আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৮- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৫১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪০
- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৩৬১। যোহরের ওয়াক্ত হয় সূর্য ঢলে পড়লে।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, দুপুরে নবী (ﷺ) নামায আদায় করতেন।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, দুপুরে নবী (ﷺ) নামায আদায় করতেন।
৫১৩। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন সূর্য ঢলে পড়লে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেরিয়ে এলেন এবং যোহরের নামায আদায় করলেন।** তারপর মিম্বরে দাঁড়িয়ে কিয়ামত সম্বন্ধে আলোচনা করেন এবং বলেন যে, কিয়ামতে বহু ভয়ানক ঘটনা ঘটবে। এরপর তিনি বলেন, আমাকে কেউ কোন বিষয়ে প্রশ্ন করতে চাইলে করতে পারে। আমি যতক্ষণ এ বৈঠকে আছি, এর মধ্যে তোমরা আমাকে যা কিছু জিজ্ঞাসা করবে আমি তা জানিয়ে দিব। এ শুনে লোকেরা খুব কাঁদতে শুরু করল। আর তিনি বলতে থাকলেনঃ আমাকে প্রশ্ন কর, আমাকে প্রশ্ন কর।
এ সময় আব্দুল্লাহ্ ইবনে হুযাফা সাহমী (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, আমার পিতা কে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমার পিতা ‘হুযাফা’। এরপর তিনি অনেকবার বললেনঃ আমাকে প্রশ্ন কর। তখন উমর (রাযিঃ) নতজানু হয়ে বসে বললেন, “আমরা আল্লাহকে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) কে নবী হিসাবে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট। এরপর নবী (ﷺ) নীরব থাকলেন। কিছুক্ষণ পর বললেনঃ এক্ষুনি এ দেওয়ালের পাশে জান্নাত ও জাহান্নাম আমার সামনে তুলে ধরা হয়েছিল; এত উত্তম ও এত নিকৃষ্টের মত কিছু আমি আর দেখিনি।
এ সময় আব্দুল্লাহ্ ইবনে হুযাফা সাহমী (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, আমার পিতা কে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমার পিতা ‘হুযাফা’। এরপর তিনি অনেকবার বললেনঃ আমাকে প্রশ্ন কর। তখন উমর (রাযিঃ) নতজানু হয়ে বসে বললেন, “আমরা আল্লাহকে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) কে নবী হিসাবে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট। এরপর নবী (ﷺ) নীরব থাকলেন। কিছুক্ষণ পর বললেনঃ এক্ষুনি এ দেওয়ালের পাশে জান্নাত ও জাহান্নাম আমার সামনে তুলে ধরা হয়েছিল; এত উত্তম ও এত নিকৃষ্টের মত কিছু আমি আর দেখিনি।
كتاب مواقيت الصلاة
بَابٌ: وَقْتُ الظُّهْرِ عِنْدَ الزَّوَالِ وَقَالَ جَابِرٌ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي بِالهَاجِرَةِ»
540 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ حِينَ زَاغَتِ الشَّمْسُ، فَصَلَّى الظُّهْرَ، فَقَامَ عَلَى المِنْبَرِ، فَذَكَرَ السَّاعَةَ، فَذَكَرَ أَنَّ فِيهَا أُمُورًا عِظَامًا، ثُمَّ قَالَ: «مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَسْأَلَ عَنْ شَيْءٍ فَلْيَسْأَلْ، فَلاَ تَسْأَلُونِي عَنْ شَيْءٍ إِلَّا أَخْبَرْتُكُمْ، مَا دُمْتُ فِي مَقَامِي هَذَا» فَأَكْثَرَ النَّاسُ [ص:114] فِي البُكَاءِ، وَأَكْثَرَ أَنْ يَقُولَ: «سَلُونِي» ، فَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُذَافَةَ السَّهْمِيُّ، فَقَالَ: مَنْ أَبِي؟ قَالَ: «أَبُوكَ حُذَافَةُ» ثُمَّ أَكْثَرَ أَنْ يَقُولَ: «سَلُونِي» فَبَرَكَ عُمَرُ عَلَى رُكْبَتَيْهِ، فَقَالَ: رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا، وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا، فَسَكَتَ، ثُمَّ قَالَ: «عُرِضَتْ عَلَيَّ الجَنَّةُ وَالنَّارُ آنِفًا فِي عُرْضِ هَذَا الحَائِطِ، فَلَمْ أَرَ كَالخَيْرِ وَالشَّرِّ»
হাদীস নং: ৫১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪১
- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৩৬১। যোহরের ওয়াক্ত হয় সূর্য ঢলে পড়লে।
৫১৪। হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) ..... আবু বারযা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এমন সময় ফজরের নামায আদায় করতেন, যখন আমাদের একজন তার পার্শ্ববর্তী আপরজনকে চিনতে পারত। আর এ নামাযে তিনি ষাট থেকে একশ আয়াত তিলাওয়াত করতেন এবং যোহরের নামায আদায় করতেন যখন সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ত। তিনি আসরের নামায আদায় করতেন এমন সময়ে যে, আমাদের কেউ মদীনার শেষ প্রান্তে পৌছে আবার ফিরে আসতে পারত, তখনও সূর্য সতেজ থাকত। রাবী বলেন, মাগরিব সম্পর্কে তিনি [আবু বারযা (রাযিঃ)] কী বলেছিলেন, আমি তা ভুলে গেছি। আর ইশার নামায রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত পিছিয়ে নিতে তিনি কোনরূপ দ্বিধাবোধ করতেন না। তারপর রাবী বলেন, রাতের অর্ধাংশ পর্যন্ত পিছিয়ে নিতে অসুবিধা বোধ করতেন না। আর মু’আয (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, শু’বা (রাহঃ) বলেছেন, পরে আবুল মিনহালের (রাহঃ) সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছিল, সে সময় তিনি বলেছেন, রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্ব করতে অসুবিধাবোধ করতেন না।
كتاب مواقيت الصلاة
باب وَقْتِ الظُّهْرِ عِنْدَ الزَّوَالِ
541 - حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو المِنْهَالِ، عَنْ أَبِي بَرْزَةَ، " كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الصُّبْحَ وَأَحَدُنَا يَعْرِفُ جَلِيسَهُ، وَيَقْرَأُ فِيهَا مَا بَيْنَ السِّتِّينَ إِلَى المِائَةِ، وَيُصَلِّي الظُّهْرَ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ، وَالعَصْرَ وَأَحَدُنَا يَذْهَبُ إِلَى أَقْصَى المَدِينَةِ، رَجَعَ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ - وَنَسِيتُ مَا قَالَ فِي المَغْرِبِ - وَلاَ يُبَالِي بِتَأْخِيرِ العِشَاءِ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ، ثُمَّ قَالَ: إِلَى شَطْرِ اللَّيْلِ " وَقَالَ مُعَاذٌ: قَالَ شُعْبَةُ: لَقِيتُهُ مَرَّةً، فَقَالَ: «أَوْ ثُلُثِ اللَّيْلِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪২
- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৩৬১। যোহরের ওয়াক্ত হয় সূর্য ঢলে পড়লে।
৫১৫। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পিছনে গরমের সময় নামায আদায় করতাম, তখন উত্তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কাপড়ের উপর সিজদা করতাম।
كتاب مواقيت الصلاة
باب وَقْتِ الظُّهْرِ عِنْدَ الزَّوَالِ
542 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ يَعْنِي ابْنَ مُقَاتِلٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنِي غَالِبٌ القَطَّانُ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ المُزَنِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالظَّهَائِرِ، فَسَجَدْنَا عَلَى ثِيَابِنَا اتِّقَاءَ الحَرِّ»
তাহকীক: