আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৮০- ভালো-মন্দ আকাঙ্ক্ষার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
হাদীস নং: ৬৭৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৩৮
- ভালো-মন্দ আকাঙ্ক্ষার অধ্যায়
৩০৬৭. لَوْ 'যদি' শব্দটা বলা কতখানি বৈধ।
কুরআনের বাণীঃ তোমাদের উপর যদি আমার শক্তি থাকত...... (১১ঃ ৮০)।
কুরআনের বাণীঃ তোমাদের উপর যদি আমার শক্তি থাকত...... (১১ঃ ৮০)।
৬৭৪৪। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) দু’জন লিআনকারীর ঘটনা বর্ণনা করলেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে শাদ্দাদ বললেন, এ কি সেই স্ত্রীলোক যার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, যদি বিনা প্রমাণে কোন স্ত্রীলোককে রজম করতাম? তিনি বললেনঃ না! সে স্ত্রীলোকটি প্রকাশ্যে অশ্লীল কাজ করেছে।
كتاب التمنى
بَابُ مَا يَجُوزُ مِنَ اللَّوْ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً} [هود: 80]
7238 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ القَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ: ذَكَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ، المُتَلاَعِنَيْنِ فَقَالَ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادٍ أَهِيَ الَّتِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ كُنْتُ رَاجِمًا امْرَأَةً مِنْ غَيْرِ بَيِّنَةٍ» قَالَ: لاَ، تِلْكَ امْرَأَةٌ أَعْلَنَتْ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৩৯
- ভালো-মন্দ আকাঙ্ক্ষার অধ্যায়
৩০৬৭. لَوْ 'যদি' শব্দটা বলা কতখানি বৈধ।
৬৭৪৫। আলী (রাহঃ) ......... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর এশার নামায বিলম্ব হল। তখন উমর (রাযিঃ) বেরিয়ে এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! নামায। (এদিকে) মহিলা ও শিশুরা ঘুমিয়ে যাচ্ছিল। তখন তিনি বেরিয়ে এলেন, তার মাথা থেকে পানি টপকে পড়ছে। তিনি বলছিলেন, যদি আমার উম্মতের জন্য —কিংবা বলেছিলেন, লোকদের জন্য সুফিয়ানও বলেছেন, আমার উম্মতের জন্য— কষ্টসাধ্য মনে না করতাম, তাহলে অবশ্যই তাদের এ সময়ে নামায আদায়ের নির্দেশ দিতাম।
ইবনে জুরায়জ আতা র সূত্রে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) এই নামায বিলম্ব করলেন। ফলে উমর (রাযিঃ) এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! মহিলা ও শিশুরা ঘুমিয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি তাঁর মাথার পার্শ্ব থেকে পানি মুছতে মুছতে বেরিয়ে এসে বললেনঃ আসলে এটাই সময়। এরপর বললেনঃ যদি আমি আমার উম্মতের উপর কষ্টসাধ্য মনে না করতাম...।
আমরও এ হাদীসটি আতা থেকে বর্ণনা করেন, সে সূত্রে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নাম নেই। তবে আমর বলেছেন যে, তার মাথা থেকে পানি টপকে পড়ছিল। আর ইবনে জুরায়জ বলেন, তিনি তার এক পার্শ্ব থেকে পানি মুছছিলেন। আবার আমরের সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি আমি আমার উম্মতের উপর কষ্টসাধ্য মনে না করতাম। আর ইবনে জুরায়জ বলেন, এটাই সময়। যদি আমি আমার উম্মতের উপর কষ্টসাধ্য মনে না করতাম ...। তবে ইবরাহীম ইবনে মুনযির......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে হাদীসটি বর্ণিত আছে।
ইবনে জুরায়জ আতা র সূত্রে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) এই নামায বিলম্ব করলেন। ফলে উমর (রাযিঃ) এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! মহিলা ও শিশুরা ঘুমিয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি তাঁর মাথার পার্শ্ব থেকে পানি মুছতে মুছতে বেরিয়ে এসে বললেনঃ আসলে এটাই সময়। এরপর বললেনঃ যদি আমি আমার উম্মতের উপর কষ্টসাধ্য মনে না করতাম...।
আমরও এ হাদীসটি আতা থেকে বর্ণনা করেন, সে সূত্রে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নাম নেই। তবে আমর বলেছেন যে, তার মাথা থেকে পানি টপকে পড়ছিল। আর ইবনে জুরায়জ বলেন, তিনি তার এক পার্শ্ব থেকে পানি মুছছিলেন। আবার আমরের সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি আমি আমার উম্মতের উপর কষ্টসাধ্য মনে না করতাম। আর ইবনে জুরায়জ বলেন, এটাই সময়। যদি আমি আমার উম্মতের উপর কষ্টসাধ্য মনে না করতাম ...। তবে ইবরাহীম ইবনে মুনযির......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে হাদীসটি বর্ণিত আছে।
كتاب التمنى
بَابُ مَا يَجُوزُ مِنَ اللَّوْ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً} [هود: 80]
7239 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ عَمْرٌو: حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، قَالَ: أَعْتَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالعِشَاءِ، فَخَرَجَ عُمَرُ فَقَالَ: الصَّلاَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، رَقَدَ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ، فَخَرَجَ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ يَقُولُ: «لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي - أَوْ عَلَى النَّاسِ وَقَالَ سُفْيَانُ أَيْضًا عَلَى أُمَّتِي - لَأَمَرْتُهُمْ بِالصَّلاَةِ هَذِهِ السَّاعَةَ» ، قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَخَّرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذِهِ الصَّلاَةَ فَجَاءَ عُمَرُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، رَقَدَ النِّسَاءُ وَالوِلْدَانُ، فَخَرَجَ وَهُوَ يَمْسَحُ المَاءَ عَنْ شِقِّهِ يَقُولُ: «إِنَّهُ لَلْوَقْتُ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي» ، وَقَالَ عَمْرٌو، حَدَّثَنَا عَطَاءٌ لَيْسَ فِيهِ ابْنُ عَبَّاسٍ، أَمَّا عَمْرٌو فَقَالَ: رَأْسُهُ يَقْطُرُ، وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ، يَمْسَحُ المَاءَ عَنْ شِقِّهِ، وَقَالَ عَمْرٌو: «لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي» ، وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: «إِنَّهُ لَلْوَقْتُ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي» ، وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ المُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৭৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৪০
- ভালো-মন্দ আকাঙ্ক্ষার অধ্যায়
৩০৬৭. لَوْ 'যদি' শব্দটা বলা কতখানি বৈধ।
৬৭৪৬। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যদি আমার উম্মতের উপর কষ্টসাধ্য মনে না করতাম, তাহলে আমি তাদের মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।
كتاب التمنى
بَابُ مَا يَجُوزُ مِنَ اللَّوْ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً} [هود: 80]
7240 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ»
হাদীস নং: ৬৭৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৪১
- ভালো-মন্দ আকাঙ্ক্ষার অধ্যায়
৩০৬৭. لَوْ 'যদি' শব্দটা বলা কতখানি বৈধ।
৬৭৪৭। আইয়াশ ইবনে ওয়ালীদ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, (একটি) মাসের শেষাংশে নবী (ﷺ) বিরতিহীন রোযা রাখলেন এবং আরো কতিপয় লোকও বিরতিহীনভাবে রোযা পালন করতে লাগল। এ সংবাদ নবী (ﷺ) এর কাছে পৌছলে তিনি বললেনঃ যদি আমার এ মাস দীর্ঘায়িত হত, তবুও আমি এভাবে বিরতিহীন রোযা রাখতাম। যাতে অধিক কষ্টকারীরা তাদের কষ্ট করা ছেড়ে দেয়। আমি তো তোমাদের মত নই, আমার প্রতিপালক আমাকে আহার করান এবং পান করান। সুলাইমান ইবনে মুগীরা আনাস (রাযিঃ)-এর সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে হুমায়দ এর অনুসরণ করেছেন।
كتاب التمنى
بَابُ مَا يَجُوزُ مِنَ اللَّوْ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً} [هود: 80]
7241 - حَدَّثَنَا عَيَّاشُ بْنُ الوَلِيدِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: وَاصَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آخِرَ الشَّهْرِ، وَوَاصَلَ أُنَاسٌ مِنَ النَّاسِ، فَبَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَوْ مُدَّ بِيَ الشَّهْرُ لَوَاصَلْتُ وِصَالًا يَدَعُ المُتَعَمِّقُونَ تَعَمُّقَهُمْ، إِنِّي لَسْتُ مِثْلَكُمْ، إِنِّي أَظَلُّ يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقِينِ» تَابَعَهُ سُلَيْمَانُ بْنُ مُغِيرَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ৬৭৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৪২
- ভালো-মন্দ আকাঙ্ক্ষার অধ্যায়
৩০৬৭. لَوْ 'যদি' শব্দটা বলা কতখানি বৈধ।
৬৭৪৮। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ও লাইছ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিরতিহীন রোযা রাখতে নিষেধ করলেন। সাহাবাগণ বললেন, আপনি বিরতিহীন রোযা রাখছেন? তিনি বললেনঃ তোমাদের কে আছ আমার মতো? আমি তো রাত্রি যাপন করি এমতাবস্থায় যে, আমার প্রতিপালক আমাকে আহার করান ও পান করান। কিন্তু তারা যখন বিরত থাকতে অস্বীকার করলেন, তখন তিনি তাদের সহ একদিন, তারপর আর একদিন রোযা রাখলেন। তারপর তারা নতুন চাঁদ দেখতে পেলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যদি চাঁদ আরো দেরীতে উদিত হত, তাহলে আমিও তোমাদের (রোযা) বাড়াতাম। তিনি যেন তাদেরকে শাসাচ্ছিলেন।
كتاب التمنى
بَابُ مَا يَجُوزُ مِنَ اللَّوْ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً} [هود: 80]
7242 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَقَالَ اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ المُسَيِّبِ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:86] عَنِ الوِصَالِ» ، قَالُوا: فَإِنَّكَ تُوَاصِلُ، قَالَ: «أَيُّكُمْ مِثْلِي، إِنِّي أَبِيتُ يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقِينِ» ، فَلَمَّا أَبَوْا أَنْ يَنْتَهُوا، وَاصَلَ بِهِمْ يَوْمًا، ثُمَّ يَوْمًا، ثُمَّ رَأَوُا الهِلَالَ فَقَالَ: «لَوْ تَأَخَّرَ لَزِدْتُكُمْ كَالْمُنَكِّلِ لَهُمْ»
হাদীস নং: ৬৭৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৪৩
- ভালো-মন্দ আকাঙ্ক্ষার অধ্যায়
৩০৬৭. لَوْ 'যদি' শব্দটা বলা কতখানি বৈধ।
৬৭৪৯। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) কে কা'বার বাইরের দেওয়াল (যাকে হাতীমে কাবা বলা হয়) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, এটা কি কাবা ঘরের অংশ ছিল? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি বললাম, তাহলে তারা এ অংশকে (কাবা) ঘরের ভিতরে শামিল করল না কেন? তিনি বললেনঃ তোমার গোত্রের খরচে অনটন দেখা দিয়েছিল। আমি বললাম, এর দরজাটি এত উচ্চে স্থাপিত হল কেন? তিনি বললেনঃ এটা তোমার গোত্র এজন্য করেছিল, যাতে তারা যাকে ইচ্ছা প্রবেশ করতে দেবে এবং যাকে ইচ্ছা বাধা প্রদান করবে। তবে যদি তোমার গোত্র সদ্য জাহিলিয়্যাতমুক্ত না হত, এরপর তাদের অন্তর বিগড়ে যাওয়ার ভয় না হত, তাহলে আমি বহির্ভূত দেওয়ালকে কাবা ঘরের মাঝে শামিল করে দিতাম এবং এর দরজাকে মাটির বরাবরে মিলিয়ে দিতাম।
كتاب التمنى
بَابُ مَا يَجُوزُ مِنَ اللَّوْ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً} [هود: 80]
7243 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الجَدْرِ، أَمِنَ البَيْتِ هُوَ؟ قَالَ: «نَعَمْ» ، قُلْتُ: فَمَا لَهُمْ لَمْ يُدْخِلُوهُ فِي البَيْتِ؟ قَالَ: «إِنَّ قَوْمَكِ قَصَّرَتْ بِهِمُ النَّفَقَةُ» ، قُلْتُ: فَمَا شَأْنُ بَابِهِ مُرْتَفِعًا، قَالَ: «فَعَلَ ذَاكِ قَوْمُكِ لِيُدْخِلُوا مَنْ شَاءُوا، وَيَمْنَعُوا مَنْ شَاءُوا، وَلَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ بِالْجَاهِلِيَّةِ فَأَخَافُ أَنْ تُنْكِرَ قُلُوبُهُمْ، أَنْ أُدْخِلَ الجَدْرَ فِي البَيْتِ، وَأَنْ أَلْصِقْ بَابَهُ فِي الأَرْضِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৪৪
- ভালো-মন্দ আকাঙ্ক্ষার অধ্যায়
৩০৬৭. لَوْ 'যদি' শব্দটা বলা কতখানি বৈধ।
৬৭৫০। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যদি হিজরত না হত, তাহলে আমি আনসারদের অন্তর্ভুক্ত একজন হতাম। আর লোকেরা যদি এক উপত্যকা দিয়ে গমন করত আর আনসাররা যদি অন্য উপত্যকা দিয়ে কিংবা গিরিপথ দিয়ে গমন করত, তাহলে আমি আনসারদের উপত্যকা বা গিরিপথ দিয়েই গমন করতাম।
كتاب التمنى
بَابُ مَا يَجُوزُ مِنَ اللَّوْ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً} [هود: 80]
7244 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْلاَ الهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنَ الأَنْصَارِ، وَلَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا وَسَلَكَتِ الأَنْصَارُ وَادِيًا - أَوْ شِعْبًا - لَسَلَكْتُ وَادِيَ الأَنْصَارِ، - أَوْ شِعْبَ الأَنْصَارِ -»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৪৫
- ভালো-মন্দ আকাঙ্ক্ষার অধ্যায়
৩০৬৭. لَوْ 'যদি' শব্দটা বলা কতখানি বৈধ।
৬৭৫১। মুসা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, যদি হিজরত না হত, তাহলে আমি আনসারদের অন্তর্ভুক্ত একজন হতাম। আর লোকেরা যদি কোন এক উপত্যকা বা গিরিপথ দিয়ে গমন করত, তাহলে আমি আনসারদের উপত্যকা বা গিরিপথ দিয়ে গমন করতাম।
আবু তাইয়াহ (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে হাদীসে উপত্যকার কথা উল্লেখ করে আব্বাদ ইবনে তামীমের অনুসরণ করেছেন।
আবু তাইয়াহ (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে হাদীসে উপত্যকার কথা উল্লেখ করে আব্বাদ ইবনে তামীমের অনুসরণ করেছেন।
كتاب التمنى
بَابُ مَا يَجُوزُ مِنَ اللَّوْ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً} [هود: 80]
7245 - حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَوْلاَ الهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنَ الأَنْصَارِ، وَلَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا أَوْ شِعْبًا لَسَلَكْتُ وَادِيَ الأَنْصَارِ وَشِعْبَهَا» تَابَعَهُ أَبُو التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فِي الشِّعْبِ