আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৯. অধ্যায়ঃ রোযা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ১৪৪৭
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৪৭. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন যে, মহান আল্লাহ্ বলেন: আদম সন্তানের প্রতিটি আমল তার নিজের জন্য কিন্তু রোযা এর ব্যতিক্রম। কেননা এটি আমারই জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দিব। রোযা ঢাল স্বরূপ। অতএব তোমাদের কারো যখন রোযার দিন আসে, তখন যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং চেঁচামেচি না করে। কেউ যদি তাকে গালি দেয় অথবা তার সাথে ঝগড়া করতে আসে, তখন সে যেন বলে দেয়, আমি রোযাদার, আমি রোযাদার। ঐ মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মদের প্রাণ। রোযাদারের মুখে গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর পসন্দনীয়। রোযাদারের জন্য দু'টি আনন্দ রয়েছে। সে যখন ইফতার করে তখন একটি আনন্দ লাভ করে, আবার যখন সে আপন প্রতিপালকের সাক্ষাত লাভ করবে, তখন রোযার বিনিময় পেয়ে আনন্দিত হবে।
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ বুখারীর।)
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ বুখারীর।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1447- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الله عز وَجل كل عمل ابْن آدم لَهُ إِلَّا الصَّوْم فَإِنَّهُ لي وَأَنا أجزي بِهِ وَالصِّيَام جنَّة فَإِذا كَانَ يَوْم صَوْم أحدكُم فَلَا يرْفث وَلَا يصخب فَإِن سابه أحد أَو قَاتله فَلْيقل إِنِّي صَائِم إِنِّي صَائِم وَالَّذِي نفس مُحَمَّد بِيَدِهِ لخلوف الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك للصَّائِم فرحتان يفرحهما إِذا أفطر فَرح بفطره وَإِذا لَقِي ربه فَرح بصومه
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَمُسلم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَمُسلم

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৪৮
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৪৮. বুখারীর অপর এক বর্ণনায় এমন রয়েছে: রোযাদার আমার উদ্দেশ্যেই পানাহার ও কাম-বাসনা ত্যাগ করে, রোযা আমার জন্যই এবং আমিই এর প্রতিদান দিব। আর একটি পুণ্যের পুরস্কার হচ্ছে দশগুণ।
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1448- وَفِي رِوَايَة للْبُخَارِيّ يتْرك طَعَامه وَشَرَابه وشهوته من أَجلي الصّيام لي وَأَنا أجزي بِهِ والحسنة بِعشر أَمْثَالهَا

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৪৯
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৪৯. মুসলিমের এক বর্ণনায় রয়েছে। আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের সওয়াব দশ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। মহান আল্লাহ্ বলেন কিন্তু রোযা, কেননা এটি কেবল আমারই জন্য, আমি নিজেই এর প্রতিদান দিব। বান্দা আমার উদ্দেশ্যেই তার কামনা-বাসনা ও আহার থেকে বিরত থাকে। রোযাদারের জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে। একটি তার ইফতারের সময়, অপরটি তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাতের সময়। আর অবশ্যই রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর পসন্দনীয়।
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1449- وَفِي رِوَايَة لمُسلم كل عمل ابْن آدم يُضَاعف الْحَسَنَة بِعشر أَمْثَالهَا إِلَى سَبْعمِائة ضعف
قَالَ الله تَعَالَى إِلَّا الصَّوْم فَإِنَّهُ لي وَأَنا أجزي بِهِ يدع شَهْوَته وَطَعَامه من أَجلي للصَّائِم فرحتان فرحة عِنْد فطره وفرحة عِنْد لِقَاء ربه ولخلوف فَم الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك
قَالَ الله تَعَالَى إِلَّا الصَّوْم فَإِنَّهُ لي وَأَنا أجزي بِهِ يدع شَهْوَته وَطَعَامه من أَجلي للصَّائِم فرحتان فرحة عِنْد فطره وفرحة عِنْد لِقَاء ربه ولخلوف فَم الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৫০
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৫০. মুসলিমের অপর একটি বর্ণনায় ও ইব্ন খুযায়মার রিওয়ায়াতে এমন রয়েছে। রোযাদার বান্দা যখন মহান আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে ও তিনি এর প্রতিদান দেবেন, তখন সে আনন্দ লাভ করবে।
(মালিক, আবু দাউদ, তিরমিযী এবং নাসাঈও এই মর্মে শব্দের কিছু পার্থক্যসহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(মালিক, আবু দাউদ, তিরমিযী এবং নাসাঈও এই মর্মে শব্দের কিছু পার্থক্যসহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1450- وَفِي أُخْرَى لَهُ أَيْضا وَلابْن خُزَيْمَة وَإِذا لَقِي الله عز وَجل فجزاه فَرح
الحَدِيث
وَرَوَاهُ مَالك وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ بِمَعْنَاهُ مَعَ اخْتِلَاف بَينهم فِي الْأَلْفَاظ
الحَدِيث
وَرَوَاهُ مَالك وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ بِمَعْنَاهُ مَعَ اخْتِلَاف بَينهم فِي الْأَلْفَاظ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৫১
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৫১. তিরমিযীর এক বর্ণনায় রয়েছে: রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: তোমাদের প্রতিপালক বলেন, প্রত্যেক নেক আমলের সওয়াব দশগুণ থেকে সাতশগুণ পর্যন্ত দেয়া হয়। তবে রোযা আমারই জন্য আর আমিই এর প্রতিদান দেব। আর রোযা হচ্ছে ঢাল। রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিক পসন্দনীয়। তোমাদের কারো সাথে যদি রোযা অবস্থায় কোন অজ্ঞ ব্যক্তি মূর্খতা সূলভ আচরণ করে, তবে সে যেন বলে দেয়, আমি রোযাদার। আমি রোযাদার!!
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1451- وَفِي رِوَايَة لِلتِّرْمِذِي قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن ربكُم يَقُول كل حَسَنَة بِعشر أَمْثَالهَا إِلَى سَبْعمِائة ضعف وَالصَّوْم لي وَأَنا أجزي بِهِ وَالصَّوْم جنَّة من النَّار ولخلوف الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك وَإِن جهل على أحدكُم جَاهِل وَهُوَ صَائِم فَلْيقل إِنِّي صَائِم إِنِّي صَائِم

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৫২
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৫২. ইব্ন খুযায়মার এক বর্ণনায় রয়েছে: রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন, মহান আল্লাহ্ বলেন। আদম সন্তানের প্রতিটি আমল তার নিজের জন্য, কিন্তু রোযা, কেননা এটি কেবল আমারই জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব। রোযা হচ্ছে ঢাল। ঐ সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মদের জীবন, রোযাদারের মুখের গন্ধ কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধি হতেও অধিকতর পসন্দনীয়। রোযাদারের জন্য দু'টি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে। ইফতার করে সে আনন্দ লাভ করে। তার প্রতিপালকের সাথে যখন সে সাক্ষাৎ লাভ করবে, তখনও রোযার বদৌলতে আনন্দ লাভ করবে।
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1452- وَفِي رِوَايَة لِابْنِ خُزَيْمَة قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَعْنِي قَالَ الله عز وَجل كل عمل ابْن آدم لَهُ إِلَّا الصَّوْم فَهُوَ لي وَأَنا أجزي بِهِ الصّيام جنَّة وَالَّذِي نفس مُحَمَّد بِيَدِهِ لخلوف الصَّائِم أطيب عِنْد الله يَوْم الْقِيَامَة من ريح الْمسك
للصَّائِم فرحتان إِذا أفطر فَرح بفطره وَإِذا لَقِي ربه فَرح بصومه
للصَّائِم فرحتان إِذا أفطر فَرح بفطره وَإِذا لَقِي ربه فَرح بصومه

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৫৩
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৫৩. তাঁরই অপর এক বর্ণনায় এরূপ রয়েছে: 
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। আদম সন্তানের সকল আমল তারই জন্য এবং এগুলোতে দশ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত সওয়াব দেয়া হবে। আল্লাহ্ বলেন, কিন্তু রোযা, এটি কেবল আমারই জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব। রোযাদার আমারই জন্যে আহার্য ত্যাগ করে, আমারই জন্যে পানীয় ত্যাগ করে, আমারই জন্যে তার সুখ ভোগ বিসর্জন দেয়, আর আমারই জন্যে তার স্ত্রী সম্ভোগ পরিত্যাগ করে। রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর পসন্দনীয়। রোযাদারের দু'টি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে,
একটি আনন্দ তার ইফতারের সময় এবং আরেকটি আনন্দ আপন প্রতিপালকের সাথে তার সাক্ষাতের সময়।
সুফয়ান ইবন উয়ায়না (র)-কে আল্লাহর এই বাণী সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ "আদম সন্তানের সকল আমল তার নিজের জন্যে, কিন্তু রোযা, কেননা এটি কেবল আমারই জন্যে।" এর মর্ম কি? তিনি তখন বলেছিলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাঁর বান্দার হিসাব গ্রহণ করবেন এবং সমস্ত আমল থেকে তার যুলমের ক্ষতিপূরণ আদায় করবেন। পরিশেষে কেবলমাত্র রোযাই অবশিষ্ট থাকবে। তখন আল্লাহ্ তার যুলমের ক্ষতিপূরণের ভার নিজে গ্রহণ করবেন এবং রোযার বদৌলতে তাকে জান্নাতে দাখিল করে দিবেন। এই হল সুফয়ান (র)-এর বক্তব্য। এ ব্যাখ্যাটি অত্যন্ত বিরল। এই কথাটির ব্যাখ্যায় আরও অনেক মত রয়েছে। এখানে সবগুলো আলোচনা করার অবকাশ নেই।
ইতিপূর্বে হারিস আশ'আরীর বর্ণিত হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে। আমি তোমাদেরকে রোযা পালনের নির্দেশ দিচ্ছি। আর রোযার উদাহরণ হচ্ছে এমন যে, কোন একটি দলের জনৈক ব্যক্তির নিকট মিশকের একটি খলে রয়েছে, আর সবাই এর সুবাস পেতে চায়। রোযা আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও বেশি অধিকতর পসন্দনীয়.....
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং একে সহীহ বলে অভিহিত করেছেন, তবে তাঁর বর্ণনাটি এরূপ:
রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর প্রিয়। হাদীসটি ইবন খুযায়মাও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। ইবন হিব্বান এবং হাকিমও এটি বর্ণনা করেন।)
পূর্ণ হাদীসটি ইতিপূর্বে 'সালাতে এদিকে সেদিকে তাকানো' শিরোনামে অতিবাহিত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। আদম সন্তানের সকল আমল তারই জন্য এবং এগুলোতে দশ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত সওয়াব দেয়া হবে। আল্লাহ্ বলেন, কিন্তু রোযা, এটি কেবল আমারই জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব। রোযাদার আমারই জন্যে আহার্য ত্যাগ করে, আমারই জন্যে পানীয় ত্যাগ করে, আমারই জন্যে তার সুখ ভোগ বিসর্জন দেয়, আর আমারই জন্যে তার স্ত্রী সম্ভোগ পরিত্যাগ করে। রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর পসন্দনীয়। রোযাদারের দু'টি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে,
একটি আনন্দ তার ইফতারের সময় এবং আরেকটি আনন্দ আপন প্রতিপালকের সাথে তার সাক্ষাতের সময়।
সুফয়ান ইবন উয়ায়না (র)-কে আল্লাহর এই বাণী সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ "আদম সন্তানের সকল আমল তার নিজের জন্যে, কিন্তু রোযা, কেননা এটি কেবল আমারই জন্যে।" এর মর্ম কি? তিনি তখন বলেছিলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাঁর বান্দার হিসাব গ্রহণ করবেন এবং সমস্ত আমল থেকে তার যুলমের ক্ষতিপূরণ আদায় করবেন। পরিশেষে কেবলমাত্র রোযাই অবশিষ্ট থাকবে। তখন আল্লাহ্ তার যুলমের ক্ষতিপূরণের ভার নিজে গ্রহণ করবেন এবং রোযার বদৌলতে তাকে জান্নাতে দাখিল করে দিবেন। এই হল সুফয়ান (র)-এর বক্তব্য। এ ব্যাখ্যাটি অত্যন্ত বিরল। এই কথাটির ব্যাখ্যায় আরও অনেক মত রয়েছে। এখানে সবগুলো আলোচনা করার অবকাশ নেই।
ইতিপূর্বে হারিস আশ'আরীর বর্ণিত হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে। আমি তোমাদেরকে রোযা পালনের নির্দেশ দিচ্ছি। আর রোযার উদাহরণ হচ্ছে এমন যে, কোন একটি দলের জনৈক ব্যক্তির নিকট মিশকের একটি খলে রয়েছে, আর সবাই এর সুবাস পেতে চায়। রোযা আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও বেশি অধিকতর পসন্দনীয়.....
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং একে সহীহ বলে অভিহিত করেছেন, তবে তাঁর বর্ণনাটি এরূপ:
রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর প্রিয়। হাদীসটি ইবন খুযায়মাও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। ইবন হিব্বান এবং হাকিমও এটি বর্ণনা করেন।)
পূর্ণ হাদীসটি ইতিপূর্বে 'সালাতে এদিকে সেদিকে তাকানো' শিরোনামে অতিবাহিত হয়েছে।
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1453- وَفِي أُخْرَى لَهُ قَالَ كل عمل ابْن آدم لَهُ الْحَسَنَة بِعشر أَمْثَالهَا إِلَى سَبْعمِائة ضعف
قَالَ الله إِلَّا الصَّوْم فَهُوَ لي وَأَنا أجزي بِهِ يدع الطَّعَام من أَجلي ويدع الشَّرَاب من أَجلي ويدع لذته من أَجلي ويدع زَوجته من أَجلي ولخلوف الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك وللصائم فرحتان فرحة حِين يفْطر وفرحة حِين يلقى ربه
الرَّفَث بِفَتْح الرَّاء وَالْفَاء يُطلق وَيُرَاد بِهِ الْجِمَاع وَيُطلق وَيُرَاد بِهِ الْفُحْش وَيُطلق وَيُرَاد بِهِ خطاب الرجل وَالْمَرْأَة فِيمَا يتَعَلَّق بِالْجِمَاعِ
وَقَالَ كثير من الْعلمَاء إِن المُرَاد بِهِ فِي هَذَا الحَدِيث الْفُحْش ورديء الْكَلَام
وَالْجنَّة بِضَم الْجِيم هُوَ مَا يجنك
أَي يسترك ويقيك مِمَّا تخَاف وَمعنى الحَدِيث إِن الصَّوْم يستر صَاحبه ويحفظه من الْوُقُوع فِي الْمعاصِي
والخلوف بِفَتْح الْخَاء الْمُعْجَمَة وَضم اللَّام هُوَ تغير رَائِحَة الْفَم من الصَّوْم
وَسُئِلَ سُفْيَان بن عُيَيْنَة عَن قَوْله تَعَالَى كل عمل ابْن آدم لَهُ إِلَّا الصَّوْم فَإِنَّهُ لي فَقَالَ إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة يُحَاسب الله عز وَجل عَبده وَيُؤَدِّي مَا عَلَيْهِ من الْمَظَالِم من سَائِر عمله حَتَّى لَا يبْقى إِلَّا الصَّوْم فيتحمل الله
مَا بَقِي عَلَيْهِ من الْمَظَالِم ويدخله بِالصَّوْمِ الْجنَّة هَذَا كَلَامه وَهُوَ غَرِيب
وَفِي معنى هَذِه اللَّفْظَة أوجه كَثِيرَة لَيْسَ هَذَا مَوضِع استيفائها
وَتقدم حَدِيث الْحَارِث الْأَشْعَرِيّ فِيهِ وآمركم بالصيام وَمثل ذَلِك كَمثل رجل فِي عِصَابَة مَعَه صرة مسك كلهم يحب أَن يجد رِيحهَا وَإِن الصّيام أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك
الحَدِيث
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَصَححهُ إِلَّا أَنه قَالَ وَإِن ريح الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك
وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن حبَان وَالْحَاكِم وَتقدم بِتَمَامِهِ فِي الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة
قَالَ الله إِلَّا الصَّوْم فَهُوَ لي وَأَنا أجزي بِهِ يدع الطَّعَام من أَجلي ويدع الشَّرَاب من أَجلي ويدع لذته من أَجلي ويدع زَوجته من أَجلي ولخلوف الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك وللصائم فرحتان فرحة حِين يفْطر وفرحة حِين يلقى ربه
الرَّفَث بِفَتْح الرَّاء وَالْفَاء يُطلق وَيُرَاد بِهِ الْجِمَاع وَيُطلق وَيُرَاد بِهِ الْفُحْش وَيُطلق وَيُرَاد بِهِ خطاب الرجل وَالْمَرْأَة فِيمَا يتَعَلَّق بِالْجِمَاعِ
وَقَالَ كثير من الْعلمَاء إِن المُرَاد بِهِ فِي هَذَا الحَدِيث الْفُحْش ورديء الْكَلَام
وَالْجنَّة بِضَم الْجِيم هُوَ مَا يجنك
أَي يسترك ويقيك مِمَّا تخَاف وَمعنى الحَدِيث إِن الصَّوْم يستر صَاحبه ويحفظه من الْوُقُوع فِي الْمعاصِي
والخلوف بِفَتْح الْخَاء الْمُعْجَمَة وَضم اللَّام هُوَ تغير رَائِحَة الْفَم من الصَّوْم
وَسُئِلَ سُفْيَان بن عُيَيْنَة عَن قَوْله تَعَالَى كل عمل ابْن آدم لَهُ إِلَّا الصَّوْم فَإِنَّهُ لي فَقَالَ إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة يُحَاسب الله عز وَجل عَبده وَيُؤَدِّي مَا عَلَيْهِ من الْمَظَالِم من سَائِر عمله حَتَّى لَا يبْقى إِلَّا الصَّوْم فيتحمل الله
مَا بَقِي عَلَيْهِ من الْمَظَالِم ويدخله بِالصَّوْمِ الْجنَّة هَذَا كَلَامه وَهُوَ غَرِيب
وَفِي معنى هَذِه اللَّفْظَة أوجه كَثِيرَة لَيْسَ هَذَا مَوضِع استيفائها
وَتقدم حَدِيث الْحَارِث الْأَشْعَرِيّ فِيهِ وآمركم بالصيام وَمثل ذَلِك كَمثل رجل فِي عِصَابَة مَعَه صرة مسك كلهم يحب أَن يجد رِيحهَا وَإِن الصّيام أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك
الحَدِيث
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَصَححهُ إِلَّا أَنه قَالَ وَإِن ريح الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك
وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن حبَان وَالْحَاكِم وَتقدم بِتَمَامِهِ فِي الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৫৪
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৫৪. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মানুষের আমলসমূহ আল্লাহর নিকট সাত প্রকারের: দুটি আমল অপর দু'টি বিষয়কে অনিবার্যভাবে সাব্যস্ত করে দেয়, আর দু'টি আমল সমান সমান থাকে, একটি আমল দশগুণ পুণ্য বয়ে আনে, আর একটি আমল সাতশ' গুণ পুণ্য বয়ে আনে। অপর একটি আমল এমন যে, এর পুণ্য আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।
অনিবার্যভাবে সাব্যস্তকারী আমল দু'টি হল এই যে, যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে ইবাদত করে ও শিরকমুক্ত থেকে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে, তার জন্য জান্নাত অনিবার্য। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করে তাঁর সাথে সাক্ষাত করবে, তার জন্য জাহান্নাম অনিবার্য।
সমান সমান আমল হল এইঃ যে ব্যক্তি কোন পাপকাজ করল, তাকে এ অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে, আর যে ব্যক্তি কোন পুণ্যকাজের ইচ্ছা করল কিন্তু কাজে পরিণত করতে পারল না, তাকে তার এ সদিচ্ছার জন্যে একটি পুণ্য দেয়া হবে।
যে ব্যক্তি কোন পুণ্য কাজের ইচ্ছা করে তাকে বাস্তবায়িত করল, তাকে দশগুণ বিনিময় দেয়া হবে। যে ব্যক্তি নিজের সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করল, তার এ দানের প্রতিদান বাড়িয়ে এক দিরহামে সাতশ' দিরহাম ও এক দীনারে সাতশ' দীনারের পুণ্য দেয়া হবে। আর রোযা একমাত্র আল্লাহর জন্য, রোযাদারের প্রতিদানের কথা আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউই অবগত নয়।
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। সহীহ ইবন হিব্বানে এটি হুরায়ম ইবন ফাতিক-এর হাদীস হিসেবে বর্ণিত হয়েছে; তবে সেখানে রোযার উল্লেখ নেই।)
অনিবার্যভাবে সাব্যস্তকারী আমল দু'টি হল এই যে, যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে ইবাদত করে ও শিরকমুক্ত থেকে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে, তার জন্য জান্নাত অনিবার্য। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করে তাঁর সাথে সাক্ষাত করবে, তার জন্য জাহান্নাম অনিবার্য।
সমান সমান আমল হল এইঃ যে ব্যক্তি কোন পাপকাজ করল, তাকে এ অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে, আর যে ব্যক্তি কোন পুণ্যকাজের ইচ্ছা করল কিন্তু কাজে পরিণত করতে পারল না, তাকে তার এ সদিচ্ছার জন্যে একটি পুণ্য দেয়া হবে।
যে ব্যক্তি কোন পুণ্য কাজের ইচ্ছা করে তাকে বাস্তবায়িত করল, তাকে দশগুণ বিনিময় দেয়া হবে। যে ব্যক্তি নিজের সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করল, তার এ দানের প্রতিদান বাড়িয়ে এক দিরহামে সাতশ' দিরহাম ও এক দীনারে সাতশ' দীনারের পুণ্য দেয়া হবে। আর রোযা একমাত্র আল্লাহর জন্য, রোযাদারের প্রতিদানের কথা আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউই অবগত নয়।
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। সহীহ ইবন হিব্বানে এটি হুরায়ম ইবন ফাতিক-এর হাদীস হিসেবে বর্ণিত হয়েছে; তবে সেখানে রোযার উল্লেখ নেই।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1454- وَرُوِيَ عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْأَعْمَال عِنْد الله عز وَجل سبع عملان موجبان وعملان بأمثالهما وَعمل بِعشر أَمْثَاله وَعمل بسبعمائة وَعمل لَا يعلم ثَوَاب عَامله إِلَّا الله عز وَجل فَأَما الموجبان فَمن لَقِي الله يعبده مخلصا لَا يُشْرك بِهِ شَيْئا وَجَبت لَهُ الْجنَّة وَمن لَقِي الله قد أشرك بِهِ وَجَبت لَهُ النَّار وَمن عمل سَيِّئَة جزي بهَا وَمن أَرَادَ أَن يعْمل حَسَنَة فَلم يعملها جزي مثلهَا وَمن عمل حَسَنَة جزي عشرا وَمن أنْفق مَاله فِي سَبِيل الله ضعفت لَهُ نَفَقَته الدِّرْهَم بسبعمائة وَالدِّينَار بسبعمائة وَالصِّيَام لله عز وَجل لَا يعلم ثَوَاب عَامله إِلَّا الله عز وَجل
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْبَيْهَقِيّ وَهُوَ فِي صَحِيح ابْن حبَان من حَدِيث حَرِيم بن فاتك بِنَحْوِهِ لم يذكر فِيهِ الصَّوْم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْبَيْهَقِيّ وَهُوَ فِي صَحِيح ابْن حبَان من حَدِيث حَرِيم بن فاتك بِنَحْوِهِ لم يذكر فِيهِ الصَّوْم

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৫৫
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৫৫. হযরত সাহল ইবন সা'দ (রা) সূত্রে নবী ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: জান্নাতের একটি বিশেষ দরজা রয়েছে, যার নাম 'রাইয়ান'। কিয়ামতের দিন কেবলমাত্র রোযাদারগণ এই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অন্য কেউ এ দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। তারা যখন প্রবেশ করবে, তখন এটি বন্ধ করে দেয়া হবে। তাই আর কেউ এদিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী এ কথাটি অতিরিক্ত বলেছেন:
যারা এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে, তারা কখনও পিপাসা অনুভব করবে না।
ইবন খুযায়মাও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এভাবে বলেছেন।
রোযাদারদের কেউ যখন এ দিয়ে প্রবেশ করবে তখন পানি পান করবে, আর যে পানি পান করবে, সে কখনও পিপাসা অনুভব করবে না।)
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী এ কথাটি অতিরিক্ত বলেছেন:
যারা এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে, তারা কখনও পিপাসা অনুভব করবে না।
ইবন খুযায়মাও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এভাবে বলেছেন।
রোযাদারদের কেউ যখন এ দিয়ে প্রবেশ করবে তখন পানি পান করবে, আর যে পানি পান করবে, সে কখনও পিপাসা অনুভব করবে না।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1455- وَعَن سهل بن سعد رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن فِي الْجنَّة بَابا يُقَال لَهُ الريان يدْخل مِنْهُ الصائمون يَوْم الْقِيَامَة لَا يدْخل مِنْهُ أحد غَيرهم فَإِذا دخلُوا أغلق فَلم يدْخل مِنْهُ أحد
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ
وَزَاد وَمن دخله لم يظمأ أبدا
وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه إِلَّا أَنه قَالَ فَإِذا دخل أحدهم أغلق من دخل شرب وَمن شرب لم يظمأ أبدا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ
وَزَاد وَمن دخله لم يظمأ أبدا
وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه إِلَّا أَنه قَالَ فَإِذا دخل أحدهم أغلق من دخل شرب وَمن شرب لم يظمأ أبدا

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৫৬
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৫৬. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা জিহাদ কর, সাচ্ছন্দ্য লাভ করবে; রোযা পালন কর, সুস্থ থাকবে, সফর কর, অমুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে পারবে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাত' কিতাবে বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাত' কিতাবে বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1456- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اغزوا تغنموا
وصوموا تصحوا وسافروا تستغنوا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته ثِقَات
وصوموا تصحوا وسافروا تستغنوا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته ثِقَات

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৫৭
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৫৭. নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: রোযা হচ্ছে ঢাল ও জাহান্নাম থেকে নিরাপদ থাকার জন্য মযবূত কেল্লাবিশেষ।
(হাদীসটি আহমদ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি রিওয়ায়াত করেন।)
(হাদীসটি আহমদ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি রিওয়ায়াত করেন।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1457- وَرُوِيَ عَن نَبِي الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الصّيام جنَّة وحصن حُصَيْن من النَّار
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَالْبَيْهَقِيّ
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَالْبَيْهَقِيّ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৫৮
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৫৮. হযরত জাবির (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: রোযা একটি ঢাল, মানুষ এরদ্বারা জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা করতে পারে। 
(হাদীসটি আহমদ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন।)
(হাদীসটি আহমদ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1458- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ عَن نَبِي الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الصّيام جنَّة يستجن بهَا العَبْد من النَّار
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَالْبَيْهَقِيّ
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَالْبَيْهَقِيّ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৫৯
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৫৯. হযরত উসমান ইব্ন আবুল আ'স (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে একথা বলতে শুনেছি যে, রোযা হচ্ছে জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষার জন্য ঢালবিশেষ। যেমন যুদ্ধক্ষেত্রে তোমাদের কেউ ঢাল ব্যবহার করে থাকে। আর রোযার উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে প্রতি মাসে তিনটি করে রোযা।
(হাদীসটি ইবন মুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইবন মুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1459- وَعَن عُثْمَان بن أبي الْعَاصِ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول الصّيام جنَّة من النَّار كجنة أحدكُم من الْقِتَال وَصِيَام حسن ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৬০
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৬০. হযরত মু'য়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বলেছিলেন। আমি কি তোমাকে কল্যাণের দ্বারসমূহের সন্ধান দেব না? আমি বললাম, আলবৎ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি বললেন, রোযা হচ্ছে ঢাল, আর সাদ্কা গুনাহকে এভাবে মিটিয়ে দেয় যেভাবে পানি আগুনকে নির্বাপিত করে দেয়। 
(হাদীসটি তিরমিযী অপর একটি হাদীসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং একে সহীহ বলে অভিহিত করেছেন। পূর্ণ হাদীসটি 'চুপ থাকার ফযীলত' প্রসঙ্গে সামনে আসবে। এই প্রসঙ্গে কা'ব ইব্ন উজরা (রা) প্রমুখের বর্ণিত হাদীসসমূহ ইতিপূর্বেই এসে গিয়েছে।)
(হাদীসটি তিরমিযী অপর একটি হাদীসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং একে সহীহ বলে অভিহিত করেছেন। পূর্ণ হাদীসটি 'চুপ থাকার ফযীলত' প্রসঙ্গে সামনে আসবে। এই প্রসঙ্গে কা'ব ইব্ন উজরা (রা) প্রমুখের বর্ণিত হাদীসসমূহ ইতিপূর্বেই এসে গিয়েছে।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1460 - وَعَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَهُ أَلا أدلك على أَبْوَاب الْخَيْر
قلت بلَى يَا رَسُول الله
قَالَ الصَّوْم جنَّة وَالصَّدَََقَة تطفىء الْخَطِيئَة كَمَا يطفىء المَاء النَّار
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ فِي حَدِيث وَصَححهُ وَيَأْتِي بِتَمَامِهِ فِي الصمت إِن شَاءَ الله وَتقدم حَدِيث كَعْب بن عجْرَة وَغَيره بِمَعْنَاهُ
قلت بلَى يَا رَسُول الله
قَالَ الصَّوْم جنَّة وَالصَّدَََقَة تطفىء الْخَطِيئَة كَمَا يطفىء المَاء النَّار
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ فِي حَدِيث وَصَححهُ وَيَأْتِي بِتَمَامِهِ فِي الصمت إِن شَاءَ الله وَتقدم حَدِيث كَعْب بن عجْرَة وَغَيره بِمَعْنَاهُ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৬১
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৬১. হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্ন উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: কিয়ামতের দিন রোযা ও কুরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোযা বলবে, হে আমার প্রতিপালক। আমি তাকে আহার, ও কাম-বাসনা থেকে বিরত রেখেছিলাম। তাই তারপক্ষে আমার সুপারিশ কবুল কর। কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতের নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছিলাম। তাই তার জন্য আমার সুপারিশ কবুল কর। রাসূলুল্লাহ বলেন, তাদের উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও 'কবীর' নামক গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেন। সনদের সকল বর্ণনাকারী সহীহের বর্ণনাকারীদের পর্যায়ের। ইবন আবিদ-দুনিয়াও এটি 'ক্ষুধা অধ্যায়' ও অন্য এক স্থানে 'হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেন যে, মুসলিমের মাপকাঠি অনুযায়ী এটি সহীহ।)
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও 'কবীর' নামক গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেন। সনদের সকল বর্ণনাকারী সহীহের বর্ণনাকারীদের পর্যায়ের। ইবন আবিদ-দুনিয়াও এটি 'ক্ষুধা অধ্যায়' ও অন্য এক স্থানে 'হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেন যে, মুসলিমের মাপকাঠি অনুযায়ী এটি সহীহ।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1461- وَعَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الصّيام وَالْقُرْآن يشفعان للْعَبد يَوْم الْقِيَامَة يَقُول الصّيام أَي رب منعته الطَّعَام والشهوة فشفعني فِيهِ
وَيَقُول الْقُرْآن منعته النّوم بِاللَّيْلِ فشفعني فِيهِ قَالَ فيشفعان
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرِجَاله مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب الْجُوع وَغَيره بِإِسْنَاد حسن وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
وَيَقُول الْقُرْآن منعته النّوم بِاللَّيْلِ فشفعني فِيهِ قَالَ فيشفعان
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرِجَاله مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب الْجُوع وَغَيره بِإِسْنَاد حسن وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৬২
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৬২. হযরত সালামা ইবন কায়সার (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে একদিন রোযা পালন করল, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে এত দূরে রাখবেন, একটি কাকের বাচ্চা শিশুকাল থেকে আকাশে উড়তে উড়তে বার্ধক্যের শেষ প্রান্তে উপনীত হয়ে মারা গেলে যতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করে।
(হাদীসটি আবু ইয়ালা ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি সালামা শব্দে একটি আলিফ বৃদ্ধি করে সালামা ইব্ন কায়সার নাম বলেছেন। এ সনদে আবদুল্লাহ্ ইবন লাহিয়া নামক একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন। আহমদ ও বাযযার এটি হযরত আবু হুয়ায়রা (রা)-এর হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ সনদে একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন, যার নাম উল্লেখ করা হয়নি।)
(হাদীসটি আবু ইয়ালা ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি সালামা শব্দে একটি আলিফ বৃদ্ধি করে সালামা ইব্ন কায়সার নাম বলেছেন। এ সনদে আবদুল্লাহ্ ইবন লাহিয়া নামক একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন। আহমদ ও বাযযার এটি হযরত আবু হুয়ায়রা (রা)-এর হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ সনদে একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন, যার নাম উল্লেখ করা হয়নি।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1462- وَعَن سَلمَة بن قَيْصر رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من صَامَ يَوْمًا ابْتِغَاء وَجه الله باعده الله من جَهَنَّم كبعد غراب طَار وَهُوَ فرخ حَتَّى مَاتَ هرما
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَالْبَيْهَقِيّ وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فَسَماهُ سَلامَة بِزِيَادَة ألف وَفِي إِسْنَاده عبد الله بن لَهِيعَة وَرَوَاهُ
أَحْمد وَالْبَزَّار من حَدِيث أبي هُرَيْرَة وَفِي إِسْنَاده رجل لم يسم
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَالْبَيْهَقِيّ وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فَسَماهُ سَلامَة بِزِيَادَة ألف وَفِي إِسْنَاده عبد الله بن لَهِيعَة وَرَوَاهُ
أَحْمد وَالْبَزَّار من حَدِيث أبي هُرَيْرَة وَفِي إِسْنَاده رجل لم يسم

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৬৩
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৬৩. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যদি কোন ব্যক্তি একদিন নফল রোযা রাখে, তারপর তাকে প্রতিদানে পৃথিবী ভরে সোনাও দেয়া হয়, তবুও হিসাবের দিন ব্যতীত এটি রোযার সওয়াবের সমতুল্য হতে পারবে না।
(হাদীসটি আবু ইয়ালা ও তাবারানী বর্ণনা করেছেন। লায়স ইবন আবূ সুলায়ম ছাড়া এর সকল বর্ণনাকারীই নির্ভযোগ্য।)
(হাদীসটি আবু ইয়ালা ও তাবারানী বর্ণনা করেছেন। লায়স ইবন আবূ সুলায়ম ছাড়া এর সকল বর্ণনাকারীই নির্ভযোগ্য।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1463- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَو أَن رجلا صَامَ يَوْمًا تَطَوّعا ثمَّ أعطي ملْء الأَرْض ذَهَبا لم يسْتَوْف ثَوَابه دون يَوْم الْحساب
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَالطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا لَيْث بن أبي سليم
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَالطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا لَيْث بن أبي سليم

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৬৪
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৬৪. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ প্রায় আবু মুসা আশ'আরী (রা)-কে সমুদ্র অভিযানে নেতৃত্বে প্রেরণ করেছিলেন, তাঁরা একদিন অন্ধকার রাতে নৌকার পাল তুলে রওয়ানা হচ্ছিলেন, এমন সময় উপর থেকে একটি আওয়ায় ভেসে আসল। শূন্য থেকে কে যেন ডেকে বলছে হে নৌকার আরোহীগণ। তোমরা দাঁড়াও, আমি তোমাদেরকে আল্লাহর একটি ফায়সালার কথা বলব, যা তিনি নিজের জন্য অবধারিত করে রেখেছেন। আবু মুসা বললেন, যদি তুমি সত্যিই কোন সংবাদ বহনকারী হয়ে থাক, তা হলে বল। সে বলল, আল্লাহ নিজের জন্য এ সিদ্ধান্ত অবধারিত করে নিয়েছেন যে, যে ব্যক্তি প্রচণ্ড গরমের দিনে নিজেকে তৃষ্ণার্ত রাখবে, আল্লাহ তৃষ্ণা দিবসে (কিয়ামতের দিন। ) তাকে পানি পান করাবেন।
(হাদীসটি বাযযার হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। ইবন আবুদ-দুনিয়াও এটি লকীত... আবু বুরদা... আবু মুসা সুত্রে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি হাদীসটি এভাবে বলেছেন: আল্লাহ নিজের জন্য এ সিদ্ধান্ত অবধারিত করে নিয়েছেন যে, যে ব্যক্তি গরমের দিনে আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিজেকে পিপাসার্ত রাখবে। আল্লাহ তাকে অবশ্যই কিয়ামতের দিন পরিতৃপ্ত করবেন। বর্ণনাকারী বলেন, আবু মূসা প্রচণ্ড গরমের সময় দেখে (নফল) রোযা রাখতেন যখন সাধারণত মানুষ গরমে অস্থির হয়ে থাকত।)
(হাদীসটি বাযযার হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। ইবন আবুদ-দুনিয়াও এটি লকীত... আবু বুরদা... আবু মুসা সুত্রে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি হাদীসটি এভাবে বলেছেন: আল্লাহ নিজের জন্য এ সিদ্ধান্ত অবধারিত করে নিয়েছেন যে, যে ব্যক্তি গরমের দিনে আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিজেকে পিপাসার্ত রাখবে। আল্লাহ তাকে অবশ্যই কিয়ামতের দিন পরিতৃপ্ত করবেন। বর্ণনাকারী বলেন, আবু মূসা প্রচণ্ড গরমের সময় দেখে (নফল) রোযা রাখতেন যখন সাধারণত মানুষ গরমে অস্থির হয়ে থাকত।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1464- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بعث أَبَا مُوسَى على سَرِيَّة فِي الْبَحْر فَبَيْنَمَا هم كَذَلِك قد رفعوا الشراع فِي لَيْلَة مظْلمَة إِذا هَاتِف فَوْقهم يَهْتِف يَا أهل السَّفِينَة قفوا أخْبركُم بِقَضَاء قَضَاهُ الله على نَفسه فَقَالَ أَبُو مُوسَى أخبرنَا إِن كنت مخبرا
قَالَ إِن الله تبَارك وَتَعَالَى قضى على نَفسه أَنه من أعطش نَفسه لَهُ فِي يَوْم صَائِف سقَاهُ الله يَوْم الْعَطش
رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد حسن إِن شَاءَ الله وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا من حَدِيث لَقِيط عَن أبي بردة عَن أبي مُوسَى بِنَحْوِهِ إِلَّا أَنه قَالَ فِيهِ قَالَ إِن الله تَعَالَى قضى على نَفسه أَنه من عَطش نَفسه لله فِي يَوْم حَار كَانَ حَقًا على الله عز وَجل أَن يرويهِ يَوْم الْقِيَامَة
قَالَ وَكَانَ أَبُو مُوسَى يتوخى الْيَوْم الشَّديد الْحر الَّذِي يكَاد الْإِنْسَان يَنْسَلِخ فِيهِ حرا فيصومه
الشراع بِكَسْر الشين الْمُعْجَمَة هُوَ قلع السَّفِينَة الَّذِي يصفقه الرّيح فتمشي
قَالَ إِن الله تبَارك وَتَعَالَى قضى على نَفسه أَنه من أعطش نَفسه لَهُ فِي يَوْم صَائِف سقَاهُ الله يَوْم الْعَطش
رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد حسن إِن شَاءَ الله وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا من حَدِيث لَقِيط عَن أبي بردة عَن أبي مُوسَى بِنَحْوِهِ إِلَّا أَنه قَالَ فِيهِ قَالَ إِن الله تَعَالَى قضى على نَفسه أَنه من عَطش نَفسه لله فِي يَوْم حَار كَانَ حَقًا على الله عز وَجل أَن يرويهِ يَوْم الْقِيَامَة
قَالَ وَكَانَ أَبُو مُوسَى يتوخى الْيَوْم الشَّديد الْحر الَّذِي يكَاد الْإِنْسَان يَنْسَلِخ فِيهِ حرا فيصومه
الشراع بِكَسْر الشين الْمُعْجَمَة هُوَ قلع السَّفِينَة الَّذِي يصفقه الرّيح فتمشي

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৬৫
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৬৫. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: প্রতিটি বস্তুর যাকাত রয়েছে, দেহের যাকাত হচ্ছে রোযা। আর রোযা ধৈর্যের অর্ধেক। 
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1465- وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لكل شَيْء زَكَاة وَزَكَاة الْجَسَد الصَّوْم وَالصِّيَام نصف الصَّبْر
رَوَاهُ ابْن مَاجَه
رَوَاهُ ابْن مَاجَه

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৬৬
 অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৬৬. হযরত হুযায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে আমার বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলাম। তিনি বললেন, যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করল এবং শেষ পর্যন্ত এর উপর প্রতিষ্ঠিত রইল, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একদিন রোযা রাখল, তার বিনিময়ে তার জান্নাতে প্রবেশ মোহরাঙ্কিত হয়ে গেল। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কিছু সাদকা করল, তার জান্নাতে প্রবেশও মোহরাঙ্কিত হয়ে গেল। 
(হাদীসটি আহমদ নির্দোষ সনদে বর্ণনা করেছেন। ইস্পাহানীও এটি এভাবে বর্ণনা করেছেন: হে হুযায়ফা। যে ব্যক্তির আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একদিন রোযা রাখার সৌভাগ্য হল, তাকে আল্লাহ্ জান্নাতে দাখিল করবেন।)
(হাদীসটি আহমদ নির্দোষ সনদে বর্ণনা করেছেন। ইস্পাহানীও এটি এভাবে বর্ণনা করেছেন: হে হুযায়ফা। যে ব্যক্তির আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একদিন রোযা রাখার সৌভাগ্য হল, তাকে আল্লাহ্ জান্নাতে দাখিল করবেন।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1466- وَعَن حُذَيْفَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ أسندت النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَى صَدْرِي فَقَالَ من قَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله ختم لَهُ بهَا دخل الْجنَّة وَمن صَامَ يَوْمًا ابْتِغَاء وَجه الله ختم لَهُ بِهِ دخل الْجنَّة وَمن تصدق بِصَدقَة ابْتِغَاء وَجه الله ختم لَهُ بهَا دخل الْجنَّة
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ والأصبهاني وَلَفظه يَا حُذَيْفَة من ختم لَهُ بصيام يَوْم يُرِيد بِهِ وَجه الله عز وَجل أدخلهُ الله الْجنَّة
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ والأصبهاني وَلَفظه يَا حُذَيْفَة من ختم لَهُ بصيام يَوْم يُرِيد بِهِ وَجه الله عز وَجل أدخلهُ الله الْجنَّة

তাহকীক: