আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

৫. অধ্যায়ঃ নামাজ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ৩৬১
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৬১. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: লোকেরা যদি আযান দেওয়া এবং প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে সালাত আদায়ের ফযীলত জানত, আর যদি তারা লটারী করা ব্যতীত কোন উপায় না পেত, তাহলে তারা এজন্যে লটারী করত। আর যদি তারা জানত প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায়ের কী ফযীলত, তাহলে তারা সেদিকে অন্যের আগে পৌঁছত। আর তারা যদি জানত ইশা ও ফজরের সালাত জামা'আতে আদায়ে কী সওয়াব, তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও আসত।
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
362- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَو يعلم النَّاس مَا فِي النداء والصف الأول ثمَّ لم يَجدوا إِلَّا أَن يستهموا عَلَيْهِ لاستهموا وَلَو يعلمُونَ مَا فِي التهجير لاستبقوا إِلَيْهِ وَلَو يعلمُونَ مَا فِي الْعَتَمَة وَالصُّبْح لأتوهما وَلَو حبوا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
হাদীস নং: ৩৬২
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৬২. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: লোকেরা আযানের যে কী ফযীলত তা যদি জানত, তাহলে তারা তরবারির দ্বারা ফয়সালা করে এ মর্যাদা হাসিলের চেষ্টা করত।
(আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর সনদে সন্দিগ্ধ-রাবী ইবন লাহীয়া রয়েছেন।)
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
362 - وَعَن أبي سعيد رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَو يعلم النَّاس مَا فِي التأذين لتضاربوا عَلَيْهِ بِالسُّيُوفِ
رَوَاهُ أَحْمد وَفِي إِسْنَاده ابْن لَهِيعَة
হাদীস নং: ৩৬৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৬৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান ইবন সা'সাআ তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) তাকে বলেছেন: আমার মনে হয় তুমি চারণভূমিতে বকরী চরাতে পসন্দ কর। কাজেই তুমি যখন বন-জঙ্গলে থাক এবং সালাতের জন্য আযান দাও, তখন উচ্চকণ্ঠে আযান দেবে। কেননা জিন্ন-মানুষ অথবা অন্য যে কোন বস্তুই আযানের শব্দ শুনবে, কিয়ামতের দিন সে মুআযযিনের পক্ষে সাক্ষ্য দেবে। হযরত আবু সাঈদ (রা) বলেনঃ আমি এ কথা রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে শুনেছি।
(মালিক, বুখারী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ আরো বর্ণনা করেন যে, "পাথর ও গাছপালা তার পক্ষে সাক্ষ্য দেবে।" ইবন খুযারমা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে, "আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি। গাছপালা, মাটির (পাকা) ঘর, পাথর, জিন্ন, মানুষ যে কেউ তা শুনবে, সে তার পক্ষে সাক্ষ্য দেবে।")
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
363 - وَعَن عبد الله بن عبد الرَّحْمَن بن أبي صعصعة عَن أَبِيه أَن أَبَا سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ لَهُ إِنِّي أَرَاك تحب الْغنم والبادية فَإِذا كنت فِي غنمك أَو باديتك فَأَذنت للصَّلَاة فارفع صَوْتك بالنداء فَإِنَّهُ لَا يسمع مدى صَوت الْمُؤَذّن جن وَلَا إنس وَلَا شَيْء إِلَّا شهد لَهُ يَوْم الْقِيَامَة
قَالَ أَبُو سعيد سمعته من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
وَرَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَزَاد وَلَا حجر وَلَا شجر إِلَّا شهد لَهُ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَلَفظه قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول لَا يسمع صَوته شجر وَلَا مدر وَلَا حجر وَلَا جن وَلَا إنس إِلَّا شهد لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৬৪. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: মুআযযিনের আযান শেষ হলেই তার গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক সজীব-নির্জীব বস্তু যে তার আযান শুনতে পায়, সে তার জন্য মাগফিরাত কামনা করে।
(আহমদ সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে এবং বাযযারও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে বাযযার (র) বলেছেনঃ "সজীব-নির্জীব বস্তু প্রত্যেকেই তার আযানের জবাব দেয়।")
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
364 - وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يغْفر للمؤذن مُنْتَهى
أَذَانه ويستغفر لَهُ كل رطب ويابس سَمعه
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد صَحِيح وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَالْبَزَّار إِلَّا أَنه قَالَ ويجيبه كل رطب ويابس
হাদীস নং: ৩৬৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৬৫. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী (সা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: আযানের ধ্বনি যতদূর যায়, মুআযযিনের ক্ষমা ততদূর পর্যন্ত প্রসারিত করা হয় এবং জীবন্ত-মৃত প্রত্যেকেই তা প্রত্যায়ন করে।

(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেন। শব্দমালা তাঁরই। ইমাম আবু দাউদ ও ইবন খুযায়মা তাঁদের সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে, "তার জন্য জীবন্ত-মৃত প্রত্যেকে কিয়ামতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দেবে।" ইমাম নাসাঈ আরো অতিরিক্ত শব্দযোগে বর্ণনা করেন যে, "তাকে এবং যারা তার (আযান শুনে) সালাত আদায় করে, তাকে তাদের অনুরূপ সওয়াব দেওয়া হবে।" ইবন মাজাহ (র) বলেনঃ তাঁর আযানের ধ্বনি যতদূর যায়, ততদূর পর্যন্ত ক্ষমা প্রসারিত করা হয় এবং প্রত্যেক জীবন্ত-মৃত বস্তুরাজি তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। (জামাআতে) সালাত আদায়কারীর জন্য পঁচিশগুণ সওয়াব লেখা হবে এবং দুই সালাতের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ মোচন করা হবে।"
[খাত্তাবী (র) বলেন] مدى الشَّيْء অর্থ হল: বস্তুর সীমা। হাদীসের অর্থ হলঃ মুআযযিনের কণ্ঠস্বর যখন ছড়িয়ে পড়ে এবং এলাকার প্রান্তসীমা পর্যন্ত তা পৌঁছে যায়, তখন আল্লাহর ক্ষমা সে পুরোপুরি লাভ করে।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] উপরোক্ত বর্ণনাটিকে আবার একটি বর্ণনা সাহায্য করে। তা হলঃ يغْفر لَهُ مد صَوته অর্থাৎ তার কণ্ঠস্বর যতদূর পর্যন্ত পৌঁছে, ততদূরের সব কিছুই তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। খাত্তাবী (র) উল্লিখিত হাদীসের ব্যাখ্যা প্রসংগে বলেছেন। যে, হাদীসটি একটি উপমা স্বরূপ। হাদীসটির উদ্দেশ্যে হল, মুআযযিনের কন্ঠস্বর যতদূর যায়, তার পাপরাশি যদি সেই স্থান ব্যাপী হয় এবং পাপরাশির শরীর যদি সে স্থান জুড়ে ফেলে, তবুও আল্লাহ তা'আলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
365 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فال الْمُؤَذّن يغْفر لَهُ مدى صَوته ويصدقه كل رطب ويابس
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَعِنْدَهُمَا وَيشْهد لَهُ كل رطب ويابس
وَالنَّسَائِيّ وَزَاد فِيهِ وَله مثل أجر من صلى مَعَه
وَابْن مَاجَه وَعِنْده يغْفر لَهُ مد صَوته ويستغفر لَهُ كل رطب ويابس وَشَاهد الصَّلَاة تكْتب لَهُ خمس وَعِشْرُونَ حَسَنَة وَيكفر عَنهُ مَا بَينهمَا
قَالَ الْخطابِيّ رَحمَه الله مدى الشَّيْء غَايَته وَالْمعْنَى أَنه يستكمل مغْفرَة الله تَعَالَى إِذا استوفى وَسعه فِي رفع الصَّوْت فَيبلغ الْغَايَة من الْمَغْفِرَة إِذا بلغ الْغَايَة من الصَّوْت
قَالَ الْحَافِظ رَحمَه الله وَيشْهد لهَذَا القَوْل رِوَايَة من قَالَ يغْفر لَهُ مد صَوته
بتَشْديد الدَّال أَي بِقدر مُدَّة صَوته
قَالَ الْخطابِيّ رَحمَه الله وَفِيه وَجه آخر وَهُوَ أَنه كَلَام تَمْثِيل وتشبيه يُرِيد أَن الْكَلَام الَّذِي يَنْتَهِي إِلَيْهِ الصَّوْت لَو يقدر أَن يكون مَا بَين أقصاه وَبَين مقَامه الَّذِي هُوَ فِيهِ ذنُوب تملأ تِلْكَ الْمسَافَة غفرها الله انْتهى
হাদীস নং: ৩৬৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৬৬. হযরত বারা ইবন আযিব (রা) থেকে বর্ণিত। আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সা) বলেছেন: যারা প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তাদের জন্য আল্লাহ ও ফিরিশতাকুল রহমত বর্ষণ করেন। আর মুআযযিনকে, আযানের ধ্বনি যতদূর যায়, ততদূর তার ক্ষমা প্রসারিত করা হয় এবং জীবন্ত-মৃত যে তার আযানের ধ্বনি শুনতে পায়, সে তা প্রত্যায়ন করে এবং তার সাথে যারা সালাত আদায় করে, প্রত্যেকের সমান সওয়াব তাকে দান করা হয়।
(আহমদ ও নাসাঈ হাসান ও উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাবারানী (র) আবূ উমামা (রা) সূত্রে নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন যে, "রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: মুআযযিনের আযানের ধ্বনি যতদূর যায়, ততদূর তার ক্ষমা প্রসারিত করা হয় এবং যারা তার সাথে সালাত আদায় করে, তাদের সমান সওয়াব তাকে দান করা হয়।")
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
366 - وَعَن الْبَراء بن عَازِب رَضِي الله عَنهُ أَن نَبِي الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الله وَمَلَائِكَته يصلونَ على الصَّفّ الْمُقدم والمؤذن يغْفر لَهُ مدى صَوته وَصدقه من سَمعه من رطب ويابس وَله أجر من صلى مَعَه
رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ بِإِسْنَاد حسن جيد وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ عَن أبي أُمَامَة وَلَفظه قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْمُؤَذّن يغْفر لَهُ مد صَوته وأجره مثل أجر من صلى مَعَه
হাদীস নং: ৩৬৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৬৭. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ মুআযযিনের মাথার উপর রয়েছে রাহমানুর রাহীম আল্লাহ তা'আলার হাত এবং তার কণ্ঠস্বর যতদূর পৌঁছে, ততদূর ক্ষমা তার জন্য প্রসারিত করা হয়।
(হাদীসটি তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
367 - وَرُوِيَ عَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَد الرَّحْمَن فَوق رَأس
الْمُؤَذّن وَإنَّهُ ليغفر لَهُ مدى صَوته أَيْن بلغ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
হাদীস নং: ৩৬৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৬৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: ইমাম হল সালাতের যামিনদার, আর মুআযযিন হল আমানতদার। হে আল্লাহ! তুমি ইমামদের সঠিক পথে পরিচালনা কর এবং মুআযযিনদের ক্ষমা করে দাও।
(আবু দাউদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়ামা ও ইবন হিব্বান তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে বলেছেন: "আল্লাহ ইমামদের সুপথে পরিচালনা করবেন এবং মুআযযিনদের ক্ষমা করবেন।" ইমাম আবু দাউদের অনুরূপ বর্ণনা ইবন খুযায়মা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
368 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الإِمَام ضَامِن والمؤذن مؤتمن اللَّهُمَّ أرشد الْأَئِمَّة واغفر للمؤذنين
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا إِلَّا أَنَّهُمَا قَالَا فأرشد الله الْأَئِمَّة وَغفر للمؤذنين
وَلابْن خُزَيْمَة رِوَايَة كَرِوَايَة أبي دَاوُد
হাদীস নং: ৩৬৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৬৯. অন্য সূত্রে হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ বলেছেন: মুআযযিনগণ হল আমানতদার এবং ইমাম হল যামিনদার। হে আল্লাহ! তুমি মুআযযিনদের ক্ষমা কর এবং ইমামদের সুপথে পরিচালিত কর। এ কথা তিনি তিনবার বলেছেন।
(ইমাম আহমদ (র) হাদীসটি হযরত আবূ উমামা (রা) সূত্রে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
369 - وَفِي أُخْرَى لَهُ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم المؤذنون أُمَنَاء وَالْأَئِمَّة ضمناء اللَّهُمَّ اغْفِر للمؤذنين وسدد الْأَئِمَّة
ثَلَاث مَرَّات
وَرَوَاهُ أَحْمد من حَدِيث أبي أُمَامَة بِإِسْنَاد حسن
হাদীস নং: ৩৭০
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৭০. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি: ইমাম হল যামিনদার এবং মুআযযিন আমানতদার। আল্লাহ ইমামদের সুপথে পরিচালনা করুন এবং মুআযযিনদের ক্ষমা করে দিন।
(ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
370 - وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول الإِمَام ضَامِن والمؤذن مؤتمن فأرشد الله الْأَئِمَّة وَعَفا عَن المؤذنين
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
হাদীস নং: ৩৭১
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৭১. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যখন সালাতের আযান দেওয়া হয়, তখন শয়তান বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পালিয়ে যায়, এমনকি সে আযানের ধ্বনি শুনতে পায় না। এরপর আযান শেষ হলে আবার ফিরে আসে। আর যখন ইকামত দেওয়া হয়, তখন সে আবার পেছনে ফিরে দৌড় দেয়। ইকামত শেষ হলে সে ফিরে আসে এবং মানুষের অন্তরে ওযাওয়াসা (ধোকা) দেয়। সে তাকে এমন সব জিনিসের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যা ইতিপূর্বে সে মনেও করেনি। ফলে সে কয় রাক'আত সালাত আদায় করল মনে করতে পারে না।
(মালিক, বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
[খাত্তাবী (র) বলেন]: তাসবীব বলতে এখানে ইকামাত বুঝান হয়েছে। জনসাধারণ তাসবীব বলতে মুআযযিনের ফজরের আযানের الصَّلَاة خير من النّوم কে বুঝে থাকে। তাসবীব-এর অর্থ হলঃ কোন বস্তুর ব্যাপারে অবহিত করা, কোন বিপদে সতর্ক করা। ইকামাতকে তাসবীব এই অর্থে বলা হয়েছে যে, সালাত আদায় করা হবে, আর ইকামাতের উদ্দেশ্য হল সালাতের সময়ের ঘোষণা দেওয়া।
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
371 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا نُودي بِالصَّلَاةِ أدبر الشَّيْطَان وَله ضراط حَتَّى لَا يسمع التأذين فَإِذا قضي الْأَذَان أقبل فَإِذا ثوب أدبر فَإِذا قضي التثويب أقبل حَتَّى يخْطر بَين الْمَرْء وَنَفسه يَقُول اذكر كَذَا اذكر كَذَا لما لم يكن يذكر من قبل حَتَّى يظل الرجل مَا يدْرِي كم صلى
رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
قَالَ الْخطابِيّ رَحمَه الله التثويب هُنَا الْإِقَامَة والعامة لَا تعرف التثويب إِلَّا قَول الْمُؤَذّن فِي صَلَاة الْفجْر الصَّلَاة خير من النّوم وَمعنى التثويب الْإِعْلَام بالشَّيْء والإنذار بِوُقُوعِهِ وَإِنَّمَا سميت الْإِقَامَة تثويبا لِأَنَّهُ إِعْلَام بِإِقَامَة الصَّلَاة وَالْأَذَان إِعْلَام بِوَقْت الصَّلَاة
হাদীস নং: ৩৭২
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৭২. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ শয়তান যখন সালাতের আযান শোনে, তখন সে মদীনা থেকে রাওহা পর্যন্ত চলে যায়। রাবী বলেন: মদীনা থেকে রাওহার দুরত্ব হল ছত্রিশ মাইল।
(মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
372 - وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن الشَّيْطَان إِذا سمع النداء بِالصَّلَاةِ ذهب حَتَّى يكون مَكَان الروحاء
قَالَ الرَّاوِي والروحاء من الْمَدِينَة على سِتَّة وَثَلَاثِينَ ميلًا
رَوَاهُ مُسلم
হাদীস নং: ৩৭৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৭৩. হযরত মু'আবিয়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি: তিনি বলেন: কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে মুআযযিনগণ দীর্ঘ গর্দানবিশিষ্ট হবে।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
373 - وَعَن مُعَاوِيَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول المؤذنون أطول
النَّاس أعناقا يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ مُسلم وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه من حَدِيث أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৭৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৭৪. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ আমি শপথ করলে তা পূরণ করি। আল্লাহর নিকট তাঁর বান্দাদের মধ্যে চন্দ্র-সূর্যের প্রতি যারা লক্ষ্য রাখেন অর্থাৎ মুআযযিনগণ সর্বাধিক প্রিয়। আর কিয়ামতের দিন তাদের গর্দান দীর্ঘ হওয়ায় (সহজেই) তাদের চেনা যাবে।
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
374 - وَرُوِيَ عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَو أَقْسَمت لبررت إِن أحب عباد الله إِلَى الله لرعاة الشَّمْس وَالْقَمَر
يَعْنِي المؤذنين وَإِنَّهُم ليعرفون يَوْم الْقِيَامَة بطول أَعْنَاقهم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
হাদীস নং: ৩৭৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৭৫. হযরত ইবন আবু আউফা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন: চন্দ্র-সূর্য ও নক্ষত্রের প্রতি যারা আল্লাহর যিকরের উদ্দেশ্যে দৃষ্টি রাখে, তারা আল্লাহর উত্তম বান্দা।
(তাবারানী নিজ শব্দে, বাযযার ও হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন: হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত। এরপর তিনি মাওকুফ সূত্রে বর্ণনা করেন এবং বলেন: মাওকূফ হাদীসটি মারফু হাদীসের জন্য ক্ষতিকর নয়। যেহেতু ইবন উয়ায়না ও ইবন মুবারক উভয়ে হাফিযুল হাদীস। আবূ হাফস ইবন শাহীন বর্ণনা করেন যে, হাদীসটি ইবন উয়ায়না (র) মিসআর সূত্রে একা বর্ণনা করেছেন। বর্ণনামতে এর কোন সূত্রে গরীব এবং কোন সূত্রে সহীহ।)
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
375 - وَعَن ابْن أبي أوفى رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن خِيَار عباد الله الَّذين يراعون الشَّمْس وَالْقَمَر والنجوم لذكر الله
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَالْبَزَّار وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد ثمَّ رَوَاهُ مَوْقُوفا وَقَالَ هَذَا لَا يفْسد الأول لِأَن ابْن عُيَيْنَة حَافظ وَكَذَلِكَ ابْن الْمُبَارك انْتهى
وَرَوَاهُ أَبُو حَفْص بن شاهين وَقَالَ تفرد بِهِ ابْن عُيَيْنَة عَن مسعر وَحدث بِهِ غَيره وَهُوَ حَدِيث غَرِيب صَحِيح
হাদীস নং: ৩৭৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৭৬. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: কবর থেকে মুআযযিনগণ আযান দিতে দিতে উঠবে এবং তালবীয়া পাঠকারীগণ (হাজীগণ) তালবীয়া পাঠ করতে করতে কবর থেকে বেরিয়ে আসবে।
(তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
376 - وَرُوِيَ عَن جَابر رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن المؤذنين والملبين يخرجُون من قُبُورهم يُؤذن الْمُؤَذّن ويلبي الملبي
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
হাদীস নং: ৩৭৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৭৭. হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তিন ব্যক্তি মিশকের স্তূপের উপর অবস্থান করবে। তিনি বলেন, আমার মনে পড়ে তিনি আরো বলেছেন: কিয়ামতের দিন, তিনি তাঁর বর্ণনায় আরো (বাড়িয়ে) বলেন, প্রথম থেকে শেষ (সবাই)। তারা হলঃ ১. ঐ ক্রীতদাস, যে আল্লাহ ও তার মনিবের হক আদায় করে, ২. ঐ ব্যক্তি, যে তার কওমের ইমামতি করে, আর তারা তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট এবং ৩. ঐ ব্যক্তি যে দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের জন্য আযান দেয়।
(আহমদ ও তিরমিযী সুফিয়ান সূত্রে আবু ইয়াকযান থেকে যাযান সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (র) বলেন: এই হাদীসটি হাসান-গরীব।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আবু ইয়াকযান একজন স্থল বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি। বিশ্বস্ত রাবীগণও তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযীর মতে তাঁর প্রকৃত নাম উসমান ইবন কায়স। কারো কারো মতে, উসমান ইবন উমায়র। কেউ কেউ বলেন, উসমান ইবন আবু হুমায়দ। কেউ কেউ অন্য নামও বলেন। তাবারানীর 'আওসাত' ও 'সগীর' গ্রন্থে ত্রুটিমুক্ত সনদে হাদীসটি বর্ণিত।
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
377 - وَعَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ثَلَاثَة على كُثْبَان الْمسك
وَأرَاهُ قَالَ يَوْم الْقِيَامَة
زَاد فِي رِوَايَة يَغْبِطهُمْ الْأَولونَ وَالْآخرُونَ عبد أدّى حق الله وَحقّ موَالِيه وَرجل أم قوما وهم بِهِ راضون وَرجل يُنَادي بالصلوات الْخمس فِي كل يَوْم وَلَيْلَة
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ من رِوَايَة سُفْيَان عَن أبي الْيَقظَان عَن زَاذَان عَنهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
قَالَ الْحَافِظ وَأَبُو الْيَقظَان واه وَقد روى عَنهُ الثِّقَات واسْمه عُثْمَان بن قيس قَالَه التِّرْمِذِيّ وَقيل عُثْمَان بن عُمَيْر وَقيل عُثْمَان بن أبي حميد وَقيل غير ذَلِك وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالصَّغِير بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
হাদীস নং: ৩৭৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৭৮. হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তিন ব্যক্তি কিয়ামতের ভয়াবহতায় কোন প্রকার দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না এবং তাদের হিসাবের ঝামেলাও থাকবে না। তারা মিশকের স্তূপের উপর অবস্থান করবে, যতক্ষণ আল্লাহ বিচার কাজ শেষ করবেন। তারা হলঃ ১. যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কুরআন তিলাওয়াত করে এবং কুরআন জানার কারণে কাওমের ইমামতি করে, আর তারা তার প্রতি সন্তুষ্ট, ২. যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সালাতের দিকে ডাকে এবং ৩. ঐ গোলাম, যে আল্লাহ ও তার নিজের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন এবং তার ও তার মনিবের মধ্যে সুসম্পর্ক রেখেছে।
(হাদীসটি 'কাবীর' গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
378 - وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاثَة لَا يهولهم الْفَزع الْأَكْبَر وَلَا ينالهم الْحساب هم على كثب من مسك حَتَّى يفرغ من حِسَاب الْخَلَائق رجل قَرَأَ الْقُرْآن ابْتِغَاء
وَجه الله وَأم بِهِ قوما وهم بِهِ راضون وداع يَدْعُو إِلَى الصَّلَاة ابْتِغَاء وَجه الله وَعبد أحسن فِيمَا بَينه وَبَين ربه وَفِيمَا بَينه وَبَين موَالِيه
وَرَوَاهُ فِي الْكَبِير
হাদীস নং: ৩৭৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৭৯. মুজামুল কাবীর গ্রন্থে হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যদি রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে সাতবার না শুনতাম, তবে হাদীসটি বর্ণনা করতাম না। আমি রাসূলুল্লাহ-কে বলতে শুনেছি: কিয়ামতের দিন তিন দল লোক মিশকের স্তূপের উপর অবস্থান করবে। অন্যরা যখন ভীত-সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়বে, তখন তারা ভীত-বিহবল হবে না, তারা হলঃ ১. যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর রহমতের উদ্দেশ্যে কুরআন শিক্ষা দিল এবং আমল করল, ২. যে ব্যক্তি দিন-রাতে পাঁচবার লোকদের সালাতের দিকে আহবান জানাল এবং ৩. যে গোলাম তার মনিবের আনুগত্য থেকে নিজকে স্বীয় রবের আনুগত্য থেকে বিরত রাখেনি।
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
379 - وَلَفظه عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ لَو لم أسمعهُ من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَّا مرّة وَمرَّة وَمرَّة حَتَّى عد سبع مَرَّات لما حدثت بِهِ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول ثَلَاثَة على كُثْبَان الْمسك يَوْم الْقِيَامَة لَا يهولهم الْفَزع وَلَا يفزعون حِين يفزع النَّاس رجل علم الْقُرْآن فَقَامَ بِهِ يطْلب بِهِ وَجه الله وَمَا عِنْده وَرجل نَادَى فِي كل يَوْم وَلَيْلَة خمس صلوَات يطْلب وَجه الله وَمَا عِنْده ومملوك لم يمنعهُ رق الدُّنْيَا من طَاعَة ربه
হাদীস নং: ৩৮০
অধ্যায়ঃ নামাজ
অধ্যায়: সালাত
আযান দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং আযানের ফযীলত
৩৮০. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) এক ব্যক্তিকে الله أكبر الله أكبر আল্লাহ আকবার, আল্লাহ আকবার) বলতে শুনলেন। নবী (সা) বললেন: লোকটি ফিতরাতের ইসলাম) উপর আছে। এরপর সে أشهد أَن لَا إِلَه إِلَّا الله (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই) বলল। তিনি বললেন: লোকটি জাহান্নাম থেকে নাজাত পেল। একদল লোক তার কাছে এগিয়ে গেল এবং দেখতে পেল, সে একজন বকরীর রাখাল। আর যখন সালাতের সময় হলো, তখন সে দাঁড়িয়ে আযান দিল।
(ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে এবং ইমাম মুসলিম (র)-ও অনুরূপ অর্থসহ বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْأَذَان وَمَا جَاءَ فِي فَضله
380 - وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رجلا وَهُوَ فِي مسير لَهُ يَقُول الله أكبر الله أكبر
فَقَالَ نَبِي الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم على الْفطْرَة
فَقَالَ أشهد أَن لَا إِلَه إِلَّا الله قَالَ خرج من النَّار فَاسْتَبق الْقَوْم إِلَى الرجل
فَإِذا راعي غنم حَضرته الصَّلَاة فَقَامَ يُؤذن
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَهُوَ فِي مُسلم بِنَحْوِهِ