মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي
২৪. আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
হাদীস নং: ৪৮৭
আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
আহকামের বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৮৭
হযরত আবু যর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হে আবু যর। ইমারত (রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা) হলো একটি আমানত এবং কিয়ামতের দিন হবে লাঞ্ছনা, অপমান ও অনুশোচনার কারণ। কিন্তু ঐ ব্যক্তির জন্য লাঞ্ছনা ও অপমানকর নয়) যে ব্যক্তি ইমারত ও রাষ্ট্রের হক আদায় করে এবং যে দায়িত্ব তার উপর অর্পিত ছিল, তা যথাযথভাবে আদায় করে। রাষ্ট্রের এ হক ও যিম্মাদারী আদায় হয় কোথায়?
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন: ইমারত (إمارت) হলো একটি আমানত। এটাই কিয়ামতের দিন লাঞ্ছনা ও অপমানের কারণ হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি তার উপর অর্পিত হক ও যিম্মাদারী সঠিকভাবে পালন করবে (তার জন্য লাঞ্ছনার কারণ হবে না)। অতঃপর হুযূর (ﷺ) বললেনঃ এ দায়িত্ব সঠিকভাবে আদায় হয় কোথায়?
হযরত আবু যর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হে আবু যর। ইমারত (রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা) হলো একটি আমানত এবং কিয়ামতের দিন হবে লাঞ্ছনা, অপমান ও অনুশোচনার কারণ। কিন্তু ঐ ব্যক্তির জন্য লাঞ্ছনা ও অপমানকর নয়) যে ব্যক্তি ইমারত ও রাষ্ট্রের হক আদায় করে এবং যে দায়িত্ব তার উপর অর্পিত ছিল, তা যথাযথভাবে আদায় করে। রাষ্ট্রের এ হক ও যিম্মাদারী আদায় হয় কোথায়?
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন: ইমারত (إمارت) হলো একটি আমানত। এটাই কিয়ামতের দিন লাঞ্ছনা ও অপমানের কারণ হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি তার উপর অর্পিত হক ও যিম্মাদারী সঠিকভাবে পালন করবে (তার জন্য লাঞ্ছনার কারণ হবে না)। অতঃপর হুযূর (ﷺ) বললেনঃ এ দায়িত্ব সঠিকভাবে আদায় হয় কোথায়?
كتاب الأحكام
عَنِ الْهَيْثَمِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِيْ ذَرٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أَبَا ذَرٍّ! الْإِمْرَةُ أَمَانَةٌ، وَهِيَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ خِزْيٌ وَنَدَامَةٌ، إِلَّا مَنْ أَخَذَهَا مِنْ حَقِّهَا، وَأَدَّى الَّذِيْ عَلَيْهِ، وَأَنَّى ذَلِكَ».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: عَنْ أَبِيْ غَسَّانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِيْ ذَرٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الْإِمْرَةُ أَمَانَةٌ، وَهِيَ [ص: 526] يَوْمَ الْقِيَامَةِ خِزْيٌ وَنَدَامَةٌ، إِلَّا مَنْ أَخَذَهَا مِنْ حَقِّهَا، وَأَدَّى الَّذِيْ عَلَيْهِ، وَأَنَّى ذَلِكَ يَا أَبَا ذَرٍّ!»
وَفِيْ رِوَايَةٍ: عَنْ أَبِيْ غَسَّانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِيْ ذَرٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الْإِمْرَةُ أَمَانَةٌ، وَهِيَ [ص: 526] يَوْمَ الْقِيَامَةِ خِزْيٌ وَنَدَامَةٌ، إِلَّا مَنْ أَخَذَهَا مِنْ حَقِّهَا، وَأَدَّى الَّذِيْ عَلَيْهِ، وَأَنَّى ذَلِكَ يَا أَبَا ذَرٍّ!»
হাদীস নং: ৪৮৮
আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
আহকামের বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৮৮
হযরত আবু সাঈদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেন :কিয়ামতের দিন সর্বাধিক মর্যাদার অধিকারী হবে ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ।
হযরত আবু সাঈদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেন :কিয়ামতের দিন সর্বাধিক মর্যাদার অধিকারী হবে ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ।
كتاب الأحكام
عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ أَرْفَعَ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، إِمَامٌ عَادِلٌ»
হাদীস নং: ৪৮৯
আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
আহকামের বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৮৯
হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: বিচারক (قاضى) তিন প্রকার। এর মধ্যে দু'প্রকার হবে দোযখবাসী। অর্থাৎ এক প্রকার হলো ঐ বিচারক যে কুরআন ও হাদীসের ইলম ব্যতীত মানুষের মধ্যে ফয়সালা দিয়ে থাকে এবং একজনকে অন্যজনের মাল নাহকভাবে ভোগের ব্যবস্থা করে দেয়। দ্বিতীয় ঐ বিচারক যে তার ইলম ত্যাগ করে (বা ভুলে যায়) এবং অন্যায়ভাবে ফয়সালা প্রদান করে। সুতরাং এ দু'প্রকার বিচারক দোযখবাসী হবে। অন্য এক প্রকার বিচারক যিনি আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফয়সালা প্রদান করবেন, তিনি হবেন বেহেশতবাসী।
হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: বিচারক (قاضى) তিন প্রকার। এর মধ্যে দু'প্রকার হবে দোযখবাসী। অর্থাৎ এক প্রকার হলো ঐ বিচারক যে কুরআন ও হাদীসের ইলম ব্যতীত মানুষের মধ্যে ফয়সালা দিয়ে থাকে এবং একজনকে অন্যজনের মাল নাহকভাবে ভোগের ব্যবস্থা করে দেয়। দ্বিতীয় ঐ বিচারক যে তার ইলম ত্যাগ করে (বা ভুলে যায়) এবং অন্যায়ভাবে ফয়সালা প্রদান করে। সুতরাং এ দু'প্রকার বিচারক দোযখবাসী হবে। অন্য এক প্রকার বিচারক যিনি আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফয়সালা প্রদান করবেন, তিনি হবেন বেহেশতবাসী।
كتاب الأحكام
عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْقُضَاةُ ثَلَاثَةٌ: قَاضِيَانِ فِي النَّارِ: قَاضٍ يَقْضِي فِي النَّاسِ بِغَيْرِ عِلْمٍ، وَيُوَكِّلُ بَعْضَهُمْ مَالَ بَعْضٍ، وَقَاضٍ يَتْرُكُ عَمَلَهُ وَيَقْضِي بِغَيْرِ الْحَقِّ، فَهَذَانِ فِي النَّارِ، وَقَاضٍ يَقْضِي بِكِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى، فَهُوَ فِي الْجَنَّةِ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯০
আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
আহকামের বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৯০
হযরত আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তাঁর পিতা তাঁর কাছে লিখেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এটা বলতে শুনেছেন, কোন হাকিম বা বিচারক ক্রোধের অবস্থায় ফয়সালা দেবে না।
হযরত আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তাঁর পিতা তাঁর কাছে লিখেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এটা বলতে শুনেছেন, কোন হাকিম বা বিচারক ক্রোধের অবস্থায় ফয়সালা দেবে না।
كتاب الأحكام
عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ أَبِيْ بَكْرَةٍ، أَنَّ أَبَاهُ كَتَبَ إِلَيْهِ، إِنَّهُ سَمِعَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ: «لَا يَقْضِيْ الْحَاكِمُ وَهُوَ غَضْبَانِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯১
আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
আহকামের বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৯১
উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তিন ব্যক্তি থেকে কলম তুলে নেয়া হয়েছে (অর্থাৎ দ্বীনের যিম্মাদারী থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে)। প্রথমত শিশু, যতক্ষণ পর্যন্ত সে প্রাপ্তবয়স্ক না হয়। দ্বিতীয়ত পাগল যতক্ষণ পর্যন্ত সে সুস্থ মস্তিষ্ক না হয়, তৃতীয়ত নিদ্রিত ব্যক্তি যতক্ষণ পর্যন্ত সে জগ্রত না হয়।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) বলেন, তিন ব্যক্তি থেকে (আমল লেখার) কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে (তাদের উপর শরীয়তের আহকাম জারী হবে না)। নিদ্রিত ব্যক্তি যতক্ষণ জাগ্রত না হবে, পাগল যতক্ষণ পর্যন্ত সুস্থ না হবে এবং শিশু যতক্ষণ পর্যন্ত বালেগ বা বয়ঃপ্রাপ্ত না হবে।
উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তিন ব্যক্তি থেকে কলম তুলে নেয়া হয়েছে (অর্থাৎ দ্বীনের যিম্মাদারী থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে)। প্রথমত শিশু, যতক্ষণ পর্যন্ত সে প্রাপ্তবয়স্ক না হয়। দ্বিতীয়ত পাগল যতক্ষণ পর্যন্ত সে সুস্থ মস্তিষ্ক না হয়, তৃতীয়ত নিদ্রিত ব্যক্তি যতক্ষণ পর্যন্ত সে জগ্রত না হয়।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) বলেন, তিন ব্যক্তি থেকে (আমল লেখার) কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে (তাদের উপর শরীয়তের আহকাম জারী হবে না)। নিদ্রিত ব্যক্তি যতক্ষণ জাগ্রত না হবে, পাগল যতক্ষণ পর্যন্ত সুস্থ না হবে এবং শিশু যতক্ষণ পর্যন্ত বালেগ বা বয়ঃপ্রাপ্ত না হবে।
كتاب الأحكام
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " رُفِعَ الْقَلَمُ، عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَكْبُرَ، وَعَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يُفِيقَ، وعَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ "، وَفِي رِوَايَةٍ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " رُفِعَ الْقَلَمُ عَنِ الثَّلَاثَةِ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ، وَعَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يُفِيقَ، وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَحْتَلِمَ "
হাদীস নং: ৪৯২
আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
আহকামের বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৯২
হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যখন দাবিদার বা ফরিয়াদীর (مدعى) নিকট কোন দলীল পাওয়া না যাবে, তখন বিবাদী (مدعى عليه) থেকে কসম বা শপথ গ্রহণ করা উত্তম।
হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যখন দাবিদার বা ফরিয়াদীর (مدعى) নিকট কোন দলীল পাওয়া না যাবে, তখন বিবাদী (مدعى عليه) থেকে কসম বা শপথ গ্রহণ করা উত্তম।
كتاب الأحكام
عَنْ حَمَّادٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُدَّعَى عَلَيْهِ أَوْلَى بِالْيَمِينِ إِذَا لَمْ تَكُنْ بَيِّنَةٌ»
হাদীস নং: ৪৯৩
আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
আহকামের বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৯৩
এক ব্যক্তি হযরত হাম্মাদের নিকট বর্ণনা করেন, আশআস ইব্ন কায়স হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে একটি গোলাম (দাস) ক্রয় করেন। হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) তাঁর নিকট গোলামের মূল্যের জন্য তাগাদা দেন। এখন আশআস (রাহঃ) বলেন, আমি দশ হাযার দিরহাম দিয়ে তোমার থেকে গোলাম ক্রয় করেছি। হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আমি বিশ হাযার দিরহামে তোমার নিকট (গোলাম) বিক্রি করেছি। হযরত ইব্ন মাসউদ আরো বলেন, তুমি আমাকে এবং অন্য কাউকে ফয়সালাকারী নির্ধারণ কর (যার দ্বারা আমাদের বিবাদ মিটে যাবে)। আশআস বলেন, তুমিই আমাদের মধ্যে ফয়সালাকারী হও। সুতরাং হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, (আচ্ছা তাহলে) আমি তোমাকে ঐ ফয়সালা শুনাব যা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছি। তিনি বলেছেন: যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে (কোন দ্রব্যের) মূল্যের পরিমাণ নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয় এবং উভয়ের কোন সাক্ষী না পাওয়া যায়, কিন্তু বিক্রিত দ্রব্য বিদ্যমান থাকে, তাহলে বিক্রেতার দাবি গ্রহণ করা হবে। সে ঐ বিক্রি ফিরিয়ে নিতে পারবে।
এক ব্যক্তি হযরত হাম্মাদের নিকট বর্ণনা করেন, আশআস ইব্ন কায়স হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে একটি গোলাম (দাস) ক্রয় করেন। হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) তাঁর নিকট গোলামের মূল্যের জন্য তাগাদা দেন। এখন আশআস (রাহঃ) বলেন, আমি দশ হাযার দিরহাম দিয়ে তোমার থেকে গোলাম ক্রয় করেছি। হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আমি বিশ হাযার দিরহামে তোমার নিকট (গোলাম) বিক্রি করেছি। হযরত ইব্ন মাসউদ আরো বলেন, তুমি আমাকে এবং অন্য কাউকে ফয়সালাকারী নির্ধারণ কর (যার দ্বারা আমাদের বিবাদ মিটে যাবে)। আশআস বলেন, তুমিই আমাদের মধ্যে ফয়সালাকারী হও। সুতরাং হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, (আচ্ছা তাহলে) আমি তোমাকে ঐ ফয়সালা শুনাব যা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছি। তিনি বলেছেন: যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে (কোন দ্রব্যের) মূল্যের পরিমাণ নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয় এবং উভয়ের কোন সাক্ষী না পাওয়া যায়, কিন্তু বিক্রিত দ্রব্য বিদ্যমান থাকে, তাহলে বিক্রেতার দাবি গ্রহণ করা হবে। সে ঐ বিক্রি ফিরিয়ে নিতে পারবে।
كتاب الأحكام
عَنْ حَمَّادٍ، أَنَّ رَجُلًا حَدَّثَهُ: أَنَّ الْأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ اشْتَرَى مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَقِيقًا، فَتَقَاضَاهُ عَبْدُ اللَّهِ، فَقَالَ الْأَشْعَثُ: ابْتَعْتُ بِعَشَرَةِ آلَافٍ، وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: بِعْتُ مِنْكَ بِعِشْرِينَ أَلْفًا، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: اجْعَلْ بَيْنِي وَبَيْنَكَ مَنْ شِئْتَ، فَقَالَ الْأَشْعَثُ: أَنْتَ بَيْنِي وَبَيْنَكَ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: أُخْبِرُكَ بِقَضَاءٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِذَا اخْتَلَفَ الْبَيِّعَانِ فِي الثَّمَنِ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمَا بَيِّنَةٌ، وَالسِّلْعَةُ قَائِمَةٌ، فَالْقَوْلُ مَا قَالَ الْبَائِعُ أَوْ يَتَرَادَّانِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৪
আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
আহকামের বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৯৪
হযরত কাসিম (রাহঃ) তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, হযরত আশআস ইব্ন কায়স হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে একটি গোলাম ক্রয় করেন। হযরত আব্দুল্লাহ যখন তাঁর থেকে মূল্য চাইলেন, তখন উভয়ের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলো। আশআস (রাহঃ) বলেন, আমি দশ হাযার দিরহাম দিয়ে তোমার থেকে গোলাম ক্রয় করেছি। হযরত ইব্ন মাসউদ বলেন, আমি বিশ হাযার দিরহামে তোমার নিকট গোলাম বিক্রি করেছি। তখন হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, তুমি আমার ও তোমার মধ্যে একজন ফয়সালাকারী নির্ধারণ কর। আশআস বলেন, আমি তোমাকে আমার ও তোমার মধ্যে ফয়সালাকারী নির্ধারণ করলাম। হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, তাহলে আমি আমার ও তোমার মধ্যে ঐ ফয়সালা প্রদান করবো যা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন: যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মূল্য নিয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়, তখন বিক্রেতার দাবিই গ্রহণযোগ্য হবে। অতঃপর ক্রেতা বিক্রেতার কথায় সম্মত হতে পারে অথবা ক্রয় ফিরিয়ে নিতে বা বাতিল করতে পারে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে কাসিম (রাহঃ)-এর দাদা থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলূল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মূল্য নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয় এবং বিক্রিত দ্রব্য মজুদ থাকে, তাহলে বিক্রেতার কথা গ্রহণযোগ্য হবে অথবা উভয়ে ক্রয়-বিক্রয় ফিরিয়ে নেবে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে يترادان এর সাথে البيع শব্দটি অতিরিক্ত রয়েছে।
অপর এক বর্ণনায় আছে, যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মতানৈক্য হয়, তখন বিক্রেতার দাবিই গ্রহণযোগ্য হবে। অথবা সে ক্রয়কে বাতিল করে দেবে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আশআস (রাহঃ) আমার থেকে একটি গোলাম ক্রয় করে। তিনি তার থেকে মূল্য বাবদ টাকা চাইলেন। তখন উভয়ের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলো। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি বিশ হাযার দিরহামে এ গোলাম তোমার নিকট বিক্রি করেছি। আশআস বলেন, আমি দশ হাযার দিরহামে ক্রয় করেছি। হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়, তখন বিক্রেতার কথা গ্রহণযোগ্য হবে। সে ইচ্ছা করলে বিক্রয় বাতিল করতে পারবে।
হযরত কাসিম (রাহঃ) তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, হযরত আশআস ইব্ন কায়স হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে একটি গোলাম ক্রয় করেন। হযরত আব্দুল্লাহ যখন তাঁর থেকে মূল্য চাইলেন, তখন উভয়ের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলো। আশআস (রাহঃ) বলেন, আমি দশ হাযার দিরহাম দিয়ে তোমার থেকে গোলাম ক্রয় করেছি। হযরত ইব্ন মাসউদ বলেন, আমি বিশ হাযার দিরহামে তোমার নিকট গোলাম বিক্রি করেছি। তখন হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, তুমি আমার ও তোমার মধ্যে একজন ফয়সালাকারী নির্ধারণ কর। আশআস বলেন, আমি তোমাকে আমার ও তোমার মধ্যে ফয়সালাকারী নির্ধারণ করলাম। হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, তাহলে আমি আমার ও তোমার মধ্যে ঐ ফয়সালা প্রদান করবো যা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন: যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মূল্য নিয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়, তখন বিক্রেতার দাবিই গ্রহণযোগ্য হবে। অতঃপর ক্রেতা বিক্রেতার কথায় সম্মত হতে পারে অথবা ক্রয় ফিরিয়ে নিতে বা বাতিল করতে পারে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে কাসিম (রাহঃ)-এর দাদা থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলূল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মূল্য নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয় এবং বিক্রিত দ্রব্য মজুদ থাকে, তাহলে বিক্রেতার কথা গ্রহণযোগ্য হবে অথবা উভয়ে ক্রয়-বিক্রয় ফিরিয়ে নেবে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে يترادان এর সাথে البيع শব্দটি অতিরিক্ত রয়েছে।
অপর এক বর্ণনায় আছে, যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মতানৈক্য হয়, তখন বিক্রেতার দাবিই গ্রহণযোগ্য হবে। অথবা সে ক্রয়কে বাতিল করে দেবে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আশআস (রাহঃ) আমার থেকে একটি গোলাম ক্রয় করে। তিনি তার থেকে মূল্য বাবদ টাকা চাইলেন। তখন উভয়ের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলো। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি বিশ হাযার দিরহামে এ গোলাম তোমার নিকট বিক্রি করেছি। আশআস বলেন, আমি দশ হাযার দিরহামে ক্রয় করেছি। হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়, তখন বিক্রেতার কথা গ্রহণযোগ্য হবে। সে ইচ্ছা করলে বিক্রয় বাতিল করতে পারবে।
كتاب الأحكام
عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ: أَنَّ الْأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ اشْتَرَى مِنَ ابْنِ مَسْعُودٍ رَقِيقًا مِنْ رَقِيقِ الْإِمَارَةِ، فَتَقَاضَاهُ عَبْدُ اللَّهِ، فَاخْلَتَفَا فِيهِ، فَقَالَ الْأَشْعَثُ: اشْتَرَيْتُ مِنْكَ بِعَشْرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ، وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: بِعْتُكَ بِعِشْرِينَ أَلْفًا، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: اجْعَلْ بَيْنِي وَبَيْنَكَ رَجُلًا، فَقَالَ الْأَشْعَثُ: فَإِنِّي أَجْعَلُكَ بَيْنِي وَبَيْنَ نَفْسِكَ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: فَإِنِّي سَأَقْضِي بَيْنِي وَبَيْنَكَ بِقَضَاءٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِذَا اخْتَلَفَ الْبَيِّعَانِ، فَالْقَوْلُ مَا قَالَ الْبَائِعُ، فَإِمَّا أَنْ يَرْضَى الْمُشْتَرِي بِهِ، أَوْ يَتَرَادَّانِ الْبَيْعَ» ، وَفِي رِوَايَةٍ: عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا اخْتَلَفَ الْمُتَبَايِعَانِ، وَالسِّلْعَةُ قَائِمَةٌ، فَالْقَوْلُ قَوْلُ الْبَائِعِ، أَوْ يَتَرَادَّانِ» .
وَفِي رِوَايَةٍ: عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ الْأَشْعَثَ اشْتَرَى مِنْهُ رَقِيقًا، فَتَقَاضَاهُ وَاخْتَلَفَا، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: بِعِشْرِينَ أَلْفًا، وَقَالَ الْأَشْعَثُ: بِعَشْرَةِ آلَافٍ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِذَا اخْتَلَفَا الْبَيِّعَانِ، فَالْقَوْلُ قَوْلُ الْبَائِعِ أَوْ يَتَرَادَّانِ»
وَفِي رِوَايَةٍ: عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ الْأَشْعَثَ اشْتَرَى مِنْهُ رَقِيقًا، فَتَقَاضَاهُ وَاخْتَلَفَا، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: بِعِشْرِينَ أَلْفًا، وَقَالَ الْأَشْعَثُ: بِعَشْرَةِ آلَافٍ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِذَا اخْتَلَفَا الْبَيِّعَانِ، فَالْقَوْلُ قَوْلُ الْبَائِعِ أَوْ يَتَرَادَّانِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৫
আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
আহকামের বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৯৫
হযরত জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, দুই ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর খেদমতে হাযির হয় এবং একটি উটের ব্যাপারে বিবাদ করতে থাকে। উত্তরে এ দাবি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যে, উটটি তার কাছেই জন্মলাভ করেছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উটটি তাকেই প্রদানের ব্যবস্থা করেন। যার অধিকারে তখন সেটা ছিল।
হযরত জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, দুই ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর খেদমতে হাযির হয় এবং একটি উটের ব্যাপারে বিবাদ করতে থাকে। উত্তরে এ দাবি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যে, উটটি তার কাছেই জন্মলাভ করেছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উটটি তাকেই প্রদানের ব্যবস্থা করেন। যার অধিকারে তখন সেটা ছিল।
كتاب الأحكام
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، «عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَجُلَيْنِ اخْتَصَمَا إِلَيْهِ فِي نَاقَةٍ، وَقَدْ أَقَامَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بَيِّنَةً أَنَّهَا نَتَجَتْ عِنْدَهُ، فَقَضَى بِهَا لِلَّذِي فِي يَدِهِ»
হাদীস নং: ৪৯৬
আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
আহকামের বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৯৬
হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দু'ব্যক্তি একটি উটের মালিকানা নিয়ে বিবাদ শুরু করে। উভয়ে এ বিষয়ে সাক্ষী পেশ করে যে, উটটি তাদের এখানে জন্ম হয়েছে। তখন নবী করীম (ﷺ) উটটি তাকেই দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন- যার অধিকার এটা ছিল।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, দু'ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাযির হয়ে একটি উটের ব্যাপারে বিবাদ করতে থাকে। একজন এ সাক্ষী পেশ করে যে, এ উট তার কাছে জন্মেছে। অপরজনও এই সাক্ষী পেশ করে যে, উটটি তার নিকটে জন্মেছে। তখন নবী করীম (ﷺ) উট তাকেই দেয়ার নির্দেশ দেন যার অধিকারে সেটি ছিল।
হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দু'ব্যক্তি একটি উটের মালিকানা নিয়ে বিবাদ শুরু করে। উভয়ে এ বিষয়ে সাক্ষী পেশ করে যে, উটটি তাদের এখানে জন্ম হয়েছে। তখন নবী করীম (ﷺ) উটটি তাকেই দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন- যার অধিকার এটা ছিল।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, দু'ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাযির হয়ে একটি উটের ব্যাপারে বিবাদ করতে থাকে। একজন এ সাক্ষী পেশ করে যে, এ উট তার কাছে জন্মেছে। অপরজনও এই সাক্ষী পেশ করে যে, উটটি তার নিকটে জন্মেছে। তখন নবী করীম (ﷺ) উট তাকেই দেয়ার নির্দেশ দেন যার অধিকারে সেটি ছিল।
كتاب الأحكام
عَنِ الْهَيْثَمِ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «اخْتَصَمَ رَجُلَانِ فِي نَاقَةٍ، كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا يُقِيمُ الْبَيِّنَةَ أَنَّهَا نَاقَتُهُ نَتَجَهَا فَقَضَى بِهَا لِلَّذِي فِي يَدِهِ» ، وَفِي رِوَايَةٍ: أَنَّ رَجُلَيْنِ أَتَيَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَاقَةٍ، فَأَقَامَ هَذَا الْبَيِّنَةَ أَنَّهُ نَتَجَهَا، «فَجَعَلَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلَّذِي فِي يَدِهِ»
তাহকীক: