আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৯৮
- নামাযের অধ্যায়
নামাযের কাতার সোজা ও সমান করা
৯৮। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) কয়েক ব্যক্তিকে নামাযের কাতার ঠিক করার জন্য নিযুক্ত করেছিলেন। তারা তাকে কাতার সোজা ও সঠিক হওয়ার খবর দেয়ার পরই তিনি তাকবীরে তাহরীমা বলতেন।
أبواب الصلاة
بَابُ: تَسْوِيَةِ الصَّفِّ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ يَأْمُرَ رِجَالا بِتَسْوِيَةِ الصُّفُوفِ، فَإِذَا جَاءُوهُ فَأَخْبَرُوهُ بِتَسْوِيَتِهَا كَبَّرَ بَعْدُ "
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৯
- নামাযের অধ্যায়
নামাযের কাতার সোজা ও সমান করা
৯৯। মালেক ইবনে আবু আমের আল-আনসারী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) তার খোতবায় বলতেন, “যখন নামায শুরু হয় তখন তোমরা নিজেদের কাতারসমূহ ঠিক করে নাও এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নাও। কেননা কাতার ঠিক করা নামাযকে পূর্ণাঙ্গ করার শামিল"। কাতার ঠিক করার কাজে নিযুক্ত লোকেরা তাকে অবহিত না করা পর্যন্ত তিনি তাকবীরে তাহরীমা বলতেন না। তারা কাতার ঠিক হয়েছে বলে খবর দিলেই তিনি তাকবীরে তাহরীমা বলতেন।*
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, মুয়াযযিন 'হাইয়া আলাল ফালাহ' বললে মুসল্লীগণ দাঁড়িয়ে যাবে, কাতার ঠিক করবে এবং পরস্পরের সাথে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে। অতঃপর মুয়াযযিন 'কাদ কামাতিস সালাহ' বলার সাথে ইমাম তাকবীরে তাহরীমা বাঁধবে অর্থাৎ নামায শুরু করবে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-রও এই মত।

* কাতার সোজা করা এবং কাতারের মাঝে ফাঁক না রাখার ব্যাপারে অনেক তাকিদ করা হয়েছে। সহীহ বুখারী ও অন্যান্য কিতাবে আছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ তোমাদের কাতার সঠিক ও সোজা করো। অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবেন (অনুবাদক)
أبواب الصلاة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ، وَأَبُو النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَبِي عَامِرٍ الأَنْصَارَيِّ، أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، كَانَ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ: «إِذَا قَامَتِ الصَّلاةِ، فَاعْدِلُوا الصُّفُوفَ، وَحَاذُوا بِالْمَناكِبِ، فَإِنَّ اعْتِدَالِ الصُّفُوفِ مِنْ تَمَامِ الصَّلاةِ» ، ثُمَّ لا يُكَبِّرُ حَتَّى يَأْتِيَهُ رِجَالٌ قَدْ وَكَّلَهُمْ بِتَسْوِيَةِ الصُّفُوفِ، فَيُخْبِرُونَهُ أَنْ قَدِ اسْتَوَتْ فَيُكَبِّرُ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: يَنْبَغِي لِلْقَوْمِ إِذَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ حَيَّ عَلَى الْفَلاحِ أَنْ يَقُومُوا إِلَى الصَّلاةِ فَيَصُفُّوا، وَيُسَوُّوا الصُّفُوفَ، وَيُحَاذُوا بَيْنَ الْمَنَاكِبِ، فَإِذَا أَقَامَ الْمُؤَذِّنُ الصَّلاةَ كَبَّرَ الإِمَامُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক: