আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৮- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৫৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৪
- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৩৭১। ইশা ও আতামা এর বর্ণনা এবং যিনি এতে কোন আপত্তি করেন না।
আবু হুরাইরা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, মুনাফিকদের জন্য সবচে কষ্টকর নামায হল ইশা ও ফজর। তিনি আরও বলেছেন যে, তারা যদি জানত, আতামা (ইশা) ও ফজরে কি কল্যাণ নিহিত আছে।
ইমাম বুখারি (রাহঃ) বলেন, ইশা শব্দ ব্যবহার করাই উত্তম। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ (وَمِنْ بَعْدِ صَلاَةِ الْعِشَاءِ)
আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমরা পালাক্রমে নবী (ﷺ) এর এখানে ইশার নামাযের সময় যেতাম। একবার তিনি তা দেরি করে আদায় করেন।
ইবনে আব্বাস ও আয়িশা (রাযিঃ) (এরূপ) বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) আতামা দেরি করে আদায় করেন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) ইশার নামায আদায় করলেন।
আবু বারযা (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) ইশার নামায বিলম্বে আদায় করতেন।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) শেষ ইশা বিলম্বে আদায় করলেন।
ইবনে উমর, আবু আইয়ুব ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) মাগরিব ও ইশার নামায আদায় করেন।
আবু হুরাইরা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, মুনাফিকদের জন্য সবচে কষ্টকর নামায হল ইশা ও ফজর। তিনি আরও বলেছেন যে, তারা যদি জানত, আতামা (ইশা) ও ফজরে কি কল্যাণ নিহিত আছে।
ইমাম বুখারি (রাহঃ) বলেন, ইশা শব্দ ব্যবহার করাই উত্তম। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ (وَمِنْ بَعْدِ صَلاَةِ الْعِشَاءِ)
আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমরা পালাক্রমে নবী (ﷺ) এর এখানে ইশার নামাযের সময় যেতাম। একবার তিনি তা দেরি করে আদায় করেন।
ইবনে আব্বাস ও আয়িশা (রাযিঃ) (এরূপ) বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) আতামা দেরি করে আদায় করেন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) ইশার নামায আদায় করলেন।
আবু বারযা (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) ইশার নামায বিলম্বে আদায় করতেন।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) শেষ ইশা বিলম্বে আদায় করলেন।
ইবনে উমর, আবু আইয়ুব ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) মাগরিব ও ইশার নামায আদায় করেন।
৫৩৭। আবদান (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রাতে রাসূল (ﷺ) আমাদের নিয়ে ইশার নামায আদায় করেন, যে নামাযকে লোকেরা আতামা বলে থাকে। তারপর তিনি ফিরে আমাদের দিকে মুখ করে বললেন, আজকের এ রাত সম্পর্কে তোমরা জান কি? এ রাত থেকে নিয়ে একশ’ বছরের শেষ মাথায় আজ যারা ভূপৃষ্ঠে আছে তাদের কেউ অবশিষ্ট থাকবে না।
كتاب مواقيت الصلاة
بَابُ ذِكْرِ العِشَاءِ وَالعَتَمَةِ، وَمَنْ رَآهُ وَاسِعًا قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَثْقَلُ الصَّلاَةِ عَلَى المُنَافِقِينَ العِشَاءُ وَالفَجْرُ» وَقَالَ: «لَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي العَتَمَةِ وَالفَجْرِ» قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: " وَالِاخْتِيَارُ: أَنْ يَقُولَ العِشَاءُ، لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَمِنْ بَعْدِ صَلاَةِ العِشَاءِ} [النور: 58] " وَيُذْكَرُ عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: «كُنَّا نَتَنَاوَبُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ صَلاَةِ العِشَاءِ فَأَعْتَمَ بِهَا» وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَعَائِشَةُ: «أَعْتَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالعِشَاءِ» وَقَالَ بَعْضُهُمْ، عَنْ عَائِشَةَ: «أَعْتَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالعَتَمَةِ» وَقَالَ جَابِرٌ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي العِشَاءَ» وَقَالَ أَبُو بَرْزَةَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُؤَخِّرُ العِشَاءَ» وَقَالَ أَنَسٌ: «أَخَّرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ العِشَاءَ الآخِرَةَ» وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ، وَأَبُو أَيُّوبَ، وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ: «صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَغْرِبَ وَالعِشَاءَ»
564 - حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: سَالِمٌ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: صَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةً صَلاَةَ العِشَاءِ، وَهِيَ الَّتِي يَدْعُو النَّاسُ العَتَمَةَ، ثُمَّ انْصَرَفَ فَأَقْبَلَ عَلَيْنَا، فَقَالَ: «أَرَأَيْتُمْ لَيْلَتَكُمْ هَذِهِ، فَإِنَّ رَأْسَ مِائَةِ سَنَةٍ مِنْهَا، لاَ يَبْقَى مِمَّنْ هُوَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ أَحَدٌ»
তাহকীক: