আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৭৯- আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৬৬৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৫৮
- আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
৩০১৭. রাগের অবস্থায় বিচারক বিচার করতে এবং মুফতী ফাতওয়া দিতে পারবেন কি ?
৬৬৭২। আদম (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে আবু বাকরা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আবু বাকরা (রাযিঃ) তাঁর ছেলেকে লিখে পাঠালেন -সে সময় তিনি সিজিস্তানে অবস্থানরত ছিলেন- যে, তুমি রাগের অবস্থায় বিবাদমান দু’ব্যক্তির মাঝে ফায়সালা করো না। কেননা, আমি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, কোন বিচারক রাগের অবস্থায় দু’জনের মধ্যে বিচার করবে না।
كتاب الأحكام
باب هَلْ يَقْضِي الْحَاكِمُ أَوْ يُفْتِي وَهْوَغَضْبَانُ
7158 - حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ المَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ: كَتَبَ أَبُو بَكْرَةَ إِلَى ابْنِهِ، وَكَانَ بِسِجِسْتَانَ، بِأَنْ لاَ تَقْضِيَ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَأَنْتَ غَضْبَانُ، فَإِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لاَ يَقْضِيَنَّ حَكَمٌ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهُوَ غَضْبَانُ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৬৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৫৯
- আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
৩০১৭. রাগের অবস্থায় বিচারক বিচার করতে এবং মুফতী ফাতওয়া দিতে পারবেন কি ?
৬৬৭৩। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) ......... আবু মাসউদ আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর শপথ! আমি অমুক ব্যক্তির কারণে ফজরের জামাতে উপস্থিত হই না। কেননা, তিনি আমাদেরকে নিয়ে দীর্ঘ নামায আদায় করেন। আবু মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আমি নবী (ﷺ) কে কোন ওয়াযে সে দিনের মত অধিক রাগাম্বিত হতে আর দেখিনি। এরপর উনি বললেনঃ হে লোক সকল! তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বিতৃষ্ণার উদ্রেককারী রয়েছে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে কেউ লোকদেরকে নিয়ে নামায আদায় করবে সে যেন সংক্ষিপ্ত করে। কেননা তাদের মধ্যে রয়েছে বয়ষ্ক, দুর্বল ও কর্মব্যস্ত লোকেরা।
كتاب الأحكام
باب هَلْ يَقْضِي الْحَاكِمُ أَوْ يُفْتِي وَهْوَغَضْبَانُ
7159 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي وَاللَّهِ لَأَتَأَخَّرُ عَنْ صَلاَةِ الغَدَاةِ مِنْ أَجْلِ فُلاَنٍ، مِمَّا يُطِيلُ بِنَا فِيهَا، قَالَ: فَمَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَطُّ أَشَدَّ غَضَبًا فِي مَوْعِظَةٍ مِنْهُ [ص:66] يَوْمَئِذٍ، ثُمَّ قَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ مِنْكُمْ مُنَفِّرِينَ، فَأَيُّكُمْ مَا صَلَّى بِالنَّاسِ فَلْيُوجِزْ، فَإِنَّ فِيهِمُ الكَبِيرَ، وَالضَّعِيفَ، وَذَا الحَاجَةِ»
হাদীস নং: ৬৬৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৬০
- আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
৩০১৭. রাগের অবস্থায় বিচারক বিচার করতে এবং মুফতী ফাতওয়া দিতে পারবেন কি ?
৬৬৭৪। মুহাম্মাদ ইবনে আবু ইয়াকুব কিরমানী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর স্ত্রীকে ঋতুবতী অবস্থায় তালাক দিয়েছিলেন। উমর (রাযিঃ) এ ঘটনা নবী (ﷺ) এর কাছে বর্ণনা করেন। এতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাগাম্বিত হন। এরপর তিনি বলেনঃ সে যেন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনে এবং তাকে আটকিয়ে রাখে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে পবিত্র হয়ে পুনরায় ঋতুবতী না হয় এবং পুনরায় পবিত্র না হয়। এরপরও যদি তার তালাক দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে যেন তখন (পবিত্রাবস্থায়) তালাক দেয়। আবু আব্দুল্লাহ (বুখারী) (রাহঃ) বলেন, যুহরী-ই মুহাম্মাদ।
كتاب الأحكام
باب هَلْ يَقْضِي الْحَاكِمُ أَوْ يُفْتِي وَهْوَغَضْبَانُ
7160 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ الكَرْمَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ الزُّهْرِيُّ، أَخْبَرَنِي سَالِمٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ، فَذَكَرَ عُمَرُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَغَيَّظَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: «لِيُرَاجِعْهَا، ثُمَّ لِيُمْسِكْهَا حَتَّى تَطْهُرَ، ثُمَّ تَحِيضَ فَتَطْهُرَ، فَإِنْ بَدَا لَهُ أَنْ يُطَلِّقَهَا فَلْيُطَلِّقْهَا»

তাহকীক:
