আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
হাদীস নং: ২০৮
- নামাযের অধ্যায়
সফররত অবস্থায় যান-বাহনের উপর নামায পড়া।
২০৮। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সফররত অবস্থায় বাহনের উপর নামায পড়তেন এবং বাহনের মুখ যেদিকে থাকতো তাঁর মুখও সেদিকে থাকতো । আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-ও অনুরূপভাবে নামায পড়তেন।
أبواب الصلاة
بَابُ: الصَّلاةِ عَلَى الدَّابَةِ فِي السَّفَرِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ فِي السَّفَرِ حَيْثُمَا تَوَجَّهَتْ بِهِ» ، قَالَ: وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَصْنَعُ ذَلِكَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ২০৯
- নামাযের অধ্যায়
সফররত অবস্থায় যান-বাহনের উপর নামায পড়া।
২০৯। সাঈদ ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি এক সফরে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-র সফরসঙ্গী ছিলেন। (রাবী বলেন) আমি তার সাথে কথা বলছিলাম আর পথ চলছিলাম। আমি ফজর হয়ে যাওয়ার আশংকা করে তার পিছনে সরে এসে বাহন থেকে নীচে নেমে বেতের নামায পড়লাম। অতঃপর বাহনে উঠে তার সাথে মিলিত হলাম । ইবনে উমার (রাযিঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কোথায় ছিলে? আমি বললাম, হে আবু আব্দুর রহমান! আমি বাহন থেকে নীচে নেমে বেতের নামায পড়েছি। কেননা আমি ফজর হয়ে যাওয়ার আশংকা করছি। তিনি বলেন, তোমার জন্য কি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর মধ্যে উত্তম আদর্শ নেই? আমি বলাম, আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় আছে। তিনি বলেন, তাহলে শুনো, রাসূলুল্লাহ ﷺ পানাহার উটের পিঠে 'বেতের নামায পড়তেন।**
أبواب الصلاة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ سَعِيدًا أَخْبَرَهُ , أَنَّهُ كَانَ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا فِي سَفَرٍ، فَكُنْتُ أَسِيرُ مَعَهُ وَأَتَحَدَّثُ مَعَهُ، حَتَّى إِذَا خَشِيتُ أَنْ يَطْلُعَ الْفَجْرَ تَخَلَّفْتُ، فَنَزَلْتُ فَأَوْتَرْتُ، ثُمَّ رَكِبْتُ، فَلَحِقْتُهُ، قَالَ ابْنُ عُمَرَ: أَيْنَ كُنْتَ؟ فَقُلْتُ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، نَزَلْتُ فَأَوْتَرْتُ وَخَشِيتُ أَنْ أُصْبِحَ، فَقَالَ: أَلَيْسَ لَكَ فِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ؟ فَقُلْتُ: بَلَى وَاللَّهِ، قَالَ: فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ «يُوتِرُ عَلَى الْبَعِيرِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২১০
- নামাযের অধ্যায়
সফররত অবস্থায় যান-বাহনের উপর নামায পড়া।
২১০। ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেন, আমি আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ)-কে সফররত অবস্থায় তার গাধার পিঠে কিবলার বিপরীত দিকে মুখ করে নামায পড়তে দেখেছি। তিনি তার মুখমণ্ডল কোন কিছুর উপর রাখার পরিবর্তে মাথার ইশারায় রুকু-সিজদা করেছেন।
أبواب الصلاة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: «رَأَيْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ فِي سَفَرٍ يُصَلِّي عَلَى حِمَارِهِ، وَهُوَ مُتَوَجِّهٌ إِلَى غَيْرِ الْقِبْلَةِ، يَرْكَعُ وَيَسْجُدُ إِيمَاءً بِرَأْسِهِ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَضَعَ وَجْهَهُ عَلَى شَيْءٍ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২১১
- নামাযের অধ্যায়
সফররত অবস্থায় যান-বাহনের উপর নামায পড়া।
২১১। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাহঃ) সফরকালে ফরয নামাযের পূর্বে অথবা পরে কোন নামায পড়তেন না, তবে মধ্যরাতে নফল নামায পড়তেন। তিনি কখনো তার উটের পিঠে,আবার কখনো নীচে নেমে এসে নামায পড়তেন, যেদিকে বাহনের মুখ থাকতো সেদিকে মুখ করে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, মুসাফির ব্যক্তি তার বাহনের উপর নফল নামায যে কোন দিকে মুখ করে পড়তে পারে এবং রুকূ-সিজদা ইশারায় করতে পারে। তবে রুকূর তুলনায় সিজদায় মাথা অধিক ঝুঁকাবে। কিন্তু ফরয নামায এবং বেতের নামায বাহন থেকে নীচে নেমে এসে পড়বে। এর সমর্থনে বহু সংখ্যক হাদীস বিদ্যমানে আছে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, মুসাফির ব্যক্তি তার বাহনের উপর নফল নামায যে কোন দিকে মুখ করে পড়তে পারে এবং রুকূ-সিজদা ইশারায় করতে পারে। তবে রুকূর তুলনায় সিজদায় মাথা অধিক ঝুঁকাবে। কিন্তু ফরয নামায এবং বেতের নামায বাহন থেকে নীচে নেমে এসে পড়বে। এর সমর্থনে বহু সংখ্যক হাদীস বিদ্যমানে আছে।
أبواب الصلاة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا لَمْ يُصَلِّ مَعَ صَلاةِ الْفَرِيضَةِ فِي السَّفَرِ التَّطَوُّعَ قَبْلَهَا، وَلا بَعْدَهَا إِلا مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ، فَإِنَّهُ كَانَ يُصَلِّي نَازِلا عَلَى الأَرْضِ، وَعَلَى بَعِيرِهِ أَيْنَمَا تَوَجَّهَ بِهِ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: لا بَأْسَ أَنْ يُصَلِّيَ الْمُسَافِرُ عَلَى دَابَّتِهِ تَطَوُّعًا إِيمَاءً حَيْثُ كَانَ وَجْهُهُ، يَجْعَلُ السُّجُودَ أَخْفَضَ مِنَ الرُّكُوعِ، فَأَمَّا الْوِتْرُ، وَالْمَكْتُوبَةُ فَإِنَّهُمَا تُصَلَّيَانِ عَلَى الأَرْضِ، وَبِذَلِكَ جَاءَتِ الآثَارُ
قَالَ مُحَمَّدٌ: لا بَأْسَ أَنْ يُصَلِّيَ الْمُسَافِرُ عَلَى دَابَّتِهِ تَطَوُّعًا إِيمَاءً حَيْثُ كَانَ وَجْهُهُ، يَجْعَلُ السُّجُودَ أَخْفَضَ مِنَ الرُّكُوعِ، فَأَمَّا الْوِتْرُ، وَالْمَكْتُوبَةُ فَإِنَّهُمَا تُصَلَّيَانِ عَلَى الأَرْضِ، وَبِذَلِكَ جَاءَتِ الآثَارُ

তাহকীক:
হাদীস নং: ২১২
- নামাযের অধ্যায়
সফররত অবস্থায় যান-বাহনের উপর নামায পড়া।
২১২। হুসাইন ইবনে আব্দুর রহমান আল-কূফী (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) সওয়ারীর উপর নফল নামায পড়তেন তাকে নিয়ে বাহন যেদিকে মুখ করে থাকতো সেদিকে মুখ করে। কিন্তু ফরয অথবা বেতের নামায তিনি বাহন থেকে নীচে নেমে এসে পড়তেন।
أبواب الصلاة
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا أَبُو حَنِيفَةَ، عَنْ حُصَيْنٍ، قَالَ: «كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُصَلِّي التَّطَوُّعَ عَلَى رَاحِلَتِهِ أَيْنَمَا تَوَجَّهَتْ بِهِ، فَإِذَا كَانَتِ الْفَرِيضَةِ، أَوِ الْوِتْرِ نَزَلَ فَصَلَّى»
হাদীস নং: ২১৩
- নামাযের অধ্যায়
সফররত অবস্থায় যান-বাহনের উপর নামায পড়া।
২১৩। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) সফরকালে দুইরাকআত ফরয নামাযের সাথে এর আগে বা পরে কোন (নফল বা সুন্নত) নামায পড়তেন না। তিনি সফরে রাতে তার উটের পিঠে নফল নামায পড়তেন যেদিকে বাহন মুখ করে থাকতো সেদিকে ফিরে। ফজরের সময় ঘনিয়ে আসলে তিনি উটের পিঠ থেকে নীচে নেমে এসে বেতের নামায পড়তেন। অনুরূপভাবে তিনি কোন মনযিলে যাত্রাবিরতি করলে রাতে ইবাদতে কাটাতেন।
أبواب الصلاة
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ ذَرٍّ الْهَمَدَانِيُّ، عَنْ مُجَاهِدٍ، «أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ لا يَزِيدُ عَلَى الْمَكْتُوبَةِ فِي السَّفَرِ عَلَى الرَّكْعَتَيْنِ، لا يُصَلِّي قَبْلَهَا، وَلا بَعْدَهَا، وَيُحْيِي اللَّيْلَ عَلَى ظَهْرِ الْبَعِيرِ أَيْنَمَا كَانَ وَجْهُهُ، وَيَنْزِلُ قُبَيْلَ الْفَجْرِ، فَيُوتِرُ بِالأَرْضِ، فَإِذَا أَقَامَ لَيْلَةً فِي مَنْزِلٍ، أَحْيَى اللَّيْلَ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২১৪
- নামাযের অধ্যায়
সফররত অবস্থায় যান-বাহনের উপর নামায পড়া।
২১৪ । মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, আমি মক্কা থেকে মদীনা পর্যন্ত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-র সফরসঙ্গী ছিলাম। তিনি গোটা নামাযই তার উটের পিঠে মদীনামুখী হয়ে আদায় করতেন এবং মাথার ইশারায় রুকূ-সিজদা করতেন। তবে তিনি রুকূর তুলনায় সিজদায় মাথা অধিক নত করতেন, কিন্তু ফরয নামায এবং বেতের নামায উটের পিঠ থেকে নীচে নেমে এসে পড়তেন। এ সম্পর্কে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এরূপ করতেন। অর্থাৎ তিনি যেদিকে ইচ্ছা মুখ করে মাথার ইশারায় নামায পড়তেন এবং রুকূর তুলনায় সিজদায় মাথা অধিক বেশী নত করতেন।**
أبواب الصلاة
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ حَمَّادٍ ابْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: " صَحِبْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَكَانَ يُصَلِّي الصَّلاةَ كُلَّهَا عَلَى بَعِيرِهِ نَحْوَ الْمَدِينَةَ، وَيُومِئُ بِرَأْسِهِ إِيمَاءً، وَيَجْعَلُ السُّجُودَ أَخْفَضَ مِنَ الرُّكُوعِ، إِلا الْمَكْتُوبَةَ وَالْوِتْرِ، فَإِنَّهُ كَانَ يَنْزِلُ لَهُمَا، فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُهُ حَيْثُ كَانَ وَجْهُهُ يُومِئُ بِرَأْسِهِ، وَيَجْعَلُ السُّجُودَ أَخْفَضَ مِنَ الرُّكُوعِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২১৫
- নামাযের অধ্যায়
সফররত অবস্থায় যান-বাহনের উপর নামায পড়া।
২১৫। হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। বাহন যেদিকে মুখ করে থাকতো সেদিকে ফিরে তার পিতা তার বাহনের উপর নামায পড়তেন। তিনি তার কপাল কোন কিছুর উপর রাখতেন না, বরং মাথার ইশারায় রুকূ-সিজদা করতেন। অতঃপর তিনি নীচে নেমে এসে বেতের পড়তেন।
أبواب الصلاة
قَالَ مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي عَلَى ظَهْرِ رَاحِلَتِهِ حَيْثُ تَوَجَّهَتْ، وَلا يَضَعُ جَبْهَتَهُ، وَلَكِنْ يُشِيرُ لِلرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ بِرَأْسِهِ، فَإِذَا نَزَلَ أَوْتَرَ» .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২১৬
- নামাযের অধ্যায়
সফররত অবস্থায় যান-বাহনের উপর নামায পড়া।
২১৬। ইবরাহীম নাখঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনে উমার (রাযিঃ) তার বাহনের উপর যেদিকে ইচ্ছা মুখ করে ইশারায় নফল নামায পড়তেন এবং সিজদার আয়াত পাঠ করলে ইশারায় সিজদা করতেন। তিনি ফরয নামায ও বেতের নামায পড়ার জন্য বাহন থেকে নীচে নামতেন।
أبواب الصلاة
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْمُغِيرَةِ الضَّبِّيِّ، عَنِ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، «أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ حَيْثُ كَانَ وَجْهُهُ تَطَوُّعًا، يُومِئُ إِيمَاءً، وَيَقَرْأُ السَّجْدَةَ فَيُومِئُ، وَيَنْزِلُ لِلْمَكْتُوبَةِ، وَالْوِتْرِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২১৭
- নামাযের অধ্যায়
সফররত অবস্থায় যান-বাহনের উপর নামায পড়া।
২১৭। নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনে উমার (রাযিঃ)-র বাহানের মুখ যেদিকে থাকতো, তিনি সেদিকে ফিরে নামায পড়তেন। অতঃপর যখন তিনি বেতের পড়ার ইচ্ছা করতেন, নীচে নামতেন এবং বেতের পড়তেন।**
أبواب الصلاة
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ غَزْوَانَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «كَانَ أَيْنَمَا تَوَجَّهَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ صَلَّى التَّطَوُّعَ، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يُوتِرَ، نَزَلَ فَأَوْتَرَ»

তাহকীক:
