আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৭৬- কৌশল গ্রহণ সংশ্লিষ্ট অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৫০২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৭৩
- কৌশল গ্রহণ সংশ্লিষ্ট অধ্যায়
২৯২৬. প্লেগ মহামারী আক্রান্ত এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য কৌশল গ্রহণ করা নিষিদ্ধ।
৬৫০২। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমির ইবনে রবীআ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) সিরিয়া অভিমুখে রওয়ানা দিলেন। তিনি যখন ‘সারাগ’ নামক স্থানে পৌঁছলেন, তখন তাঁর কাছে সংবাদ পৌঁছল যে, সিরিয়ায় প্লেগ মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। এ সময় আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) তাঁকে অবহিত করলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন তোমরা কোন এলাকায় মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে শুনতে পাবে, তখন তোমরা সেখানে যেও না। আর যখন কোন এলাকায় মহামারী ছড়িয়ে পড়ে আর তোমরা সেখানে উপস্থিত থাক, তখন সেখান থেকে পলায়ন করে বেরিয়ে এসো না। এ কথা শুনে উমর (রাযিঃ) “সারাগ” থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) সূত্রে সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, উমর (রাযিঃ) আব্দুর রহমানের হাদীসের কারণে ফিরে এসেছেন।
كتاب الحيل
باب مَا يُكْرَهُ مِنَ الاِحْتِيَالِ فِي الْفِرَارِ مِنَ الطَّاعُونِ
6973 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ خَرَجَ إِلَى الشَّأْمِ، فَلَمَّا جَاءَ بِسَرْغَ، بَلَغَهُ أَنَّ الوَبَاءَ وَقَعَ بِالشَّأْمِ، فَأَخْبَرَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلاَ تَقْدَمُوا عَلَيْهِ، وَإِذَا وَقَعَ [ص:27] بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ» فَرَجَعَ عُمَرُ مِنْ سَرْغَ وَعَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عُمَرَ إِنَّمَا انْصَرَفَ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
হাদীস নং: ৬৫০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৭৪
- কৌশল গ্রহণ সংশ্লিষ্ট অধ্যায়
২৯২৬. প্লেগ মহামারী আক্রান্ত এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য কৌশল গ্রহণ করা নিষিদ্ধ।
৬৫০৩। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি সা’দ (রাযিঃ) কে বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মহামারী প্রসঙ্গে আলোচনাকালে বললেন, এ একটি শাস্তি, কতক জাতিকে এ দ্বারা শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তারপর এর কিছু অংশ বাকী রয়ে গেছে। তাই কখনো এটা চলে যায় আবার কখনো তা ফিরে আসে। যখন কেউ কোন এলাকায় মহামারীর কথা শুনবে, তখন যেন সে তথায় না যায়। আর যে কেউ এমন এলাকায় অবস্থান করে যেখানে এর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে, তখন সে যেন সেখান থেকে পলায়ন করে বেরিয়ে না আসে।
كتاب الحيل
باب مَا يُكْرَهُ مِنَ الاِحْتِيَالِ فِي الْفِرَارِ مِنَ الطَّاعُونِ
6974 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنَا عَامِرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ: أَنَّهُ سَمِعَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، يُحَدِّثُ سَعْدًا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ الوَجَعَ فَقَالَ: «رِجْزٌ، أَوْ عَذَابٌ، عُذِّبَ بِهِ بَعْضُ الأُمَمِ، ثُمَّ بَقِيَ مِنْهُ بَقِيَّةٌ، فَيَذْهَبُ المَرَّةَ وَيَأْتِي الأُخْرَى، فَمَنْ سَمِعَ بِهِ بِأَرْضٍ فَلاَ يُقْدِمَنَّ عَلَيْهِ، وَمَنْ كَانَ بِأَرْضٍ وَقَعَ بِهَا فَلاَ يَخْرُجْ فِرَارًا مِنْهُ»