কে আবু বকর (রাযিঃ) তার কাছে একটি ফরমান পাঠান। এতে তিনি লিখেন যে, সাদ্কা প্রদানের আশঙ্কায় যেন বিচ্ছিন্ন মালকে একত্রিত করা না হয় এবং একত্রিত মালকে যেন বিচ্ছিন্ন করা না হয়।
كتاب الحيل
باب فِي الزَّكَاةِ وَأَنْ لاَ يُفَرَّقَ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ، وَلاَ يُجْمَعَ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ، خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ
6955 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا ثُمَامَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ، أَنَّ أَنَسًا، حَدَّثَهُ: أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، كَتَبَ لَهُ فَرِيضَةَ الصَّدَقَةِ الَّتِي فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَلاَ يُجْمَعُ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ، وَلاَ يُفَرَّقُ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ، خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৫৬
- কৌশল গ্রহণ সংশ্লিষ্ট অধ্যায়
২৯১৬. যাকাত এবং সাদ্কা দেওয়ার ভয়ে যেন একত্রিত পুঁজিকে পৃথক করা না হয় এবং পৃথক পুঁজিকে যেন একত্র করা না হয়।
৬৪৮৬। কুতায়বা (রাহঃ) ......... তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক এলোমেলো কেশধারী বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ্ আমার উপর নামায থেকে কি ফরয করেছেন, তা বাতলে দিন। তিনি বললেনঃ পাঞ্জেগানা (পাঁচ ওয়াক্ত) নামায, তবে তুমি কিছু নফল পড়তে পার। সে বলল, আল্লাহ আমার উপর রোযা থেকে কি ফরয করেছেন, তা আমাকে অবহিত করুন। তিনি বললেনঃ রমযান মাসের রোযা, তবে তুমি কিছু নফল আদায় করতে পার। সে বলল, আল্লাহ্ আমার উপর যাকাত থেকে কি ফরয করেছেন, সে সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ইসলামী বিধি বিধান সম্পর্কে অবহিত করলেন। সে বলল, ঐ সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সম্মানিত করেছেন। আমি নফল কিছু করব না এবং আল্লাহ্ আমার উপর যা ফরয করেছেন তা থেকে কমাবোও না। এটা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যদি লোকটি এর উপর স্থির থাকে, তাহলে সফলকাম হয়েছে কিংবা বলেছেনঃ যদি এ সত্যের উপর স্থির থাকে, তাহলে তাকে জান্নাতে দাখিল করানো হবে।
কোন কোন মনীষী বলেন, একশ বিশটি উটের যাকাত হল দুটি হিক্কা। যদি যাকাত এড়ানোর জন্য সে এগুলো স্বেচ্ছায় ধ্বংস করে ফেলে অথবা দান করে দেয় অথবা অন্য কোন কৌশল অবলম্বন করে যাকাত থেকে বেঁচে থাকার জন্য, তাহলে তার উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না।
কোন কোন মনীষী বলেন, একশ বিশটি উটের যাকাত হল দুটি হিক্কা। যদি যাকাত এড়ানোর জন্য সে এগুলো স্বেচ্ছায় ধ্বংস করে ফেলে অথবা দান করে দেয় অথবা অন্য কোন কৌশল অবলম্বন করে যাকাত থেকে বেঁচে থাকার জন্য, তাহলে তার উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না।
كتاب الحيل
باب فِي الزَّكَاةِ وَأَنْ لاَ يُفَرَّقَ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ، وَلاَ يُجْمَعَ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ، خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ
6956 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ: أَنَّ أَعْرَابِيًّا جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَائِرَ الرَّأْسِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخْبِرْنِي مَاذَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ مِنَ الصَّلاَةِ؟ فَقَالَ: «الصَّلَوَاتِ الخَمْسَ إِلَّا أَنْ تَطَوَّعَ شَيْئًا» فَقَالَ: أَخْبِرْنِي بِمَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ مِنَ الصِّيَامِ؟ قَالَ: «شَهْرَ رَمَضَانَ إِلَّا أَنْ تَطَوَّعَ شَيْئًا» قَالَ: أَخْبِرْنِي بِمَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ مِنَ الزَّكَاةِ؟ قَالَ: فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَرَائِعَ الإِسْلاَمِ. قَالَ: وَالَّذِي أَكْرَمَكَ، لاَ أَتَطَوَّعُ شَيْئًا، وَلاَ أَنْقُصُ مِمَّا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ شَيْئًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ، أَوْ: دَخَلَ الجَنَّةَ إِنْ صَدَقَ " وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ: «فِي عِشْرِينَ وَمِائَةِ بَعِيرٍ حِقَّتَانِ، فَإِنْ أَهْلَكَهَا مُتَعَمِّدًا، أَوْ وَهَبَهَا، أَوِ احْتَالَ فِيهَا فِرَارًا مِنَ الزَّكَاةِ، فَلاَ شَيْءَ عَلَيْهِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৫৭ - ৬৯৫৮
- কৌশল গ্রহণ সংশ্লিষ্ট অধ্যায়
২৯১৬. যাকাত এবং সাদ্কা দেওয়ার ভয়ে যেন একত্রিত পুঁজিকে পৃথক করা না হয় এবং পৃথক পুঁজিকে যেন একত্র করা না হয়।
৬৪৮৭। ইসহাক (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের সঞ্চিত ধন, যার যাকাত আদায় করা হয়নি, কিয়ামতের দিন টাকপড়া হিংস্র সাপে পরিণত হবে। সম্পদের মালিক তা থেকে পালাতে থাকবে। কিন্তু সাপ তার পিছনে লেগে থাকবে আর বলবে, আমি তোমার সঞ্চিত সম্পদ। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! সাপ তার পিছু ধাওয়া করতেই থাকবে। পরিশেষে সে বাধ্য হয়ে তার হাত প্রসারিত করে দেবে, ফলে সাপ তার মুখ গ্রাস করে নেবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ পশুর মালিক যদি তার হক -যাকাত- আদায় না করে, তাহলে পশুকে তার পিছনে লাগিয়ে দেয়া হবে। পশু তার মুখমণ্ডল পায়ের ক্ষুর দ্বারা আঁচড়ে ফেলবে।
কোন কোন মনীষী বলেন, কোন ব্যক্তির কয়েকটি উট ছিল, এগুলোতে যাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবার আশঙ্কায় যাকাত এড়াবার নিমিত্তে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে বছর পূর্ণ হওয়ার একদিন আগে সমপরিমাণ উটের বদলে বা ছাগল বা গরুর বা মুদ্রার বিনিময়ে বিক্রি করে ফেলল, তাহলে তার উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না। অথচ ইনি বলেন, যদি বছর পূর্ণ হওয়ার একদিন অথবা এক বছর আগেই উটের যাকাত দিয়ে দেয় তাহলে তার পক্ষে আদায় হয়ে যাবে।
কোন কোন মনীষী বলেন, কোন ব্যক্তির কয়েকটি উট ছিল, এগুলোতে যাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবার আশঙ্কায় যাকাত এড়াবার নিমিত্তে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে বছর পূর্ণ হওয়ার একদিন আগে সমপরিমাণ উটের বদলে বা ছাগল বা গরুর বা মুদ্রার বিনিময়ে বিক্রি করে ফেলল, তাহলে তার উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না। অথচ ইনি বলেন, যদি বছর পূর্ণ হওয়ার একদিন অথবা এক বছর আগেই উটের যাকাত দিয়ে দেয় তাহলে তার পক্ষে আদায় হয়ে যাবে।
كتاب الحيل
باب فِي الزَّكَاةِ وَأَنْ لاَ يُفَرَّقَ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ، وَلاَ يُجْمَعَ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ، خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَكُونُ كَنْزُ أَحَدِكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَقْرَعَ، يَفِرُّ مِنْهُ صَاحِبُهُ فَيَطْلُبُهُ وَيَقُولُ أَنَا كَنْزُكَ. قَالَ وَاللَّهِ لَنْ يَزَالَ يَطْلُبُهُ حَتَّى يَبْسُطَ يَدَهُ فَيُلْقِمَهَا فَاهُ ". وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا مَا رَبُّ النَّعَمِ لَمْ يُعْطِ حَقَّهَا، تُسَلَّطُ عَلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، تَخْبِطُ وَجْهَهُ بِأَخْفَافِهَا ". وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ فِي رَجُلٍ لَهُ إِبِلٌ، فَخَافَ أَنْ تَجِبَ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ، فَبَاعَهَا بِإِبِلٍ مِثْلِهَا، أَوْ بِغَنَمٍ، أَوْ بِبَقَرٍ، أَوْ بِدَرَاهِمَ، فِرَارًا مِنَ الصَّدَقَةِ بِيَوْمٍ، احْتِيَالاً فَلاَ بَأْسَ عَلَيْهِ، وَهْوَ يَقُولُ إِنْ زَكَّى إِبِلَهُ قَبْلَ أَنْ يَحُولَ الْحَوْلُ بِيَوْمٍ أَوْ بِسَنَةٍ، جَازَتْ عَنْهُ.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৫৯
- কৌশল গ্রহণ সংশ্লিষ্ট অধ্যায়
২৯১৬. যাকাত এবং সাদ্কা দেওয়ার ভয়ে যেন একত্রিত পুঁজিকে পৃথক করা না হয় এবং পৃথক পুঁজিকে যেন একত্র করা না হয়।
৬৪৮৮। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ ইবনে উবাদা আনসারী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে তাঁর মায়ের মান্নত সম্পর্কে ফতোয়া চাইলেন, যে মান্নত তার মায়ের যিম্মায় ছিল। কিন্তু তা আদায় করার পূর্বে তার মৃত্যু হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি তার পক্ষ থেকে তা আদায় করে দাও।
কোন কোন মনীষী বলেন, যখন উটের সংখ্যা বিশে পৌঁছে, তখন তার যাকাত হবে চারটি ছাগল। কিন্তু যদি সে যাকাত থেকে রেহাই পাওয়ার উদ্দেশ্যে অথবা যাকাত এড়াবার কৌশল হিসেবে বছর পূর্ণ হওয়ার আগে ঐগুলো দান করে দেয় অথবা বিক্রি করে ফেলে, তাহলে তার উপর কিছু ওয়াজিব হবে না। তদ্রূপ যদি সে ঐগুলো ধ্বংস করে দেয়, তারপর সে মারা যায় তাহলেও তার মালের উপর কোন যাকাত ওয়াজিব হবে না।
কোন কোন মনীষী বলেন, যখন উটের সংখ্যা বিশে পৌঁছে, তখন তার যাকাত হবে চারটি ছাগল। কিন্তু যদি সে যাকাত থেকে রেহাই পাওয়ার উদ্দেশ্যে অথবা যাকাত এড়াবার কৌশল হিসেবে বছর পূর্ণ হওয়ার আগে ঐগুলো দান করে দেয় অথবা বিক্রি করে ফেলে, তাহলে তার উপর কিছু ওয়াজিব হবে না। তদ্রূপ যদি সে ঐগুলো ধ্বংস করে দেয়, তারপর সে মারা যায় তাহলেও তার মালের উপর কোন যাকাত ওয়াজিব হবে না।
كتاب الحيل
باب فِي الزَّكَاةِ وَأَنْ لاَ يُفَرَّقَ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ، وَلاَ يُجْمَعَ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ، خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ
6959 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: اسْتَفْتَى سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ الأَنْصَارِيُّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي نَذْرٍ كَانَ عَلَى أُمِّهِ، تُوُفِّيَتْ قَبْلَ أَنْ تَقْضِيَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اقْضِهِ عَنْهَا» وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ: «إِذَا بَلَغَتِ [ص:24] الإِبِلُ عِشْرِينَ فَفِيهَا أَرْبَعُ شِيَاهٍ، فَإِنْ وَهَبَهَا قَبْلَ الحَوْلِ أَوْ بَاعَهَا فِرَارًا وَاحْتِيَالًا لِإِسْقَاطِ الزَّكَاةِ، فَلاَ شَيْءَ عَلَيْهِ، وَكَذَلِكَ إِنْ أَتْلَفَهَا فَمَاتَ، فَلاَ شَيْءَ فِي مَالِهِ»
তাহকীক: