১৩০। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইমাম যে নামাযে সশব্দে কিরাআত পড়েন, তার কোন অংশ যদি আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-র ছুটে যেতো, তবে ইমামের সালাম ফিরানোর পর তিনি উঠে দাঁড়িয়ে অবশিষ্ট নামায পূর্ণ করতেন এবং তাতে কিরাআত পড়তেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। অর্থাৎ ইমামের সাথে নামাযের না পাওয়া প্রথম অংশ তিনি পূর্ণ করতেন। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-রও এই মত।
[মুওয়াত্তা ইমাম মালেক-এ হাদীসটি এভাবে উক্ত হয়েছেঃ

إذا فاته شيئ من الصلوة مع الامام فيما جهر فيه الامام بالقراءة أنه إذا سلم الامام قام عبد الله بن عمر فقرا لنفسه فيما يقضى وجهر (كتاب الصلوة
باب العمل في القراءة)

“ইমাম যে নামাযের কিরাআত সশব্দে পড়েন, সেই নামাযের কোন অংশ আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-র ছুটে গেলে, ইমামের সালাম ফিরানোর পর তিনি উঠে দাঁড়িয়ে অবশিষ্ট নামায পূর্ণ করতেন এবং তাতে সশব্দে কিরাআত পড়তেন” —অনুবাদক]।

১৩১। নাফে (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) নামায পড়তে এসে যদি দেখতে পেতেন, লোকেরা রুকূ থেকে মাথা তুলে নিয়েছে তবে তিনি সিজদায় তাদের সাথে শরীক হতেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই নিয়ম অনুযায়ী আমল করি। ইমামকে সিজদারত পেলে এই অবস্থায় তার সাথে নামাযে শরীক হবে। কিন্তু তা নামাযের রাআত হিসাবে গণ্য হবে না। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-রও এই মত ।

১৩২। নাফে (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) যখন ইমামকে এমন অবস্থায় পেতেন যে, নামাযের কিছু অংশ পড়া হয়ে গেছে, তখন তিনি তার সাথে ঐ অবস্থায় নামাযে শামিল হতেন। তিনি ইমামকে দাঁড়ানো বা বসা যে অবস্থায় পেতেন সেই অবস্থায় নামাযে শরীক হতেন এবং নামাযের কোন ব্যাপারেই ইমামের বিপরীত করতেন না।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা ও ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এই নীতি গ্রহণ করেছি।

১৩৩। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ কোন ব্যক্তি নামাযের এক রাআত পেলে সে নামায পেয়ে গেলো (অথবা যে ব্যক্তি রুকূ পেয়ে গেলো সে নামায পেয়ে গেলো) ।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই হাদীস অনুযায়ী আমল করি। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।

১৩৪। নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনে উমার (রাযিঃ) বলতেন, তোমাদের মধ্যে কারো রুকূ ছুটে গেলে তার সিজদাও ছুটে গেছে বলে গণ্য হবে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি ইমামের সাথে দু'টি সিজদা পেলেও রুকূ না পাওয়ার কারণে তা (রাআত) গণনায় ধরা হবে না। ইমামের সালাম ফিরানোর পর তাকে দুই সিজদা সহকারে গোটা রাকআত আদায় করতে হবে। ইমাম আবু হানীফার এই মত।