আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৯১
- নামাযের অধ্যায়
আযান ও তার জবাবদান এবং পুনঃ সতর্কীকরণ
৯১। আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ তোমরা আযান শোনলে মুয়াযযিন যা বলে তোমরাও তাই বলো।*

* এ হাদীস থেকে বাহ্যত জানা যায়, আযানের শব্দগুলোই শ্রোতা হুবুহু উচ্চারণ করবে। কিন্তু বুখারী ও মুসলিমের হাদীসে এসেছে, 'হাইয়্যা আলাস-সালাহ' এবং 'হাইয়্যা আলাল ফালাহ' বাক্যদ্বয়ের স্থলে শ্রোতাকে “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” বলতে হবে। এভাবে উভয় হাদীসের উপরই আমল হয়ে যাবে। জমহূর আলেমদের মতও তাই। ইমাম আবু হানাফী ও আসহাবে যাওয়াহিরের মতে, আযানের জবাব দেয়া ওয়াজিব, কিন্তু জমহূরের মতে তা সুন্নত। তবে আযানের জবাব দেয়ার তাত্ত্বিক অর্থ হচ্ছেঃ আযান শুনে নামাযের জন্য জামাআতে উপস্থিত হওয়া। যে ব্যক্তি মুখে মুখে আযানের জবাব দিলো, কিন্তু জামাআতে হাযির হলো না, সে বাস্তবিকপক্ষে আযানের জবাব দেয়নি (অনুবাদক)।
أبواب الصلاة
بَابُ: الأَذَانِ وَالتَّثْوِيبِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ» , [ص:55] قَالَ مَالِكٌ: بَلَغَنَا أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ , جَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ يُؤْذِنُهُ لِصَلاةِ الصُّبْحِ، فَوَجَدَهُ نَائِمًا فَقَالَ الْمُؤَذِّنُ: الصَّلاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ، فَأَمَرَهُ عُمَرُ أَنْ يَجْعَلَهَا فِي نِدَاءِ الصُّبْحِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯২
- নামাযের অধ্যায়
আযান ও তার জবাবদান এবং পুনঃ সতর্কীকরণ
৯২। ইমাম মালেক (রাহঃ) বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে, মুয়াযযিন উমার (রাযিঃ)-কে ফজরের নামায সম্পর্কে অবহিত করতে এসে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পান। মুয়াযযিন সশব্দে বলেন, 'আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম' (ঘুম থেকে নামায উত্তম)। তখন উমার (রাযিঃ) তাকে এই বাক্য ফজরের নামাযের আযানে যোগ করার নির্দেশ দিলেন।*

* হযরত উমার (রাযিঃ)-র কথার অর্থ এই নয় যে, তিনিই আযানের মধ্যে এই শব্দের প্রচলন করেছেন। কেননা হযরত বিলাল (মদীনার মুয়াযযিন) এবং হযরত আবু মাহযূরা (মক্কার মুয়াযযিন ) রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে প্রমাণিত যে, স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ﷺ ফজরের আযানের মধ্যে এই বাক্যের প্রবর্তন করেন। আবু মাহযূরা (রাযিঃ) বলেন, হুনাইনের যুদ্ধের সময় আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর উপস্থিতিতে ফজরের নামাযের আযান দেই। অতএব আমি যখন 'হাইয়্যা আলাল ফালাহ' বললাম, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ তুমি এর সাথে 'আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম' যোগ করো। একদল আলেম এই হাদীসের মাধ্যমে তাসবীব () জায়েয বলেছেন। তাসবীব শব্দের অর্থ পুনঃ সতর্কীকরণ । অর্থাৎ আযানের পর নামাযের জন্য পুনর্বার সতর্ক করা। একদল আলেম এটাকে মাকরূহ বলেছেন। আল্লামা ইবনে আব্দুল বার বলেন, আমীর মুআবিয়া (রাযিঃ) এই তাসবীবের প্রচলন করেন। খেলাফতে রাশেদার যুগে এই নিয়ম প্রচলিত ছিলো না (অনুবাদক)।
أبواب الصلاة
أخبرنا مالك أخبرنا نافع عن ابن عمر : أنه كان يكبر في النداء ( 1 ) ثلاثا ( 2 ) ويتشهد ثلاثا وكان أحيانا ( 3 ) إذا قال حي على الفلاح قال على إثرها ( 4 ) حي على خير العمل ( 5 )
قال محمد : الصلاة خير من النوم يكون ذلك في نداء الصبح بعد الفراغ ( 6 ) من النداء ولا يجب ( 7 ) أن يزاد في النداء ما لم يكن منه
হাদীস নং: ৯৩
- নামাযের অধ্যায়
আযান ও তার জবাবদান এবং পুনঃ সতর্কীকরণ
৯৩। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আযানের মধ্যে 'আল্লাহু আকবার' তিনবার এবং 'আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ' তিনবার করে বলতেন। তিনি কখনো কখনো 'হাইয়্যা আলাল ফালাহ' বাক্যের পর 'হাইয়্যা আলা খাইরিল-আমাল' বলতেন।*
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, 'আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম' বাক্যটি ফজর নামাযের আযান থেকে অবসর হয়ে বলতে হবে। আযানের মধ্যে এমন কোন শব্দ উচ্চারণ করা পছন্দনীয় নয়, যা আযানের শব্দগুলোর অন্তর্ভুক্ত নয়।

* ফজরের আযানে 'আস-সালাতু খাইরুম মিনাম-নাওম' বলা সমস্ত ফিকহবিদের মতে সুন্নত। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ মুয়াযযিনকে তা বলার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু শাহাদাতাইন তিনবার বলা এবং ‘হাইয়্যা আলা খাইরিল-আমাল' বাক্য আযানের মধ্যে বৃদ্ধি করা সুন্নতের পরিপন্থী। এটা ইবনে উমার (রাযিঃ)-এর ব্যক্তিগত আমল মনে হয় (অনুবাদক)।
أبواب الصلاة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّهُ كَانَ يُكَبِّرُ فِي النِّدَاءِ ثَلاثًا وَيَتَشَهَّدُ ثَلاثًا، وَكَانَ أَحْيَانًا إِذَا قَالَ حَيَّ عَلَى الْفَلاحِ , قَالَ عَلَى إِثْرِهَا حَيَّ عَلَى خَيْرِ الْعَمَلِ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: الصَّلاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ يَكْوُنُ ذَلِكَ فِي نِدَاءِ الصُّبْحِ بَعْدَ الْفَرَاغِ مِنَ النِّدَاءِ، وَلا يَجِبُ أَنْ يُزَادَ فِي النِّدَاءِ مَا لَمْ يَكُنْ مِنْهُ
tahqiq

তাহকীক: