আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১. ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ১
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
ইখলাস (নিষ্ঠা), সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছার প্রতি উৎসাহ দান
১. হযরত ইব্ন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের পূর্বকালের তিন ব্যক্তি (কোথাও) রওয়ানা হ'ল এবং রাতে পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিল। একটি পাথর পড়ে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তারা পরস্পরে বলাবলি করতে লাগল, এই পাথরখণ্ড থেকে মুক্তি পাওয়ার আর কোন উপায় নেই। আল্লাহর কাছে তোমাদের নেক আমলসমূহের ওয়াসীলা করে দু'আ করা ছাড়া। আর তখন তাদের একজন বললঃ হে আল্লাহ্! আমার পিতামাতা উভয়ে ছিলেন অতি বৃদ্ধ। আমি তাঁদের পূর্বে আমার পরিবার-পরিজন এবং সন্তানদের দুধপান করাতাম না। একদিন কাষ্ঠখণ্ডের সন্ধান করতে করতে আমাকে দূরে যেতে হয় (ফলে আমার বাড়ি ফিরতে বিলম্ব হয়)। তাঁরা দু'জনে ঘুমিয়ে পড়ার পূর্বে আমি বাড়ি ফিরতে পারলাম না। আমি তাদের জন্য দুধ দোহন করলাম এবং তাঁদেরকে ঘুমন্ত অবস্থায় পেলাম। তাঁদের পূর্বে আমার পরিবার-পরিজনকে দুধপান করানো আমি অপসন্দ করলাম। পাত্রটি হাতে নিয়ে আমি অপেক্ষা করতে থাকলাম। এমনকি এভাবে পূর্বদিগন্তে ঊষারেখা ফুসে উঠল। তাঁরা ঘুম থেকে উঠলেন। (অন্য বর্ণনায় কোন কোন রাবী বাড়তি এও বলেছেনঃ আমার পায়ের কাছে শিশু সন্তানরা কান্নাকাটি করছিল)। তাঁরা দু'জন জেগে উঠে দুধপান করলেন। হে আল্লাহ! একাজ যদি আমি তোমার সন্তুষ্টির জন্য করে থাকি, তাহলে আমাদের থেকে এ পাথরখণ্ডজনিত সঙ্কট দূর করে দাও। তখন তা খানিকটা সরে গেল, কিন্তু তাতে তারা বের হতে পারছিল না।
নবী করীম (সা) বলেন: দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্! আমার এক চাচাত বোন ছিল। সে ছিল আমার সর্বাধিক প্রিয়। আর আমি তাকে ভোগের জন্যে কামনা করেছিলাম। কিন্তু সে আমার থেকে নিজকে দূরে রেখেছিল। এভাবে চলতে চলতে এক পর্যায়ে প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। তখন সে আমার কাছে ধরা দিল। আমি এ শর্তে তাকে একশ বিশটি দীনার দিলাম যে, আমাকে একান্তে তার দেহ দান করবে। সে তাই কবুল করল। আমি যখন তার উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেলাম, তখন সে বলে উঠল, অন্যায়ভাবে (আমার) সতীত্ব হরণ করা তোমার জন্য বৈধ নয়। আমি তার উপর উদগত হতে বিরত থাকলাম এবং তার কাছ থেকে চলে আসলাম, অথচ সে ছিল আমার সর্বাধিক প্রিয়। আর আমি তাকে যে দীনার দান করেছিলাম, তার দাবিও আমি ছেড়ে দিলাম। হে আল্লাহ্! আমি যদি তা তোমার সন্তুষ্টির জন্য করে থাকি, তাহলে আমাদের থেকে পাথরজনিত সঙ্কট দূর করে দাও। পাথরখণ্ডটি আরো খানিকটা সরে গেল, কিন্তু তারা তা থেকে বের হতে সক্ষম হল না।
নবী করীম (সা) বলেনঃ তৃতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্। আমি একদল শ্রমিক নিয়োগ করেছিলাম এবং তাদের সবাইকে তাদের পারিশ্রমিকও দিয়েছিলাম, কিন্তু তাদের মধ্যকার একজন বেতন না নিয়ে চলে যায়। আমি তার পাওনা বিনিয়োগ করলাম, ফলে সম্পদ উত্তরোত্তর বেড়ে যায়। সে কিছুকাল পর আমার কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! আমার পাওনা আমাকে চুকিয়ে দিন। তখন আমি বললামঃ উট, গরু, বকরী এবং গোলাম সহ তুমি যা দেখছ, এ সবই তোমার পাওনা। তখন সে বলে উঠলোঃ হে আল্লাহর বান্দা। আমার সাথে আপনি ঠাট্টা করবেন না। আমি বললামঃ আমি তোমার সাথে ঠাট্টা করছি না। সে তার সমুদয় সম্পদ নিয়ে চলে যায় এবং তা থেকে কিছুই রেখে যায়নি। হে আল্লাহ! আমি যদি এ কাজটি তোমার সন্তুষ্টির জন্য করে থাকি, তাহলে পাথরখণ্ডজনিত সঙ্কট আমাদের থেকে সরিয়ে দাও! অতঃপর পাথরখণ্ডটি সরে গেল। তারপর তারা বের হয়ে চলে গেল।
অপর বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: একদা তোমাদের পূর্বেকার কালের তিন ব্যক্তি কোথাও পায়ে হেঁটে চলছিল। তাদেরকে বৃষ্টি পেয়ে বসল। তারা একটি গুহায় আশ্রয় নিল এবং তার প্রবেশ দ্বার রুদ্ধ হয়ে গেল। তারা একে অপরকে বলতে লাগল, ওহে! আল্লাহর কসম, তোমাদের কেউ সত্য নিষ্ঠার আশ্রয় ব্যতীত মুক্তি পাবে না। কাজেই তোমরা যে কাজ সত্যনিষ্ঠার সাথে করেছ বলে মনে কর, তার দ্বারা (আল্লাহর কাছে) দু'আ কর। তাদের একজন বলল, হে আল্লাহ্! তুমি তো জান, আমার একজন শ্রমিক ছিল, সে আমার সাথে এক ফারাক১. চালের চুক্তিতে কাজ করে, কিন্তু সে তা না নিয়েই চলে যায়। আমি তা বিনিয়োগ করে একটি গাভী খরিদ করলাম। পরবর্তীকালে সে আমার কাছে এসে তার পাওনা দাবি করে। আমি তাকে বললাম, তুমি ঐ গাভীটির কাছে যাও। তা এক ফারাকের ফল। অতএব সে তা হাঁকিয়ে নিয়ে চলে যায়। তুমি তো জান, আমি যদি তা তোমার ভয়ে করে থাকি, তাহলে পাথরটি আমাদের থেকে সরিয়ে দাও। ফলে পাথরটি তাদের থেকে সরে গেল। তিনি তারপর প্রথম হাদীসের প্রায় অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে ইবনে হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে সংক্ষেপে অত্র হাদীসখানা রিওয়ায়াত করেছেন। 'পিতামাতার সাথে সদাচরণ' অধ্যায়ে ইন্শা আল্লাহ্ তাঁর শব্দযোগে বর্ণনা আসবে।)
১. একটি নিদিষ্ট ওজন,১৬ রতল পরিমান। - সম্পাদক
নবী করীম (সা) বলেন: দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্! আমার এক চাচাত বোন ছিল। সে ছিল আমার সর্বাধিক প্রিয়। আর আমি তাকে ভোগের জন্যে কামনা করেছিলাম। কিন্তু সে আমার থেকে নিজকে দূরে রেখেছিল। এভাবে চলতে চলতে এক পর্যায়ে প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। তখন সে আমার কাছে ধরা দিল। আমি এ শর্তে তাকে একশ বিশটি দীনার দিলাম যে, আমাকে একান্তে তার দেহ দান করবে। সে তাই কবুল করল। আমি যখন তার উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেলাম, তখন সে বলে উঠল, অন্যায়ভাবে (আমার) সতীত্ব হরণ করা তোমার জন্য বৈধ নয়। আমি তার উপর উদগত হতে বিরত থাকলাম এবং তার কাছ থেকে চলে আসলাম, অথচ সে ছিল আমার সর্বাধিক প্রিয়। আর আমি তাকে যে দীনার দান করেছিলাম, তার দাবিও আমি ছেড়ে দিলাম। হে আল্লাহ্! আমি যদি তা তোমার সন্তুষ্টির জন্য করে থাকি, তাহলে আমাদের থেকে পাথরজনিত সঙ্কট দূর করে দাও। পাথরখণ্ডটি আরো খানিকটা সরে গেল, কিন্তু তারা তা থেকে বের হতে সক্ষম হল না।
নবী করীম (সা) বলেনঃ তৃতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্। আমি একদল শ্রমিক নিয়োগ করেছিলাম এবং তাদের সবাইকে তাদের পারিশ্রমিকও দিয়েছিলাম, কিন্তু তাদের মধ্যকার একজন বেতন না নিয়ে চলে যায়। আমি তার পাওনা বিনিয়োগ করলাম, ফলে সম্পদ উত্তরোত্তর বেড়ে যায়। সে কিছুকাল পর আমার কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! আমার পাওনা আমাকে চুকিয়ে দিন। তখন আমি বললামঃ উট, গরু, বকরী এবং গোলাম সহ তুমি যা দেখছ, এ সবই তোমার পাওনা। তখন সে বলে উঠলোঃ হে আল্লাহর বান্দা। আমার সাথে আপনি ঠাট্টা করবেন না। আমি বললামঃ আমি তোমার সাথে ঠাট্টা করছি না। সে তার সমুদয় সম্পদ নিয়ে চলে যায় এবং তা থেকে কিছুই রেখে যায়নি। হে আল্লাহ! আমি যদি এ কাজটি তোমার সন্তুষ্টির জন্য করে থাকি, তাহলে পাথরখণ্ডজনিত সঙ্কট আমাদের থেকে সরিয়ে দাও! অতঃপর পাথরখণ্ডটি সরে গেল। তারপর তারা বের হয়ে চলে গেল।
অপর বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: একদা তোমাদের পূর্বেকার কালের তিন ব্যক্তি কোথাও পায়ে হেঁটে চলছিল। তাদেরকে বৃষ্টি পেয়ে বসল। তারা একটি গুহায় আশ্রয় নিল এবং তার প্রবেশ দ্বার রুদ্ধ হয়ে গেল। তারা একে অপরকে বলতে লাগল, ওহে! আল্লাহর কসম, তোমাদের কেউ সত্য নিষ্ঠার আশ্রয় ব্যতীত মুক্তি পাবে না। কাজেই তোমরা যে কাজ সত্যনিষ্ঠার সাথে করেছ বলে মনে কর, তার দ্বারা (আল্লাহর কাছে) দু'আ কর। তাদের একজন বলল, হে আল্লাহ্! তুমি তো জান, আমার একজন শ্রমিক ছিল, সে আমার সাথে এক ফারাক১. চালের চুক্তিতে কাজ করে, কিন্তু সে তা না নিয়েই চলে যায়। আমি তা বিনিয়োগ করে একটি গাভী খরিদ করলাম। পরবর্তীকালে সে আমার কাছে এসে তার পাওনা দাবি করে। আমি তাকে বললাম, তুমি ঐ গাভীটির কাছে যাও। তা এক ফারাকের ফল। অতএব সে তা হাঁকিয়ে নিয়ে চলে যায়। তুমি তো জান, আমি যদি তা তোমার ভয়ে করে থাকি, তাহলে পাথরটি আমাদের থেকে সরিয়ে দাও। ফলে পাথরটি তাদের থেকে সরে গেল। তিনি তারপর প্রথম হাদীসের প্রায় অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে ইবনে হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে সংক্ষেপে অত্র হাদীসখানা রিওয়ায়াত করেছেন। 'পিতামাতার সাথে সদাচরণ' অধ্যায়ে ইন্শা আল্লাহ্ তাঁর শব্দযোগে বর্ণনা আসবে।)
১. একটি নিদিষ্ট ওজন,১৬ রতল পরিমান। - সম্পাদক
كتاب الإخلاص
التَّرْغِيب فِي الْإِخْلَاص والصدق وَالنِّيَّة الصَّالِحَة
1 - عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول انْطلق ثَلَاثَة نفر مِمَّن كَانَ قبلكُمْ حَتَّى آواهم الْمبيت إِلَى غَار فَدَخَلُوا فانحدرت صَخْرَة من الْجَبَل فَسدتْ عَلَيْهِم الْغَار فَقَالُوا إِنَّه لَا ينجيكم من هَذِه الصَّخْرَة إِلَّا أَن تدعوا الله بِصَالح أَعمالكُم فَقَالَ رجل مِنْهُم اللَّهُمَّ كَانَ لي أَبَوَانِ شَيْخَانِ كبيران وَكنت لَا أغبق قبلهمَا أَهلا وَلَا مَالا فنأى بِي طلب شجر يَوْمًا فَلم أرح عَلَيْهِمَا حَتَّى نَامَا فحلبت لَهما غبوقهما فوجدتهما نائمين فَكرِهت أَن أغبق قبلهمَا أَهلا أَو مَالا فَلَبثت والقدح على يَدي أنْتَظر استيقاظهما حَتَّى برق الْفجْر
زَاد بعض الروَاة والصبية يتضاغون عِنْد قدمي فَاسْتَيْقَظَا فشربا غبوقهما اللَّهُمَّ إِن كنت فعلت ذَلِك ابْتِغَاء وَجهك فَفرج عَنَّا مَا نَحن فِيهِ من هَذِه الصَّخْرَة فانفرجت شَيْئا لَا يَسْتَطِيعُونَ الْخُرُوج مِنْهَا قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الآخر اللَّهُمَّ كَانَت لي ابْنة عَم كَانَت أحب النَّاس إِلَيّ فأردتها عَن نَفسهَا فامتنعت مني حَتَّى ألمت بهَا سنة من السنين فجاءتني فأعطيتها عشْرين وَمِائَة دِينَار على أَن تخلي بيني وَبَين نَفسهَا فَفعلت حَتَّى إِذا قدرت عَلَيْهَا قَالَت لَا يحل لَك أَن تفض الْخَاتم إِلَّا بِحقِّهِ فتحرجت من الْوُقُوع عَلَيْهَا فَانْصَرَفت عَنْهَا وَهِي أحب النَّاس إِلَيّ وَتركت الذَّهَب الَّذِي أعطيتهَا اللَّهُمَّ إِن كنت فعلت ذَلِك ابْتِغَاء وَجهك فافرج عَنَّا مَا نَحن فِيهِ فانفرجت الصَّخْرَة غير أَنهم لَا يَسْتَطِيعُونَ الْخُرُوج مِنْهَا
قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقَالَ الثَّالِث اللَّهُمَّ إِنِّي اسْتَأْجَرت أجراء وأعطيتهم أجرتهم غير رجل وَاحِد ترك الَّذِي لَهُ وَذهب فثمرت أجره حَتَّى كثرت مِنْهُ الْأَمْوَال فَجَاءَنِي بعد حِين فَقَالَ لي يَا عبد الله أد إِلَيّ أجري فَقلت كل مَا ترى من أجرك من الابل وَالْبَقر وَالْغنم وَالرَّقِيق
فَقَالَ يَا عبد الله لَا تستهزىء بِي فَقلت إِنِّي لَا أستهزىء بك فَأَخذه كُله فساقه فَلم يتْرك مِنْهُ شَيْئا اللَّهُمَّ إِن كنت فعلت ذَلِك ابْتِغَاء وَجهك فافرج عَنَّا مَا نَحن فِيهِ فانفرجت الصَّخْرَة فَخَرجُوا يَمْشُونَ
وَفِي رِوَايَة أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ بَيْنَمَا ثَلَاثَة نفر مِمَّن كَانَ قبلكُمْ يَمْشُونَ إِذْ أَصَابَهُم مطر فأووا إِلَى غَار فانطبق عَلَيْهِم فَقَالَ بَعضهم لبَعض إِنَّه وَالله يَا هَؤُلَاءِ لَا ينجيكم إِلَّا الصدْق فَليدع كل رجل مِنْكُم بِمَا يعلم أَنه قد صدق فِيهِ فَقَالَ أحدهم اللَّهُمَّ إِن كنت تعلم أَنه كَانَ لي أجِير عمل لي على فرق من أرز فَذهب وَتَركه وَإِنِّي عَمَدت إِلَى ذَلِك الْفرق فزرعته فَصَارَ من أمره إِلَى أَن اشْتريت مِنْهُ بقرًا وَإنَّهُ أَتَانِي يطْلب أجره فَقلت لَهُ اعمد إِلَى تِلْكَ الْبَقر فَإِنَّهَا من ذَلِك الْفرق فساقها فَإِن كنت تعلم أَنِّي فعلت ذَلِك من خشيتك فَفرج عَنَّا فانساحت عَنْهُم الصَّخْرَة فَذكر الحَدِيث قَرِيبا من الأول
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه من حَدِيث أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ بِاخْتِصَار وَيَأْتِي لَفظه فِي بر الْوَالِدين إِن شَاءَ الله تَعَالَى
زَاد بعض الروَاة والصبية يتضاغون عِنْد قدمي فَاسْتَيْقَظَا فشربا غبوقهما اللَّهُمَّ إِن كنت فعلت ذَلِك ابْتِغَاء وَجهك فَفرج عَنَّا مَا نَحن فِيهِ من هَذِه الصَّخْرَة فانفرجت شَيْئا لَا يَسْتَطِيعُونَ الْخُرُوج مِنْهَا قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الآخر اللَّهُمَّ كَانَت لي ابْنة عَم كَانَت أحب النَّاس إِلَيّ فأردتها عَن نَفسهَا فامتنعت مني حَتَّى ألمت بهَا سنة من السنين فجاءتني فأعطيتها عشْرين وَمِائَة دِينَار على أَن تخلي بيني وَبَين نَفسهَا فَفعلت حَتَّى إِذا قدرت عَلَيْهَا قَالَت لَا يحل لَك أَن تفض الْخَاتم إِلَّا بِحقِّهِ فتحرجت من الْوُقُوع عَلَيْهَا فَانْصَرَفت عَنْهَا وَهِي أحب النَّاس إِلَيّ وَتركت الذَّهَب الَّذِي أعطيتهَا اللَّهُمَّ إِن كنت فعلت ذَلِك ابْتِغَاء وَجهك فافرج عَنَّا مَا نَحن فِيهِ فانفرجت الصَّخْرَة غير أَنهم لَا يَسْتَطِيعُونَ الْخُرُوج مِنْهَا
قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقَالَ الثَّالِث اللَّهُمَّ إِنِّي اسْتَأْجَرت أجراء وأعطيتهم أجرتهم غير رجل وَاحِد ترك الَّذِي لَهُ وَذهب فثمرت أجره حَتَّى كثرت مِنْهُ الْأَمْوَال فَجَاءَنِي بعد حِين فَقَالَ لي يَا عبد الله أد إِلَيّ أجري فَقلت كل مَا ترى من أجرك من الابل وَالْبَقر وَالْغنم وَالرَّقِيق
فَقَالَ يَا عبد الله لَا تستهزىء بِي فَقلت إِنِّي لَا أستهزىء بك فَأَخذه كُله فساقه فَلم يتْرك مِنْهُ شَيْئا اللَّهُمَّ إِن كنت فعلت ذَلِك ابْتِغَاء وَجهك فافرج عَنَّا مَا نَحن فِيهِ فانفرجت الصَّخْرَة فَخَرجُوا يَمْشُونَ
وَفِي رِوَايَة أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ بَيْنَمَا ثَلَاثَة نفر مِمَّن كَانَ قبلكُمْ يَمْشُونَ إِذْ أَصَابَهُم مطر فأووا إِلَى غَار فانطبق عَلَيْهِم فَقَالَ بَعضهم لبَعض إِنَّه وَالله يَا هَؤُلَاءِ لَا ينجيكم إِلَّا الصدْق فَليدع كل رجل مِنْكُم بِمَا يعلم أَنه قد صدق فِيهِ فَقَالَ أحدهم اللَّهُمَّ إِن كنت تعلم أَنه كَانَ لي أجِير عمل لي على فرق من أرز فَذهب وَتَركه وَإِنِّي عَمَدت إِلَى ذَلِك الْفرق فزرعته فَصَارَ من أمره إِلَى أَن اشْتريت مِنْهُ بقرًا وَإنَّهُ أَتَانِي يطْلب أجره فَقلت لَهُ اعمد إِلَى تِلْكَ الْبَقر فَإِنَّهَا من ذَلِك الْفرق فساقها فَإِن كنت تعلم أَنِّي فعلت ذَلِك من خشيتك فَفرج عَنَّا فانساحت عَنْهُم الصَّخْرَة فَذكر الحَدِيث قَرِيبا من الأول
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه من حَدِيث أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ بِاخْتِصَار وَيَأْتِي لَفظه فِي بر الْوَالِدين إِن شَاءَ الله تَعَالَى
হাদীস নং: ২
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
ইখলাস (নিষ্ঠা), সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছার প্রতি উৎসাহ দান
২. হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (সা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর প্রতি নিষ্ঠাবান থেকে সালাত কায়েম করে ও যাকাত আদায় করে দুনিয়া ত্যাগ করল, সে এমতাবস্থায় মৃত্যুবরণ করল যে, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট। 
(ইবন মাজাহ ও হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীসখানা সহীহ।)
(ইবন মাজাহ ও হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীসখানা সহীহ।)
كتاب الإخلاص
التَّرْغِيب فِي الْإِخْلَاص والصدق وَالنِّيَّة الصَّالِحَة
2- وَعَن أنس بن مَالك عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من فَارق الدُّنْيَا على الْإِخْلَاص لله وَحده لَا شريك لَهُ وَأقَام الصَّلَاة وَآتى الزَّكَاة فَارقهَا وَالله عَنهُ رَاض
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
ইখলাস (নিষ্ঠা), সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছার প্রতি উৎসাহ দান
৩.  হযরত আবু ফিরাস আসলামী (রা) বলেন, এক ব্যক্তি বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (সা) ঈমান কি? তিনি বললেন: ইখলাস (নিষ্ঠা)। 
অন্য বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, তোমরা যা ইচ্ছা আমাকে জিজ্ঞেস কর। তখন এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইসলাম কি? তিনি বললেন, সালাত কায়েম করা এবং যাকাত আদায় করা। সে বলল, ঈমান কি? তিনি বললেন, ইখলাস (নিষ্ঠা)। লোকটি বলল, ইয়াকীন কী? তিনি বললেন, দৃঢ় বিশ্বাস।
(হাদীসটি ইমাম বায়হাকী মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন।)
অন্য বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, তোমরা যা ইচ্ছা আমাকে জিজ্ঞেস কর। তখন এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইসলাম কি? তিনি বললেন, সালাত কায়েম করা এবং যাকাত আদায় করা। সে বলল, ঈমান কি? তিনি বললেন, ইখলাস (নিষ্ঠা)। লোকটি বলল, ইয়াকীন কী? তিনি বললেন, দৃঢ় বিশ্বাস।
(হাদীসটি ইমাম বায়হাকী মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الإخلاص
التَّرْغِيب فِي الْإِخْلَاص والصدق وَالنِّيَّة الصَّالِحَة
3- وَعَن أبي فراس رجل من أسلم قَالَ نَادَى رجل فَقَالَ يَا رَسُول الله مَا الْإِيمَان قَالَ الْإِخْلَاص
وَفِي لفظ آخر قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم سلوني عَمَّا شِئْتُم فَنَادَى رجل يَا رَسُول الله مَا الْإِسْلَام قَالَ إقَام الصَّلَاة وإيتاء الزَّكَاة
قَالَ فَمَا الْإِيمَان قَالَ الْإِخْلَاص قَالَ فَمَا الْيَقِين قَالَ التَّصْدِيق
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَهُوَ مُرْسل
وَفِي لفظ آخر قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم سلوني عَمَّا شِئْتُم فَنَادَى رجل يَا رَسُول الله مَا الْإِسْلَام قَالَ إقَام الصَّلَاة وإيتاء الزَّكَاة
قَالَ فَمَا الْإِيمَان قَالَ الْإِخْلَاص قَالَ فَمَا الْيَقِين قَالَ التَّصْدِيق
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَهُوَ مُرْسل

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
ইখলাস (নিষ্ঠা), সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছার প্রতি উৎসাহ দান
৪. হযরত মু'আয ইব্ন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তাঁকে যখন ইয়েমেনে প্রেরণ করা হল, তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে নসীহত করুন। তিনি বললেনঃ তোমার দ্বীনের ব্যাপারে নিষ্ঠাবান হও। তাহলে অল্প আমলই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।
(হাদীসটি ইমাম হাকিম (র) উবায়দুল্লাহ ইব্ন যাজর সূত্রে ইব্ন আবু ইমরান থেকে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত ।)
(হাদীসটি ইমাম হাকিম (র) উবায়দুল্লাহ ইব্ন যাজর সূত্রে ইব্ন আবু ইমরান থেকে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত ।)
كتاب الإخلاص
التَّرْغِيب فِي الْإِخْلَاص والصدق وَالنِّيَّة الصَّالِحَة
وَعَن معَاذ بن جبل أَنه قَالَ حِين بعث إِلَى الْيمن يَا رَسُول الله أوصني قَالَ أخْلص دينك يكفك الْعَمَل الْقَلِيل
رَوَاهُ الْحَاكِم من طَرِيق عبيد الله بن زحر عَن ابْن أبي عمرَان وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد كَذَا قَالَ
رَوَاهُ الْحَاكِم من طَرِيق عبيد الله بن زحر عَن ابْن أبي عمرَان وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد كَذَا قَالَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
ইখলাস (নিষ্ঠা), সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছার প্রতি উৎসাহ দান
৫. হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি: সুসংবাদ নিষ্ঠাবানদের জন্য, তারাই হিদায়াতের মশাল, তাদের দ্বারাই যাবতীয় ফিতনা-ফাসাদের অন্ধকার দূরীভূত হয়।
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الإخلاص
التَّرْغِيب فِي الْإِخْلَاص والصدق وَالنِّيَّة الصَّالِحَة
وَرُوِيَ عَن ثَوْبَان قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول طُوبَى للمخلصين أُولَئِكَ مصابيح الْهدى تنجلي عَنْهُم كل فتْنَة ظلماء
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
ইখলাস (নিষ্ঠা), সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছার প্রতি উৎসাহ দান
৬. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) সূত্রে নবী করীম (সা) থেকে বর্ণিত। তিনি বিদায় হজ্জের ভাষণে বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা ঐ ব্যক্তির চেহারা সজীব করুন যে আমার বাণী শুনে তা সংরক্ষণ করেছে। জ্ঞানের অনেক বাহক আছে প্রকৃতপক্ষে তারা ব্যুৎপত্তিসম্পন্ন নয়। তিনটি ব্যাপারে মুমিন ব্যক্তির অন্তরে খিয়ানত স্থান পায় না : (১) আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ আমল, (২) মুসলিম নেতৃবৃন্দের কল্যাণ কামনা করা এবং (৩) মুসলিম জামা'আতভুক্ত হয়ে থাকা। কেননা তাদের দু'আ তাদের পিছনের লোকদের পরিবেষ্টন করে আছে। 
(বাযযার হাসান সনদে হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন। হযরত যায়দ ইব্ন সাবিত (রা) থেকে ইব্ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থেও এ হাদীসখানা স্থান দিয়েছেন। সামনে এই হাদীসের বর্ণনা আসবে ইনশা আল্লাহ্।
[হাফিয আবদুল আযীম (র) বলেনঃ] হযরত ইব্ন মাসউদ, মু'আয ইব্ন জাবাল, নু'মান ইব্ন বশীর, জুবায়র ইব্ন মুত'ইম, আবু দারদা, আবু কুরসাফা ও জুনদারা ইব্ন খায়শানা (রা) প্রমুখ সাহাবা হতে অত্র হাদীসখানা বর্ণিত আছে। তাঁদের কারো কারো সনদ সহীহ্।)
(বাযযার হাসান সনদে হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন। হযরত যায়দ ইব্ন সাবিত (রা) থেকে ইব্ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থেও এ হাদীসখানা স্থান দিয়েছেন। সামনে এই হাদীসের বর্ণনা আসবে ইনশা আল্লাহ্।
[হাফিয আবদুল আযীম (র) বলেনঃ] হযরত ইব্ন মাসউদ, মু'আয ইব্ন জাবাল, নু'মান ইব্ন বশীর, জুবায়র ইব্ন মুত'ইম, আবু দারদা, আবু কুরসাফা ও জুনদারা ইব্ন খায়শানা (রা) প্রমুখ সাহাবা হতে অত্র হাদীসখানা বর্ণিত আছে। তাঁদের কারো কারো সনদ সহীহ্।)
كتاب الإخلاص
التَّرْغِيب فِي الْإِخْلَاص والصدق وَالنِّيَّة الصَّالِحَة
وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ فِي حجَّة الْوَدَاع نضر الله امْرأ سمع مَقَالَتي فوعاها فَرب حَامِل فقه لَيْسَ بفقيه
ثَلَاث لَا يغل عَلَيْهِنَّ قلب امرىء مُؤمن إخلاص الْعَمَل لله والمناصحة لائمة الْمُسلمين وَلُزُوم جَمَاعَتهمْ فَإِن دعاءهم مُحِيط من ورائهم
رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد حسن وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه من حَدِيث زيد بن ثَابت وَيَأْتِي فِي سَماع الحَدِيث إِن شَاءَ الله تَعَالَى
قَالَ الْحَافِظ عبد الْعَظِيم وَقد رُوِيَ هَذَا الحَدِيث أَيْضا عَن ابْن مَسْعُود ومعاذ بن جبل والنعمان بن بشير وَجبير بن مطعم وَأبي الدَّرْدَاء وَأبي قرصافة جندرة بن خيشنة وَغَيرهم من الصَّحَابَة رَضِي الله عَنْهُم
وَبَعض أسانيدهم صَحِيح
ثَلَاث لَا يغل عَلَيْهِنَّ قلب امرىء مُؤمن إخلاص الْعَمَل لله والمناصحة لائمة الْمُسلمين وَلُزُوم جَمَاعَتهمْ فَإِن دعاءهم مُحِيط من ورائهم
رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد حسن وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه من حَدِيث زيد بن ثَابت وَيَأْتِي فِي سَماع الحَدِيث إِن شَاءَ الله تَعَالَى
قَالَ الْحَافِظ عبد الْعَظِيم وَقد رُوِيَ هَذَا الحَدِيث أَيْضا عَن ابْن مَسْعُود ومعاذ بن جبل والنعمان بن بشير وَجبير بن مطعم وَأبي الدَّرْدَاء وَأبي قرصافة جندرة بن خيشنة وَغَيرهم من الصَّحَابَة رَضِي الله عَنْهُم
وَبَعض أسانيدهم صَحِيح

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
ইখলাস (নিষ্ঠা), সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছার প্রতি উৎসাহ দান
৭. হযরত মুস'আব ইবন সা'দ সূত্রে তাঁর পিতা (রা) থেকে বর্ণিত। তার পিতা (সা'দ) মনে করতেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট তাঁর অন্য সাহাবীদের চাইতে আলাদা মর্যাদা রয়েছে। নবী (সা) করীম বললেন: আল্লাহ্ তা'আলা এই উম্মতকে তাদের দুর্বলদের দু'আ, সালাত এবং নিষ্ঠার কারণে সাহায্য করেন। নাসাঈ ও অপরাপর হাদীস গ্রন্থসমূহে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে এবং ইখলাসের উল্লেখ ব্যতীত বুখারী শরীফে উল্লেখিত হয়েছে।
كتاب الإخلاص
التَّرْغِيب فِي الْإِخْلَاص والصدق وَالنِّيَّة الصَّالِحَة
وَعَن مُصعب بن سعد عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ أَنه ظن أَن لَهُ فضلا على من دونه من أَصْحَاب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِنَّمَا ينصر الله هَذِه الْأمة بضعيفها بدعوتهم وصلاتهم وإخلاصهم
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَغَيره وَهُوَ فِي البُخَارِيّ وَغَيره دون ذكر الْإِخْلَاص
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَغَيره وَهُوَ فِي البُخَارِيّ وَغَيره دون ذكر الْإِخْلَاص

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৮
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
ইখলাস (নিষ্ঠা), সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছার প্রতি উৎসাহ দান
৮. হযরত যাহ্হাক ইব্ন কায়স (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, আমি সর্বোত্তম শরীক। যে আমার সাথে কাউকে শরীক স্থাপন করল, তার ঐ কর্মটি আমার শরীকের জন্যেই। হে লোক সকল! তোমরা নিষ্ঠার সাথে আমল কর। একান্তভাবে আল্লাহ্ তা'আলার জন্য যে আমল করা হয়, তিনি কেবল তা-ই কবুল করেন। তোমরা এ কথা বলো না যে, এগুলো আল্লাহর উদ্দেশ্যে এবং আত্মীয়ের জন্য। এমতাবস্থায় তা কেবল আত্মীয়ের জন্যেই- তা থেকে আল্লাহর জন্য কিছুই নেই। তোমরা এ কথাও বলো না যে, এতো আল্লাহর জন্য এবং তোমাদের খাতিরে। কেননা তা তো তোমাদের খাতিরেই, তা আদৌ আল্লাহর জন্যে নয়।
(হাদীসটি ত্রুটিমুক্ত সনদে বাযযার ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। [হাফিয আবদুল আযীম (র) বলেনঃ যাহ্হাক ইব্ন কায়স সাহাবী কিনা এ বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে ।)
(হাদীসটি ত্রুটিমুক্ত সনদে বাযযার ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। [হাফিয আবদুল আযীম (র) বলেনঃ যাহ্হাক ইব্ন কায়স সাহাবী কিনা এ বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে ।)
كتاب الإخلاص
التَّرْغِيب فِي الْإِخْلَاص والصدق وَالنِّيَّة الصَّالِحَة
وَعَن الضَّحَّاك بن قيس قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله تبَارك وَتَعَالَى يَقُول أَنا خير شريك فَمن أشرك معي شَرِيكا فَهُوَ لشريكي يَا أَيهَا النَّاس أَخْلصُوا أَعمالكُم فَإِن الله تبَارك وَتَعَالَى لَا يقبل من الْأَعْمَال إِلَّا مَا خلص لَهُ وَلَا تَقولُوا هَذِه لله وللرحم فَإِنَّهَا للرحم وَلَيْسَ لله مِنْهَا شَيْء وَلَا تَقولُوا هَذِه لله ولوجوهكم فَإِنَّهَا لوجوهكم وَلَيْسَ لله مِنْهَا شَيْء
رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ وَالْبَيْهَقِيّ
قَالَ الْحَافِظ لَكِن الضَّحَّاك بن قيس مُخْتَلف فِي صحبته
رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ وَالْبَيْهَقِيّ
قَالَ الْحَافِظ لَكِن الضَّحَّاك بن قيس مُخْتَلف فِي صحبته

তাহকীক:
হাদীস নং: ৯
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
ইখলাস (নিষ্ঠা), সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছার প্রতি উৎসাহ দান
৯. হযরত আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট এসে বলল, যে ব্যক্তি সওয়াব ও সুনামের আশায় জিহাদ করে, তার সম্পর্কে আপনার কি অভিমত? তার জন্যে কেমন প্রতিফল রয়েছে? রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, তার জন্যে কিছুই নেই। লোকটি এই কথা তিনবার উল্লেখ করল। আর রাসূলুল্লাহ (সা) প্রত্যেকবারই বললেন, তার জন্য কিছুই নেই। তারপর তিনি বললেন, আল্লাহর সন্তোষ লাভ ও নিষ্ঠা ব্যতীত আমল আল্লাহ তা'আলা কবুল করেন না। 
(ইমাম আবু দাউদ ও নাসাঈ (র) উত্তম সনদে অত্র হাদীসখানা বর্ণনা করেন। জিহাদ অধ্যায়ে এ বিষয়ে অনেক হাদীস আসবে ইনশা আল্লাহ।)
(ইমাম আবু দাউদ ও নাসাঈ (র) উত্তম সনদে অত্র হাদীসখানা বর্ণনা করেন। জিহাদ অধ্যায়ে এ বিষয়ে অনেক হাদীস আসবে ইনশা আল্লাহ।)
كتاب الإخلاص
التَّرْغِيب فِي الْإِخْلَاص والصدق وَالنِّيَّة الصَّالِحَة
وَعَن أبي أُمَامَة قَالَ جَاءَ رجل إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ أَرَأَيْت رجلا غزا يلْتَمس الْأجر وَالذكر مَا لَهُ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا شَيْء لَهُ فَأَعَادَهَا ثَلَاث مرار وَيَقُول رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا شَيْء لَهُ ثمَّ قَالَ إِن الله عز وَجل لَا يقبل من الْعَمَل إِلَّا مَا كَانَ لَهُ خَالِصا وابتغي وَجهه
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ بِإِسْنَاد جيد وَسَيَأْتِي أَحَادِيث من هَذَا النَّوْع فِي الْجِهَاد إِن شَاءَ الله تَعَالَى
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ بِإِسْنَاد جيد وَسَيَأْتِي أَحَادِيث من هَذَا النَّوْع فِي الْجِهَاد إِن شَاءَ الله تَعَالَى

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১০
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
ইখলাস (নিষ্ঠা) সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছার প্রতি উৎসাহ দান
১০. হযরত আবুদ-দারদা (রা) সূত্রে নবী (সা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সা) বলেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের উদ্দেশ্যে যা করা হয়, তা ব্যতীত দুনিয়া এবং তন্মধ্যস্থ সব কিছুই অভিশপ্ত। 
(তাবারানী হাদীসটি ত্রুটিমুক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন ।)
(তাবারানী হাদীসটি ত্রুটিমুক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন ।)
كتاب الإخلاص
التَّرْغِيب فِي الْإِخْلَاص والصدق وَالنِّيَّة الصَّالِحَة
10 - وَعَن أبي الدَّرْدَاء عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الدُّنْيَا ملعونة مَلْعُون مَا فِيهَا إِلَّا مَا ابْتغِي بِهِ وَجه الله تَعَالَى
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
হাদীস নং: ১১
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
ইখলাস (নিষ্ঠা) সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছার প্রতি উৎসাহ দান
১১. হযরত উবাদা ইব্ন সামিত (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কিয়ামত দিবসে দুনিয়াকে উপস্থিত করা হবে এবং বলা হবে, তোমার মধ্য হতে আল্লাহর জন্য যা কিছু করা হয়েছে, তা ব্যতীত বাকীগুলো পৃথক করে দাও। অতঃপর তাই করা হবে এবং তা জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। 
(শাহর ইব্ন হাওশাব থেকে বায়হাকী (র) মাওকূফ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(শাহর ইব্ন হাওশাব থেকে বায়হাকী (র) মাওকূফ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الإخلاص
التَّرْغِيب فِي الْإِخْلَاص والصدق وَالنِّيَّة الصَّالِحَة
11 - وَعَن عبَادَة بن الصَّامِت رَضِي الله عَنهُ قَالَ يجاء بالدنيا يَوْم الْقِيَامَة فَيُقَال ميزوا مَا كَانَ مِنْهَا لله عز وَجل فيماز ويرمى سائره فِي النَّار
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ عَن شهر بن حَوْشَب عَنهُ مَوْقُوفا
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ عَن شهر بن حَوْشَب عَنهُ مَوْقُوفا

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
ইখলাস (নিষ্ঠা) সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছার প্রতি উৎসাহ দান
১২. হযরত আমর ইব্ন আবাসা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কিয়ামত দিবসে দুনিয়াকে হাযির করে যা আল্লাহর জন্য করা হয়েছে, তা পৃথক করা হবে। আর যা গায়রুল্লাহর জন্য করা হয়েছে, তা জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। 
(হাদীসটি মাওকূফ সূত্রে বর্ণিত। {হাফিয আবদুল আযীম (র) বলেন}, বলা হয়, এই হাদীসের উপমা ইজতিহাদ দ্বারা বলা যায় না। কাজেই হাদীস যেভাবে, ঠিক সেভাবেই বর্ণনা করা হবে।)
(হাদীসটি মাওকূফ সূত্রে বর্ণিত। {হাফিয আবদুল আযীম (র) বলেন}, বলা হয়, এই হাদীসের উপমা ইজতিহাদ দ্বারা বলা যায় না। কাজেই হাদীস যেভাবে, ঠিক সেভাবেই বর্ণনা করা হবে।)
كتاب الإخلاص
التَّرْغِيب فِي الْإِخْلَاص والصدق وَالنِّيَّة الصَّالِحَة
12 - وَرَوَاهُ أَيْضا عَن شهر عَن عَمْرو بن عبسة رَضِي الله عَنهُ قَالَ إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة جِيءَ بالدنيا فيميز مِنْهَا مَا كَانَ لله وَمَا كَانَ لغير الله رمي بِهِ فِي نَار جَهَنَّم
مَوْقُوف أَيْضا
قَالَ الْحَافِظ وَقد يُقَال إِن مثل هَذَا لَا يُقَال من قبل الرَّأْي وَالِاجْتِهَاد فسبيله سَبِيل الْمَرْفُوع
مَوْقُوف أَيْضا
قَالَ الْحَافِظ وَقد يُقَال إِن مثل هَذَا لَا يُقَال من قبل الرَّأْي وَالِاجْتِهَاد فسبيله سَبِيل الْمَرْفُوع
হাদীস নং: ১৩
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
ইখলাস (নিষ্ঠা) সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছার প্রতি উৎসাহ দান
১৩. হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি চল্লিশটি দিন নিষ্ঠার সাথে অতিবাহিত করে, তার অন্তর থেকে হিকমতের ঝর্ণাধারা তার মুখে প্রকাশ পায়। 
(উযায়নুল আবদারী তাঁর কিতাবে অত্র হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, যে সমস্ত উসূল বর্ণিত হয়েছে, আমি তার মধ্যে এই হাদীসের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে পারি না এবং কোন সহীহ ও হাসান সনদেও এই হাদীস দেখিনি। তবে যঈফ হাদীসগ্রন্থসমূহের মধ্যে, যেমন কামিল গ্রন্থে এই হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু হুসায়ন ইব্ন হুসায়ন মাররুযী স্বীয় 'যাওয়াইদ' গ্রন্থের যুহদ অধ্যায়ে আবদুল্লাহ ইব্ন মুবারক হতে বর্ণনা করেন যে, আমাকে আবু মু'আবিয়া হাদীসখানা বর্ণনা করেন। হাজ্জাজ আমাদেরকে মাকহুল সূত্রে নবী করীম (সা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি মুরসাল সনদে তা বর্ণনা করেন। অনুরূপ ইবন হিব্বান ও অন্যান্যরা মাকহুল হতে মুরসাল সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আল্লাহই ভাল জানেন।)
(উযায়নুল আবদারী তাঁর কিতাবে অত্র হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, যে সমস্ত উসূল বর্ণিত হয়েছে, আমি তার মধ্যে এই হাদীসের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে পারি না এবং কোন সহীহ ও হাসান সনদেও এই হাদীস দেখিনি। তবে যঈফ হাদীসগ্রন্থসমূহের মধ্যে, যেমন কামিল গ্রন্থে এই হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু হুসায়ন ইব্ন হুসায়ন মাররুযী স্বীয় 'যাওয়াইদ' গ্রন্থের যুহদ অধ্যায়ে আবদুল্লাহ ইব্ন মুবারক হতে বর্ণনা করেন যে, আমাকে আবু মু'আবিয়া হাদীসখানা বর্ণনা করেন। হাজ্জাজ আমাদেরকে মাকহুল সূত্রে নবী করীম (সা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি মুরসাল সনদে তা বর্ণনা করেন। অনুরূপ ইবন হিব্বান ও অন্যান্যরা মাকহুল হতে মুরসাল সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب الإخلاص
التَّرْغِيب فِي الْإِخْلَاص والصدق وَالنِّيَّة الصَّالِحَة
13 - وَرُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من أخْلص لله أَرْبَعِينَ يَوْمًا ظَهرت ينابيع الْحِكْمَة من قلبه على لِسَانه
ذكره رزين الْعَبدَرِي فِي كِتَابه وَلم أره فِي شَيْء من الْأُصُول الَّتِي جمعهَا وَلم أَقف لَهُ على إِسْنَاد صَحِيح وَلَا حسن إِنَّمَا ذكر فِي كتب الضُّعَفَاء كالكامل وَغَيره لَكِن رَوَاهُ الْحُسَيْن بن الْحُسَيْن الْمروزِي فِي زوائده فِي كتاب الزّهْد لعبد الله بن الْمُبَارك فَقَالَ حَدثنَا أَبُو مُعَاوِيَة أَنبأَنَا حجاج عَن مَكْحُول عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَذكره مُرْسلا وَكَذَا رَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان وَغَيره عَن مَكْحُول مُرْسلا وَالله أعلم
ذكره رزين الْعَبدَرِي فِي كِتَابه وَلم أره فِي شَيْء من الْأُصُول الَّتِي جمعهَا وَلم أَقف لَهُ على إِسْنَاد صَحِيح وَلَا حسن إِنَّمَا ذكر فِي كتب الضُّعَفَاء كالكامل وَغَيره لَكِن رَوَاهُ الْحُسَيْن بن الْحُسَيْن الْمروزِي فِي زوائده فِي كتاب الزّهْد لعبد الله بن الْمُبَارك فَقَالَ حَدثنَا أَبُو مُعَاوِيَة أَنبأَنَا حجاج عَن مَكْحُول عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَذكره مُرْسلا وَكَذَا رَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان وَغَيره عَن مَكْحُول مُرْسلا وَالله أعلم

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
ইখলাস (নিষ্ঠা) সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছার প্রতি উৎসাহ দান
১৪. হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি ঈমানের জন্য তার অন্তর একনিষ্ঠ করে নিয়েছে, অন্তরকে কলুষমুক্ত করেছে, রসনাকে সত্যনিষ্ঠ রেখেছে, চিত্তকে প্রশান্ত রেখেছে, চরিত্রকে সুষমামণ্ডিত করেছে, কান দুটোকে মনোযোগী রেখেছে এবং চোখ দুটোকে দর্শনরত রেখেছে, সে সফলকাম। কেননা কান হ'ল পাত্র আর চোখ হ'ল সাক্ষী, অন্তর যা ধারণ করে, তা তার জন্যে। যে অন্তরকে সংরক্ষণ করেছে, সে সফলকাম।
(আহমদ ও বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে আহমদের সনদটি হাসান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।)
(আহমদ ও বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে আহমদের সনদটি হাসান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।)
كتاب الإخلاص
التَّرْغِيب فِي الْإِخْلَاص والصدق وَالنِّيَّة الصَّالِحَة
14 - وَرُوِيَ عَن أبي ذَر أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ قد أَفْلح من أخْلص قلبه للْإيمَان وَجعل قلبه سليما وَلسَانه صَادِقا وَنَفسه مطمئنة وخليقته مُسْتَقِيمَة وَجعل أُذُنه مستمعة وعينه ناظرة فَأَما الْأذن فقمع وَالْعين مقرة بِمَا يوعي الْقلب وَقد أَفْلح من جعل قلبه واعيا
رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَيْهَقِيّ وَفِي إِسْنَاد أَحْمد احْتِمَال للتحسين
فصل
رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَيْهَقِيّ وَفِي إِسْنَاد أَحْمد احْتِمَال للتحسين
فصل

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৫
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
অনুচ্ছেদ
১৫. হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ সমস্ত কর্মকাণ্ডই নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল এবং প্রত্যেকের জন্য তাই হবে, যার সে নিয়্যাত করেছে। কারো হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশ্যে হলে বস্তুত তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশ্যেই গণ্য হবে। আর যার হিজরত দুনিয়া লাভ অথবা কোন নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে হবে, তার হিজরত তার প্রতি হয়েছে বলেই গণ্য হবে, যার উদ্দেশ্যে সে হিজরত করেছে।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।
[হাফিয আবদুল আযীম (র) বলেন], পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিসগণ অত্র হাদীসকে মুতাওয়াতির বলে ধারণা করেন। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার তা নয়। কেননা ইয়াহইয়া ইব্ন সাঈদ আনসারী (র) মুহাম্মদ ইব্ন ইবরাহীম আত-তায়মী থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তারপর ইয়াহইয়া ইব্ন সাঈদ আনসারী থেকে প্রায় দুশো লোক হাদীসটি বর্ণনা করেন। বলা হয়, সাতশজন কিংবা ততোধিক রাবী বর্ণনা করেছেন। ইয়াহইয়া ইব্ন সাঈদ আনসারীর সূত্র ছাড়াও হাদীসটি অন্যান্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। তবে তা বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়নি। মুহাদ্দিস হাফিয আলী ইব্ন মাদিনীও অনুরূপ বলেছেন। খাত্তাবী বলেন, এই ব্যাপারে মুহাদ্দিসগণের মধ্যে কোন মতবিরোধ আছে বলে আমার জানা নেই। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ।)
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।
[হাফিয আবদুল আযীম (র) বলেন], পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিসগণ অত্র হাদীসকে মুতাওয়াতির বলে ধারণা করেন। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার তা নয়। কেননা ইয়াহইয়া ইব্ন সাঈদ আনসারী (র) মুহাম্মদ ইব্ন ইবরাহীম আত-তায়মী থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তারপর ইয়াহইয়া ইব্ন সাঈদ আনসারী থেকে প্রায় দুশো লোক হাদীসটি বর্ণনা করেন। বলা হয়, সাতশজন কিংবা ততোধিক রাবী বর্ণনা করেছেন। ইয়াহইয়া ইব্ন সাঈদ আনসারীর সূত্র ছাড়াও হাদীসটি অন্যান্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। তবে তা বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়নি। মুহাদ্দিস হাফিয আলী ইব্ন মাদিনীও অনুরূপ বলেছেন। খাত্তাবী বলেন, এই ব্যাপারে মুহাদ্দিসগণের মধ্যে কোন মতবিরোধ আছে বলে আমার জানা নেই। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ।)
كتاب الإخلاص
فصل
15 - عَن عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِنَّمَا الْأَعْمَال بِالنِّيَّةِ وَفِي رِوَايَة بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لكل امرىء مَا نوى
فَمن كَانَت هجرته إِلَى الله وَرَسُوله فَهجرَته إِلَى الله وَرَسُوله وَمن كَانَت هجرته إِلَى دنيا يُصِيبهَا أَو امْرَأَة ينْكِحهَا فَهجرَته إِلَى مَا هَاجر إِلَيْهِ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
قَالَ الْحَافِظ وَزعم بعض الْمُتَأَخِّرين أَن هَذَا الحَدِيث بلغ مبلغ التَّوَاتُر وَلَيْسَ كَذَلِك فَإِنَّهُ انْفَرد بِهِ يحيى بن سعيد الْأنْصَارِيّ عَن مُحَمَّد بن إِبْرَاهِيم التَّيْمِيّ ثمَّ رَوَاهُ عَن الْأنْصَارِيّ خلق كثير نَحْو مِائَتي راو وَقيل سَبْعمِائة راو وَقيل أَكثر من ذَلِك وَقد رُوِيَ من طرق كَثِيرَة غير طَرِيق الْأنْصَارِيّ وَلَا يَصح مِنْهَا شَيْء
كَذَا قَالَه الْحَافِظ عَليّ بن الْمَدِينِيّ وَغَيره من الْأَئِمَّة
وَقَالَ الْخطابِيّ لَا أعلم فِي ذَلِك خلافًا بَين أهل الحَدِيث وَالله أعلم
فَمن كَانَت هجرته إِلَى الله وَرَسُوله فَهجرَته إِلَى الله وَرَسُوله وَمن كَانَت هجرته إِلَى دنيا يُصِيبهَا أَو امْرَأَة ينْكِحهَا فَهجرَته إِلَى مَا هَاجر إِلَيْهِ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
قَالَ الْحَافِظ وَزعم بعض الْمُتَأَخِّرين أَن هَذَا الحَدِيث بلغ مبلغ التَّوَاتُر وَلَيْسَ كَذَلِك فَإِنَّهُ انْفَرد بِهِ يحيى بن سعيد الْأنْصَارِيّ عَن مُحَمَّد بن إِبْرَاهِيم التَّيْمِيّ ثمَّ رَوَاهُ عَن الْأنْصَارِيّ خلق كثير نَحْو مِائَتي راو وَقيل سَبْعمِائة راو وَقيل أَكثر من ذَلِك وَقد رُوِيَ من طرق كَثِيرَة غير طَرِيق الْأنْصَارِيّ وَلَا يَصح مِنْهَا شَيْء
كَذَا قَالَه الْحَافِظ عَليّ بن الْمَدِينِيّ وَغَيره من الْأَئِمَّة
وَقَالَ الْخطابِيّ لَا أعلم فِي ذَلِك خلافًا بَين أهل الحَدِيث وَالله أعلم
হাদীস নং: ১৬
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
অনুচ্ছেদ
১৬. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: একটি বাহিনী কা'বা আক্রমণ করতে আসবে। তারা যখন কা'বার নিকটবর্তী এলাকায় এসে পড়বে, তখন তাদের সবাইকে মাটির নীচে ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে। হযরত আয়েশা (রা) বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্!  তাদের সবাইকে কিভাবে ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে অথচ এখানে বাজারও থাকবে এবং এমন লোকও থাকবে যারা এ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত নয়? তিনি বললেন, এখানে তো সবাইকে ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে। তারপর নিয়্যাত অনুযায়ী তারা পুনরুত্থিত হবে।
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম এবং অপরাপর হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত।)
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম এবং অপরাপর হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب الإخلاص
فصل
16 - وَعَن عَائِشَة قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَغْزُو جَيش الْكَعْبَة فَإِذا كَانُوا ببيداء من الأَرْض يخسف بأولهم وَآخرهمْ
قَالَت قلت يَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَيفَ يخسف بأولهم وَآخرهمْ وَفِيهِمْ أسواقهم وَمن لَيْسَ مِنْهُم قَالَ يخسف بأولهم وَآخرهمْ ثمَّ يبعثون على نياتهم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا
قَالَت قلت يَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَيفَ يخسف بأولهم وَآخرهمْ وَفِيهِمْ أسواقهم وَمن لَيْسَ مِنْهُم قَالَ يخسف بأولهم وَآخرهمْ ثمَّ يبعثون على نياتهم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا
হাদীস নং: ১৭
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
অনুচ্ছেদ
১৭. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী পুনরুত্থিত হবে।
(ইমাম ইব্ন মাজাহ (র) হাসান সনদে অত্র হাদীসখানা বর্ণনা করেন। হযরত জাবির (রা) সূত্রেও তিনি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি "লোকদের সমবেত করা হবে" বলেছেন।)
(ইমাম ইব্ন মাজাহ (র) হাসান সনদে অত্র হাদীসখানা বর্ণনা করেন। হযরত জাবির (রা) সূত্রেও তিনি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি "লোকদের সমবেত করা হবে" বলেছেন।)
كتاب الإخلاص
فصل
17 - وَعَن أبي هُرَيْرَة قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِنَّمَا يبْعَث النَّاس على نياتهم
رَوَاهُ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد حسن وَرَوَاهُ أَيْضا من حَدِيث جَابر إِلَّا أَنه قَالَ يحْشر النَّاس
رَوَاهُ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد حسن وَرَوَاهُ أَيْضا من حَدِيث جَابر إِلَّا أَنه قَالَ يحْشر النَّاس

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
অনুচ্ছেদ
১৮. হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী করীম (সা) এর সংগে তাবুক অভিযান থেকে ফিরে এলাম, তিনি বললেন, কিছু সংখ্যক লোক মদীনায় আমাদের পিছনে রয়ে গিয়েছিল কিন্তু আমরা যখন যে পাহাড়ী পথ কিংবা কোন জনপদ অতিক্রম করেছি, তারা আমাদের সাথেই ছিল। কেননা ওযর তাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল।
(ইমাম বুখারী ও আবূ দাউদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তবে তাঁর শব্দমালা হ'ল; নবী করীম (সা) বলেছেন, তোমরা মদীনায় এমন একদল লোক রেখে এসেছ যে, তোমরা যেখানেই গিয়েছ, যে অর্থই ব্যয় করেছ এবং যে জনপদই অতিক্রম করেছ, তারা তোমাদের সাথেই ছিল। তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ তারা কেমন করে আমাদের সংগী হ'ল, অথচ তারা ছিল মদীনায়? তিনি বললেন, রোগব্যাধি তাদের প্রতিবন্ধক ছিল।)
(ইমাম বুখারী ও আবূ দাউদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তবে তাঁর শব্দমালা হ'ল; নবী করীম (সা) বলেছেন, তোমরা মদীনায় এমন একদল লোক রেখে এসেছ যে, তোমরা যেখানেই গিয়েছ, যে অর্থই ব্যয় করেছ এবং যে জনপদই অতিক্রম করেছ, তারা তোমাদের সাথেই ছিল। তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ তারা কেমন করে আমাদের সংগী হ'ল, অথচ তারা ছিল মদীনায়? তিনি বললেন, রোগব্যাধি তাদের প্রতিবন্ধক ছিল।)
كتاب الإخلاص
فصل
18 - وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ رَجعْنَا من غَزْوَة تَبُوك مَعَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ إِن أَقْوَامًا خلفنا بِالْمَدِينَةِ مَا سلكنا شعبًا وَلَا وَاديا إِلَّا وهم مَعنا حَبسهم
الْعذر
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَأَبُو دَاوُد وَلَفظه إِن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لقد تركْتُم بِالْمَدِينَةِ أَقْوَامًا مَا سِرْتُمْ مسيرًا وَلَا أنفقتم من نَفَقَة وَلَا قطعْتُمْ من وَاد إِلَّا وهم مَعكُمْ
قَالُوا يَا رَسُول الله وَكَيف يكونُونَ مَعنا وهم بِالْمَدِينَةِ قَالَ حَبسهم الْمَرَض
الْعذر
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَأَبُو دَاوُد وَلَفظه إِن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لقد تركْتُم بِالْمَدِينَةِ أَقْوَامًا مَا سِرْتُمْ مسيرًا وَلَا أنفقتم من نَفَقَة وَلَا قطعْتُمْ من وَاد إِلَّا وهم مَعكُمْ
قَالُوا يَا رَسُول الله وَكَيف يكونُونَ مَعنا وهم بِالْمَدِينَةِ قَالَ حَبسهم الْمَرَض
হাদীস নং: ১৯
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
অনুচ্ছেদ
১৯. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিবি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন: আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদের শরীর ও চেহারা দেখবেন না, বরং তিনি দেখবেন তোমাদের অন্তর।
(হাদীসটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
(হাদীসটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
كتاب الإخلاص
فصل
19 - وَعَن أبي هُرَيْرَة قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله لَا ينظر إِلَى أجسامكم وَلَا إِلَى صوركُمْ وَلَكِن ينظر إِلَى قُلُوبكُمْ
رَوَاهُ مُسلم
رَوَاهُ مُسلم
হাদীস নং: ২০
 ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
অনুচ্ছেদ
২০. হযরত আবু কাবশা আনমারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছেন: আমি তিনটি বিষয়ের উপর কসম করছি এবং তোমাদের একখানা হাদীস বলছি, তোমরা তা সংরক্ষণ কর। তিনি বললেনঃ দানে কোন ব্যক্তির সম্পদ কমে না, কেউ যদি যুলমের শিকার হয় এবং ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তা'আলা তার ইযযত বাড়িয়ে দেন। আর যে ব্যক্তি ভিক্ষার হাত সম্প্রসারিত করে, আল্লাহ্ তা'আলা তার জন্য দারিদ্র্যের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন। অথবা অনুরূপ শব্দযোগে বলেছেন। আমি তোমাদেরকে একটি হাদীস বলছি, তোমরা তা স্মরণ রাখবে। তিনি বললেন: দুনিয়া চার শ্রেণীর জন্য-এমন ব্যক্তি যাকে আল্লাহ্ তা'আলা সম্পদ ও ইল্ম দান করেছেন, আর সে এ ব্যাপারে তার প্রতিপালককে ভয় করে, এর দ্বারা আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখে, এতে আল্লাহর যে হক রয়েছে, সে সম্পর্কে সে সচেতন। আর এই ব্যক্তিই সর্বশ্রেষ্ঠ স্তরের। আরেক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তা'আলা ইলম দিয়েছেন, কিন্তু ধন-সম্পদ দান করেননি অথচ তার নিয়্যাত খুবই ভাল। সে বলে, আমাকে যদি আল্লাহ্ তা'আলা ধন-সম্পদ দান করতেন তাহলে আমি অমুক ব্যক্তির ন্যায় দান করতাম-এই দুই শ্রেণীর প্রতিদান সমান সমান। আরেক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তা'আলা ধন-সম্পদ দান করেছেন কিন্তু ইলম দান করেন নি, ফলে সে অন্যায় পথে সম্পদ ব্যয় করে এবং এ ব্যাপারে তার রবকে ভয় করে না, এর দ্বারা আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখে না, আল্লাহর হক সম্পর্কে সে বেখবর, এ ব্যক্তি সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্তরের। আরেক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তা'আলা সম্পদ কিংবা ইলম কোনটাই দান করেন নি অথচ সে বলে, আমার যদি পর্যাপ্ত সম্পদ থাকত, তাহলে আমি অমুকের মত পাপকার্যাদি করতাম। এমতাবস্থায় দুই ব্যক্তির প্রতিফল তাদের নিয়্যাত অনুযায়ী সমান সমান হবে।
(ইমাম আহমদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, শব্দমালা তিরমিযীর; তিনি বলেন, হাদীসখানা হাসান-সহীহ ইবন মাজাহ শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: এই উম্মতের দৃষ্টান্ত চার শ্রেণীর লোকের ন্যায়- এক ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তা'আলা পর্যাপ্ত ধন-সম্পদ ও ইলম দান করেছেন। সে তার ইলম অনুযায়ী আমল করেছে এবং সম্পদের হক আদায় করেছে। আরেক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ্ তা'আলা ইলম দিয়েছেন কিন্তু সম্পদ দান করেননি, অথচ লোকটি বলে, আমাকে যদি অনুরূপ দেওয়া হতো তাহলে আমিও অনুরূপ করতাম। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, পুরস্কার প্রাপ্তির দিক থেকে উভয়ই সমান। আরেক ব্যক্তি, আল্লাহ তা'আলা যাকে ধন-সম্পদ দান করেছেন কিন্তু ইলম দান করেন নি, অথচ সে তার সম্পদ অবৈধ পথে ব্যয় করে। আরেক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ্ তা'আলা ইল্ম ও সম্পদ কিছুই দান করেন নি অথচ সে বলে, আমাকে যদি তার মত দেওয়া হতো, তাহলে আমিও তদনুরূপ পাপকার্যাদি করতাম। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, এতদুভয় ব্যক্তি পাপের ক্ষেত্রে সমান।)
(ইমাম আহমদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, শব্দমালা তিরমিযীর; তিনি বলেন, হাদীসখানা হাসান-সহীহ ইবন মাজাহ শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: এই উম্মতের দৃষ্টান্ত চার শ্রেণীর লোকের ন্যায়- এক ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তা'আলা পর্যাপ্ত ধন-সম্পদ ও ইলম দান করেছেন। সে তার ইলম অনুযায়ী আমল করেছে এবং সম্পদের হক আদায় করেছে। আরেক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ্ তা'আলা ইলম দিয়েছেন কিন্তু সম্পদ দান করেননি, অথচ লোকটি বলে, আমাকে যদি অনুরূপ দেওয়া হতো তাহলে আমিও অনুরূপ করতাম। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, পুরস্কার প্রাপ্তির দিক থেকে উভয়ই সমান। আরেক ব্যক্তি, আল্লাহ তা'আলা যাকে ধন-সম্পদ দান করেছেন কিন্তু ইলম দান করেন নি, অথচ সে তার সম্পদ অবৈধ পথে ব্যয় করে। আরেক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ্ তা'আলা ইল্ম ও সম্পদ কিছুই দান করেন নি অথচ সে বলে, আমাকে যদি তার মত দেওয়া হতো, তাহলে আমিও তদনুরূপ পাপকার্যাদি করতাম। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, এতদুভয় ব্যক্তি পাপের ক্ষেত্রে সমান।)
كتاب الإخلاص
فصل
20 - وَعَن أبي كَبْشَة الْأَنمَارِي رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول ثَلَاث أقسم عَلَيْهِنَّ وَأُحَدِّثكُمْ حَدِيثا فاحفظوه
قَالَ مَا نقص مَال عبد من صَدَقَة وَلَا ظلم عبد مظْلمَة صَبر عَلَيْهَا إِلَّا زَاده الله عزا وَلَا فتح عبد بَاب مَسْأَلَة إِلَّا فتح الله عَلَيْهِ بَاب فقر أَو كلمة نَحْوهَا وَأُحَدِّثكُمْ حَدِيثا فاحفظوه قَالَ إِنَّمَا الدُّنْيَا لاربعة نفر عبد رزقه الله مَالا وعلما فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ ربه ويصل فِيهِ رَحمَه وَيعلم لله فِيهِ حَقًا فَهَذَا بِأَفْضَل الْمنَازل وَعبد رزقه الله علما وَلم يرزقه مَالا فَهُوَ صَادِق النِّيَّة يَقُول لَو أَن لي مَالا لعملت بِعَمَل فلَان فَهُوَ بنيته فأجرهما سَوَاء وَعبد رزقه الله مَالا وَلم يرزقه علما يخبط فِي مَاله بِغَيْر علم وَلَا يَتَّقِي فِيهِ ربه وَلَا يصل فِيهِ رَحمَه وَلَا يعلم لله فِيهِ حَقًا فَهَذَا بأخبث الْمنَازل وَعبد لم يرزقه الله مَالا وَلَا علما فَهُوَ يَقُول لَو أَن لي مَالا لعملت فِيهِ بِعَمَل فلَان فَهُوَ بنيته فوزرهما سَوَاء
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مثل هَذِه الْأمة كَمثل أَرْبَعَة نفر رجل آتَاهُ الله مَالا وعلما فَهُوَ يعْمل بِعِلْمِهِ فِي مَاله يُنْفِقهُ فِي حَقه وَرجل آتَاهُ الله علما وَلم يؤته مَالا وَهُوَ يَقُول لَو كَانَ لي مثل هَذَا عملت فِيهِ بِمثل الَّذِي يعْمل
قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فهما فِي الْأجر سَوَاء وَرجل آتَاهُ الله مَالا وَلم يؤته علما فَهُوَ يخبط فِي مَاله يُنْفِقهُ فِي غير حَقه وَرجل لم يؤته الله علما وَلَا مَالا وَهُوَ يَقُول لَو كَانَ لي مثل هَذَا عملت فِيهِ مثل الَّذِي يعْمل
قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فهما فِي الْوزر سَوَاء
قَالَ مَا نقص مَال عبد من صَدَقَة وَلَا ظلم عبد مظْلمَة صَبر عَلَيْهَا إِلَّا زَاده الله عزا وَلَا فتح عبد بَاب مَسْأَلَة إِلَّا فتح الله عَلَيْهِ بَاب فقر أَو كلمة نَحْوهَا وَأُحَدِّثكُمْ حَدِيثا فاحفظوه قَالَ إِنَّمَا الدُّنْيَا لاربعة نفر عبد رزقه الله مَالا وعلما فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ ربه ويصل فِيهِ رَحمَه وَيعلم لله فِيهِ حَقًا فَهَذَا بِأَفْضَل الْمنَازل وَعبد رزقه الله علما وَلم يرزقه مَالا فَهُوَ صَادِق النِّيَّة يَقُول لَو أَن لي مَالا لعملت بِعَمَل فلَان فَهُوَ بنيته فأجرهما سَوَاء وَعبد رزقه الله مَالا وَلم يرزقه علما يخبط فِي مَاله بِغَيْر علم وَلَا يَتَّقِي فِيهِ ربه وَلَا يصل فِيهِ رَحمَه وَلَا يعلم لله فِيهِ حَقًا فَهَذَا بأخبث الْمنَازل وَعبد لم يرزقه الله مَالا وَلَا علما فَهُوَ يَقُول لَو أَن لي مَالا لعملت فِيهِ بِعَمَل فلَان فَهُوَ بنيته فوزرهما سَوَاء
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مثل هَذِه الْأمة كَمثل أَرْبَعَة نفر رجل آتَاهُ الله مَالا وعلما فَهُوَ يعْمل بِعِلْمِهِ فِي مَاله يُنْفِقهُ فِي حَقه وَرجل آتَاهُ الله علما وَلم يؤته مَالا وَهُوَ يَقُول لَو كَانَ لي مثل هَذَا عملت فِيهِ بِمثل الَّذِي يعْمل
قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فهما فِي الْأجر سَوَاء وَرجل آتَاهُ الله مَالا وَلم يؤته علما فَهُوَ يخبط فِي مَاله يُنْفِقهُ فِي غير حَقه وَرجل لم يؤته الله علما وَلَا مَالا وَهُوَ يَقُول لَو كَانَ لي مثل هَذَا عملت فِيهِ مثل الَّذِي يعْمل
قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فهما فِي الْوزر سَوَاء