আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৮- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
হাদীস নং: ৫১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৪
- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৩৬৩। আসরের ওয়াক্ত
৫১৭। ইবরাহীম ইবনে মুনযির (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন সময় আসরের নামায আদায় করতেন যে, তখনো সূর্যরশ্মি ঘরের বাইরে যায়নি।
كتاب مواقيت الصلاة
باب وَقْتِ الْعَصْرِ
544 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ المُنْذِرِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي العَصْرَ، وَالشَّمْسُ لَمْ تَخْرُجْ مِنْ حُجْرَتِهَا» وَقَالَ أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ: «مِنْ قَعْرِ حُجْرَتِهَا»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৫
- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৩৬৩। আসরের ওয়াক্ত
৫১৮। কুতাইবা (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন সময় আসরের নামায আদায় করেছেন যে, সূর্যরশ্মি তখনো তাঁর ঘরের মধ্যে ছিল, আর ছায়া তখনো তাঁর ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েনি।
كتاب مواقيت الصلاة
باب وَقْتِ الْعَصْرِ
545 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى العَصْرَ، وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا لَمْ يَظْهَرِ الفَيْءُ مِنْ حُجْرَتِهَا»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৬
- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৩৬৩। আসরের ওয়াক্ত
৫১৯। আবু নু’আইম (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আসরের নামায আদায় করতেন, আর সূর্যকিরণ তখনো আমার ঘরে থাকত। নামায আদায় করার পরও পশ্চিমের ছায়া ঘরে দৃষ্টিগোচর হত না।
আবু আব্দুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রাহঃ)] বলেন, ইমাম মালিক, ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ, শুআইব ও ইবনে আবু হাফস্ (রাহঃ) উক্ত সনদে এ হাদীসটির বর্ণনায় ’সূর্যরশ্মি আমার ঘরের ভিতরে থাকত, ঘরের মেঝেতে ছায়া নেমে আসেনি’ এরূপ বলেছেন।
আবু আব্দুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রাহঃ)] বলেন, ইমাম মালিক, ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ, শুআইব ও ইবনে আবু হাফস্ (রাহঃ) উক্ত সনদে এ হাদীসটির বর্ণনায় ’সূর্যরশ্মি আমার ঘরের ভিতরে থাকত, ঘরের মেঝেতে ছায়া নেমে আসেনি’ এরূপ বলেছেন।
كتاب مواقيت الصلاة
باب وَقْتِ الْعَصْرِ
546 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يُصَلِّي صَلاَةَ العَصْرِ وَالشَّمْسُ طَالِعَةٌ فِي حُجْرَتِي لَمْ يَظْهَرِ الفَيْءُ بَعْدُ» ، وَقَالَ مَالِكٌ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَشُعَيْبٌ، وَابْنُ أَبِي حَفْصَةَ: «وَالشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ تَظْهَرَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫২০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৭
- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৩৬৩। আসরের ওয়াক্ত
৫২০। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) .... সায়্যার ইবনে সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি ও আমার পিতা আবু বারযা আসলামী (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। আমার পিতা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফরয নামাযসমূহ কিভাবে আদায় করতেন? তিনি বললেন, আল-হাজীর, যাকে তোমরা আল-উলা বা যোহর বলে থাক, তা তিনি আদায় করতেন যখন সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ত। আর আসরের নামায এমন সময় আদায় করতেন যে, তারপর আমাদের কেউ মদীনার শেষ প্রান্তে তার ঘরে ফিরে যেতো সূর্য তখনও সতেজ থাকতো। মাগরিব সম্পর্কে তিনি কি বলেছিলেন তা আমি ভুলে গেছি। আর ইশার নামায যাকে তোমরা আতামা বলে থাক, তা তিনি বিলম্বে আদায় করা পছন্দ করতেন। আর তিনি ইশার নামাযের আগে নিদ্রা যাওয়া এবং পরে কথাবার্তা বলা অপছন্দ করতেন। তিনি ফজরের নামায এমন সময় সমাপ্ত করতেন যখন প্রত্যেকে তার পাশ্ববর্তী ব্যক্তিকে চিনতে পারত। এ নামাযে তিনি ষাট থেকে একশ’ আয়াত তিলাওয়াত করতেন।
كتاب مواقيت الصلاة
باب وَقْتِ الْعَصْرِ
547 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَوْفٌ، عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلاَمَةَ، قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَأَبِي عَلَى أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ، فَقَالَ لَهُ أَبِي: كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي المَكْتُوبَةَ؟ فَقَالَ: «كَانَ يُصَلِّي الهَجِيرَ، الَّتِي تَدْعُونَهَا الأُولَى، حِينَ تَدْحَضُ الشَّمْسُ، وَيُصَلِّي العَصْرَ، ثُمَّ يَرْجِعُ أَحَدُنَا إِلَى رَحْلِهِ فِي أَقْصَى المَدِينَةِ [ص:115]، وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ - وَنَسِيتُ مَا قَالَ فِي المَغْرِبِ - وَكَانَ يَسْتَحِبُّ أَنْ يُؤَخِّرَ العِشَاءَ، الَّتِي تَدْعُونَهَا العَتَمَةَ، وَكَانَ يَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَهَا، وَالحَدِيثَ بَعْدَهَا، وَكَانَ يَنْفَتِلُ مِنْ صَلاَةِ الغَدَاةِ حِينَ يَعْرِفُ الرَّجُلُ جَلِيسَهُ، وَيَقْرَأُ بِالسِّتِّينَ إِلَى المِائَةِ»
হাদীস নং: ৫২১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৮
- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৩৬৩। আসরের ওয়াক্ত
৫২১। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে আসরের নামায আদায় করতাম। নামাযের পর লোকেরা আমর ইবনে আওফ গোত্রের মহল্লায় গিয়ে তাদেরকে নামায আদায় করা অবস্থায় পেত।*
*বনু আমর মদীনা শরীফ থেকে দু'মাইল দূরে কুবা নামক স্থানে বসবাসরত ছিল। এ হাদীস থেকে বুঝা যায় মসজিদে নববীতে আসরের নামায একটু আগে আদায় করা হত। আর অপরাপর মসজিদে একটু বিলম্বে আদায় করা হত। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) সাধারণ মানুষের প্রতি লক্ষ্য রেখে অন্যান্য বিশুদ্ধ হাদীসের আলোকে দেরীতে আসর পড়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে অবশ্যই তা সূর্যকিরণ নিস্প্রভ হওয়ার আগে হতে হবে।
*বনু আমর মদীনা শরীফ থেকে দু'মাইল দূরে কুবা নামক স্থানে বসবাসরত ছিল। এ হাদীস থেকে বুঝা যায় মসজিদে নববীতে আসরের নামায একটু আগে আদায় করা হত। আর অপরাপর মসজিদে একটু বিলম্বে আদায় করা হত। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) সাধারণ মানুষের প্রতি লক্ষ্য রেখে অন্যান্য বিশুদ্ধ হাদীসের আলোকে দেরীতে আসর পড়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে অবশ্যই তা সূর্যকিরণ নিস্প্রভ হওয়ার আগে হতে হবে।
كتاب مواقيت الصلاة
باب وَقْتِ الْعَصْرِ
548 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «كُنَّا نُصَلِّي العَصْرَ، ثُمَّ يَخْرُجُ الإِنْسَانُ إِلَى بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، فَنَجِدُهُمْ يُصَلُّونَ العَصْرَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫২২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৯
- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৩৬৩। আসরের ওয়াক্ত
৫২২। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) ..... আবু উমামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমরা উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ)-এর সঙ্গে যোহরের নামায আদায় করলাম। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। আমরা গিয়ে তাঁকে আসরের নামায আদায়ে রত পেলাম। আমি তাঁকে বললাম চাচা! এ কোন নামায যা আপনি আদায় করলেন? তিনি বললেন, আসরের নামায আর এ হল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায, যা আমরা তাঁর সাথে আদায় করতাম।
كتاب مواقيت الصلاة
باب وَقْتِ الْعَصْرِ
549 - حَدَّثَنَا ابْنُ مُقَاتِلٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ بْنَ سَهْلٍ، يَقُولُ: صَلَّيْنَا مَعَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ العَزِيزِ الظُّهْرَ، ثُمَّ خَرَجْنَا حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فَوَجَدْنَاهُ يُصَلِّي العَصْرَ، فَقُلْتُ: يَا عَمِّ مَا هَذِهِ الصَّلاَةُ الَّتِي صَلَّيْتَ؟ قَالَ: «العَصْرُ، وَهَذِهِ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي كُنَّا نُصَلِّي مَعَهُ»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৫২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫১
- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৩৬৩। আসরের ওয়াক্ত
৫২৩। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আসরের নামায আদায় করতাম, তারপর আমাদের কোন গমনকারী কুবার দিকে যেত এবং সূর্য যথেষ্ট উপরে থাকতেই সে তাদের কাছে পৌঁছে যেত।
كتاب مواقيت الصلاة
باب وَقْتِ الْعَصْرِ
551 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «كُنَّا نُصَلِّي العَصْرَ، ثُمَّ يَذْهَبُ الذَّاهِبُ مِنَّا إِلَى قُبَاءٍ، فَيَأْتِيهِمْ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫০
- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৩৬৩। আসরের ওয়াক্ত
৫২৪। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের নামায আদায় করতেন, আর সূর্য তখনও যথেষ্ট উপরে উজ্জ্বল অবস্থায় বিরাজমান থাকত। নামাযের পর কোন গমনকারী 'আওয়ালী'*র দিকে রওয়ানা হয়ে তাদের কাছে পৌঁছে যেত, আর তখনও সূর্য উপরে থাকত। আওয়ালীর কোন কোন অংশ ছিল মদীনা থেকে চার মাইল বা তার কাছাকাছি দূরত্বে।
*আওয়ালী বা উঁচু এলাকা। মদীনার উপকন্ঠে নজদের দিকের গ্রামগুলোকে 'আওয়ালী' বা উঁচু এলাকা ধরা হত। আর তিহামার দিকের গ্রামগুলোকে 'সাফিলা' (سافلة) বা নিম্নএলাকা বলা হত।
*আওয়ালী বা উঁচু এলাকা। মদীনার উপকন্ঠে নজদের দিকের গ্রামগুলোকে 'আওয়ালী' বা উঁচু এলাকা ধরা হত। আর তিহামার দিকের গ্রামগুলোকে 'সাফিলা' (سافلة) বা নিম্নএলাকা বলা হত।
كتاب مواقيت الصلاة
باب وَقْتِ الْعَصْرِ
550 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي العَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ حَيَّةٌ، فَيَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى العَوَالِي، فَيَأْتِيهِمْ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ» وَبَعْضُ العَوَالِي مِنَ المَدِينَةِ عَلَى أَرْبَعَةِ أَمْيَالٍ أَوْ نَحْوِهِ
তাহকীক: