আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৮৩- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৭ টি
হাদীস নং: ৬৯৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৬৪
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা ইচ্ছা করবে না যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন (৭৬ঃ ৩০)।
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর (৩ঃ ২৬)।
মহান আল্লাহর বাণীঃ কখনই তুমি কোন বিষয়ে বলবে না, আমি তা আগামী কাল করব, 'আল্লাহ ইচ্ছা করলে' এ কথা না বলে (১৮ঃ ২৩-২৪)।
মহান আল্লাহর বাণীঃ তুমি যাকে ভালবাস, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহ যাকে চান তাকে সৎপথে আনয়ন করেন। (২৮ঃ ৫৬)। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) তাঁর পিতা মুসাইয়্যাব থেকে বলেন, উপরোক্ত আয়াত আবু তালিব সম্পর্কে নাযিল হয়েছে।
মহান আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না (২ঃ ১৮৫)।
মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা ইচ্ছা করবে না যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন (৭৬ঃ ৩০)।
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর (৩ঃ ২৬)।
মহান আল্লাহর বাণীঃ কখনই তুমি কোন বিষয়ে বলবে না, আমি তা আগামী কাল করব, 'আল্লাহ ইচ্ছা করলে' এ কথা না বলে (১৮ঃ ২৩-২৪)।
মহান আল্লাহর বাণীঃ তুমি যাকে ভালবাস, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহ যাকে চান তাকে সৎপথে আনয়ন করেন। (২৮ঃ ৫৬)। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) তাঁর পিতা মুসাইয়্যাব থেকে বলেন, উপরোক্ত আয়াত আবু তালিব সম্পর্কে নাযিল হয়েছে।
মহান আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না (২ঃ ১৮৫)।
৬৯৫৬। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন তোমরা আল্লাহর কাছে দু'আ করবে, তখন দু'আয় দৃঢ় ও সংকল্পবদ্ধ থাকবে। তোমাদের কারো এমন কথা কখনো বলা উচিত না যে, (হে আল্লাহ!) তুমি যদি চাও, তাহলে আমাকে দান কর। কেননা, আল্লাহকে বাধ্যকারী এমন কেউ নেই।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
بَابُ فِي المَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ: {وَمَا تَشَاءُونَ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ}وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {تُؤْتِي المُلْكَ مَنْ تَشَاءُ} [آل عمران: 26] ، {وَلاَ تَقُولَنَّ لِشَيْءٍ إِنِّي فَاعِلٌ ذَلِكَ غَدًا إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ} [الكهف: 24] ، {إِنَّكَ لاَ تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ} [القصص: 56] قَالَ سَعِيدُ بْنُ المُسَيِّبِ، عَنْ أَبِيهِ: نَزَلَتْ فِي أَبِي طَالِبٍ {يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ اليُسْرَ وَلاَ يُرِيدُ بِكُمُ العُسْرَ} [البقرة: 185]
7464 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، عَنْ عَبْدِ العَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا دَعَوْتُمُ اللَّهَ فَاعْزِمُوا فِي الدُّعَاءِ، وَلاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ إِنْ شِئْتَ فَأَعْطِنِي، فَإِنَّ اللَّهَ لاَ مُسْتَكْرِهَ لَهُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৬৫
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৫৭। আবুল ইয়ামান ও ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার ও রাসূল-তনয়া ফাতিমার কাছে রাতে এসেছেন। তিনি তাদেরকে বললেনঃ তোমরা নামায আদায় করছ না? আলী (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের জীবন অবশ্যই আল্লাহর হাতে। তিনি যখন আমাদেরকে ঘুম থেকে জাগিয়ে ওঠাতে চান জাগিয়ে ওঠান। আমি এ কথা বলার পর, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিরে চললেন। আর আমার কথার কোন উত্তর করলেন না। যাওয়ার সময় তাঁকে উরুর ওপর হাত মেরে বলতে শুনেছি, মানুষ অধিকাংশ বিষয়েই বড্ড ঝগড়াটে।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7465 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح وحَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي أَخِي عَبْدُ الحَمِيدِ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ أَخْبَرَهُ: أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةً، فَقَالَ لَهُمْ: «أَلاَ تُصَلُّونَ» ، قَالَ عَلِيٌّ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّمَا أَنْفُسُنَا بِيَدِ اللَّهِ، فَإِذَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَنَا بَعَثَنَا، فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قُلْتُ ذَلِكَ، وَلَمْ يَرْجِعْ إِلَيَّ شَيْئًا، ثُمَّ سَمِعْتُهُ وَهُوَ مُدْبِرٌ يَضْرِبُ فَخِذَهُ وَيَقُولُ: {وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا} [الكهف: 54]
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৬৬
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৫৮। মুহাম্মাদ ইবনে সিনান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ঈমানদার শস্যক্ষেতের নরম ডগার মত। জোরে বাতাস এলেই তার পাতা ঝুঁকে পড়ে। যখন বাতাস থেমে যায়, তখন আবার স্থির হয়ে যায়। ঈমানদারদেরকে বালা-মূসিবত দ্বারা এভাবেই ঝুঁকিয়ে রাখা হয়। আর কাফেরের উদাহরণ দেবদারু গাছ, যা একেবারেই কঠিন ও সোজা হয়। যদ্দরুন আল্লাহ যখন ইচ্ছা করেন সেটিকে মূলসহ উপড়ে ফেলেন।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7466 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، حَدَّثَنَا هِلاَلُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ [ص:138] أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَثَلُ المُؤْمِنِ كَمَثَلِ خَامَةِ الزَّرْعِ يَفِيءُ وَرَقُهُ مِنْ حَيْثُ أَتَتْهَا الرِّيحُ تُكَفِّئُهَا، فَإِذَا سَكَنَتِ اعْتَدَلَتْ، وَكَذَلِكَ المُؤْمِنُ يُكَفَّأُ بِالْبَلاَءِ، وَمَثَلُ الكَافِرِ كَمَثَلِ الأَرْزَةِ صَمَّاءَ مُعْتَدِلَةً حَتَّى يَقْصِمَهَا اللَّهُ إِذَا شَاءَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৬৭
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৫৯। হাকাম ইবনে নাফি' (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, যখন তিনি মিম্বরে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি বললেনঃ তোমাদের আগের উম্মতদের তুলনায় তোমাদের অবস্থানকাল আসরের নামায ও সূর্যাস্তের মধ্যবর্তী সময়। তাওরাতের ধারকগণকে তাওরাত প্রদান করা হলে তারা সে অনুযায়ী আমল করল, তবে দুপুর হলে তারা অপারগ হয়ে পড়ল। এ জন্য তাদেরকে এক এক কীরাত করে পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া হল। অতঃপর ইনজীলের ধারকগণকে ইনজীল প্রদান করা হল, তারা তদনুযায়ী আমল করল আসরের নামায পর্যন্ত, তারপর তারা অক্ষম হয়ে পড়ায় তাদেরকে দেওয়া হল এক এক কীরাত করে।
(সর্বশেষে) তোমাদেরকে কুরআন দেওয়া হল। ফলে এই কুরআন অনুযায়ী তোমরা আসর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমল করেছ। এ জন্য তোমাদেরকে দুই কীরাত দুই কীরাত করে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। তাওরাতের ধারকগণ বললো, হে আমাদের প্রতিপালক! এরাতো আমলে সর্বাপেক্ষা কম আবার পারিশ্রমিকে সবচেয়ে বেশী। আল্লাহ তখন বললেনঃ তোমাদের পারিশ্রমিকে তোমাদেরকে কিছু যুলুম করা হয়েছে কি? তারা বলল, না। তখন আল্লাহ বললেনঃ সেটি হচ্ছে আমার অনুগ্রহ, আমি যাকে চাই তাকে দিয়ে থাকি।
(সর্বশেষে) তোমাদেরকে কুরআন দেওয়া হল। ফলে এই কুরআন অনুযায়ী তোমরা আসর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমল করেছ। এ জন্য তোমাদেরকে দুই কীরাত দুই কীরাত করে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। তাওরাতের ধারকগণ বললো, হে আমাদের প্রতিপালক! এরাতো আমলে সর্বাপেক্ষা কম আবার পারিশ্রমিকে সবচেয়ে বেশী। আল্লাহ তখন বললেনঃ তোমাদের পারিশ্রমিকে তোমাদেরকে কিছু যুলুম করা হয়েছে কি? তারা বলল, না। তখন আল্লাহ বললেনঃ সেটি হচ্ছে আমার অনুগ্রহ, আমি যাকে চাই তাকে দিয়ে থাকি।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7467 - حَدَّثَنَا الحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ قَائِمٌ عَلَى المِنْبَرِ، يَقُولَ: " إِنَّمَا بَقَاؤُكُمْ فِيمَا سَلَفَ قَبْلَكُمْ مِنَ الأُمَمِ، كَمَا بَيْنَ صَلاَةِ العَصْرِ إِلَى غُرُوبِ الشَّمْسِ، أُعْطِيَ أَهْلُ التَّوْرَاةِ التَّوْرَاةَ، فَعَمِلُوا بِهَا حَتَّى انْتَصَفَ النَّهَارُ ثُمَّ عَجَزُوا، فَأُعْطُوا قِيرَاطًا قِيرَاطًا، ثُمَّ أُعْطِيَ أَهْلُ الإِنْجِيلِ الإِنْجِيلَ، فَعَمِلُوا بِهِ حَتَّى صَلاَةِ العَصْرِ ثُمَّ عَجَزُوا، فَأُعْطُوا قِيرَاطًا قِيرَاطًا، ثُمَّ أُعْطِيتُمُ القُرْآنَ، فَعَمِلْتُمْ بِهِ حَتَّى غُرُوبِ الشَّمْسِ، فَأُعْطِيتُمْ قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ، قَالَ أَهْلُ التَّوْرَاةِ: رَبَّنَا هَؤُلاَءِ أَقَلُّ عَمَلًا وَأَكْثَرُ أَجْرًا؟ قَالَ: هَلْ ظَلَمْتُكُمْ مِنْ أَجْرِكُمْ مِنْ شَيْءٍ؟ قَالُوا: لاَ، فَقَالَ: فَذَلِكَ فَضْلِي أُوتِيهِ مَنْ أَشَاءُ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৬৮
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৬০। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদল লোকের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে বায়আত করেছি। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের বায়আত এ শর্তে করছি যে, তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কোন কিছুকে শরীক করবে না, চুরি করবে না, যিনা করবে না, তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, তোমাদের হাত ও পায়ের মধ্যবর্তী লজ্জাস্থানকে কেন্দ্র করে কোন ভিত্তিহীন জিনিস গড়বেনা, কোন ভাল কাজে আমার অবাধ্য হবে না। তোমাদের থেকে যারা ওসব যথাযথ পুরা করবে, আল্লাহর কাছে তার প্রতিদান রয়েছে। আর যারা ওসব নিষিদ্ধ জিনিসের কোনটায় লিপ্ত হয়ে গেলে তাকে যদি সে কারণে দুনিয়ায় শাস্তি প্রদান করা হয়, তা হলে তা হবে তার জন্য কাফফারা এবং পবিত্রতা। আর যাদের দোষ আল্লাহ ঢেকে রাখেন সেটি আল্লাহর ইচ্ছাধীন বিষয়। তিনি ইচ্ছা করলে শাস্তি দিবেন, ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিবেন।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7468 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ المُسْنَدِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ: بَايَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَهْطٍ، فَقَالَ: " أُبَايِعُكُمْ عَلَى أَنْ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا، وَلاَ تَسْرِقُوا، وَلاَ تَزْنُوا، وَلاَ تَقْتُلُوا أَوْلاَدَكُمْ، وَلاَ تَأْتُوا بِبُهْتَانٍ تَفْتَرُونَهُ بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَأَرْجُلِكُمْ، وَلاَ تَعْصُونِي فِي مَعْرُوفٍ، فَمَنْ وَفَى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ، وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَأُخِذَ بِهِ فِي الدُّنْيَا، فَهُوَ لَهُ كَفَّارَةٌ وَطَهُورٌ، وَمَنْ سَتَرَهُ اللَّهُ، فَذَلِكَ إِلَى اللَّهِ: إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ، وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৬৯
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৬১। মুআল্লা ইবনে আসাদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর নবী সুলাইমানের ষাটজন স্ত্রী ছিল। একদা সুলাইমান (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ আজ রাতে আমার সব স্ত্রীর কাছে যাব। যার ফলে স্ত্রীরা সবাই গর্ভবতী হয়ে এক একজন সন্তান প্রসব করবে, যারা অশ্বারোহী অবস্থায় আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। অতএব সুলাইমান (আলাইহিস সালাম) তাঁর সব স্ত্রীর কাছে গেলেন, তবে তাদের থেকে একজন স্ত্রী ছাড়া আর কেউ গর্ভবতী হলো না। সেও প্রসব করলো একটি অপূর্ণাঙ্গ সন্তান। নবী (ﷺ) বললেনঃ যদি সুলাইমান (আলাইহিস সালাম) ইনশাআল্লাহ বলতেন, তাহলে স্ত্রীরা সবাই গর্ভবতী হয়ে যেতো এবং প্রসব করতো এমন সন্তান, যারা অশ্বারোহী অবস্থায় আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করত।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7469 - حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ سُلَيْمَانَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ كَانَ لَهُ سِتُّونَ امْرَأَةً، فَقَالَ: لَأَطُوفَنَّ اللَّيْلَةَ عَلَى نِسَائِي فَلْتَحْمِلْنَ كُلُّ امْرَأَةٍ، وَلْتَلِدْنَ فَارِسًا يُقَاتِلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَطَافَ عَلَى نِسَائِهِ، فَمَا وَلَدَتْ مِنْهُنَّ إِلَّا امْرَأَةٌ وَلَدَتْ شِقَّ غُلاَمٍ "، قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ كَانَ سُلَيْمَانُ اسْتَثْنَى لَحَمَلَتْ كُلُّ امْرَأَةٍ مِنْهُنَّ، فَوَلَدَتْ فَارِسًا يُقَاتِلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৭০
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৬২। মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক বেদুঈনের কাছে প্রবেশ করলেন তার রোগের খোঁজখবর নিতে। তিনি বললেনঃ তোমার চিন্তার কোন কারণ নেই, ইনশাআল্লাহ তুমি সুস্থ হয়ে যাবে। বেদুঈন বলল সুস্থতা? না, বরং এটি এমন জ্বর যা একজন প্রবীণ বুড়োকে সিদ্ধ করছে, ফলে তাকে কবরে নিয়ে ছাড়বে। নবী (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ, তাহলে সেরূপই।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7470 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الحَذَّاءُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:139] دَخَلَ عَلَى أَعْرَابِيٍّ يَعُودُهُ فَقَالَ: «لاَ بَأْسَ عَلَيْكَ طَهُورٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ» ، قَالَ: قَالَ الأَعْرَابِيُّ: طَهُورٌ بَلْ هِيَ حُمَّى تَفُورُ عَلَى شَيْخٍ كَبِيرٍ تُزِيرُهُ القُبُورَ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَنَعَمْ إِذًا»
হাদীস নং: ৬৯৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৭১
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৬৩। ইবনে সালাম (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আবু কাতাদা তাঁর পিতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যখন তারা নামায থেকে ঘুমিয়ে ছিলেন তখন নবী (ﷺ) বলেছিলেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন ইচ্ছা করেন তোমাদের রূহকে নিয়ে যান, আর যখন ইচ্ছা ফিরিয়ে দেন। এরপর তারা তাদের প্রয়োজন সেরে নিলেন এবং উযু করলেন। এতে সূর্য উদিত হয়ে শ্বেতবর্ণ হয়ে গেল। অতঃপর নবী (ﷺ) দাঁড়ালেন এবং নামায আদায় করলেন।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7471 - حَدَّثَنَا ابْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، حِينَ نَامُوا عَنِ الصَّلاَةِ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ قَبَضَ أَرْوَاحَكُمْ حِينَ شَاءَ، وَرَدَّهَا حِينَ شَاءَ» ، فَقَضَوْا حَوَائِجَهُمْ، وَتَوَضَّئُوا إِلَى أَنْ طَلَعَتِ الشَّمْسُ وَابْيَضَّتْ، فَقَامَ فَصَلَّى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৭২
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৬৪। ইয়াহয়া ইবনে কাযাআ ও ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা একজন মুসলমান ও একজন ইহুদি পরস্পর গালমন্দ করল। মুসলিম ব্যক্তিটি বলল, সে মহান সত্তার কসম! যিনি জগতসমূহের ওপর মুহাম্মাদ (ﷺ) কে মনোনীত করেছেন। এরপর ইহুদীটিও বলল, সে মহান সত্তার কসম! যিনি জগতসমূহের ওপর মুসা (আলাইহিস সালাম) কে মনোনীত করেছেন। এরপরই মুসলিম লোকটি হাত উঠিয়ে ইহুদীকে চপেটাঘাত করল। এই প্রেক্ষিতে ইহুদী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গেল এবং তার ও মুসলিম ব্যক্তির মধ্যে যা ঘটেছে তা জানাল। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা আমাকে মুসার উপর প্রাধান্য দিও না। কেননা, সব মানুষ (শিঙ্গার ফুৎকারে) বেহুশ হয়ে যাবে। তখন সর্বপ্রথম আমি হুশ ফিরে পাব। পেয়েই দেখব, মুসা (আলাইহিস সালাম) আরশের একপাশ ধরে আছেন। অতএব আমি জানিনা, তিনি কি বেহুশ হয়ে আমার আগেই হুশ ফিরে পেয়ে গেলেন, নাকি তিনি তাঁদের অন্তর্ভুক্ত, যাদেরকে আল্লাহ বেহুশ হওয়া থেকে মুক্ত রেখেছেন।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7472 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ قَزَعَةَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَالأَعْرَجِ، ح وحَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَسَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: اسْتَبَّ رَجُلٌ مِنَ المُسْلِمِينَ وَرَجُلٌ مِنَ اليَهُودِ، فَقَالَ المُسْلِمُ: وَالَّذِي اصْطَفَى مُحَمَّدًا عَلَى العَالَمِينَ فِي قَسَمٍ يُقْسِمُ بِهِ، فَقَالَ اليَهُودِيُّ: وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَى العَالَمِينَ، فَرَفَعَ المُسْلِمُ يَدَهُ عِنْدَ ذَلِكَ فَلَطَمَ اليَهُودِيَّ، فَذَهَبَ اليَهُودِيُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرَهُ بِالَّذِي كَانَ مِنْ أَمْرِهِ، وَأَمْرِ المُسْلِمِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تُخَيِّرُونِي عَلَى مُوسَى، فَإِنَّ النَّاسَ يَصْعَقُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ يُفِيقُ، فَإِذَا مُوسَى بَاطِشٌ بِجَانِبِ العَرْشِ، فَلاَ أَدْرِي أَكَانَ فِيمَنْ صَعِقَ فَأَفَاقَ قَبْلِي، أَوْ كَانَ مِمَّنِ اسْتَثْنَى اللَّهُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৭৩
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৬৫। ইসহাক ইবনে আবু ঈসা (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ দাজ্জাল মদীনার উদ্দেশ্যে আসবে, তবে সে ফিরিশতাদেরকে মদীনায় পাহারারত দেখতে পাবে। সুতরাং দাজ্জাল ও প্লেগ মদীনার কাছেও আসতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7473 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي عِيسَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «المَدِينَةُ يَأْتِيهَا الدَّجَّالُ، فَيَجِدُ المَلاَئِكَةَ يَحْرُسُونَهَا فَلاَ يَقْرَبُهَا الدَّجَّالُ، وَلاَ الطَّاعُونُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৭৪
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৬৬। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ প্রত্যেক নবীর একটি (বিশেষ) দু'আ রয়েছে। আমার সে দোয়টি কিয়ামতের দিন আমার উম্মতের শাফাআতের জন্য লুকিয়ে রাখার ইচ্ছা করছি ইনশাআল্লাহ।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7474 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِكُلِّ نَبِيٍّ دَعْوَةٌ، فَأُرِيدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ أَنْ أَخْتَبِيَ دَعْوَتِي، شَفَاعَةً لِأُمَّتِي يَوْمَ القِيَامَةِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৭৫
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৬৭। ইয়াসারা ইবনে সাফওয়ান ইবনে জামীল লাখমী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ একদা আমি ঘুমন্ত অবস্থায় আমাকে একটি কূপের কাছে দেখতে পেলাম। তারপর আমি সে কূপ থেকে আল্লাহর ইচ্ছা অনুযাযী পানি ওঠালাম। তারপর আবু কুহাফার পুত্র (আবু বকর) তা (হাতে) নিলেন এবং তিনি এক বা দুই বালতি উঠালেন। তার ওঠানোর মধ্যে একটু দুর্বলতা ছিল। তাকে আল্লাহ মাফ করুন। তারপর উমর তা (হাতে) নিলেন। তখন তা বিরাট একটি বালতিতে রূপান্তরিত হল। আমি লোকের মধ্যে কোন বীরকেও তার মত পানি তুলতে আর দেখিনি। এমনকি লোকেরা কূপটির পার্শ্বে উটশালা তৈরী করে নিল।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7475 - حَدَّثَنَا يَسَرَةُ بْنُ صَفْوَانَ بْنِ جَمِيلٍ اللَّخْمِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ رَأَيْتُنِي عَلَى قَلِيبٍ، فَنَزَعْتُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ أَنْزِعَ، ثُمَّ أَخَذَهَا ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ فَنَزَعَ ذَنُوبًا أَوْ ذَنُوبَيْنِ وَفِي نَزْعِهِ ضَعْفٌ، وَاللَّهُ يَغْفِرُ لَهُ، ثُمَّ أَخَذَهَا عُمَرُ فَاسْتَحَالَتْ غَرْبًا، فَلَمْ أَرَ عَبْقَرِيًّا مِنَ النَّاسِ يَفْرِي فَرِيَّهُ حَتَّى ضَرَبَ النَّاسُ حَوْلَهُ بِعَطَنٍ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৭৬
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৬৮। মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর অভ্যাস ছিল, তার কাছে কোন ভিক্ষুক কিংবা অভাবী লোক এলে সাহাবাদের বলতেন, তোমরা তার জন্য সুপারিশ কর, এর প্রতিদান পাবে। আর আল্লাহ তাঁর রাসূলের মুখ দিয়ে তাই প্রকাশ করে থাকেন, যা তিনি চান।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7476 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ العَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ [ص:140] أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَتَاهُ السَّائِلُ - وَرُبَّمَا قَالَ جَاءَهُ السَّائِلُ - أَوْ صَاحِبُ الحَاجَةِ، قَالَ: «اشْفَعُوا فَلْتُؤْجَرُوا وَيَقْضِي اللَّهُ عَلَى لِسَانِ رَسُولِهِ مَا شَاءَ»
হাদীস নং: ৬৯৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৭৭
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৬৯। ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ এভাবে দু'আ করো না, হে আল্লাহ! আমাকে মাফ করে দাও, যদি তুমি চাও। আমার প্রতি রহম কর, যদি তুমি চাও। আমাকে তুমি দাও, যদি তুমি চাও। বরঞ্চ দোয়াপ্রার্থী খুবই দৃঢ়তার সাথে প্রার্থনা করবে। কেননা তিনি যা চান তাই করেন। তাকে বাধ্য করার মত কেউ নেই।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7477 - حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " لاَ يَقُلْ أَحَدُكُمْ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي إِنْ شِئْتَ، ارْحَمْنِي إِنْ شِئْتَ، ارْزُقْنِي إِنْ شِئْتَ، وَليَعْزِمْ مَسْأَلَتَهُ، إِنَّهُ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ، لاَ مُكْرِهَ لَهُ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৭৮
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৭০। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি এবং হুর ইবনে কায়স ইবনে হিসন ফাযারী (রাহঃ) মুসা (আলাইহিস সালাম) এর সঙ্গীটি সম্পর্কে এ ব্যাপারে দ্বিমত করছিলেন যে, তিনি কি খাযির ছিলেন? এমন সময় তাদের পাশ দিয়ে উবাই ইবনে কাব আনসারী (রাযিঃ) যাচ্ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) তাঁকে ডেকে বললেন, আমি এবং আমার এ বন্ধু মুসা (আলাইহিস সালাম) এর সাথী সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছি। মুসা (আলাইহিস সালাম) যার সাথে সাক্ষাতের জন্য পথের সন্ধান চেয়েছিলেন। আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অবশ্যই আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তার সম্পর্কে উল্লেখ করে বলতে শুনেছি যে, এক সময় মুসা (আলাইহিস সালাম) বনী ইসরাঈলের একদল লোকের মধ্যে ছিলেন। এমন সময় জনৈক ব্যক্তি তার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো, মুসা! আপনি কি জানেন, আপনার চাইতে অধিক জ্ঞানী কেউ আছেন? মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ না। তারপর মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে ওহী অবতীর্ণ হল যে, হ্যাঁ, আমার বান্দা খাযির আছেন। তখন মুসা (আলাইহিস সালাম) তার সাথে সাক্ষাতের পথ সম্পর্কে জানতে চাইলেন। সুতরাং আল্লাহ তাআলা সেজন্য একটি মাছকে নিদর্শন স্বরূপ ঠিক করলেন এবং তাকে বলা হল, মাছটিকে যখন হারিয়ে ফেলবে তখন সেদিকে ফিরে যাবে, তবে তুমি তার সাক্ষাত পাবে। এরই প্রেক্ষিতে মুসা (আলাইহিস সালাম) সাগরে মাছের চিহ্ন ধরে তালাশ করতে থাকলে মুসার সঙ্গী যুবকটি মুসাকে উদ্দেশ্য করে বলল, আমরা যখন শিলাখণ্ডে বিশ্রাম করছিলাম, তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। শয়তানই ওর কথা বলতে আমাকে ভূলিয়ে দিয়েছিল (১৮ঃ ৬৩)। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ আমরা তো সেই স্থানটিরই অনুসন্ধান করছিলাম। তারপর তারা দু’জনেই নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চললো (১৮ঃ ৬৫)। তাদের এই দু’জনের ঘটনা যা ঘটলো, আল্লাহ তারই বর্ণনা দিয়েছেন।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7478 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ عَمْرٌو، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّهُ تَمَارَى هُوَ وَالحُرُّ بْنُ قَيْسِ بْنِ حِصْنٍ الفَزَارِيُّ فِي صَاحِبِ مُوسَى أَهُوَ خَضِرٌ؟ فَمَرَّ بِهِمَا أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ الأَنْصَارِيُّ، فَدَعَاهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، فَقَالَ: إِنِّي تَمَارَيْتُ أَنَا وَصَاحِبِي هَذَا فِي صَاحِبِ مُوسَى الَّذِي سَأَلَ السَّبِيلَ إِلَى لُقِيِّهِ، هَلْ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ شَأْنَهُ، قَالَ: نَعَمْ، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " بَيْنَا مُوسَى فِي مَلَإٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ: هَلْ تَعْلَمُ أَحَدًا أَعْلَمَ مِنْكَ؟ فَقَالَ مُوسَى: لاَ، فَأُوحِيَ إِلَى مُوسَى، بَلَى عَبْدُنَا خَضِرٌ، فَسَأَلَ مُوسَى السَّبِيلَ إِلَى لُقِيِّهِ، فَجَعَلَ اللَّهُ لَهُ الحُوتَ آيَةً، وَقِيلَ لَهُ إِذَا فَقَدْتَ الحُوتَ فَارْجِعْ فَإِنَّكَ سَتَلْقَاهُ، فَكَانَ مُوسَى يَتْبَعُ أَثَرَ الحُوتِ فِي البَحْرِ، فَقَالَ فَتَى مُوسَى لِمُوسَى: (أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَا إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّي نَسِيتُ الحُوتَ وَمَا أَنْسَانِيهِ إِلَّا الشَّيْطَانُ أَنْ أَذْكُرَهُ) ، قَالَ مُوسَى: (ذَلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِي فَارْتَدَّا عَلَى آثَارِهِمَا قَصَصًا) ، فَوَجَدَا خَضِرًا، وَكَانَ مِنْ شَأْنِهِمَا مَا قَصَّ اللَّهُ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৭৯
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৭১। আবুল ইয়ামান ও আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমরা আগমী দিন কিনানা গোত্রের উপত্যকায় অবস্থান করব ইনশাআল্লাহ, যে স্থানে কাফেরগণ কুফরীর উপর অটল থাকার শপথ নিয়েছিল। তিনি মুহাসসাবকে উদ্দেশ্য করছিলেন।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7479 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «نَنْزِلُ غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِخَيْفِ بَنِي كِنَانَةَ، حَيْثُ تَقَاسَمُوا عَلَى الكُفْرِ يُرِيدُ المُحَصَّبَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৮০
- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন
৩১৩৩. আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৬৯৭২। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) তায়েফ বাসীদেরকে ঘেরাও করলেন। তবে তা বিজয় করতে পারলেন না। এজন্য তিনি বললেনঃ আমরা ইনশাআল্লাহ ফিরে যাব। মুসলিমগণ বলে উঠল, “আমরা কি ফিরে যাবো? অথচ বিজয় হল না”। নবী (ﷺ) বললেনঃ আগামীকাল ভোরে যুদ্ধ কর। পরদিন তারা যুদ্ধ করল। বহু লোক আহত হল। নবী (ﷺ) পুনরায় বললেনঃ আমরা ইনশাআল্লাহ আগামী কাল ভোরে ফিরে যাব। এবারের উক্তিটি যেন মুসলিমগণের কাছে খুবই আনন্দের মনে হল। ফলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুচকি হাসলেন।
كتاب الرد على الجهمية و غيرهم و التوحيد
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
7480 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي العَبَّاسِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: حَاصَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلَ الطَّائِفِ فَلَمْ يَفْتَحْهَا، فَقَالَ: «إِنَّا قَافِلُونَ غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ» ، فَقَالَ المُسْلِمُونَ: نَقْفُلُ وَلَمْ نَفْتَحْ، قَالَ: «فَاغْدُوا عَلَى القِتَالِ» ، فَغَدَوْا فَأَصَابَتْهُمْ جِرَاحَاتٌ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّا قَافِلُونَ غَدًا [ص:141] إِنْ شَاءَ اللَّهُ» ، فَكَأَنَّ ذَلِكَ أَعْجَبَهُمْ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
তাহকীক: